1 second school

থ্যালাসেমিয়া কি – কেন হয় লক্ষণ ও চিকিৎসা

থ্যালাসেমিয়া কি : 1ss

শেয়ার করুন

Table of Contents

Toggle

থ্যালাসেমিয়া কি

থ্যালাসেমিয়া কি: এটি হলো একটি বংশগত রক্তের রোগ, যা মূলত হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনে সমস্যার কারণে ঘটে। হিমোগ্লোবিন হলো রক্তের একটি প্রোটিন যা অক্সিজেন বহন করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন উৎপাদন হয় না, ফলে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

থ্যালাসেমিয়া কি | What is Thalassemia

” এইটা জানার আগে আমাদের একটি বিষয় নিয়ে জেনে নিতে হবে পুরো ব্যাপারটি ভালো করে বোঝার জন্য, তা হল হিমোগ্লোবিন নিয়ে, আমরা সবাই হিমোগ্লোবিন নামটা কম বেশি শুনেছি , এখন জেনে নেওয়া যাক হিমোগ্লোবিন কি ?

হিমোগ্লোবিন কি (Hemoglobin)

আমরা সকলেই red blood cells বা লোহিত রক্ত কণিকা কি জানি,আমাদের রক্তে যে কোষগুলো থাকে তার মধ্যে একটি হল লোহিত রক্ত কণিকা। এই লোহিত কণিকাতে  একটি প্রোটিন থাকে যার নাম হিমোগ্লোবিন।

হিমোগ্লোবিন রক্তের লাল রঙের রঞ্জক পদার্থ। এটি একপ্রকার সংযুক্ত প্রোটিন। এই হিমোগ্লোবিনের দুটি প্রধান অংশ যা হল – হিম মানে আয়রন(4%) এবং গ্লোবিন বা হিস্টন জাতীয় প্রোটিন

আমরা যখন বাতাসের অক্সিজেন নিই তখন সেটি আমাদের ফুসফুসে (lungs) প্রবেশ করে । হিমোগ্লোবিন সেই অক্সিজেন গ্রহণ করে অক্সি-হিমোগ্লোবিন যৌগ তৈরি করে রক্তের মাধ্যমে পরিবহন করে থাকে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে এবং একই ভাবে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড বহন করে নিয়ে আসে ফুস্ফুসে, যা দেহের বাইরে বেরিয়ে যায় এই হিমোগ্লোবিন নিয়ে জানার পর, আমাদের জেনে নেওয়া দরকার Thalassemia কি ।

থ্যালাসেমিয়া রোগ কি

এটি হল একটি রোগ, যেটি বাবা মায়ের জিন থেকে বংশগতভাবে আসে সন্তানের জিনে, যার ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিন অথবা লোহিত রক্ত কণিকা কমে যায় এবং অ্যানিমিয়া ( anemia) বা রক্তাল্পতা দেখা যায়।

থ্যালাসেমিয়া
Thalassemia : 1ss

হিমোগ্লোবিন একটি প্রোটিন, আমাদের জীবজগতের প্রতিটা প্রাণীর গঠন তৈরি হয় প্রোটিন দিয়ে। তাই আমাদের শরীরটাও অসংখ্য প্রোটিন দিয়ে তৈরি হয়েছে।

আমাদের শরীর তাকে বাড়ির সাথে তুলনা করলে, বাড়ি তৈরির আগে যেমন – বাড়ীর একটি ডিজাইনের ম্যাপ থাকে কোথায় কি হবে, সেই ডিজাইন দেখে ইট দিয়ে বাড়ি তৈরি হয় সেরকম আমাদের শরীরের প্রত্যেকটা অংশ কেমন কি দেখতে হবে, কার কাজ কি হবে সব কিছু কিন্তু নির্ধারণ করে যে ম্যাপটি সেটি হল DNA, এই DNA এর মধ্যে A T G C  এই চারটি পর পর বিভিন্ন সিকুয়েন্সে সজ্জিত থাকে (যেমন – AATCGCATT, TTACGGCTAG, TATTGGCACGTG ইত্যাদি) এবং সেই সিকুয়েন্স থেকেই প্রোটিন তৈরি হয়, এই প্রোটিনগুলো আমাদের দেহটি তৈরি করেছে। আবার কিছু প্রোটিন দেহের ভেতরে অন্যও কাজ করে দেহ গঠন করেনা

