বাক্য কি
বাক্য কি : মানুষের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হলো ভাষা। যখনই তার মনের মধ্যে কোনো নতুন ভাবের উদয় হয় সেই মুহূর্তে সে কতকগুলি উপযুক্ত শব্দ নির্বাচন করে, সেগুলো পরপর সাজিয়ে, বাক্য তৈরি করে মনের ভাব প্রকাশ করে। ভাষার বৃহত্তম একক হচ্ছে বাক্য। বাক্যের মাধ্যমেই ভাষার প্রকাশ ঘটে।
একটি বাক্য সঠিকভাবে গঠন করতে একটি বিষয় (subject) এবং একটি ক্রিয়া (verb) থাকা জরুরি। উদাহরণ, “সে বইটি পড়ছে” বাক্যটি একটি বিষয় ও একটি ক্রিয়া নিয়ে গঠিত। ভাষার ব্যবহারে বাক্যের গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ এটি যোগাযোগের মূল মাধ্যম হিসেবে কাজ করে, যা মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া সৃষ্টি করে। (বাক্য কি )
বাংলা বাক্য কাকে বলে
যে পদ বা পদসমষ্টি দ্বারা বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করে থাকে, তাকে বাক্য বলে। যেমন – আমি পড়তে ভালোবাসি। ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, ” কোনো ভাষায় যে উক্তির স্বার্থকতা আছে এবং গঠনের দিক থেকে যা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়, তাহলে সেরূপ একক উক্তিকেই ব্যাকরণে বাক্য বলে।
বাক্যের প্রকারভেদ বা শ্রেণীবিভাগ
বাক্যের নানারকম প্রকারভেদ বা শ্রেণীবিভাগ হতে পারে। তবে দুটো দিক থেকে এর প্রকারভেদ বা শ্রেণীবিভাগ করা হয়। যথাঃ
- গঠন অনুসারে
- অর্থ অনুসারে
গঠন অনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ বা শ্রেণীবিভাগ
গঠন অনুসারে বাক্য ৩ প্রকার। যথাঃ-
- সরল বাক্য
- জটিল বা মিশ্র বাক্য
- যৌগিক বাক্য
সরল বাক্য কাকে বলে
এই বাক্য হলো সেই বাক্য, যা একটি মাত্র বিষয় (subject) এবং একটি মাত্র ক্রিয়া (verb) নিয়ে গঠিত এবং একটি সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ করে। সরল বাক্যে সাধারণত একটি মাত্র স্বাধীন বাক্যাংশ থাকে, যা স্পষ্টভাবে কোনো একটি চিন্তা বা তথ্য প্রকাশ করে।
উদাহরণ:
- “রাহিম স্কুলে যায়।”
- “আমি বই পড়ি।”
জটিল বাক্য বা মিশ্য বাক্য
এই বাক্য হলো সেই বাক্য, যেখানে একটি প্রধান উপবাক্য (main clause) থাকে এবং এর সাথে অন্তত একটি বা একাধিক অনুসর্গ বাক্যাংশ (subordinate clause) যুক্ত থাকে। এই অনুসর্গ বাক্যাংশগুলি প্রধান উপবাক্যের উপর নির্ভরশীল থাকে এবং সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ করতে একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে।
উদাহরণ:
- “যখন বৃষ্টি হলো, তখন আমি বই পড়ছিলাম।”
- “যে মেয়ে গান গাইছে, সে আমার বোন।”
আশ্রিত বাক্য | প্রধান খন্ড বাক্য |
তুমি যদি না আসো | আমি যাব না |
যে পরিশ্রম করে | সেই সুখ লাভ করে |
যিনি পরের উপকার করেন | তাকে সবাই ভালোবাসে |
যৌগিক বাক্য
এ বাক্য হলো সেই বাক্য, যেখানে দুটি বা ততোধিক স্বাধীন বাক্যাংশ (independent clause) সমন্বিত থাকে এবং এগুলো সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। এই বাক্যাংশগুলো সাধারণত যোগসূত্র (conjunction) যেমন “এবং,” “কিন্তু,” “অথবা” ইত্যাদির মাধ্যমে যুক্ত থাকে।
উদাহরণ:
- আমি বই পড়ি এবং সে গান শোনে।
- সে ফুটবল খেলে, কিন্তু আমি বাস্কেটবল পছন্দ করি।
