অম্ল ক্ষারক ও লবণ
অম্ল ক্ষারক ও লবণ: আজ আমরা এসিড ক্ষারক ও লবণের সংজ্ঞা সহ বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষায় আসা এমসিকিউ সহ উত্তর দেখবো। সবকিছু এখানেই পেয়ে যাবেন। তাহলে চলুন শুরু করি।
এসিড কী
অ্যাসিড (Acids) : যে যৌগের স্বাদ অম্ল এবং যার মধ্যে ধাতু বা ধাতুধর্মী মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপনযোগ্য এক বা একাধিক হাইড্রোজেন পরমাণু বর্তমান এবং যে যৌগ ক্ষারকের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ এবং জল উৎপন্ন করে তাকে অ্যাসিড বলে । অম্ল ক্ষারক ও লবণ
আর অপরদিকে নীল লিটমাস পেপার অ্যাসিডের সংস্পর্শে আসলে লাল হয়ে যায় ।
H2SO4 ,HNO3 ও HCL ইত্যাদি ।
আরহেনিয়াসের আয়নীয় তত্ত্ব অনুযায়ী অ্যাসিডের সংজ্ঞা (Acid):
যে সমস্ত যৌগ জলীয় দ্রবণে আয়নিত হয়ে বা বিয়োজিত হয়ে শুধু মাত্র ক্যাটায়ন রূপে এক বা একাধিক H+H+ আয়ন উৎপন্ন করে, তাদের অ্যাসিড বলে। এই H+H+ আয়ন খুব অস্থায়ী।
তাই একটি H+H+ আয়ন আবার একটি জলের অণুর (H2OH2O) সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাইড্রোক্সোনিয়াম আয়ন উৎপন্ন করে। তাই বলা যায়, যে সমস্ত যৌগ জলীয় দ্রবণে আয়নিত বা বিয়োজিত হয়ে ক্যাটায়ন রূপে হাইড্রক্সোনিয়াম (H3O+H3O+) আয়ন উৎপন্ন করে, তাদের অ্যাসিড বলে।
যেমন,
HCl←→H++Cl−HCl←\vboxto.5ex\vss→H++Cl−
H++H2O=H3O+H++H2O=H3O+
H2SO4←→2H++SO4=H2SO4←\vboxto.5ex\vss→2H++SO4=
2H++2H2O=2H3O+2H++2H2O=2H3O+
HNO3←→H++NO3−HNO3←\vboxto.5ex\vss→H++NO3−
H++H2O=H3O+H++H2O=H3O+
অম্ল ক্ষারক ও লবণ
এসিড এর বৈশিষ্ট্য
1. অ্যাসিড মাত্রই জলীয় দ্রবণে আয়নিত হয়ে বা বিয়োজিত হয়ে কেবলমাত্র এক বা একাধিক ক্যাটায়ন রূপে H+H+ আয়ন উৎপন্ন করে যা পরে জলের একটি অণুর সাথে যুক্ত হয়ে হাইড্রক্সোনিয়াম (H3O+H3O+) আয়ন উৎপন্ন করে। যেমন,
HCl←→H++Cl−HCl←\vboxto.5ex\vss→H++Cl−
H++H2O=H3O+H++H2O=H3O+
H2SO4←→2H++SO4=H2SO4←\vboxto.5ex\vss→2H++SO4=
2H++2H2O=2H3O+2H++2H2O=2H3O+
HNO3←→H++NO3−HNO3←\vboxto.5ex\vss→H++NO3−
H++H2O=H3O+H++H2O=H3O+
H2CO3←→2H++CO3=H2CO3←\vboxto.5ex\vss→2H++CO3=
2H++2H2O=2H3O+2H++2H2O=2H3O+
2. অ্যাসিড সাধারণত জলে দ্রবণীয় এবং জলীয় দ্রবণে অম্ল বা টক স্বাদযুক্ত
3. অ্যাসিডের জলীয় দ্রবণ নীল লিটমাসকে লাল করে এবং মিথাইল অরেঞ্জের কমলা বর্ণকে লাল বর্ণে পরিণত করে।
4. হাইড্রোজেনের চেয়ে বেশি তড়িৎধনাত্বক ধাতু যেমন, জিঙ্ক (ZnZn), ম্যাগনেশিয়াম (MgMg), আয়রণ (FeFe) ইত্যাদি ধাতুর সঙ্গে অ্যাসিডের প্রতিস্থাপন বিক্রিয়ার মাধ্যমে হাইড্রোজেন গ্যাস (H2↑H2↑) নির্গত করে। যেমন,
Zn+2HCl=ZnCl2+H2↑Zn+2HCl=ZnCl2+H2↑
Zn+H2SO4=ZnSO4+H2↑Zn+H2SO4=ZnSO4+H2↑
5. অ্যাসিড ধাতব অক্সাইড বা হাইড্রক্সাইডের (ক্ষার) সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ ও জল উৎপন্ন করে। যেমন,
NaOH+HCl=NaCl+H2ONaOH+HCl=NaCl+H2O
NaOH+H2SO4=Na2SO4+H2ONaOH+H2SO4=Na2SO4+H2O
6. অ্যাসিড ধাতব কার্বনেট বা বাইকার্বনেট লবনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন করে। যেমন,
Na2CO3+2HCl=2NaCl+CO2↑+H2ONa2CO3+2HCl=2NaCl+CO2↑+H2O
NaHCO3+HCl=NaCl+CO2↑+H2ONaHCO3+HCl=NaCl+CO2↑+H2O
তীব্র এসিড চেনার উপায়
1. অ্যাসিডে নীল লিটমাস পেপার লাল হয়ে যায় এবং মিথাইল অরেঞ্জের কমলা বর্ণ লাল হয়ে যায়।
2. কার্বনেট বা বাইকার্বনেট লবণে কয়েক ফোঁটা অ্যাসিড যোগ করলেই বুদবুদ সৃষ্টি করে কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2↑CO2↑) গ্যাস নির্গত করে যা স্বচ্ছ চুনজলকে ঘোলা করে দেয়।
3. লঘু যেকোনো অ্যাসিডের সঙ্গে ম্যাগনেশিয়াম বা জিঙ্ক ধাতু যোগ করলে বর্ণহীন, গন্ধহীন হাইড্রোজেন গ্যাস (H2↑H2↑)
উৎপন্ন করে যার মধ্যে জ্বলন্ত পাটকাঠি প্রবেশ করালে, পাটকাঠিটি নিভে যায় কিন্তু গ্যাসটি নীল শিখায় জ্বলে।
এই প্রমাণগুলির দ্বারা বোঝা যায় যৌগটি একটি অ্যাসিড।
Acid-Base Reaction / এসিড-ক্ষার বিক্রিয়া
Acid-Base Reaction হচ্ছে এমন এক ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া যেটিতে দুটি বস্তুর মধ্যে হাইড্রোজেন আয়নের আদান-প্রদান হয়। অর্থাৎ এসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়াতে এসিড হাইড্রোজেন আয়নকে প্রদান করে এবং এসিডের একটা বন্ধন ভেঙে যায়। অপরদিকে ক্ষার সেই হাইড্রোজেন আয়নকে গ্রহণ করে এবং তার সাথে একটি সমযোজী বন্ধন তৈরি করে।
হাইড্রোজেন আয়নকে প্রোটনও বলা হয়, এর কারণ হচ্ছে হাইড্রোজেন থেকে যখন একটা ইলেকট্রনকে নেওয়া হয় তখন সেটিতে মাত্র একটা প্রোটন থাকে।
তাহলে বলা যায় এসিড-ক্ষার বিক্রিয়ায় প্রোটনের আদান-প্রদান হয়, যেখানে এসিড তার সমযোজী বন্ধন ভেঙ্গে প্রোটনকে দান করে এবং ক্ষার একটা সমযোজী বন্ধন তৈরি করে সেই প্রোটনকে গ্রহণ করে।
এসিড-ক্ষার বিক্রিয়া ঘটে পানির মধ্যেই, কেননা আমাদের শরীরের বেশির ভাগ অংশে পানি থাকে।
