
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ফেরিডুবির ঘটনায় আজ শুক্রবার তৃতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। সকাল আটটা থেকে বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী দল এই অভিযান শুরু করে। ডুবে যাওয়া পণ্যবাহী যানবাহনগুলোকে উদ্ধারে এখন কাজ চলছে। তবে ডুবে যাওয়া ফেরি আমানত শাহ উদ্ধারে কোনো তৎপরতা নেই।
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে পণ্যবাহী ট্রাকসহ ফেরিডুবির ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো শুরু করা হয়েছে উদ্ধার কার্যক্রম। ফেরিটি তীরে তুলতে কাজ করছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা।
আজ শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে শুরু হয় এ উদ্ধার অভিযান। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট, নৌবাহিনী, নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড, বিআইডাব্লিউটিএর উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
বিআইডাব্লিউটিএ’র নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের পরিচালক মো. শাজাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডুবে যাওয়া ফেরিটির ওজন প্রায় ৬০০ টন। আর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার সক্ষমতা রয়েছে ৬০ টনের। কাজেই এই উদ্ধারকারী জাহাজ দিয়ে ফেরিটি উদ্ধার করা অসম্ভব।
মো. ফজলুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক (উদ্ধার), বিআইডব্লিউটিএ
গত বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার পাঁচ নম্বর ঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে পণ্যবাহী ট্রাকসহ রো রো ফেরি আমানত শাহ কাত হয়ে ডুবে যায়। ফেরিতে থাকা ১৭টি ট্রাকের মধ্যে দুটি কাভার্ড ভ্যান পন্টুনে নামতে সক্ষম হলেও বাকি ট্রাকগুলো ফেরির সঙ্গে পানিতে ডুবে যায়।
মো. শাজাহান বলেন, উদ্ধার অভিযানের দ্বিতীয় দিনে আরো পাঁচটি পণ্যবাহী ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিআইডাব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ক্রেন দিয়ে এসব ট্রাক টেনে তোলে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ৯টি পণ্যবাহী ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আজ শুক্রবার বাকি যানবাহন উদ্ধারে সকাল ৭টায় অভিযান শুরু করা হয়েছে। তবে ২৬০ টন উদ্ধার সক্ষমতার উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় এখনও ঘাট এলাকায় পৌঁছায়নি।