1 second school

শেখ মুজিবুর রহমান রচনা । বঙ্গবন্ধু রচনা

শেখ মুজিবুর রহমান

শেয়ার করুন

শেখ মুজিবুর রহমান রচনা

শেখ মুজিবুর রহমান রচনা : আজকে আমরা দেখবো শেখ মুজিবুর রহমান রচনা এবং দেশের এক নায়কের ইতিহাস। এ দেশটা স্বাধীন হয়েছে আমাদের ৩০ লক্ষাধিক শহিদের বিনিময়ে।

বঙ্গবন্ধু রচনা

শেখ মুজিবুর রহমান
শেখ মুজিবুর রহমান রচনা

ভূমিকাঃ

শেখ মুজিবুর রহমান রচনাঃ পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে আজ অবধি যুগে যুগে এমন সব ব্যক্তিত্বের আগমন ঘটেছে, যাদের হাত ধরে মানবতার মুক্তির সনদ রচিত হয়েছে। ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটারের এই ছোট্ট ভূ-খন্ডটির জন্মের সাথে যার নাম অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত তিনি আর কেউ নন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবর রহমানের এক সীমাহীন দেশপ্রেম এর ফসল হল বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

বাংলাদেশের বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য তীব্র যন্ত্রণায় কাতর, সেই যন্ত্রণার অন্ধকার আকাশে আলো জ্বেলেছিলেন শেখ মুজিবর রহমান তাঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তি, সংগ্রামী চেতনা আর জীবনাদর্শ দিয়ে।

শৈশবকালঃ

শেখ মুজিবর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ (বাংলা ২০ চৈত্র ১৩৫৯)  ফরিদপুর জেলা তে রাত ৮ টা নাগাদ জন্মগ্রহন করেন। শেখ লুতফুর রহমান ও সায়েরা খাতুন এর কোলে দুই কন্যা সন্তানের পরে জন্ম হয় এই তারকার- শেখ মুজিবর রহমানের।  ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত দয়ালু। অভাবের সময়ে তিনি নিজের গোলা থেকে গরীবদের ধান বিতরণ করতেন।

শিক্ষা জীবনঃ

তিনি ১৯২৭ সালে গিমাদাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা শুরু করেন। ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস থ্রি তে ভর্তি হন। পিতার চাকুরীতে বদলির জন্য, ১৯৩১ সালে তিনি মাদারীপুর ইসলামিয়া বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেনিতে ভর্তি হন। ১৯৩৪ সালে তিনি বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হন। এর ফলে তাঁর পড়াশোনাতে খুব ব্যঘাত ঘটে। ১৯৩৮ সাল অবধি তিনি বিদ্যালয় যেতে পারেন নি। ১৯৩৮ সালে গোপালগঞ্জের মাথুরানাথ ইন্সিটিউট মিসন স্কুলে তিনি সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৪২ সালে তিনি এই স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশেন পাস করেন।

১৯৪৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ইসলামিয়া কলেজ থেকে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। সেই সময়ে তিনি বেকার হোস্টেল এর ২৪ নাম্বার ঘরে থাকতেন। এইজন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার ওই ২৩ আর ২৪ নাম্বার ঘরটিকে ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কক্ষ নামে আখ্যা দেন।

তিনি ছিলেন শৈশব বেলা থেকেই স্পষ্টবাদী। গরীব দুঃখী মানুষদের জন্য তাঁর মন নীরবে চোখের জলে ভাসাত। বিশ্ব বিদ্যালয়ের নিম্ন মানের কর্মচারীদের দাবী না মানার জন্য, তিনি বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে পিছপা হতেন না। আর এই বিক্ষোভে উসকানি দেওয়ার জন্য, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে ১৯৪৯ সালে বহিস্কার করে দেন। শেখ মুজিবুর রহমান রচনা

শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধুঃ

শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন গণমানুষের নেতা। তিনি যেমন নিঃস্বার্থভাবে জনকল্যাণের রাজনীতি করতেন তেমন জনগণের ভালোবাসাও পেয়েছেন। তার মুক্তির দাবিতে রাজপথে বিশাল মিছিল, ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ-অনশন তারই প্রমাণ। তিনি ছিলেন জনগণের বন্ধু। এর স্বীকৃতি স্বরূপ তৎকালীন ঢাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। এই উপাধিটি যে কেবল তার জন্যই যথাযথ ছিল তার প্রমাণ হলো পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুই তাঁর নাম হয়ে যাওয়ায়।

