ওজন কমানোর টিপস
ওজন কমানোর : ওজন কিভাবে কমাবেন সেটা যদি হয় সঠিক পথে তাহলে সুস্থ থাকবেন নিজে। আজ এমন কিছু প্র্রমাণিত বেষ্ট উপায় গুলো দেখবো কোন ক্ষতি ছাড়াই ওজন কমানো যায়?
কত কম সময়ের মধ্যে শরীরের মেদকে দ্রুত কমানো যায়, তার একটি প্রক্রিয়া নিশ্চয় তৈরি করা প্রয়োজন। ওজন কমানোর চিন্তাভাবনা থাকলেও সময়মতো নিজেকে সময় দিতে না পারায় সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হয়ে উঠছে না।
তাই নতুন বছরের শুরু থেকেই শরীরে বাড়তি মেদ ছেঁটে ফেলার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেই ফেলুন। কিন্তু কীভাবে নিরাপদে ও দ্রুত এই অসম্ভব কাজ সম্ভব করবেন তা কখনও ভেবে দেখেছেন? নিরাপদে ওজন কমানোর জন্য় রয়েছে কিছু পদ্ধতি আর সেগুলি কী তা আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে দেখে নিন একনজরে-শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধি-
শারীরিক ক্রিয়াকলাপ হলো আপনার ওজন মারাত্মকভাবে হ্রাস করার সর্বোত্তম উপায়। প্রতিদিন ক্যালোরি বার্ন করতে এটি নিয়মিত করা দরকার। লক্ষ্য যদি ঠিক থাকে তাহলে স্বাস্থ্যকর ও অল্প ক্যালোরিযুক্ত খাবারের সঙ্গে ওয়ার্কআউটও পাশাপাশি করা উচিত। ৩০ মিনিট করে নিয়মিত ওয়ার্কআউট করুন।
সঙ্গে সুষমং খাদ্য খান যেগুলি ওজন কমানোক জন্য আরও ভাল ফল দেয়। সাইকেল চালানো, হাঁটা, জগিং, সাঁতার কাটা এইগুলি পেশীকে যেমন শক্তিশালী করে তোলে তেমনি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায়
- খাওয়া সীমিত করুন
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন
- নিয়মিত ঘুম
- সুষম খাদ্যাভ্যাস মেনে চলুন
- পানি পান করুন
- চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় পরিহার করুন
- সবুজ চা পান করুন
- খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন
- সঠিক পরিমাণে প্রোটিন খান
- সেফ ডায়েট প্ল্যান
খাওয়া সীমিত করুন
খাদ্যগ্রহণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ থাকলে আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হবে। বয়সের ভিত্তিতে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা অবশ্যই দরকার। যদি আপনি পদ্ধতিটি নিজের করে আনতে না পারেন তাহলে প্লেটের আকার ছোট করুন, চামচের আকার ছোট করে দিন। এই ভাবে দিনের জন্য খাওয়া খাবারের পরিমাণ নিশ্চিত করতে পারেন। চেষ্টা করে দেখবেন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
নিজের শরীরের ভাল-মন্দ নিজে জানলেও ওজন কমানোর জন্য ডায়েট প্ল্যান নিয়ে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া খুবই প্রয়োজন হবে। চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের ডায়েট প্ল্যান ও ওয়ার্কআউট শুরু করুন আজ থেকে।
নিয়মিত ঘুম
সুস্থ শরীরের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা। নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই নিশ্চিত করুন। ঘুমের অভাব অনেকটা মেটাবলিজম কমিয়ে দেয় এবং ক্ষুধা বৃদ্ধির হরমোন বাড়িয়ে দেয়, যা বেশি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি করে। সেজন্য ঘুমটা জরুরি।
সুষম খাদ্যাভ্যাস মেনে চলুন
সঠিক ওজন কমানোর প্রথম ধাপ হল সুষম খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা। খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আপনাকে প্রোটিন, শাকসবজি, ফলমূল অবশ্যই যোগ করুন।
প্রোটিন ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ক্ষুধা কমায় এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরাট রাখে। প্রোটিনের ভালো উৎস হতে পারে মুরগির মাংস, ডিম, ডাল, মাছ, ছোলা ইত্যাদি।
পানি পান করুন
ওয়েট কমানোর জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং মেটাবলিজম বেড়ে থাকে।
প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন আপনি। খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে পানি পান করলে ক্ষুধা কমে যায় এবং অতিরিক্ত খাওয়া হয় না।
চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় পরিহার করুন
ওজন যদি কমাতেই চান, তাহলে চিনিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। স্থূলতা বা মোটা ও ডায়াবেটিসের সমস্যা তৈরি করতে চিনি হল একমাত্র খাবার।
আপনার খাবারে স্বাদ আনে চিনির বিকল্প ও প্রাকৃতিক কিছু ব্যবহার করতে পারেন।
সবুজ চা পান করুন
সবুজ চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ফ্যাট বার্ন করতে সহায়তা করে । প্রতিদিন ২-৩ কাপ সবুজ চা পান করার চেষ্টা করুন তাহলে অনেকাংশ ওজন কমে যাবে।
খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন
খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা ওজন কমানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় এটা কম বেশি আমরা সবাই জানি।
খাবার খাওয়ার সময় মনোযোগ দিয়ে খাবেন, যাতে আপনি খাবারের স্বাদ পুরোপুরি উপভোগ করতে পারেন এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে।
আরও পড়ুন:
ব্যায়াম করার পর খাবার তালিকা
সঠিক পরিমাণে প্রোটিন খান
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। এটি ক্ষুধা কমায় ও দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে। ডিম, মুরগি, মাছ, এবং ডাল প্রোটিনের ভালো উৎস।
সেফ ডায়েট প্ল্যান
কম কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে আরও ফল ও সবজি যোগ করুন। ওজন কমানোর জন্য একটি সেফ ডায়েট প্ল্যান করা অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে ১ থেকে ২ কেজি ওজন কমানমোর চেষ্টা করলে প্রথমে দেখা উচিত খাবার গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে কত ক্যালোরি গ্রহণ করছেন।
সবচেয়ে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিকল্পনা হিসেবে খাবারে ক্যালোরি পরিমাপ বুঝে ডায়েট প্ল্যান করা দরকার। স্বাস্থ্যকর ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত খাবারে গোটা শস্য, ওটস, গম ও কম পরিমাণে চাল যোগ করুন।