প্রোটিনগুলো সাধারণত ত্রিমাত্রিক বা 3D হয়ে থাকে। এই প্রোটিনের মধ্যে দুটি অংশ থাকে আলফা চেন এবং বিটা চেন

হিমোগ্লোবিন প্রোটিনেও একইভাবে দুটি চেন রয়েছে, এই দুটি চেনের একটিতে সমস্যার কারণে ঠিকগঠনের হিমোগ্লোবিন তৈরি হয়না।

আরও ভালো ভালোভাবে বললে ভেতরে যে DNA ম্যাপ রয়েছে সেখানে ম্যাপের হিমোগ্লোবিন অংশটিতে A T G C  এই চারটি সাজিয়ে যে কোড তৈরি হয়, সেখানে সঠিক কোড না থেকে,ভুল কোড থাকে, কারন মিউটেশন ঘটলে A T G C সঠিক সজ্জার পরিবর্তন ঘটে, (ধরুন, থাকার কথা TTACGGGCTA রয়েছে TTACTAGCTA) ফলে DNA থেকে প্রোটিন তৈরি হলে তা ঠিক গঠনের হয়ও না।

থ্যালাসেমিয়া কত প্রকার (Types of thalassemia)

আলফা থ্যালাসেমিয়া- আলফা শৃঙ্খল চারটি জিন দ্বারা সৃষ্টি হয়, প্রতি ক্রোমোজম ১৬তে দুটি, এবং জিনের পরিবর্তনের উপর এই অবস্থার তীব্রতা নির্ভর করে।  

বিটা থ্যালাসেমিয়া- এই ধরনের থ্যালাসেমিয়া মাঝারি থেকে গুরুতর হতে পারে। থ্যালাসেমিয়ার সবচেয়ে গুরুতর অবস্থা বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজর (বিটিএম) নামে পরিচিত। যে সমস্ত মানুষ বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজর-এ আক্রান্ত, তাঁদের সারা জীবন (অন্যের) রক্ত পরিবর্তনের উপর নির্ভর থাকতে হয়।  

চারটি অ্যামাইনো অ্যাসিডের চেইন হিমোগ্লোবিন তৈরি করে – 2টি আলফা চেন এবং 2 টি বিটা গ্লোবিন চেন (উপরের ছবিতে তির দিয়ে দেখানো)। থ্যালাসেমিয়া হলে, আলফা চেন এবং বিটা চেন – এই অ্যামাইনো অ্যাসিডের চেনে ত্রুটি দেখা দেয়

সাধারনত হিমোগ্লোবিন প্রোটিনের যেই চেনের ডিফেক্ট সেই অনুযায়ী থ্যালাসেমিয়ার প্রকার হয়ে থাকে। এর প্রকারগুলো হল –

আলফা থ্যালাসেমিয়া (Alpha-thalassemia)

এই রোগের কারন, প্রোটিনের ভেতর যে আলফা চেনটি রয়েছে সেটি ত্রুটিপূর্ণ বা defective হয়ে যায় এর ফলে যখন হিমোগ্লোবিন প্রোটিন তৈরি হয় তখন, hemoglobin H নামের একটি  অন্যধরনের হিমোগ্লোবিন তৈরি হয়, যা efficiently অক্সিজেন পরিবহন করতে পারেনা সারা দেহে।

এই রোগের জন্য 16নং ক্রোমোজোমে উপস্থিত আলফা-চেইন উৎপাদনকারী জিনের মিউটেশান বা ডিলিশান দায়ী। ৪টি জিন দিয়ে হিমোগ্লোবিন প্রোটিনের আলফা চেইন তৈরি হয়। বাবা-মা থেকে প্রাপ্ত চারটি জিনের মধ্যে এক বা তার অধিক ত্রুটিপূর্ণ হলে আলফা থ্যালাসেমিয়া হয়। যত বেশি জিন ত্রুটিপূর্ণ হবে তত বেশি মারাত্মক সমস্যা দেখা দেবে এটিও অনেকগুলো প্রকারের হতে পারে –