বাংলা ভাষা আন্দোলনে দেশবন্ধুঃ

“ আমি হিমালয় দেখি নি কিন্তু শেখ মুজিব কে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব এবং সাহসিকতায় তিনিই হিমালয়সম”- ফিদেল কাস্ত্রো

বাংলা ভাষা আন্দোলনে দেশবন্ধুর ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে যে আন্দোলন তিনি করেছিলেন তা বাংলার ইতিহাসে এক নজির হয়ে ওঠে। ১৯৪৮ সালে উর্দু কে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা করা হয়। এর ফলে পূর্ব পাকিস্তানে বিক্ষোভ জেগে ওঠে।

বাংলা ভাষা আন্দোলনের কারনে তিনি কয়েকবার কারাগার বন্দীও হন। ১৯৫২ সালের ২৬ শে জানুয়ারি মুজিবের জেল মুক্তির ব্যাপারে ঘোষণা করার কথা ছিল, কিন্তু তার বদলে উর্দুই যে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা হবে তাই ঘোষণা করা হল। এরপর ২১ শে ফেব্রুয়ারি কে রাষ্ট্র ভাষা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে ১৪ই ফেব্রুয়ারি থেকে শেখ মুজিবর কারাগারে অনশন করার সিদ্ধান্ত নেন। ২৬শে ফেব্রুয়ারি তাঁকে কারাগার জীবন থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। শেখ মুজিবুর রহমান রচনা

আরও পড়ুন:

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস

বৈবাহিক জীবনঃ 

১৯৩৯ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে শেখ মুজিবুর রহমান শেখ ফজিলাতুন্নেসাকে বিয়ে করেন। তাদের ঘর আলোকিত করেছে তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল এবং দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

বৈপ্লবিক রাজনৈতিক জীবনঃ 

ছাত্রজীবন থেকেই শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন রাজনীতি সচেতন মানুষ। রাজনীতি যেন তাঁর রক্তে মিশে আছে। তিনি উপলব্ধি করতেন যে, রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমেই বৃহৎ কল্যাণ সম্ভব। তাইতো এ দেশের সকল রাজনৈতিক আন্দোলনে তিনি সবসময় অগ্রভাগে ছিলেন। গোপালগঞ্জ মিশন হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে থাকাকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের জন্য সাত দিন কারাভোগ করেন।

– নেতৃত্বগুণের কারণে ১৯৪৬ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

– ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ (বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) প্রতিষ্ঠা করেন।

– ১১ মার্চ ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের পিকেটিং এর সময় গ্রেফতার হন।

– ১৯৪৯ সালে মাওলানা ভাসানীর সাথে ভূখা মিছিলে নেতৃত্ব দান কালে গ্রেফতার হন।

– ১৯৪৯ সালে ২৩ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগ এর জন্ম হলে কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।

– ১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

– ১৯৬৬ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তানের লাহোরে বাঙালির মুক্তিসনদ ছয় দফা উত্থাপন করেন। তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের একটি বৃহৎ অংশ মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে কাটান।

– ১৯৬৮ সালে আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারাভোগ করেন।

– এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানিদের হাতে গ্রেফতার হন।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণঃ

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ এ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে দেশবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান দেশবাসীর উদ্দ্যেশ্যে একটি ভাষণ রেখেছিলেন। এই ঐতিহাসিক ভাষণ টি দুপুর ২.৪৫ মিনিটে শুরু হয়েছিল। মাত্র ১৮ মিনিটের দেওয়া ভাষণ টি গোটা বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করেছিল। বর্তমান বিশ্ব ও এহেন ভাষণ এর মুখোমুখি আর কোথাও হয় নি।  এই ভাষণ টি মোট ১৩ খানা ভাষাতে অনুবাদ করা হয়েছিল।

ভাষণটি কোন লিখিত ভাষণ ছিল না। দেশবন্ধু দেশবাসীর উদ্দ্যেশ্যে তাৎক্ষণিক ভাষণ রেখেছিলেন। ভাষণ টি তাৎক্ষণিক থাকা সত্ত্বেও রূপ নিয়েছিলেন এক সাজানো, গোছানো ভাষণের মতো। অনেকক্ষণ ধরে কেউ পটভূমিকা তৈরি করলেও হয়তো এত সুন্দর রূপ দিতে পারবেন না ভাষণ দেওয়ার সময়ে।  কিন্তু দেশবন্ধু এমনভাবে ভাষণটি রেখেছিলেন, ঠিক যেমন করে রচনা তে লিখা হয়। ভূমিকা, বাংলাদেশের ইতিহাস, রাজনীতি, জনসাধারনের প্রতি নির্দেশ এই সব কিছু তিনি সহজভাবে তুলে ধরেছিলেন। শব্দ চয়নের ব্যাপারে তিনি ছিলেন খুবই সজাগ এবং মার্জিত।