pH হচ্ছে একটা দ্রবণে থাকা হাইড্রোজেন আয়নের ঋণাত্মক লগারিদম। এটির মাধ্যমে সেই দ্রবণটা অম্লীয় নাকি ক্ষারীয় সেটাকে নির্ণয় করা হয়। অর্থাৎ pH কে লেখা হয় এভাবে-
pH = – log [H+]
কোনো একটা দ্রবণের pH জানা থাকলে সেই দ্রবণের হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রা কতটুকু সেটাও জানা যায়। যেমন কোনো দ্রবণের pH = 7 হলে সেই দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রা হবে-
pH = – log [H+]
or, 7 = – log [H+]
or, [H+] = 10-7
pH ছাড়াও আরও একটি টার্ম আছে যাকে pOH বলে। এটিকে বের করা হয় কোনো একটা দ্রবণের হাইড্রোক্সিল (OH-) আয়নের ঋণাত্মক লগারিদম অনুসারে। অর্থাৎ এর মান-
pOH = – log [OH–]
যদি কোনো দ্রবণের pH এর মান 7 হয় তবে সেই দ্রবণটি হচ্ছে পানির মতো নিরপেক্ষ। কিন্তু pH এর মান যদি 7 এর বেশি হয় তবে সেই দ্রবণটি ক্ষারীয় এবং 7 এর কম হলে সেই দ্রবণটি অম্লীয়।
অন্যভাবে বলা যায় কোনো দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রা হাইড্রোক্সিল আয়নের ঘনমাত্রা থেকে বেশি হলে সেই দ্রবণটি হচ্ছে অম্লীয়, কিন্তু হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রা হাইড্রোক্সিল আয়নের ঘনমাত্রা থেকে কম হলে সেই দ্রবণটি ক্ষারীয়।
যখন কোনো দ্রবণের হাইড্রোজেন আয়ন এবং হাইড্রোক্সিল আয়নের পরিমাণ সমান হয় তখন সে দ্রবণটি নিরপেক্ষ বা neutral থাকে।
কোনো দ্রবণের ক্ষেত্রে কিছু সূত্র মনে রাখা দরকার-
[H+] * [OH–] = 10-14
pH + pOH = 14
Question: If the concentration of OH- ion of any solution is 0.3 * 10-3 M, find out the pH of that solution.
Solution:
Given,
[OH–] = 0.3 * 10-3 M
এবং pOH = -log [OH–]
or, pOH = -log [0.3 * 10-3]
or, pOH =
again,
pH + pOH = 14
or, pH = 14 – pH
or, pH = 14 –
pH =
pH স্কেল
যে স্কেল ব্যবহার করে pH এর মান অনুসারে কোনো দ্রবণ অম্লীয় নাকি ক্ষারীয় সেটা বের করা হয় তাকে pH স্কেল বলে। pH স্কেল এর মধ্যে pH এর মান যদি 7 থেকে 14 এর মধ্যে হয় তবে সেই দ্রবণটি ক্ষারীয় (Basic) এবং pH এর মান যদি 0 থেকে 7 পর্যন্ত হয় তবে সেই দ্রবণ অম্লীয় (Acidic).
যদি pH এর মান 7 হয় তবে সেই দ্রবণটি নিরপেক্ষ বা Neutral হবে।
ph paper (pH পেপার)
অজানা কোন দ্রবণে pH মাপার জন্য pH ব্যবহার করা হয় । দ্রবণে কয়েক ফৌঁটা ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর যোগ করে উৎপন্ন বর্ণকে স্ট্যান্ডার্ড কালার চার্টের সাথে মিলিয়ে pH এর মান নির্ধারন করা হয় ।
pH বর্ণনা বর্ণ
0-3 তীব্র এসিড লাল
3-7 দুর্বল এসিড হলুদ
7 নিরেপেক্ষ সবুজ
7-11 দুর্বল ক্ষার নীল
11-14 তীব্র ক্ষার বেগুনি
স্বাস্থরক্ষায় pH
প্রোটিনকে হজম করার জন্য পাকস্থলিতে pH মান 2 অর্থাৎ এসিডিক অবস্থা প্রয়োজন । আবার খাদ্যকে অধিকতর হজম করার জন্য ক্ষুদ্রান্তে pH এর মান 8 অর্থাৎ ক্ষারকীয় অবস্থা প্রয়োজন ।
রক্তের pH এর মান 7.35 থেকে 7.45 এবং প্রসাবের pH মান 6 থাকা প্রয়োজন । কতকগুলো রোগ নির্ণয়ের জন্য pH এর মান জানা আবশ্যক ।
দেহত্বক
দেহত্বক এর জন্য আদর্শ pH এর মান 5.5 । ত্বকের pH এর মান 5.5 থেকে 6.5 এর মাঝে থাকলে ত্বক বিভিন্ন এলার্জেন, ব্যাকটেরিয়া এবং পরিবেশ দূষকের আক্রমন প্রতিরোথ করতে পারে ।
pH এর মান 4 থেকে 6 এর মাঝে হলে চুলের কিউটিকলগুলো মসৃণ থাকে । ফলে চুলগুলো সমভাবে আলো বিকিরণ করে এবং উজ্জল দেখায় ।
এসিড বৃষ্টি
সাধারণত বৃষ্টির পানি কিছুটা এসিডিক। এর pH মান 5.6, কারণ বৃষ্টির পানিতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস ও নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস দ্রবীভূত থাকে। জীবজগতের সকল সদস্য শ্বাসক্রিয়ার সময় বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ করে। যে কোনো অগ্নিকাণ্ড, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে প্রাকৃতিক ভাবে বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড জমা হয়।
ইটভাটা, কলকারখানা ও গাড়ির ধোঁয়া পরিবেশে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস নিঃসরণ করে। বজ্রপাতের সময় বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
অন্তঃদহন ইঞ্জিনে পেট্রোলিয়াম পোড়ানোর সময়েও নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয় এবং তা বায়ুমণ্ডলে মুক্ত হয়।
কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড বাতাসে উপস্থিত পানির সাথে বিক্রিয়ায় এসিড উৎপন্ন করে।
এসিডবৃষ্টির ফলে জলাশয় ও মাটির pH মান 4 বা 4 -এর চেয়ে কমে যায়। অর্থাৎ মাটি ও পানি এসিডিক হয়ে যায়। এতে জীববৈচিত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বহু জীব বিলুপ্ত হয়।
আরও পড়ুন :
সাবান তৈরির পদ্ধতিসহ এমসিকিউ ও সমাধান প্রশ্নের
পানির খরতা
পানিতে ধাতুসমূহের বাই-কার্বনেট লবণ দ্রবীভূত থাকলে পানির খরতা অস্থায়ী ধরনের। পানিকে উত্তাপে ফুটালে পানির অস্থায়ী খরতা দূর হয়।
অপরপক্ষে পানিতে ধাতুসমূহের ক্লোরাইড বা সালফেট লবণ পানিতে দ্রবীভূত থাকলে পানির খরতা সহজে দূরীভূত করা যায় না। পানির স্থায়ী খরতা দূর করার কয়েকটি পদ্ধতি হলো:
১. সোডা পদ্ধতি ২. পারমুটিট পদ্ধতি ৩. আয়ন বিনিময় রেজিন পদ্ধতি ইত্যাদি
পানির pH
পানির pH মান 4.5 থেকে কম এবং 9.5 অপেক্ষা বেশি হলে তা জীবের জন্য প্রাণনাশক। pH
পেপার বা pH মিটার ব্যবহার করে pH মান নির্ণয় করা যায়।
BOD
BOD মানে জৈব রাসায়নিক অক্সিজেনের চাহিদা। কোনো পানিতে (BOD) মান বেশি হলে ঐ পানি দূষিত। বায়ুর উপস্থিতিতে পানিতে উপস্থিত সকল জৈব বস্তুকে ভাঙতে
যে পরিমাণ অক্সিজেন প্রয়োজন তা বিওডি। একটি জলাশয়ের পানিতে কী পরিমাণ অক্সিজেন আছে তা মেপে নিতে হবে।
অতঃপর 100 মি.লি. আয়তনের একটি বোতল ঐ জলাশয়ের পানি দিয়ে এমনভাবে পূর্ণ করে বোতলের মুখ বন্ধ করা হয় যাতে বোতলে কোনো বায়ু না থাকে। বোতলটিকে 200
হয়।
এই দুই মানের পার্থক্য থেকে (BOD) মান জানা যায়। অম্ল ক্ষারক ও লবণ
COD
COD মানে রাসায়নিক অক্সিজেন চাহিদা। পানিতে মোট কতটুকু রাসানিক দ্রব্য আছে তাহা বুঝানোর জন্য (COD) মান ব্যবহার করা হয়।
বিশেষভাবে নদী-নালা-ঝিলের পানিতে জৈব দূষক এর মাত্রা মেপে পানির গুণাগুণ বিশ্লেষণ করা হয়। পানির COD মান বেশি হলে পানিদূষণের মাত্রা বেশি হয়।
BOD এবং COD
BOD ও COD কে মিলিগ্রাম/লিটার বা পিপিএম (ppm : parts per million) এককে প্রকাশ করা হয়।
১ ppm = প্রতি লিটার দ্রবণে 1 মিলিগ্রাম দ্রব
থিতানো
এক বালতি পানিতে ১ চামচ ফিটকিরি (
এভাবে পানি থেকে অদ্রবণীয় দূষক দূর করা যায়।
ক্ষারক কি
ক্ষারক (Bases) : যেসব যৌগ অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ ও জল উৎপন্ন করে তাদের ক্ষারক বলে । ধাতু বা ধাতুধর্মী মূলকের অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড কে সাধারণত ক্ষারক বলে ।
যেমন — সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOH), পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড (KOH), ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড (Ca(OH)2), অ্যামোনিয়াম হাইড্রক্সাইড (NH4OH) ইত্যাদি ।
ক্ষারক (Bases):
যে সমস্ত ধাতব অক্সাইড বা হাইড্রক্সাইড অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবন ও জল উৎপন্ন করে, তাদের ক্ষারক বলে।
যেমন, ক্যালশিয়াম অক্সাইড (CaOCaO), ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড (MgOMgO), সোডিয়াম মনোক্সাইড (Na2ONa2O),
সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOHNaOH), ক্যালশিয়াম হাইড্রক্সাইড (Ca(OH)2Ca(OH)2), অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড (Al(OH)3Al(OH)3) ইত্যাদি।
CaO+2HCl=CaCl2+H2OCaO+2HCl=CaCl2+H2O
NaOH+HCl=NaCl+H2ONaOH+HCl=NaCl+H2O
MgO+2HCl=MgCl2+H2OMgO+2HCl=MgCl2+H2O
ক্ষারকের কিছু ব্যতিক্রম:
1. অধিকাংশ ধাতব অক্সাইড বা হাইড্রক্সাইড ক্ষারক হলেও, কিছু কিছু ধাতুর অক্সাইড ক্সারক নয়। যেমন, ম্যাঙ্গানিজের অক্সাইডগুলি হল MnOMnO, Mn2O3Mn2O3, Mn3O4Mn3O4। এদের মধ্যে MnOMnO এবং Mn2O3Mn2O3 ক্ষারক হলেও Mn3O4Mn3O4 ক্ষারক নয়।
2. আবার কিছু কিছু যৌগ আছে যারা ধাতব অক্সাইড বা ধাতব হাইড্রক্সাইড নয়। কিন্তু তাদের মধ্যে ক্ষারকধর্ম বর্তমান।
যেমন, সোডিয়াম কার্বনেট (Na2CO3Na2CO3), সোডিয়াম বাইকার্বনেট (NaHCO3NaHCO3) যৌগদুটি আসলে লবন। তবুও এরা অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবন, জল ও কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2↑CO2↑) গ্যাস উৎপন্ন করে।
3. অ্যামোনিয়া (NH3NH3) ধাতব অক্সাইড বা ধাতব হাইড্রক্সাইড নয়। অ্যামোনিয়া (NH3NH3) অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবন ও জলও উৎপন্ন করে না।
কিন্তু জলীয় দ্রবণে অ্যামোনিয়া, অ্যামোনিয়াম হাইড্রক্সাইড (NH4OHNH4OH) উৎপন্ন করে যা আয়নে বিয়োজিত হয়ে অ্যানায়নরূপে OH−OH− আয়ন দেয়। সেইজন্য অ্যামোনিয়াকে (NH3NH3) ক্ষারক বলা হয়।
NH3+HCl=NH4ClNH3+HCl=NH4Cl
NH3+H2O=NH4OHNH3+H2O=NH4OH
4. কিছু কিছু জৈব যৌগ আছে, যাদের মধ্যে ক্ষারকের ধর্ম বর্তমান। অথচ এরা ধাতব অক্সাইড বা হাইড্রক্সাইড নয়।
যেমন, মিথাইল অ্যামিন (CH3NH2CH3NH2), অ্যানিলিন (C6H5NH2C6H5NH2) ইত্যাদি।
ক্ষার কি (Alkali):
যেসমস্ত ক্ষারকধর্মী ধাতব অক্সাইড বা ধাতব হাইড্রক্সাইড জলে দ্রাব্য, তাদের ক্ষার (Alkali) বলে:
যেমন, ক্যালশিয়াম অক্সাইড (CaOCaO), ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড (MgOMgO), সোডিয়াম মনোক্সাইড (Na2ONa2O), সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOHNaOH),
পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড (KOHKOH), ক্যালশিয়াম হাইড্রক্সাইড (Ca(OH)2Ca(OH)2) ইত্যাদি ধাতব অক্সাইড বা ধাতব হাইড্রক্সাইড গুলি জলে দ্রাব্য। তাই এরা ক্ষার (Alkali)। আবার ক্ষারকও বটে।
কিন্তু
অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড (Al(OH)3Al(OH)3), জিঙ্ক হাইড্রক্সাইড (Zn(OH)2Zn(OH)2), ফেরিক হাইড্রক্সাইড (Fe(OH)3Fe(OH)3), জিঙ্ক অক্সাইড (ZnOZnO),