আলফা থ্যালাসেমিয়া নিঃশব্দ বাহক

আলফা থ্যালাসেমিয়া মাইনর বা ট্রেইট (Alpha thalassemia minor)

2টি জিন ত্রুটিপূর্ণ হলে হালকা উপসর্গ দেখা যাবে। এই অবস্থাকে আলফা থ্যালাসেমিয়া মাইনর অথবা আলফা থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট বলে।

Hemoglobin H disease 

3টি জিন ত্রুটিপূর্ণ হলে এর উপসর্গগুলো মাঝারি থেকে মারাত্মক আকার ধারণ করে। এই অবস্থাকে হিমোগ্লোবিন এইচ ডিজিজ বলে

আলফা থ্যালাসেমিয়া মেজর বা হাইড্রপস ফিটালিস (Alpha thalassemia major)

৪টি জিন ত্রুটিপূর্ণ হলে একে আলফা থ্যালাসেমিয়া মেজর অথবা হাইড্রপস ফিটালিস বলে

বিটা থ্যালাসেমিয়া কি (Beta-thalassemia)

আগের মতোই একই ভাবে এখানেও হিমোগ্লোবিন প্রোটিনের চেনটি defective হয়ে যায়, কিন্তু এখানে আলফা চেনের বদলে বিটা চেনে  বদল ঘটে ফলে এটি সঠিক গঠনের হয়না ফলে এটি আংশিক কাজ করে

এক্ষেত্রে DNA এর ভেতর HBB gene অংশে মিউটেশন বা পরিবর্তন ঘটে, ফলে defective বিটা চেন তৈরি হয়, DNA থেকে প্রোটিন তৈরির সময় এটি প্রকার অনুযায়ী তিন ধরনের হতে পারে –

বিটা থ্যালাসেমিয়া নিঃশব্দ বাহক ( Silent Carrier) 

বিটা থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট বা মাইনর 

১টি জিন ত্রুটিপূর্ণ হলে হালকা উপসর্গ দেখা যায়। এই অবস্থাকে বিটা থ্যালাসেমিয়া মাইনর (Beta-thalassemia minor) অথবা বিটা থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট (Beta-thalassemia trait) বলে। এটি কম গুরুতর হয়ে থাকে

Intermedia beta thalassemia 

বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজর বা কুলিস অ্যানিমিয়া 

২টি জিন ত্রুটিপূর্ণ হলে মাঝারি থেকে মারাত্মক উপসর্গ দেখা যায়। এ অবস্থাকে বলে বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজর (Beta-thalassemia major) অথবা কুলিস অ্যানিমিয়া (Cooley’s anemia)। চলতি কথায় এটিকে কেউ কেউ কুলির থ্যালাসেমিয়াও বলে থাকে।

থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ

এই রোগের ক্ষেত্রে লোহিত রক্ত কণিকা তথা হিমোগ্লোবিন প্রচুর পরিমানে কমে গিয়ে অ্যানিমিয়া তৈরি করে এটি হলে যে যে লক্ষনগুলো সাধারণত দেখা যায় তা হল –

থ্যালাসেমিয়া যাদের হতে পারে (Risk factors)

থ্যালাসেমিয়া স্বল্প উন্নত দেশ যেমন – আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল,দক্ষিণ – পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চল, দক্ষিণ চীন, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে বেশি দেখা যায় সাধারণত এটি সাধারণত পিতা মাতার থাকলে তা থেকে সন্তানের জিনে চলে যায়। তাই যাদের যাদের ক্ষেত্রে এই রোগ বংশগত তাদের ক্ষেত্রে এই রোগ হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি। 

থ্যালাসেমিয়ায় যে যে জটিলতা দেখা যেতে পারে (Complications)

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধের উপায় (Prevention) 

বর্তমানে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ করা যায় না। কারণ এটি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অর্থাৎ পিতামাতার কাছ থেকে সন্তানের জিনে পাস হওয়া blood disorder। তবে বিভিন্ন টেস্টের মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়ার বাহক কিনা জানা সম্ভব। 

থ্যালাসেমিয়া নির্ণয়ে পরীক্ষা বা টেস্ট

Complete blood count (CBC) 

এই পরীক্ষায় আপনার শরীর থাকে নির্দিষ্ট পরিমান রক্ত নেওয়া হয় এবং সেই রক্তের মধ্যে বিভিন্ন blood cells বা রক্ত কোষের আকার, সংখ্যা এবং পরিপক্কতা (size, number, maturity) চেক করা হয়

Hemoglobin electrophoresis with A2 and F quantitation

এই ল্যাব পরীক্ষার সাহায্যে হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়

FEP (free-erythrocyte protoporphyrin) and ferritin 

আয়রনের ঘাটতিজনিত অ্যানিমিয়ার জন্য এই টেস্ট করা হয়

এছাড়া pregnant মহিলার শিশুর ক্ষেত্রে CVS (chorionic villus sampling) বা amniocentesis নামের একটি টেস্ট করা হয়ে থাকে।

থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা (treatment of thalassemia)

থ্যালাসেমিয়ার ট্রিটমেন্ট হিসাবে যে যে জিনিসগুলো করা হয় তা হল –

১. ব্লাড ট্র্যান্সফিউশন (blood transfusion) 

ব্লাড ট্র্যান্সফিউশন বা রক্ত প্রতিস্থাপন হ’ল একটি চিকিত্সা পদ্ধতি যেখানে একটি সরু নলের মাধ্যমে রোগীর হাতের শিরাতে বাইরে থেকে ভালো রক্ত সরবরাহ করা হয়।

এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ জীবনরক্ষার পদ্ধতি, কারন surgery, injury, disease, bleeding disorders প্রভৃতির কারণে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রক্ত উপাদান তৈরিতে বাধা পায়, বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে blood transfusion করলে ভালো রক্ত প্রতিস্থাপন করা যায়। 

যেহেতু থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে red blood cells, hemoglobin ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফলে, যাদের moderate or severe thalassemia রয়েছে তাদের প্রতি ৪ মাসে এবং beta thalassemia major যাদের রয়েছে তাদের প্রত্যেক ২ – ৪ সপ্তাহে একবার এবং যাদের beta thalassemia intermedia রয়েছে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী blood transfusion করে red blood cells কিংবা hemoglobin এর normal level ফিরিয়ে আনা হয়।

২. Iron chelation therapy

থ্যালাসেমিয়া হলে blood transfusion যাদের করা হয় তাদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যার কারন iron overload বা আইরন বেড়ে যাওয়া। যার ফলে শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ organ গুলোকে damage করতে পারে। এই জন্য অতিরিক্ত Ironকে শরীর থেকে বের করার জন্য Iron chelation therapy করা হয়

৩. Nutritional supplements

যেহেতু থ্যালাসেমিয়া হলে blood cells খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফলে, healthy blood cells তৈরি হওয়ার জন্য ভিটামিন B12 level কে monitor করা হয় এবং folic acid supplements দেওয়া হয়ে থাকে, কারন healthy blood cells তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে এই দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ

থ্যালাসেমিয়া

৪. Bone marrow এর stem cell transplant 

হাড়ের ভেতরে যে লাল অস্থিমজ্জা বা Bone marrow রয়েছে ওখানে একটি সেল থাকে যার নাম stem cell, ওই সেলগুলো mature হয়ে রক্তের red blood cell তৈরি করে। থ্যালাসেমিয়া হলে red blood cell সবচেয়ে বেশি কমে যায়।

তাহলে যাদের red blood cell কমে যায় তাদের ক্ষেত্রে যদি bone marrow এর stem cell কে transplant করা যায় তাহলে নতুন red blood cell তৈরি হবে

এই জন্য stem cell transplant করা যায়, যেখানে সুস্থ ব্যক্তির stem cell নিয়ে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করানো হয়, যাতে তার দেহে blood cells ক্ষতির মাত্রা গুলো পুরন হতে পারে। তার দেহে stem cell develop করতে শুরু করলে healthy blood cells তৈরি হয়

থ্যালাসেমিয়া রোগীর ক্ষেত্রে stem cell transplant পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল human leukocyte antigen (HLA) নামের একটি cell surface protein, কারন দাতা ও গ্রহীতা দুজনের ক্ষেত্রে একই ধরনের human leukocyte antigen প্রোটিন থাকা দরকার স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার জন্য। ঠিক এই কারনে নিজেদের ভাই বোন বা খুবই কাছাকাছি ব্যক্তিদের সিলেক্ট করা হয় stem cell transplant করার জন্য

থ্যালাসেমিয়া রোগীর খাবার তালিকা

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বজায় রাখতে সবার জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ফলমূল এবং শাকসব্জির পরিমাণ বেশি এবং চর্বি কম এরকম খাবার আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি অর্জনের জন্য আদর্শ।

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য, কারণ রক্তে প্রচুর পরিমাণে আয়রন তৈরি হতে পারে, তাই আয়রনযুক্ত উচ্চতর খাবারের সীমাবদ্ধতা প্রয়োজন।

নীচে কোন কোন খাবারে বেশি আইরন থাকতে পারে তার একটি লিস্ট দেওয়া হল। তবে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের তাদের ডায়েটে আয়রনের পরিমাণ সীমিত করা উচিত কিনা তা অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে অবশ্যই অবশ্যই আলোচনা করা উচিত

প্রোটিনগুলি যা খাদ্য থেকে এড়ানো উচিত – 

ফল / শাকসবজি যা খাদ্য থেকে এড়ানো উচিত – 

  1. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলা
    ভিটামিন সি আয়রনের শোষণ বাড়িয়ে তোলে, যা থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই রোগীদের অতিরিক্ত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন কমলা, লেবু ইত্যাদি খাওয়া উচিত নয়।

  2. ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার
    থ্যালাসেমিয়া রোগীদের হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে, তাই তাদের হাড় মজবুত রাখতে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত:

    • দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার
    • পালং শাক
    • বাদাম
    • ডিম
  3. ফল এবং সবজি
    আয়রন কম এমন ফল ও সবজি থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য ভালো। এ ধরনের খাবার শরীরের পুষ্টি বজায় রাখতে সহায়ক।

    • আপেল
    • বেদানা
    • আঙ্গুর
    • শসা
    • বাঁধাকপি
  4. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
    শরীরের কোষ পুনর্নির্মাণের জন্য প্রোটিন জরুরি। আয়রন কম থাকা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন:

    • মুরগির মাংস (কিন্তু কলিজা এড়িয়ে চলুন)
    • মাছ (বিশেষ করে সাদা মাছ)
    • ডাল
  5. জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
    থ্যালাসেমিয়া রোগীদের শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি হতে পারে। এজন্য জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার উপকারী:

    • কুমড়ার বীজ
    • কাজু বাদাম
    • সূর্যমুখীর বীজ

থ্যালাসেমিয়া রোগীর খাবার যা এড়িয়ে চলা উচিত

  1. আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
    আয়রন জমা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে বলে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার পরিহার করতে হবে:

    • লাল মাংস (বিশেষ করে গরু ও খাসির মাংস)
    • কলিজা এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের মাংস
    • পালং শাক, মেথি শাক
  2. ভিটামিন সি বেশি খাবার
    ভিটামিন সি আয়রন শোষণ বাড়িয়ে দেয়। তাই এসব খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে:

    • কমলা, লেবু, আমলকী
    • টমেটো

সঠিক হাইড্রেশন বজায় রাখা

রোগীদের পর্যাপ্ত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। পানি শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।

Note – থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির ডায়েটে খাবারের তালিকা তৈরি করার সময় তা অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে জিগ্যেস করে জেনে নেওয়া প্রয়োজন 

থ্যালাসেমিয়া এড়ানোর জন্য কি কি করা প্রয়োজন

Test – টেস্ট

প্রায়শই সম্পূর্ণ রক্ত গণনা এবং রক্তের আয়রন পরীক্ষা করা প্রয়োজন। প্রতি বছর হার্ট ফাংশন এবং লিভার ফাংশন টেস্টের পাশাপাশি ভাইরাল সংক্রমণের জন্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন (যেহেতু থ্যালাসেমিয়া হওয়ায় আপনার কিছু গুরুতর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে )। আপনার লিভারে আয়রন ওভারলোডের জন্য আপনার বার্ষিক পরীক্ষাও করতে হবে।

Exercise – শরীরচর্চা

যাদের থ্যালাসেমিয়া রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে শরীরচর্চা করা প্রয়োজন নিজেদের শরীর ঠিক রাখতে। যদিও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা গুরুতর ব্যায়াম গুলি করতে সমস্যা হয় তবে তারা সাইকেল চালানো, দৌড়ানো এবং হাঁটাচলা সহ মাঝারি ধরনের শরীরচর্চায় অংশ নিতে পারেন। 

এছাড়া যাদের জয়েন্টে সমস্যা তারা yoga, swimming প্রভৃতি করতে পারেন

থ্যালাসেমিয়ার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য 

থ্যালাসেমিয়া টেস্ট খরচ

 এ টেস্টের খরচ ভিন্ন ভিন্ন দেশে এবং হাসপাতাল অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। বাংলাদেশে সাধারণত থ্যালাসেমিয়া নির্ণয়ের জন্য কয়েকটি টেস্ট করা হয়, এবং এদের খরচ সাধারণত ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে টেস্টের ধরন এবং হাসপাতালের পরিসেবা অনুযায়ী খরচ আরও বাড়তে পারে।

থ্যালাসেমিয়া টেস্টের ধরন ও সম্ভাব্য খরচ

  1. CBC (Complete Blood Count) টেস্ট

    • খরচ: ২০০-৫০০ টাকা
    • এই টেস্টের মাধ্যমে রক্তের কোষের সংখ্যা ও হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নির্ণয় করা হয়।
  2. হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস

    • খরচ: ১৫০০-৩০০০ টাকা
    • এই টেস্টটি থ্যালাসেমিয়া নির্ণয়ের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি, যা হিমোগ্লোবিনের ধরন ও পরিমাণ পরীক্ষা করে।
  3. DNA Analysis (জেনেটিক টেস্ট)

    • খরচ: ৫০০০-১০০০০ টাকা
    • জেনেটিক টেস্টের মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়ার বাহক (Carrier) বা আক্রান্ত কিনা তা নির্ণয় করা হয়।
  4. আয়রন স্টাডি

    • খরচ: ৫০০-১০০০ টাকা
    • রক্তে আয়রনের মাত্রা এবং লিভারের কার্যক্ষমতা মূল্যায়নের জন্য এই টেস্ট করা হয়।

টেস্টের খরচের উপর নির্ভর করে:

সঠিক খরচ জানার জন্য স্থানীয় হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যোগাযোগ করা উচিত।

আরও পড়ুন:

এলাচের উপকারিতা ও অপকারিতা

ঘুম কম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

শিলাজিতের উপকারিতা ও অপকারিতা

লেবু পানির উপকারিতা

থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক কে

 এ রোগের বাহক হলেন সেই ব্যক্তি যাঁর দেহে থ্যালাসেমিয়া জিন থাকে, কিন্তু তিনি নিজে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হন না। এ ধরনের ব্যক্তিকে সাধারণত “থ্যালাসেমিয়া ক্যারিয়ার” বা “থ্যালাসেমিয়া মাইনর” বলা হয়। বাহকরা সাধারণত সুস্থ থাকেন এবং তাদের মধ্যে কোনো গুরুতর উপসর্গ দেখা দেয় না, তবে তারা থ্যালাসেমিয়া রোগের জিন সন্তানের মধ্যে স্থানান্তর করতে পারেন।