সার্থক বাক্য কাকে বলে
বাক্য সার্থক হলো সেই বাক্য, যা একটি পূর্ণাঙ্গ এবং সঠিকভাবে গঠিত ভাব প্রকাশ করে। এই ধরনের বাক্যে একটি বিষয় (subject) এবং একটি ক্রিয়া (verb) থাকে, এবং বাক্যটি এমনভাবে গঠিত হয় যে, এটি স্পষ্টভাবে কোনো তথ্য, চিন্তা, বা ধারণা প্রকাশ করে থাকে। সার্থক বাক্য সবসময় অর্থবহ হয় এবং পাঠকের মনে কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে না। (বাক্য কি)
উদাহরণ:
- “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বকবি ছিলেন।
- “আমরা আগামীকাল ভ্রমণে যাব।
সার্থক বাক্যের বৈশিষ্ট্য
সার্থক বাক্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিচে দেখানো হলো:
-
পূর্ণাঙ্গ ভাব প্রকাশ: সার্থক বাক্য সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে, যা পাঠকের মনে কোনো প্রশ্ন বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে না।
-
সঠিক গঠন: বাক্যে একটি বিষয় (subject) এবং একটি ক্রিয়া (verb) থাকতে হবে। বাক্যটি অবশ্যই ভাষার নিয়ম মেনে গঠিত হতে হবে।
-
অর্থবহ: বাক্যটি অর্থবোধক এবং পরিষ্কারভাবে কোনো নির্দিষ্ট ভাব, তথ্য, বা ধারণা প্রকাশ করবে।
-
যুক্তিসঙ্গত: বাক্যটি যেন বাস্তবতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয় এবং কোনো অসঙ্গতি না থাকে।
-
সংশ্লিষ্ট উপাদান: বাক্যের প্রতিটি অংশ বা উপবাক্য যেন প্রধান ভাবের সাথে সম্পর্কিত ও সমন্বিত হয়।
উদাহরণ:
- “আমি প্রতিদিন সকালে হাঁটতে যাই।”
এই বাক্যটি সার্থক কারণ এটি একটি পূর্ণাঙ্গ, অর্থবোধক এবং সঠিকভাবে গঠিত।
সার্থক বাক্যের কয়টি গুণ থাকে
সার্থক বাক্যের সাধারণত চারটি প্রধান গুণ থাকে, যা বাক্যকে অর্থবহ, সংগতিপূর্ণ এবং আরও কার্যকর করে তোলে:
-
পূর্ণতা (Completeness): সার্থক বাক্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ভাব প্রকাশ করা হয়। এটি অসম্পূর্ণ বা অসম্পূর্ণতা যুক্ত নয়।
-
স্পষ্টতা (Clarity): বাক্যটি পরিষ্কার এবং সহজবোধ্য হতে হবে, যেন পাঠক বা শ্রোতা সেটা সহজেই বুঝতে পারে। কোনো ধরনের অস্পষ্টতা বা দ্ব্যর্থকতা থাকা উচিত নয়।
-
সংগতিপূর্ণতা (Coherence): বাক্যের ভাবনা ও অংশগুলো পরস্পরের সাথে সুসংগত হতে হবে, যেন কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয় এবং ভাবের মধ্যে সঠিক ধারাবাহিকতা থাকে।
-
ব্যাকরণগত সঠিকতা (Grammatical Accuracy): বাক্যটি অবশ্যই ব্যাকরণগত নিয়ম মেনে গঠিত হতে হবে, যেন কোনো ভুল না থাকে এবং এটি সঠিকভাবে ভাব প্রকাশ করতে পারে।
বাক্যের গুণ কয়টি
বাক্যের গুণ সাধারণত চারটি প্রধান দিক থেকে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। সেগুলো হলো:
-
সত্যতা (Truthfulness): বাক্যে প্রকাশিত তথ্য বা বক্তব্য বাস্তব ও সত্য হতে হবে। মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য সার্থক বাক্য গঠনের অন্তরায়।
-
স্পষ্টতা (Clarity): বাক্যটি পরিষ্কার ও সহজবোধ্য হওয়া উচিত, যেন পাঠক বা শ্রোতা কোনো দ্বিধা বা বিভ্রান্তিতে না পড়ে যায়।
-
সংক্ষেপতা (Conciseness): অপ্রয়োজনীয় শব্দ বা জটিলতা বাদ দিয়ে সরাসরি এবং সংক্ষেপে ভাব প্রকাশ করা উচিত।
-