ফেরিক অক্সাইড (FeOFeO) এরা জলে দ্রবীভূত হতে পারে না। তাই এরা ক্ষারক হলেও ক্ষার নয়।
আরহেনিয়াসের আয়নীয়তত্ত্ব অনুযায়ী ক্ষারের সংজ্ঞা:
যে সমস্ত যৌগ জলীয় দ্রবণে আয়নিত হয়ে বা বিয়োজিত হয়ে অ্যানায়ন রূপে কেবলমাত্র হাইড্রক্সিল আয়ন OH−OH− উৎপন্ন করে, তাদের ক্ষার (Alkali) বলে।
যেমন,
CaO+H2O=Ca(OH)2CaO+H2O=Ca(OH)2, Ca(OH)2←→Ca+++2OH−Ca(OH)2←\vboxto.5ex\vss→Ca+++2OH−
MgO+H2O=Mg(OH)2MgO+H2O=Mg(OH)2, Mg(OH)2←→Mg+++2OH−Mg(OH)2←\vboxto.5ex\vss→Mg+++2OH−
ক্ষার এর বৈশিষ্ট্য:
1. ক্ষারমাত্রই জলীয় দ্রবণে আয়নিত হয়ে বা বিয়োজিত হয়ে অ্যানায়ন রূপে কেবলমাত্র হাইড্রক্সিল (OH−OH−) উৎপন্ন করে।
যেমন,
CaO+H2O=Ca(OH)2CaO+H2O=Ca(OH)2, Ca(OH)2←→Ca+++2OH−Ca(OH)2←\vboxto.5ex\vss→Ca+++2OH−
MgO+H2O=Mg(OH)2MgO+H2O=Mg(OH)2, Mg(OH)2←→Mg+++2OH−Mg(OH)2←\vboxto.5ex\vss→Mg+++2OH−
2. ক্ষার জলে দ্রবনীয় এবং জলীয় দ্রবণে পিচ্ছিল হয়।
3. ক্ষারের জলীয় দ্রবণ লাল লিটমাসকে নীল করে।
4. ক্ষার, অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ ও জল উৎপন্ন করে। যেমন,
HCl+NaOH=NaCl+H2OHCl+NaOH=NaCl+H2O
5. ক্ষার, ধাতব লবনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে, ধাতুটির হাইড্রক্সাইড যৌগ উৎপন্ন করে। যেমন,
CuCl2+2NaOH=2NaCl+Cu(OH)2CuCl2+2NaOH=2NaCl+Cu(OH)2
ক্ষারের সনাক্তকরণ:
1. ক্ষারের জলীয় দ্রবণে দু-তিন ফোঁটা লাল লিটমাস দ্রবণ যোগ করলে, দ্রবণটি নীল বর্ণের হয়ে যায়।
2. ক্ষারের দ্রবণে দু-তিন ফোঁটা ফেনলপথ্যালিন যোগ করলে, দ্রবণের বর্ণ গোলাপী হয়ে যায়।
এই প্রমানগুলি দ্বারা বোঝা যায়, যৌগটি একটি ক্ষার।
লঘু ক্ষারের ধর্ম
স্বাদ : সকল ক্ষার দ্রবণ কটু স্বাদ ও গন্ধ যুক্ত ।
অনুভব : স্পর্শে সকল ক্ষার পিচ্ছিল অনুভূত হয় ।
লিটমাস : ক্ষার লাল লিটমাসকে নীল করে ।
ক্লোরিনেশন কি
পানিকে জীবাণুমুক্ত করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ক্লোরিনেশন। পানিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার
যোগ করলে উৎপন্ন ক্লোরিন জীবাণুকে জারিত করে মেরে ফেলে।
পানিতে ব্লিচিং পাউডার যোগ করার পর ছেঁকে নিলে পানি পানযোগ্য হয়।
লবণ কী
লবণ (Salts) : অ্যাসিডের প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু, ধাতু বা অপর কোন ধাতুধর্মী মূলক দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিস্থাপিত হয়ে যে যৌগ উৎপন্ন হয় তাকে লবণ বলে ।
যেমন — ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (MgSO4), সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl), জিংক সালফেট (ZnSO4), অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (NH4Cl) ইত্যাদি ।
লবণ ও লবণের ধর্ম
লবণ (Salt)
অ্যাসিডের প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু ধাতু বা অপর কোন ধাতুধর্মী মূলক দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিস্থাপিত হয়ে যে যৌগ উৎপন্ন হয় তাকে লবণ বলে। যেমন- সোডিয়াম ক্লোরাইড,(NaCl), ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (MgSO4), জিংক সালফেট (ZnSO4), অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (NH4Cl) ইত্যাদি।
ও MgO + H2SO4 => MgSO4 +H2O
( ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (MgSO4) একটি লবণ )
NaOH + HCl =NaCl +H2O
( সোডিয়াম ক্লোরাইড,(NaCl) একটি লবণ )
এবং Zn + H2SO4 => ZnSO4 +H2
( জিংক সালফেট (ZnSO4) একটি লবণ )
ধাতু, ক্ষারক বা ক্ষারের সঙ্গে আংশিক বা সম্পূর্ণ বিক্রিয়ার ফলে হাইড্রোজেন বা জল ছাড়া অপর যে নতুন যৌগটি উৎপন্ন হয় তাকে লবণ বলে ।
লবন এর দুটি অংশে থাকে । ধাতু বা ধাতুধর্মী তড়িৎ ধনাত্মক অংশটিকে ক্ষারকীয় মূলক (basic radical) এবং অধাতু বা অ্যাসিডধর্মী তড়িৎ ঋনাত্বক অংশটিকে অ্যাসিড মূলক (acid radical) বলে।
লবণের প্রকারভেদ (Classification of Salts)
লবণ কে সাধারণত তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় । যথা –1. নরমাল বা শমিত লবণ, 2. অ্যাসিড লবণ, 3. ক্ষারকীয় লবণ।
নরমাল বা শমিত লবণ (Normal Salt)
কোন অ্যাসিডের প্রতিস্থাপনীয় সমস্ত হাইড্রোজেন পরমাণু ধাতু বা ধাতুধর্মী তড়িৎ ধনাত্মক মূলক দ্বারা সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপিত হয়ে যে লবণ উৎপন্ন হয় তাকে নরমাল বা শমিত লবণ (Normal Salt) বলে।
যেমন- সোডিয়াম ক্লোরাইড,(NaCl), ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCO3), অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (NH4Cl), জিংক সালফেট (ZnSO4) — ইত্যাদি
2Na + 2HCl = 2NaCl + H2
ও 2NH4OH + H2SO4 =(NH4)2SO4 + 2H2O
অ্যাসিড লবণ (Acid Salt or bi-salt)
কোন অ্যাসিডের একাধিক প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণুর ধাতু বা ধাতুধর্মী তড়িৎ ধনাত্মক মৌল দ্বারা আংশিকভাবে প্রতিস্থাপিত হয়ে যে লবণ উৎপন্ন হয় তাকে অ্যাসিড লবণ (Acid Salt or bi-salt) বলে। যেমন- ক্যালসিয়াম বাই কার্বনেট CaH(CO3)2, সোডিয়াম বাই কার্বনেট NaHCO3, সোডিয়াম বাই সালফেট NaHSO4 , সোডিয়াম ডাই হাইড্রোজেন ফসফেট NaH2PO4 ইত্যাদি।
এবং H2SO4 +NaOH = NaHSO4 + H2O
ক্ষারকীয় লবণ (Basic Salt)
কোন ক্ষারকের এর সমস্ত হাইড্রক্সিল মূলক অধাতু বা অ্যাসিড মূলক দ্বারা আংশিকভাবে প্রতিস্থাপিত হয়ে যে লবণ উৎপন্ন হয় তাকে তাকে ক্ষারকীয় লবণ (Basic Salt) লবণ বলে।
যেমন-ক্ষারকীয় কপার কার্বনেট CuCO3, Cu(OH)2 , বেসিক লেড ক্লোরাইড Pb(OH)Cl, বেসিক জিংক ক্লোরাইড Zn(OH)Cl, বেসিক লেড নাইট্রেট Pb(OH)NO3 ইত্যাদি।
Pb(OH)2 + HNO3 = Pb(OH)NO3 +2H2O
এছাড়াও আরেক ধরনের লবণ প্রকৃতিতে পাওয়া – যুগ্ম লবণ (Double Salt)
যুগ্ম লবণ (Double Salt)
দুটি সরল লবণ নির্দিষ্ট আণবিক অনুপাতে যুক্ত হয়ে এমন একটি নতুন লবণ সৃষ্টি করে যা কঠিন অবস্থায় স্থায়ী কিন্তু জলীয় দ্রবণে প্রায় সম্পূর্ণ রূপে তড়িৎ বিয়োজিত হয়ে উপাদান লবণ দুটির আয়ন উৎপন্ন করে, তাকে যুগ্ম লবণ বলে । যেমন-
মোর লবণ (Mohr salt) FeSO4, (NH4)2SO4, 6H2O
ক্রোম আলাম K2SO4, Cr2(SO4)3, 24H2O
— ইত্যাদি
১. দুর্বল এসিড – যে সকল এসিড পানিতে আংশিকভাবে বিয়োজিত হয় অর্থাৎ যতগুলো এসিডের অণু থাকে তার সবগুলো হাইড্রোজেন আয়ন(H+) তৈরি করে না।
জৈব এসিডসমূহ দুর্বল এসিডের অন্তর্ভুক্ত। উদাহরণঃ এসিটিক এসিড(CH3COOH),সাইট্রিক এসিড(C6H8O7) ও অক্সালিক এসিড(HOOC-COOH) । ব্যতিক্রমঃ কার্বোনিক এসিড(H2CO3) ইহা জৈব এসিড নয় কিন্তু দুর্বল এসিড।
২. শক্তিশালী এসিড – যে সকল খনিজ এসিড পানিতে পুরোপুরি বিয়োজিত হয় অর্থাৎ যতগুলো এসিডের অণু থাকে তার সবগুলো হাইড্রোজেন আয়ন(H+) তৈরি করে।
উদাহরণঃ সালফিউরিক এসিড(H2SO4),নাইট্রিক এসিড(HNO3) ও হাইড্রোক্লোরিক এসিড(HCl)
৩. ভিটামিন সি/এসকরবিক এসিড – ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়।
৪. আম,জলপাই ইত্যাদির আচার সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয় – ভিনেগার বা এসিটিক এসিড(CH3COOH)
৫. বোরহানি বা দই –এ বিদ্যমান এসিডের নাম – ল্যাকটিক এসিড ; হজমে সহায়তা করে ।
৬. পাউরুটি ফোলাতে ব্যবহৃত হয় – বেকিং সোডা। তাপ দিলে বেকিং সোডা ভেঙে কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়, যা পাউরুটি ফুলিয়ে তোলে।
৭. টয়লেট পরিষ্কারকের মূল উপাদান – শক্তিশালী এসিড HCl,HNO3,H2SO4
৮. সৌর প্যানেল, IPS(Instant Power Supply) বা গাড়িতে যে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় তার অত্যাবশ্যকীয় উপাদান – সালফিউরিক এসিড
৯. বোলতা/ভীমরুল ও বিচ্ছুর হুলে থাকে – হিস্টামিন নামক ক্ষারক।মলম হিসেবে ব্যবহার করা হয় ভিনেগার বা বেকিং সোডা যেগুলো এসিড। এসিড ক্ষারক বিক্রিয়ায় জ্বালা প্রশমিত হয়।
১০. সার কারখানায় রাসায়নিক সার যেভাবে তৈরি হয় –
ফসফরিক এসিড[H3(PO4)] থেকে – অ্যামোনিয়াম ফসফেট [(NH4)3 PO4]
সালফিউরিক এসিড থেকে – অ্যামোনিয়াম সালফেট [(NH4)2 SO4]
নাইট্রিক এসিড থেকে – অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট NH4 NO3 অম্ল ক্ষারক ও লবণ
১১. এসিড ছোড়ার শাস্তি – যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত (নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী)
১২. pH কী – কোনো একটি জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রার[H+] নেগেটিভ লগারিদমকে pH বলে। pH এর মান কোনো দ্রবণের অম্ল ,ক্ষারক বা নিরপেক্ষতা নির্দেশ করে। যেমনঃ
কোনো দ্রবণের pH = ৭ হলে তা নিরপেক্ষ জলীয় দ্রবণ বা বিশুদ্ধ পানি হবে ।
তাহলে কোনো দ্রবণের pH < ৭ হলে তা অম্লীয় বা এসিডীয় দ্রবণ ।
এবং কোনো দ্রবণের pH > ৭ হলে তা ক্ষারীয় দ্রবণ।
১৩. আমাদের ধমনীর রক্তের pH – প্রায় ৭.৪(~০.৪ হেরফের হলে মারাত্মক বিপর্যয় এমনকি মৃত্যু হতে পারে)
১৪. জিহ্বার লালার সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে প্রয়োজনীয় pH হলো – ৬.৬
১৫. আমাদের পাকস্থলীতে খাদ্য হজম করতে দরকারি pH হলো – ২ (~০.৫ হেরফের হলে বদহজম সৃষ্টি করে)
১৬.আমাদের প্রসাবের স্বাভাবিক pH হলো- ৭ এর কম
১৭. মাটির pH – ৪ থেকে ৮ হয়ে থাকে।
১৮. নবজাতক শিশুর ত্বকের pH – ৭ এর কাছাকাছি
১৯. এসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয় – নিরপেক্ষ পদার্থ লবণ এবং পানি
২০. ক্ষারক লাল বর্ণের লিটমাস কাগজের রং পরিবর্তন করে নীল করে।
ক্ষারক কমলা বর্ণের মিথাইল অরেঞ্জের রং পরিবর্তন করে হলুদ করে।
আর ক্ষারক লাল বর্ণের মিথাইল রেডের রং পরিবর্তন করে হলুদ করে।
এবং ক্ষারক বর্ণহীন ফেনলফথ্যালিনের রং পরিবর্তন করে গোলাপি করে; ফেনলফথ্যালিন(Phenolphthalein) একটি বর্ণহীন দুর্বল এসিড।
বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা
কৃষি জমিতে প্রধানত চুন ব্যবহার করা হয় –
উত্তর: মাটির অম্লতা হ্রাসের জন্য।
নিম্নের কোনটি বেকিং পাউডারের মূল উপাদান?