হিমোগ্লোবিন ই বিটা থ্যালাসেমিয়া

এটি হলো একটি জেনেটিক বা বংশগত রক্তের রোগ, যা মূলত বিটা থ্যালাসেমিয়া এবং হিমোগ্লোবিন ই-এর সংমিশ্রণ থেকে ঘটে। এটি সাধারণ থ্যালাসেমিয়ার তুলনায় কিছুটা জটিল এবং বাংলাদেশের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অঞ্চলে এর প্রভাব বেশি দেখা যায়। এই অবস্থায় রক্তের হিমোগ্লোবিন সঠিকভাবে উৎপাদিত হয় না, যার ফলে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি এবং রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

হিমোগ্লোবিন ই বিটা থ্যালাসেমিয়ার কারণ:

হিমোগ্লোবিন ই বিটা থ্যালাসেমিয়া তখনই ঘটে, যখন একজন ব্যক্তির বাবা-মা একজন হিমোগ্লোবিন ই বাহক এবং অন্যজন বিটা থ্যালাসেমিয়া বাহক হন। উভয় জিনের মিশ্রণে সন্তানের মধ্যে এই রোগ দেখা দিতে পারে। হিমোগ্লোবিন ই সাধারণত স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের থেকে দুর্বল এবং অক্সিজেন বহনে অক্ষম থাকে, যা রক্তশূন্যতা সৃষ্টি করে।

লক্ষণ:

হিমোগ্লোবিন ই বিটা থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণগুলো রোগীর অবস্থা এবং রোগের মাত্রার ওপর নির্ভর করে:

থ্যালাসেমিয়া কি ভালো হয়

 এটি একটি জেনেটিক বা বংশগত রক্তের রোগ, যা পুরোপুরি সেরে ওঠা সম্ভব নয়। যেহেতু এটি একটি বংশগত সমস্যা, থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা রোগ নিরাময় নয়, বরং লক্ষণ নিয়ন্ত্রণ এবং রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করে। তবে সঠিক চিকিৎসা এবং যত্নের মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা দীর্ঘ এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।

থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণের উপায়:

  1. নিয়মিত রক্ত সঞ্চালন: গুরুতর থ্যালাসেমিয়া রোগীদের শরীরে পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন সরবরাহের জন্য নিয়মিত রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়।

  2. আয়রন চেলেশন থেরাপি: নিয়মিত রক্ত সঞ্চালনের ফলে শরীরে অতিরিক্ত আয়রন জমা হতে পারে। এই অতিরিক্ত আয়রন দূর করতে চেলেশন থেরাপি ব্যবহার করা হয়, যা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

  3. বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট: বোন ম্যারো বা স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট কিছু ক্ষেত্রে থ্যালাসেমিয়ার স্থায়ী সমাধান হতে পারে। এটি রোগীকে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করতে পারে, তবে এটি জটিল এবং ব্যয়বহুল একটি পদ্ধতি।

  4. জিন থেরাপি: ভবিষ্যতে জিন থেরাপি থ্যালাসেমিয়ার দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হতে পারে। যদিও এটি এখনো গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে, তবে এটি রোগীদের চিকিৎসায় সম্ভাব্য উন্নতি আনতে পারে।

প্রতিরোধ:

যেহেতু থ্যালাসেমিয়া একটি জেনেটিক রোগ, তাই এটি প্রতিরোধের জন্য বিবাহ-পূর্ব জিনগত পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। যদি পিতামাতা উভয়েই থ্যালাসেমিয়া বাহক হন, তাহলে সন্তান থ্যালাসেমিয়া মেজরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

থ্যালাসেমিয়া রোগীর বিয়ে

থ্যালাসেমিয়া রোগীর বিয়ে

 এ রোগীদের বিবাহ-পূর্ব করণীয়:

  1. জেনেটিক পরীক্ষা (Genetic Testing): বিবাহের আগে উভয়ের থ্যালাসেমিয়া স্ট্যাটাস জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস এবং অন্যান্য জেনেটিক পরীক্ষা থ্যালাসেমিয়া বাহক বা রোগী শনাক্ত করতে সাহায্য করবে।

  2. জেনেটিক পরামর্শ (Genetic Counseling): যদি উভয়েই থ্যালাসেমিয়া বাহক হন বা একজন থ্যালাসেমিয়া রোগী হন, তাহলে বিবাহ-পূর্ব জেনেটিক পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। জেনেটিক পরামর্শক এই পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করতে পারেন।