কোন বক্তব্য এরও পুনরাবৃত্তি ঘটে নি এই ১৮ মিনিটের ভাষণে। ভাষণটি তে তিনি  বিগত ২৩ বছরের বাংলার মানুষের আর্তনাদের ইতিহাস দিয়ে শুরু করেন, তারপরে অন্যায় এবং অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন। শেষে জনগন এর উদ্দ্যেশ্যে বলেন “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।“

“বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ঐতিহাসিক দলিল”

–ইউনেস্কো

মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুঃ

৭ই মার্চের ভাষণ থেকেই আঁচ করা যায় যে তিনি আগাম যুদ্ধ প্রস্তুতির নির্দেশনা দিয়েছেন। ২৫ মার্চ রাত্রে গ্রেফতারের পূর্বমুহূর্তে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, This is my last message to you. From today Bangladesh is independent.  তার ডাকে সমগ্র বাঙালি মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও দেশ গঠনঃ

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানের করাচির মিওয়ালী কারাগারে বন্দি থাকার পর অবশেষে বাংলাদেশে পর্দাপণ করেন বাঙালির প্রাণের স্পন্দন, কল্যাণকামী স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। লাখো মানুষের ঢল বেয়ে মহান নেতা আসলেন চিরচেনা সেই রেসকোর্স ময়দানে। দিলেন দেশ গড়ার দিক নির্দেশনা। ছুটে বেড়িয়েছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। সহযোগীতা চেয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। তিনি স্বপ্ন দেখতেন এমন এক শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের যেখানে সবাই সুখে-শান্তিতে বসবাস করবে। আর এ জন্য জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।

বিশ্বসভায় বঙ্গবন্ধুঃ 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অত্যন্ত স্পষ্টভাষী ও রসিক মানুষ। দেশের গন্ডি পেরিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সভায়ও সমানভাবে সমাদৃত ছিলেন। তিনিই প্রথম ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন। তিনি ১৯৭২ সালে বিশ্বশান্তি পরিষদের দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘জুলিও কুরী’ পুরস্কার লাভ করেন।

হটাৎ বিদায়ঃ

বাংলার ইতিহাসে জঘন্যতম দিন ১৫ আগস্ট ১৯৭৫। যার অঙ্গুলী হিলনে কোটি মানুষ প্রাণ বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই মহামানবকে কতিপয় নরপিশাচ স্বপরিবারে হত্যা করে বাংলার মাটিকে কলঙ্কিত করে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার কতিপয় মানুষ নামের জানোয়ারেরা পিতৃহত্যার মতো ঘৃণ্য কাজের মাধ্যমে তাঁর স্বপ্নকে বিলীন করতে চেয়েছিল, কিন্তু তা সফল হয়নি। কারণ তার স্বপ্ন সারথীরা আজও জেগে আছে।

উপসংহারঃ

বাংলাদেশের জনক দেশবন্ধু বাঙালির জীবনে অমর। এমন মানুষের কাছে মৃত্যুও হার মানে। বাংলা ভাষার স্বীকৃতি তেও দেশবন্ধুর ভূমিকা অপরিসীম। যেমন নেতা তেমনি তাঁর মহান ভাষণ। কঠিন পরিস্থিতিতেও তিনি যেভাবে ভাষার মাধুর্য বজায় রেখেছেন, ধীরতা, স্থিরতা বজায় রেখেও বাংলাদেশ কে স্বাধীন করার আন্দোলনে মেতে উঠেছিলেন- এরকম দৃষ্টান্ত বিরল।

“আমি যদি বাংলার মুখে হাসি ফোটাতে না পারি, আমি যদি দেখি বাংলার মানুষ পেট ভরে খাই নাই, বাংলার মানুষ দুঃখী, তাহলে আমি শান্তিতে মরতে পারব না।“- দেশবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।

দেশবন্ধু এর কথা দিয়েই বোঝা যায় যে দেশ ও দেশের মানুষ এর স্থান তাঁর হৃদয়ে কতখানি!  জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেশের মানুষের কল্যানের জন্য যিনি নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন তিনি আর কেউ না, তিনি আমাদের সকলের প্রিয় নেতা দেশবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান রচনা

এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ!

Exit mobile version