উত্তর:- সোডিয়াম বাই কার্বনেট
ফুল ও ফলের মিষ্টি গন্ধের জন্য দায়ী কোনটি?
উত্তর:- এস্টার।
পাকা কলায় কোন এস্টার থাকে?
উত্তর:- অ্যামাইল অ্যাসিটেট।-
পাকা আনারসে কোন এস্টার থাকে?
উত্তর:- ইথাইল বিউটারেট।
বোলতা,মৌমাছি ও লাল পিঁপড়া প্রভৃতির কামড়ে কি থাকে?
উত্তর:- ফরমিক এসিড(মিথানয়িক এসিড)।
কাপড়ে কালির দাগ লাগলে কিভাবে উঠানো যায়?
উত্তর:- দাগের উপর লেবুর রস
দিয়ে ঘষে।
লেবুর রসে থাকে..
উত্তর:- সাইট্রিক এসিড।
আমলকিতে থাকে..
উত্তর:- অক্সালিক এসিড।
আপেল,টমেটোতে থাকে..
উত্তর:- ম্যালিক এসিড।
তেতুল বা আঙ্গুরে থাকে..
উত্তর:- টারটারিক এসিড।
কমলালেবুতে থাকে..
উত্তর:- অ্যাসকরবিক এসিড।
দুধে থাকে..
উত্তর:- ল্যাকটিক এসিড।- কচু খেলে চুলকায় কেন ?
উত্তর:- ক্যালসিয়াম অক্সালেট থাকার কারণে
ব্লিচিং পাউডারের রাসায়নিক নাম
উত্তর:- ক্যালসিয়াম ক্লোরো হাইপো ক্লোরাইড-
ডেটলের প্রধান উপাদান
উত্তর:- ট্রাইক্লোরোফেনল
- আমাদের খাদ্যদ্রব্য হজম করার জন্য পাকস্থলীতে অত্যাবশকীয় এসিড
উত্তর:- হাইড্রোক্লোরিক এসিড
“অ্যালুমিনিয়াম সালফেটকে” চলতি বাংলায় কী বলে…..?
উত্তর:- ফিটকিরি
সলিড ফিনাইল ব্যবহার করা হয়_
উত্তর:- পায়খানা ও প্রসাব খানায়
সাপের উপদ্রব কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয় কোন এসিড?
➟ কার্বোলিক এসিড
সোনার গহনা তৈরির সময় ব্যবহৃত হয় কোন এসিড?
➟ নাইট্রিক এসিড
মানুষের খাদ্যের মধ্যে অবস্থিত এসিডগুলো হল?
➟ জৈব এসিড
পাকস্থলীতে খাদ্যদ্রব্য হজমে কাজ করে কোন এসিড?
➟ হাইড্রোক্লোরিক এসিড
এসিডের সাথে ক্ষারকের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়__?
উত্তর:- লবণ ও পানি
আম , জলপাই ইত্যাদি নানা রকম আচার সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়
= এসিডির এসিড বা ভিনেগার
টেস্টিং সল্ট -এর রাসায়নিক নাম কী ?
=সোডিয়াম মনোগ্লুটামেট
◈ যদি পানির PH এর মান ৭ হয়, তবে তা –
=নিরপেক্ষ পানি
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. টমেটোতে কোন এসিড থাকে?
উত্তর : অক্সালিক এসিড।
প্রশ্ন-২. কোন এসিড খাওয়া যায়?
উত্তর : CH3COOH।
প্রশ্ন-৩. কোনটিতে সাইট্রিক এসিড রয়েছে?
উত্তর : কমলা।
প্রশ্ন-৪. ভিনেগারের রাসায়নিক নাম কী?
উত্তর : এসিটিক এসিড।
প্রশ্ন-৫. তেঁতুলে কোন এসিড থাকে?
উত্তর : টারটারিক।
প্রশ্ন-৬. আঙুর ফলে কোন এসিড থাকে?
উত্তর : সাইট্রিক এসিড।
অম্ল ক্ষারক ও লবণ
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তরপ্রশ্ন-
১. লবণ কি?
উত্তর : লবণ হচ্ছে একটি যৌগিক পদার্থ, যা মূলত সোডিয়াম ও ক্লোরিন নামের দুই রকম মৌলিক পদার্থের উপাদান দিয়ে তৈরি।
প্রশ্ন-২. লবণের রাসায়নিক নাম কি?
উত্তর : লবণের রাসায়নিক নাম হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)।
প্রশ্ন-৩. ক্ষার কি?
উত্তর : ক্ষার হলো সেই সমস্ত ক্ষারক যারা পানিতে দ্রবীভূত হয়।
প্রশ্ন-৪. নির্দেশক কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল পদার্থ নিজেদের রং পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি বস্তু অম্ল না ক্ষার বা কোনটিই নয় তা নির্দেশ করে তাদেরকে নির্দেশক বলে।
প্রশ্ন-৫. কী থেকে লিটমাস কাগজ তৈরি হয়?
উত্তর : লাইকেন নামক এক ধরনের গাছ থেকে প্রাপ্ত রস থেকে লিটমাস কাগজ তৈরি করা হয়।
প্রশ্ন-৬. সংকেত কাকে বলে?
উত্তর : কোন মৌল বা যৌগের অণুর সংক্ষিপ্ত রূপকে সংকেত বলে।
প্রশ্ন-৭. তড়িৎ বিশ্লেষ্য কাকে বলে?
উত্তর : যে সমস্ত পদার্থ দ্রবীভূত বা গলিত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে তাকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলে।
প্রশ্ন-৮. রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে?
উত্তর : একটি যৌগ অথবা একাধিক মৌল বা যৌগের মধ্যে পারস্পারিক রাসায়নিক পরিবর্তন যে সকল চিহ্ন, প্রতীক ও সংকেতের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করা হয় তাকে রাসায়নিক সমীকরণ বলে।
প্রশ্ন-৯. যোজনী কাকে বলে?
উত্তর : কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ কক্ষপথে যত সংখ্যক ইলেকট্রন থাকে অথবা যত সংখ্যক বেজোড় ইলেকট্রন থাকে তাকে ঐ মৌলের যোজনী বা যোজ্যতা বলে।
প্রশ্ন-১০. ভিনেগার এর সংকেত লিখ।
উত্তর : ভিনেগার এর রাসায়নিক সংকেত CH3COOH।
প্রশ্ন-১১. লেবু ও আনারসে কী এসিড থাকে?
