বিসিএস ক্যাডার কত প্রকার
বিসিএস ক্যাডার কত প্রকার: বিসিএস ক্যাডার কয়টি অথবা কত প্রকার এবং প্রত্যেক প্রকারের ব্যাখ্যা সহ বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আশা করি এর পর বিসিএস এর কোন ধরনের প্রশ্ন নিয়ে সন্দেহ থাকবেনা।
বাংলাদেশে বিসিএস ক্যাডার কয়টি ও কি কি
উত্তরঃ ২৬ টি
বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) সব মিলিয়ে ক্যাডার সংখ্যা ২৬টি। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সময়ই কোন ক্যাডারে কতজন নিয়োগ দেওয়া হবে সেই সংখ্যা উল্লেখ করা হয়। বাছাই পরীক্ষা হয় তিন ধাপে। ধাপগুলো হলো- প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা।
এবং প্রিলিমিনারি ধাপের নম্বর পরবর্তী কোনো ধাপে যোগ হয় না। এটি কেবল প্রাথমিক যোগ্যতা প্রমাণের পরীক্ষা মাত্র। সবগুলো ধাপের পরীক্ষা নেওয়া হয় ‘বিসিএস অনুযায়ী (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা-২০১৪’ অনুসারে।
- প্রথম ধাপ (প্রিলিমিনারি) : ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
- দ্বিতীয় ধাপ (লিখিত) : প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস পাওয়া যাবে সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে
(https://bpsc.gov.bd)। - তৃতীয় ধাপ (মৌখিক) : লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা)। মৌখিক পরীক্ষায় পাস নম্বর ৫০%।
বিসিএস মানবন্টন
এ পর্যন্ত এভাবে পরীক্ষা হয়েছে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ৩৫, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ৩৫, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৩০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ২০, ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ১০, সাধারণ বিজ্ঞান ১৫, কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি ১৫, গাণিতিক যুক্তি ১৫, মানসিক দক্ষতা ১৫, নৈতিকতা, মূল্যবোধ এবং সুশাসনের ওপর ১০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
বিসিএস ক্যাডারের ইতিহাস
স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশে তখন চালু থাকে পাকিস্তানি আমলের ক্যাডার প্রথা। কিছু নির্দিষ্ট পদের ওপর এই ক্যাডার প্রথা চালু ছিল। কিন্তু ১৮ জুলাই ১৯৭৫ চাকরি পুনর্গঠনে সরকারের ক্ষমতাকে কার্যকারিতা দেয়ার জন্য করা হয় চাকরি (পুনর্গঠন ও শর্তাবলি) আইন। এই আইন ১ জুলাই ১৯৭৩ থেকে কার্যকর হয়। ১৯৭৫ সালের চাকরি (পুনর্গঠন ও শর্তাবলি)। এই আইনের ভিত্তিতে ১ সেপ্টেম্বর ১৯৮০ “বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ক্যাডার কম্পােজিশন অ্যান্ড ক্যাডার রুল” জারি করা হয়। এ আইন অনুযায়ী, সমমর্যাদা ও অভিন্ন শর্তাবলির ভিত্তিতে একক সার্ভিস হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (BCS) গঠন করা হয়। আর কর্মক্ষেত্র অনুযায়ী সৃষ্টি করা হয় ১৪ টি ক্যাডার ও ২২ টি সাব-ক্যাডার।
বিভিন্ন সময়ে ক্যাডার সার্ভিসের পুনর্গঠন
১৪ মে ১৯৮২ সালে সাব-ক্যাডারগুলাে বিলুপ্ত করা হয়। গঠন করা হয় ২৮টি ক্যাডার। তারপর কিছু ক্যাডার বিলুপ্ত, আবার কিছু ক্যাডারে অন্য ক্যাডারে একীভূত করা হয়।
- ২০ আগস্ট ১৯৮৫ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারকে ভেঙ্গে দেওয়া হয়। সাথে সাথে দুটি আলাদা ক্যাডার গঠন করা হয়। ফলে সিভিল সার্ভিসের ক্যাডারের সংখ্যা ২৯ টিতে উন্নীত হয়।
- ৩১ আগস্ট ১৯৮৬ জারিকৃত এক সংশােধনী বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। নতুন একটি ক্যাডার সমবায় ক্যাডার গঠন করা হয়। এতে সিভিল সার্ভিসের ক্যাডারের সংখ্যা হয়ে দাড়ায় ৩০ টি।
- ১৬ মার্চ ১৯৯২ প্রশাসন এবং সচিবালয় ক্যাডার একীভূত করে দেওয়া হয়। নতুন করে গঠন করা হয় প্রশাসন ক্যাডার। তখন সিভিল সার্ভিসে ক্যাডারের সংখ্যা আবারাে কমে আসে ২৯ টিতে।
- ১ নভেম্বর ২০০৭ নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হয়ে যায়। বিলুপ্তি ঘটে বিসিএস বিচার ক্যাডারের। ফলে সিভিল সার্ভিসের ক্যাডারের সংখ্যা নেমে দাড়ায় ২৮ টিতে।
- ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ টেলিকমিউনিকেশন ক্যাডার বিলুপ্ত করা হয়। ফলে ক্যাডারের সংখ্যা নেমে যায় ২৭ টিতে।
আরও পড়ুনঃ-
বিসিএস ক্যাডার চয়েস । বিসিএস ক্যাডার চয়েস পরামর্শ । bcs cadre choice list
সর্বশেষ বিসিএস ক্যাডার কতটি
১৩ নভেম্বর ২০১৮ সর্বশেষ বিসিএস ইকনমিক ক্যাডারকে বিলুপ্ত করে। ইকনমিক ক্যাডারকে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সাথে একীভূত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর ফলে ৪১ তম বিসিএস থেকে থাকবে না ইকনমিক ক্যাডার। ১৯৮২ সালে গঠিত বিসিএস ইকনমিক ক্যাডার বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে বর্তমানে ক্যাডার সংখ্যা ২৬ টি।
বিসিএস ক্যাডারের তালিকা
- প্রশাসন
- আনসার
- নিরীক্ষা ও হিসাব
- সমবায়
- শুল্ক ও আবগারি
- পরিবার-পরিকল্পনা
- খাদ্য
- পররাষ্ট্র
- তথ্য
- পুলিশ
- ডাক
- রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক
- কর
- বাণিজ্য
- কৃষি
- মৎস্য
- বন
- সাধারণ শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
- পশুসম্পদ
- জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল
- গণপূর্ত
- রেলওয়ে প্রকৌশল
- সড়ক ও জনপথ
- পরিসংখ্যান
- কারিগরি শিক্ষা
উপসংহার: