
তরতর করে বাড়ছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ। যেভাবে এগোচ্ছেন, তাতে যে অল্প কিছুদিনের মধ্যে বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৩০ হাজার কোটি ডলার সম্পদের অধিকারী হবেন, তা বলাই যায়। বর্তমানে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা ও মহাকাশযান সংস্থা স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ২৮ হাজার ৯০০ কোটি ডলার (255.2 billion USD 27/10/21)। গণমাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ই–কমার্স জায়ান্ট আমাজন ও মহাকাশযান সংস্থা ব্লু অরিজিনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের চেয়ে যা প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলার (১০০ বিলিয়ন) বেশি। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী বেজোসের সম্পদের পরিমাণ গত সোমবার পর্যন্ত ১৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
শেষ করেননি শিক্ষাজীবন: স্নাতকোত্তর শেষে পিএইচডি’র জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পান৷ কিন্তু অর্থ উপার্জনের নেশায় পিএচইডি অধরা থেকে যায়৷ বর্তমানে উদ্যোক্তা হিসেবে বিশ্বের তরুণদের আইকন তিনি৷

মাস্কের মোট সম্পদ এখন এত বেশি যে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অটোমেকার টয়োটার বাজার মূলধনকে ছাড়িয়ে গেছে, যার মূল্য প্রায় ২৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। এ ছাড়া টেসলা ২০২০ সালের জুলাইয়ে বাজার মূলধনের দিক দিয়ে টয়োটাকে প্রথম ছাড়িয়ে যায়।
টেসলা স্টকের শক্তিশালী পারফরম্যান্সের পাশাপাশি স্পেসএক্সের শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে চলতি বছর মাস্ক তাঁর সম্পদ বাড়িয়েছেন ১১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। টেসলা বর্তমানে দুর্দান্ত ফর্মে আছে। কোম্পানির ১৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম এত দীর্ঘ সময় ধরে মুনাফা দেখছে কোম্পানিটি। টানা ৯ প্রান্তিক ধরে মুনাফায় রয়েছে কোম্পানিটি। আর এর ফলে গত সোমবার পঞ্চম মার্কিন কোম্পানি হিসেবে এক ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূল্যের মাইলফলক ছাড়িয়েছে টেসলা।
বেতন: কোম্পানির সিইও হিসেবে বছরে বেতন নেন মাত্র এক ডলার৷ নিজের অংশীদারিত্ব থাকা বিভিন্ন কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশসহ আরো কিছু সুবিধা পান মাস্ক, যার বেশিরভাগই আসে টেসলা থেকে৷ বছরে ১ ডলার বেতন নেয়াটা আসলে সিলিকন ভ্যালির একটা ট্রেন্ড৷