উত্তর : লেবু ও আনারসে যথাক্রমে সাইট্রিক এসিড ও ম্যালিক এসিড থাকে।
প্রশ্ন-১২. এসিড কি?
উত্তর : এসিড হলো ঐসব রাসায়নিক পদার্থ যাদের মধ্যে এক বা একাধিক হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং যা জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) উৎপন্ন করে।
প্রশ্ন-১৩. ক্ষারক কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল যৌগ পানিতে হাইড্রোক্সাইড আয়ন প্রদান করে, সে সকল যৌগকে ক্ষারক বলে।
প্রশ্ন-১৪. আমলকিতে বিদ্যমান এসিডের নাম কি?
উত্তর : আমলকিতে এসকরবিক এসিড থাকে।
প্রশ্ন-১৫. ফসফরিক এসিডের সংকেত লেখো।
উত্তর : ফসফরিক এসিডের সংকেত হলো H2PO4।
প্রশ্ন-১৬. অক্সালিক এসিডের সংকেত লেখো।
উত্তর : অক্সালিক এসিডের সংকেত হলো HOOC-COOH.
প্রশ্ন-১৭. এসিটিক এসিডের সংকেত কী?
উত্তর : এসিটিক এসিডের সংকেত হলো CH3COOH.
প্রশ্ন-১৮. খনিজ এসিড কী?
উত্তর : প্রকৃতিতে প্রাপ্ত নানা রকম খনিজ পদার্থ থেকে উৎপন্ন এসিডকে খনিজ এসিড বলে।
প্রশ্ন-১৯. মানুষের পাকস্থলীতে কোন এসিড থাকে?
উত্তর : মানুষের পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড থাকে।
প্রশ্ন-২০. পারক্লোরিক এসিডের সংকেত কী?
উত্তর : পারক্লোরিক এসিডের সংকেত হলো HClO4।
প্রশ্ন-২১. অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সংকেত লেখো।
উত্তর : অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সংকেত হলো NH4NO3।
প্রশ্ন-২২. জৈব এসিড কাকে বলে?
উত্তর : ফলমূল বা সবজিতে বিদ্যমান এসিড, যেগুলোকে খাওয়া যায় তাদেরকে জৈব এসিড বলে।
প্রশ্ন-২৩. Milk of lime কী?
উত্তর : পানি ও ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের তৈরি ঘন পেস্ট Milk of lime নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-২৪. মিল্ক অব ম্যাগনেসিয়াম কী?
উত্তর : ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড [Mg(OH)2] এর সাসপেনশনকে বলা হয় মিল্ক অব ম্যাগনেসিয়াম।
প্রশ্ন-২৫. মিল্ক অব লাইমের সংকেত লেখো।
উত্তর : মিল্ক অব লাইমের সংকেত হলো Ca(OH)2।
প্রশ্ন-২৬. Lime Water কী?
উত্তর : ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের পাতলা দ্রবণকে Lime Water বলে।
প্রশ্ন-২৭. চুনের পানির রাসায়নিক নাম কী?
উত্তর : চুনের পানির রাসায়নিক নাম ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড।
প্রশ্ন-২৮. খাবার সোডা কী?
উত্তর : খাবার সোডার রাসায়নিক নাম হলো সোডিয়াম বাইকার্বনেট এবং এর সংকেত NaHCO3।
প্রশ্ন-২৯. তড়িৎ বিশ্লেষ্য কাকে বলে?
উত্তর : যেসব পদার্থ তড়িৎ প্রবাহের ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে অন্য পদার্থে পরিণত হয় তাদেরকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলে।
প্রশ্ন-৩০. লিটমাস কী?
উত্তর : ক্ষার বা এসিড দ্রবণের প্রকৃতি নির্দেশক হচ্ছে লিটমাস।
প্রশ্ন-৩১. Mg (OH)2 এর সাসপেনশনকে কী বলে?
উত্তর : Mg (OH)2 এর সাসপেনশনকে এন্টাসিড বলে।
অম্ল ক্ষারক ও লবণ
এসিড-ক্ষার সমতা
১. পৃথিবীর খনিজ জ্বালানি কত বছরে ফুরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?
ক) ৫০ বছরে
খ) ৫০০ বছরে
গ) ১০০ বছরে
ঘ) ২০০ বছরে
সঠিক উত্তর: (গ)
২. খাদ্যকে অধিকতর হজম করার জন্য ক্ষুদ্রান্তে কোন অবস্থার প্রয়োজন?
ক) ক্ষারকীয়
খ) এসিডিক
গ) নিরপেক্ষ
ঘ) লবণাক্ত অবস্থা
সঠিক উত্তর: (ক)
৩. রাসায়নিক পদার্থের ক্ষেত্রে ভালো ফলাফলের জন্য কোনটি অত্যন্ত জরুরি?
ক) সচেতনতা
খ) পরিমিত ব্যবহার
গ) পদার্থের গুণাগুণ
ঘ) সুস্পষ্টজ্ঞান
সঠিক উত্তর: (খ) অম্ল ক্ষারক ও লবণ
৪. টয়লেট ক্লিনার হিসেবে কোনটি ব্যবহার করা হয়?
ক) NH3
খ) Ca(OH)2
গ) NaOH
ঘ) HCI
সঠিক উত্তর: (গ)
৫. আন্তর্জাতিক রশ্মি চিহ্নটি কত সালে প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল?
ক) ১৮৪৬
খ) ১৯৪৬
গ) ১৮৬৬
ঘ) ১৯৩৬
সঠিক উত্তর: (খ)
৬. কাপড় তৈরির মূল উপাদান কোনটি?
ক) সুতা
খ) তন্তু
গ) রঙ
ঘ) রেশম
সঠিক উত্তর: (খ)
৭. উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃতদেহের রাসায়নিক পরিবর্তন-
ক) তাপ
খ) চাপ
গ) অণুজীব
ঘ) সবগুলো
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৮. মোম কোন কোন মৌলের সমন্বয়ে গঠিত যৌগ?
ক) N2 ও H2
খ) S ও O2
গ) C ও H2
ঘ) O2 ও C
সঠিক উত্তর: (গ)
৯. পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়াগুলো দেওয়া হল, তা লক্ষ্য কর-
i. ক্লোরিনেশন
ii. ফুটানো, থিতানো
iii. ছাঁকন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও ii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)
১০. বেকিং পাউডারের মিশ্রণে ক্ষার জাতীয় পদার্থ কোনটি?
ক) অ্যাসিটিক এসিড
খ) সাইট্রিক এসিড
গ) টারটারিক এসিড
ঘ) অক্সালিক এসিড
সঠিক উত্তর: (গ)
১১. কোনটি ভঙ্গুর?
ক) লোহা
খ) মরিচা
গ) রাবার
ঘ) স্বর্ণ
সঠিক উত্তর: (খ)
১২. বৃস্টি পানিতে কোন গ্যাস দ্রবীভূত থাকে?