সৌন্দর্য (Elegance): বাক্যটি যেন শ্রুতিমধুর এবং পাঠযোগ্য হয়, যেন এটি ভাষার শৈল্পিক মান বজায় রাখতে পারে। ভাষার সুষ্ঠু ব্যবহার, উপযুক্ত শব্দ চয়ন, এবং সুন্দর গঠন বাক্যকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
অর্থ অনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ বা শ্রেণীবিভাগ
অর্থ অনুসারে বাক্যকে ৭ ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ-
- বর্ণনাত্মক বা নির্দেশাত্মক বাক্য
- প্রশ্নবোধক বা প্রশ্নাত্মক বাক্য
- অনুজ্ঞা বা আদেশসূচক বাক্য
- ইচ্ছা বা প্রার্থনাসূচক বাক্য
- কার্যকারণাত্মক বাক্য
- সংশয়সূচক বা সন্দেহদ্যােতক বাক্য
- আবেগসূচক বাক্য
বর্ণনাত্মক বা নির্দেশাত্মক বাক্যঃ যে বাক্য দ্বারা কোন কিছু বর্ণনা বা বিবৃতি করা হয় তাকে, বর্ণনাত্মক বা নির্দেশাত্মক বাক্য বলে। যেমন – গরু মাঠে ঘাস খায়। স্মৃতিসৌধ সাভারে অবস্থিত।
বর্ণনাত্মক বা নির্দেশাত্মক বাক্য আবার দুপ্রকার। যথাঃ
- অস্থিবাচক বা হ্যাঁ বোধক বাক্য
- নেতিবাচক বা না বোধক বাক্য
অস্থিবাচক বা হ্যাঁ বোধক বাক্য: যে বাক্য দ্বারা কোন ঘটনা, ভাব বা বক্তব্যের অস্থিত্ব বা হ্যাঁ সূচক অর্থ প্রকাশ পায়, তাকে অস্থিবাচক বা হ্যাঁ বোধক বাক্য বলে। যেমন – ইফাদ চুপ করে রইল।
নেতিবাচক বা না-বোধক বাক্য: যে বাক্য কোনো ঘটনা, ভাবনা, বা বক্তব্যের অস্বীকৃতি বা না সূচক অর্থ প্রকাশ করে থাকে, তাকে নেতিবাচক বা না-বোধক বাক্য বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ: “ইফাদ কিছুই বলেনি।
আমাদের পথ নেই আর।
এ কলমে লেখা যায়না।
এখনো ছেলেটা বাড়ি ফেরেনি।
প্রশ্নবোধক বাক্য: যে বাক্য দ্বারা কোন কিছু জিজ্ঞেস করা বা জানতে চাওয়া হয়ে থাকে, তাকে প্রশ্নবোধক বাক্য বলে।
যেমন – তুমি কোন ক্লাসে পড়?, যাবে নাকি?
ছেলেটা কেমন পড়াশোনা করছে?
আমড়া গাছে কি আম হয়?
অদিতির গানের গলা কেমন?
কোয়েল কাল কোথায় যাবে?
ইত্যাদি ।
অনুজ্ঞা বা আদেশসূচক বাক্য:
যে সকল বাক্য দ্বারা আদেশ, আবেদন, নিষেধ, উপদেশ, অনুরোধ ইত্যাদি বোঝায়, তাকে অনুজ্ঞা বা আদেশসূচক বাক্য বলে।
যেমন: সদা সত্য কথা বলবে।
দয়া করে কথা বন্ধ রাখ।
দয়া করে চুপ করুন।
এখন মাঠে খেলতে যেও না।
বুড়ো মানুষের কথাটা শোনো।
আপনারা শান্ত হোন।
ইচ্ছা বা প্রার্থনাসূচক বাক্য: যে বাক্য দ্বারা মনের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, প্রার্থনা, আশীর্বাদ ইত্যাদি প্রকাশ পায়, তাকে ইচ্ছা বা প্রার্থনাসূচক বাক্য বলে।
যেমন – তোমার মঙ্গল হোক।
জীবনে সফল হও।
মানুষটা যেন দৃষ্টি ফিরে পায়।
আজ যেন বৃষ্টি না হয়।
সকলের কল্যাণ হোক।
কার্যকারণাত্মক বাক্য: যে সকল বাক্য দ্বারা কোন কারণ বা শর্ত বোঝায়, তাকে কার্যকারণাত্মক বাক্য বলা হয়।
উদাহরণ – দুঃখ বিনা জগতে সুখ লাভ করা যায় না।
যতক্ষন শ্বাস ততক্ষণ আশঁ।
যদি ধোঁয়া দেখো বুঝবে সেখানে আগুনও আছে।
সংশয়সূচক বাক্য: যে বাক্য দ্বারা মনে কোন সন্দেহ, সংশয় কিংবা কোন সম্ভাবনা প্রকাশ পায় তাকে সংশয়সূচক বাক্য বলে।
যেমন – হয়তো সুদিন আসবে।
মরে গেছে হয়তো।
এই বুঝি পা পিছলে আমি পড়ে গেলাম।
আবেগসূচক বাক্য: যে বাক্য দ্বারা দুঃখ, বিষাদ, আনন্দ, বিস্ময়, বিহ্বল বা মনের আকস্মিক আবেগ বা উচ্ছ্বাস প্রকাশ পেয়ে থাকে, তাকে আবেগসূচক বাক্য বলে।
যেমন: আহা! কী দেখিলাম!