  3. সন্তান ধারণের পরিকল্পনা: থ্যালাসেমিয়া বাহক বা রোগীর সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে ঝুঁকি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন। কিছু ক্ষেত্রে, প্রাক-প্রসব জেনেটিক টেস্ট (Prenatal Genetic Testing) করে সন্তান থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কিনা তা আগে থেকেই জানা সম্ভব।

 এ রোগীদের জন্য বিকল্প:

  1. IVF এবং PGD (Preimplantation Genetic Diagnosis): প্রি-ইমপ্লান্টেশন জেনেটিক ডায়াগনোসিস (PGD) প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যকর ভ্রূণ নির্বাচন করা সম্ভব, যা থ্যালাসেমিয়া মুক্ত সন্তান জন্মানোর সম্ভাবনা বাড়ায়।

  2. দত্তক গ্রহণ (Adoption): যদি থ্যালাসেমিয়া ঝুঁকি এড়াতে চান, তাহলে দত্তক গ্রহণ একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।

বিভিন্ন প্রশ্ন-উত্তর

কিভাবে বুঝব আমার থ্যালাসেমিয়া আছে কিনা ?

আপনাকে রক্ত পরীক্ষা করে blood cell count করাতে হবে

থ্যালাসেমিয়া কত প্রকার ?

মুলত দুই প্রকার – আলফা ও বিটা এছাড়া রোগ অনুযায়ী মেজর, মাইনর, ইন্টারমিডিয়া হতে পারে

Thalassemia কি ভালো হয় ?

হ্যাঁ, থ্যালাসেমিয়া ভালো হতে পারে

Thalassemia কি জাতীয় রোগ ?

এটি একটি জিনের ত্রুটি জনিত রোগ

কুলির Thalassemia কি ?

বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজরকে বিটাকে কুলির থ্যালাসেমিয়া বলে

Thalassemia কিভাবে হয় ?

হিমোগ্লোবিনের আলফা, বিটা জিনে ত্রুটি থাকলে থ্যালাসেমিয়া হয়

আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস কবে ?

৮ মে পালিত হয় আন্তর্জাতিক বা বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধের উপায় কি ?

এটি প্রতিরোধের সেরকম উপায় নেই তবে বিবাহের আগে থ্যালাসেমিয়া টেস্ট করা প্রয়োজন

থ্যালাসেমিয়া টেস্ট কি ?

কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (CBC), হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস (Hemoglobin Electrophoresis), ডিএনএ (DNA) তথা জেনেটিক টেস্টিং করে জানা যেতে পারে থ্যালাসেমিয়া আছে কিনা

বিটা থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট কি ?

১টি জিন ত্রুটিপূর্ণ হলে হালকা উপসর্গ দেখা যায়, একে বিটা থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট বলে

থ্যালাসেমিয়া নির্ণয়ে কি কি পরীক্ষা করা হয় ?

কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (CBC), হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস (Hemoglobin Electrophoresis), জেনেটিক টেস্টিং টেস্টিং, এছাড়া হাত ও মাথার এক্স-রে করা হয়

থ্যালাসেমিয়ার প্রধান কারণ কি ?

থ্যালাসেমিয়ার প্রধান কারণ হিমোগ্লোবিনের আলফা, বিটা চেনে ত্রুটি

থ্যালাসেমিয়া মেজর কি ?

বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজর হল ২টি বিটা জিন ত্রুটিপূর্ণ, এটি ভয়াবহ রুপ

থ্যালাসেমিয়া রোগ কি ছোঁয়াচে ?

না, এটি কোনও ভাবেই ছোঁয়াচে, এমনকি, সংক্রামকও নয়। এটি যৌন সংসর্গে, রক্ত দিলে ছড়ায় না

Source –

উপসংহার:

থ্যালাসেমিয়া একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হলেও সময়মত চিকিৎসা ও সঠিক যত্নের মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জিনগত পরামর্শ থ্যালাসেমিয়ার বিস্তার রোধে সহায়ক হতে পারে।

এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ!

Exit mobile version