Site icon 1 second school

ফাঁসির দড়িতে মোম দেওয়া হয় কেন জানেন ?

দড়ি

ফাঁসির দড়ি : 1ss

শেয়ার করুন

লাইফস্টাইলঃ তার দুই হাত পিছমোড়া করে বাঁধা হয়েছিল। পেছনে চার ব্রিটিশ পুলিশকে নিয়ে ১৫ ফুট উঁচু এক ফাঁসির মঞ্চে এসে দাঁড়ালেন বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু। ফাঁসির ঠিক আগে উপস্থিত আইনজীবীদের দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলেছিলেন তিনি। এরপর গলায় ফাঁসির দড়ি পরানো মাত্রই, জল্লাদকে শহীদ ক্ষুদিরাম প্রশ্ন করেছিলেন, ‘ফাঁসির দড়িতে মোম দেওয়া হয় কেন?’ এটাই ছিল বীর শহীদের জীবনের শেষ কথা। জল্লাদ বিস্ময়ে কিছু বলতে পারেননি। বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন ব্রিটিশ জেলারসহ উপস্থিত সবাই। ফাঁসির আগে কী করে কারোর মনে এই প্রশ্ন আসতে পারে?

ফাঁসির দড়িতে মোম দেওয়া হয় কেন

এদিকে আজ থেকে ১১৪ বছর আগে যে প্রশ্ন ক্ষুদিরাম বসু করে গিয়েছিলে, তার উত্তর এখনো হয়তো অনেকেরই অজানা! বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আদালতে, আসামির অপরাধ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, ফাঁসির মাধ্যমে। আর সাধারণভাবেই রাত ১২টা ১ মিনিটকে ফাঁসির সময় হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। 1ss এরপর ফাঁসির দড়িতে ঝোলার সময়ে, দড়ি যাতে ঠিকঠাকভাবে অনায়াসে গলায় বসে যায়, এবং খুব বেশি কষ্ট ছাড়া তাড়াতাড়ি আসামির মৃত্যু হয়, সেদিকে নজর দেওয়া হয়।

আরও দেখুন : গলাব্যথা দ্রুত সারাবে যে ২টি উপাদান

এ ছাড়া ফাঁসির দড়ি যদি অমসৃণ হয় তবে, গলা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ফাঁসির দড়ি নরম আর মসৃণ করার জন্য, সাধারণত পিচ্ছিল পদার্থ লাগানো হয় এতে। যেমন- তেল, মোম, ঘিসহ আরও অনেক কিছু।  মূলত ফাঁসি দিতে গিয়ে আসামির শারীরিক বা মানসিক কষ্ট কিছুটা লাঘব করার উদ্দেশ্যেই দড়িতে এসব জিনিস ব্যবহৃত হয়। শুধু খেয়াল রাখা হয় আসামির শাস্তি, ‘ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ’ যাতে যথাযথভাবে হয়।

এদিকে ঐতিহাসিকভাবে দেখা যায়, মৃত্যুদণ্ড শাস্তি হিসেবে কমবেশি সব সমাজেই প্রচলিত ছিল। আর বিচারকের আসনে যে মানুষটি বসেন, সুষ্ঠু ন্যায়বিচার সম্পাদন করাই তার দায়িত্ব। দোষীকে শাস্তি দিয়ে সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনাই তার মহান ব্রত। তবে শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে তাকে হতে হয় নিরপেক্ষ এবং সহানুভূতিশীল। যাকে শাস্তি প্রদান করা হলো তার দুঃখে যদি বিচারকের প্রাণ কাঁদে, তবেই সে বিচার শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে।

এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ!

Exit mobile version