হায় রে পোড়া কপাল!
রাজু! কত উন্নতি করেছ!
হায় হায়! লোকটা অকালেই চলে গেল।
আরও জানুন:
ঘুম কম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
শিলাজিতের উপকারিতা ও অপকারিতা
যৌগিক বাক্য ও সরল জটিল চেনার উপায়
সরল, জটিল, এবং যৌগিক বাক্য চেনার সহজ কিছু উপায় রয়েছে। নিচে প্রতিটি বাক্যের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো:
সরল বাক্য চেনার উপায়
- একটি মাত্র বিষয় ও ক্রিয়া: সরল বাক্যে সাধারণত একটি মাত্র বিষয় (subject) এবং একটি ক্রিয়া (verb) থাকে।
- একটি স্বাধীন ভাব: এই বাক্য একটি পূর্ণাঙ্গ ভাব প্রকাশ করে, এবং কোনো অতিরিক্ত বাক্যাংশের প্রয়োজন হয় না।
উদাহরণ: “আমি স্কুলে যাই।”
জটিল বাক্য চেনার উপায়
- একটি প্রধান এবং একটি বা একাধিক অনুসর্গ বাক্যাংশ: জটিল বাক্যে একটি প্রধান বাক্যাংশ (main clause) থাকে, যা একটি পূর্ণাঙ্গ ভাব প্রকাশ করে, এবং একটি বা একাধিক অনুসর্গ বাক্যাংশ (subordinate clause) থাকে, যা প্রধান বাক্যাংশের উপর নির্ভরশীল।
- যোগসূত্র: এই বাক্যগুলোতে “যদি”, “যখন”, “যে”, “কারণ” ইত্যাদি যোগসূত্র ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: “যখন বৃষ্টি হলো, আমি বই পড়তে শুরু করলাম।”
যৌগিক বাক্য চেনার উপায়
- দুটি বা ততোধিক স্বাধীন বাক্যাংশ: যৌগিক বাক্যে দুটি বা ততোধিক স্বাধীন বাক্যাংশ থাকে, যা একসাথে যুক্ত হয় এবং প্রত্যেকটি বাক্যাংশ নিজে থেকে পূর্ণাঙ্গ ভাব প্রকাশ করে।
- সমন্বয়কারী যোগসূত্র: “এবং”, “কিন্তু”, “অথবা” ইত্যাদি যোগসূত্র ব্যবহার করে বাক্যাংশগুলো যুক্ত হয়।
উদাহরণ: আমি বই পড়ি এবং তিনি গান শোনে।”
চেনার সহজ কৌশল:
- যদি একটি মাত্র ভাব প্রকাশ করে, তবে এটি সরল বাক্য।
- যদি বাক্যাংশের মধ্যে একটির উপর অন্যটি নির্ভরশীল হয়, তবে এটি জটিল বাক্য।
- যদি দুটি বা ততোধিক স্বাধীন ভাব যুক্ত হয়, তবে এটি যৌগিক বাক্য।
এবার চলো তাহলে আমরা এমসিকিউ/বিভিন্ন পরীক্ষায় mcq আসা সমাধান করি
১.ভাষার প্রাণ কী?
উ: অর্থবোধক বাক্য।
২. বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক কী?
উ: শব্দ
৩. বাক্যের মৌলিক উপাদান কী?
উ: শব্দ
৪. বাক্যের অংশ কয়টি?
উ: দুটি
৫. গঠন অনুসারে বাক্য কত প্রকার?
উ: তিন প্রকার
৬. অর্থানুসারে বাক্য কত প্রকার?
উ: পাঁচ প্রকার
৭. আশ্রিত খণ্ডবাক্য কয় প্রকার?
উ: তিন প্রকার
৮. একটি স্বার্থক বাক্যে কয়টি গুণ থাকা আবশ্যক?
উ: তিন
৯.আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি, যোগ্যতা- বাক্যের কী?
উ: গুণ
১০.বাক্যস্থিত পদসমূহের অর্থগত ও ভাবগত মেল বন্ধনের নাম কী?
উ: যোগ্যতা
১১. বাক্যে এক পদের পর অন্য পদ শোনার ইচ্ছাকে কী বলে?
উ: আকাঙ্ক্ষা
১২. বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষার জন্য সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসকে কী বলে?
উ: আসত্তি
১৩. কোনো বাক্যে যার সম্বন্ধে কিছু বলা হয়, তাকে কী বলে?
উ: উদ্দেশ্য
১৪. উদ্দেশ্য সম্পর্কে যা বলা হয় তাকে কি বলে?
উ: বিধেয়
১৫. ‘আসত্তি’ অর্থ কী?
উ: নৈকট্য
১৬.সাধারণত বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়াপদ কোথায় বসে?
উ: শেষে
১৭. যে বাক্যে একটি মাত্র উদ্দেশ্য থাকে তাকে কি বলা হয়?
উ: সরল উদ্দেশ্য
১৮. অসমাপিকা ক্রিয়াপদ বাক্যের কোথায় বসে?
উ: বিশেষণের পূর্বে
১৯. বাক্যে বিধেয়-বিশেষণ কোথায় বসে?
উ: বিশেষ্যের পরে
২০. সম্বন্ধপদ বাক্যে কোথায় বসে?
উ: বিশেষ্যের পূর্বে
২১. বাক্যে বহু পদময় বিশেষণ কোথায় বসে?
উ: বিশেষ্যের পূর্বে
২২.যৌগিক বাক্যকে সরলবাক্যে পরিবর্তন করতে হলে কয়টি বিষয় মনে রাখতে হবে?
উ: পাঁচটি
২৩. মিশ্র বাক্যের অপর নাম কী?
উ: জটিল বাক্য
২৪. যৌগিক বাক্যের অপর নাম কী?
উ: সংযুক্ত বাক্য
২৫. কোন্ বাক্যের প্রতিটি বাক্যই স্বাধীন?
উ: যৌগিক
২৬. বাক্যের অপরিহার্য অঙ্গ কী?
উ: ক্রিয়াপদ
২৭. ‘আমার হূদয় মন্দিরে আশার বীজ উপ্ত হলো’- এটি কি ধরনের ভুল?
উ: উপমার ভুল প্রয়োগ
২৮. তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দের প্রয়োগ কোন দোষ সৃষ্টি করে থাকে?
উ: গুরুচণ্ডালী দোষ
২৯. ‘আমার সঙ্গে প্রাপঞ্চ করেছ’- বাক্যটিতে কোন ধরনের দোষ দেখা যায়?
উ: দুর্বোধ্যতা
৩০. যৌগিক বাক্যের অন্যতম গুণ কী?উ: দুটি সরল বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
৩১. ‘মেঘ গর্জন করলে ময়ুর নৃত্য করে’- বাক্যটি কোন বাক্যের উদাহরণ?
উ: সরল বাক্যের
৩২.‘জ্ঞানীলোক সকলের শ্রদ্ধা পান।’ -এটি কোন ধরনের বাক্য?
উ: সরল বাক্য
বাক্য কাকে বলে
৩৩.‘লাল ফুল ফুটেছে’- এ বাক্যের উদ্দেশ্যের সমপ্রসারণ ঘটছে কিভাবে?
উ: বিশেষণ যোগে
৩৪. ভাব অনুযায়ী বাক্য কয় প্রকার?
উ: দুই প্রকার।
৩৫.ভাষার মূল উপকরণ কী?
উ: বাক্য
৩৬.বাক্যের মূল উপাদান কী?
উ: শব্দ
৩৭.বাক্যের বিভিন্ন পদের মধ্যে কী থাকা আবশ্যক?
উ: পারস্পরিক সম্পর্ক বা অন্বয়
৩৮. বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষার জন্য সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসকে কি বলে?
উ: আসত্তি
৩৯. ‘আকাঙ্ক্ষা’ এর ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?
উ: Expactancy.
৪০. ‘আসত্তি’ এর ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?
উ: Order/Proximity
বাক্য প্রকরণ
২৪. কোনটি যৌগিক বাক্যের উদাহরণ?
ক. তাঁর অনেক টাকা আছে, কিন্তু তিনি দান করেন না
খ. যখন বিপদ আসে, তখন দুঃখও আসে
গ. তাঁর বয়স হলেও বুদ্ধি হয়নি
ঘ. তার বাবা যায়নি
২৫. বাক্যের উদ্দেশ্য কত প্রকার?
ক. দুই প্রকার
খ. তিন প্রকার
গ. চার প্রকার
ঘ. পাঁচ প্রকার
২৬. উদ্দেশ্যের সঙ্গে কি যুক্ত থাকলে তাকে সম্প্রসারিত উদ্দেশ্য বলা হয়?
ক. বিশেষ্যাদি খ. বিশেষণাদি
গ. কারকাদি ঘ. অব্যয়াদি
২৭. গঠন অনুযায়ী বাক্য কত প্রকার?
ক. দুই প্রকার খ. তিন প্রকার
গ. চার প্রকার ঘ. পাঁচ প্রকার
২৮. যে বাক্যে একটিমাত্র কর্তা ও একটিমাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে কোন বাক্য বলা হয়?
ক. সরল বাক্য
খ. জটিল বাক্য
গ. যৌগিক বাক্য
ঘ. খণ্ড বাক্য
বাক্য কি
২৯. যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ড বাক্যের এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্য পরস্পর ব্যবহৃত হয়, তাকে কি বলা হয়?
ক. জটিল বাক্য খ. যৌগিক বাক্য
গ. সরল বাক্য ঘ. আশ্রিত খণ্ড বাক্য
৩০. তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দের প্রয়োগ কখনো কখনো কী সৃষ্টি করে?
ক. দুর্বোধ্যতা
খ. বাহুল্য দোষ
গ. গুরুচণ্ডালী দোষ
ঘ. উপমার ভুল প্রয়োগ
৩১. ‘যে ভিক্ষা চায় তাকে দান করো’—এটা কোন ধরনের বাক্যের উদাহরণ?
ক. সরল বাক্য খ. যৌগিক বাক্য
গ. মিশ্র বাক্য ঘ. খণ্ড বাক্য (বাক্য কি)
৩২. আশ্রিত খণ্ড বাক্য কত প্রকার?
ক. দুই খ. তিন
গ. চার ঘ. পাঁচ
৩৩. কোনটি শুদ্ধ?
ক. একান্ত বাধ্যগত খ. একান্ত অনুগত
গ. একান্ত বিনয়গত ঘ. একান্ত বাধ্যানুগত
৩৪. মিশ্র বাক্য বিশ্লেষণে প্রথম কী প্রদর্শন করতে হয়?
ক. আশ্রিত খণ্ড বাক্য
খ. প্রধান খণ্ড বাক্য
গ. নিত্যসম্বন্ধীয় অব্যয়
ঘ. সংযোজক অব্যয়
৩৫. কোনটি জটিল বাক্যের উদাহরণ হলো?
ক. মন দিয়ে পড়লে পরীক্ষায় ভালো করা যায়
খ. সত্য কথা বলিনি, তাই বিপদে পড়েছি
গ. আমি অনেক কষ্ট করেছি, তাই শিক্ষালাভ করেছি
ঘ. যখন বিপদ আসে, তখন দুঃখও আসে
৩৬. ‘তার চুল পেকেছে কিন্তু বুদ্ধি পাকেনি’—এটা কোন ধরনের বাক্য?
ক. সাধারণ বাক্য
খ. মিশ্র বাক্য
গ. যৌগিক বাক্য
ঘ. সরল বাক্য
সঠিক উত্তর
বাক্য প্রকরণ: ২৪. ক ২৫. ক ২৬. খ ২৭. খ ২৮. ক ২৯. ক ৩০. গ ৩১. গ ৩২. খ ৩৩. খ ৩৪. খ ৩৫. ঘ ৩৬. গ.
উপসংহার:
আমাদের পোষ্ট গুলো প্রতিনিয়ত আপডেট করা হয়। বিসিএস,প্রাইমারি সহ সব পরীক্ষার প্রতিনিয়ত প্রশ্ন অনুযায়ী পোষ্ট গুলো আমরা আপডেট করি। সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।