ক) CO2
খ) NO2
গ) CO2 ও NO2
ঘ) CO
সঠিক উত্তর: (গ)
১৩. কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স এর সাহায্যে নিচের কোনটি সম্ভব?
ক) তত্ত্বীয় জ্ঞানার্জন
খ) সূত্রপ্রদান ও গাণিতিক সম্পর্ক
গ) পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যা
ঘ) মূলনীতির ব্যাখ্যা
সঠিক উত্তর: (গ)
১৪. ক্ষণস্থায়ী এসিড কোনটি?
ক) HNO2
খ) HNO3
গ) H3PO4
ঘ) HCI
সঠিক উত্তর: (ক) অম্ল ক্ষারক ও লবণ
১৫. যে সকল পদার্থ এসিডকে প্রশমিত করে এর বৈশিষ্ট্যসূচক ধর্ম বিলুপ্ত করে তাকে কি বলে?
ক) এসিড
খ) ক্ষারক
গ) লবণ
ঘ) pH
সঠিক উত্তর: (খ)
১৬. অম্লীয় লবণ কোনটি?
ক) FeCI2
খ) KCI
গ) MgO
ঘ) MgSO4
সঠিক উত্তর: (ক)
১৭. দেহ ত্বকের জন্য আদর্শ pH মান কত হওয়া প্রয়োজন?
ক) 6
খ) 5.5-6.35
গ) 5.5
ঘ) 4-6
সঠিক উত্তর: (গ)
১৮. ‘অনুমিত সিদ্ধান্ত’-এর ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?
ক) Decision
খ) Inference
গ) Hypothesis
ঘ) Analysis
সঠিক উত্তর: (গ)
১৯. রসায়নের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত তথ্যগুলো লক্ষ কর-
(i) রসায়নের সাথে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও পরিবেশ বিজ্ঞানের যোগসূত্র রয়েছে
(ii) রসায়ন অন্যান্য বিজ্ঞানের ওপর নির্ভরশীল নয়
(iii) রসায়ন হলো প্রধান বিজ্ঞানগুলোর অন্যতম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)
২০. রাসায়নিক প্রক্রিয়ার উদাহরণ হচ্ছে-
(i) ফল পাকা
(ii) বরফ গলা
(iii) মোমের দহন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)
২১. গাঢ় নাইট্রিক এসিড কি রংয়ের বোতলে সংরক্ষণ করা হয়?
ক) সাদা
খ) হলুদ
গ) স্বচ্ছ
ঘ) বাদামি
সঠিক উত্তর: (ঘ) অম্ল ক্ষারক ও লবণ
২২. লেবুতে কোন ভিটামিন বেশি রয়েছে?
ক) ভিটামিন-এ
খ) ভিটামিন-সি
গ) ভিটামিন-বি
ঘ) ভিটামিন-ডি
সঠিক উত্তর: (খ)
২৩. ডিটারজেন্ট কী ধরনের পদার্থ?
ক) পরিষ্কারক
খ) জীবাণুনাশক
গ) রোগ-প্রতিরোধক
ঘ) বিস্ফোরক
সঠিক উত্তর: (খ)
২৪. HCI গ্যাস পানিতে দ্রবীভূত হলে কোনটি উৎপন্ন হয়?
ক) HCI এসিড
খ) H2SO4
গ) HNO3
ঘ) CH3COOH
সঠিক উত্তর: (ক)
২৫. নিচের কোনটি শক্তিশালী এসিড?
ক) এসিটিক এসিড
খ) সাইট্রিক এসিড
গ) অক্সালিক এসিড
ঘ) নাইট্রিক এসিড
সঠিক উত্তর: (ঘ)
২৬. কাঠ বা প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ালে উৎপন্ন হয়-
(i) CO
(ii) Heat
(iii) C কণা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)
২৭. এসিডের ধর্ম হলো-
(i) এসিড টক স্বাদযুক্ত
(ii) এসিড নীল লিটমাস পেপারকে লাল করে
(iii) এসিড ক্ষার বা ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)
২৮. মানুষের মুখে প্রচুর কি থাকে?
ক) ভাইরাস
খ) ব্যাকটেরিয়া
গ) শৈবাল
ঘ) সবগুলো
সঠিক উত্তর: (খ)
২৯. খাবার খেলে তা থেকে আমরা শক্তি পাই কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে?
ক) শ্বসন প্রক্রিয়া
খ) সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া
গ) বিপাক প্রক্রিয়া
ঘ) তাপীয় প্রক্রিয়া
সঠিক উত্তর: (গ)
৩০. খাবার পানিতে কী থাকে?
ক) অক্সিজেন
খ) হাইড্রোজেন
গ) খনিজ
ঘ) সবগুলো
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৩১. নিচের কোনটি রাসায়নিক পদার্থ নয়?
ক) কীটনাশক
খ) আলো
গ) অজৈব সার
ঘ) অ্যারোসল
সঠিক উত্তর: (খ) অম্ল ক্ষারক ও লবণ
৩২. কখন কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়?
ক) গ্যাস পোড়ালে
খ) কারখানায়
গ) কাঠপোড়ালে
ঘ) সবগুলো
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৩৩. লোহা+অক্সিজেন জলীয় বাষ্প?
ক) কার্বন ডাই অক্সাইড
খ) মরিচা
গ) ভেজা লোহা
ঘ) পারঅক্সাইড
সঠিক উত্তর: (খ)
৩৪. উদ্দীপকের বিক্রিয়ার মাধ্যমে 68g NH3 প্রস্তুত করতে কত গ্রাম H2 প্রয়োজন হবে?
ক) 6g
খ) 12g
গ) 24g
ঘ) 28g
সঠিক উত্তর: (খ)
৩৫. নিম্নের কোনটিতে জৈব যৌগ বিদ্যমান-
ক) খাদ্য লবণ
খ) সালফিউরিক এসিড
গ) কাঠ
ঘ) পানি
সঠিক উত্তর: (গ)
৩৬. সালফার ট্রাইঅক্সাইডের সাথে কি মিশ্রিত হয়ে ঘন কুয়াশার মত অবস্থা সৃষ্টি করে?
ক) H2O
খ) NO
গ) NO2
ঘ) SO2
সঠিক উত্তর: (ক)
৩৭. লেড ও জিঙ্ক সালফেটের বিক্রিয়াতে-
ক) লেড জারিত হয়
খ) লেড বিজারিত হয়
গ) জিঙ্ক সালফেট তৈরি হয়
ঘ) কোনো উৎপাদ পাওয়া যায় না
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৩৮. খর পানির ক্ষেত্রে-
i. আয়রন আয়ন একটি উপাদান
ii. সাবানের ফেনা উৎপন্ন হয় না
iii. বৃষ্টির পানি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও ii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)
৩৯. কাপড় তৈরির মূল উৎপাদন কোনটি?
ক) সুতা
খ) তন্তু
গ) রঙ
ঘ) রেশম
সঠিক উত্তর: (খ) অম্ল ক্ষারক ও লবণ
৪০. ব্যাকটেরিয়া যখন মানুষের মুখে লেগে থাকা খাবার খায় তখন কি উৎপন্ন হয়?
ক) ক্ষারক
খ) লবণ
গ) এসিড
ঘ) জীবাণু
সঠিক উত্তর: (গ)
৪১. অতিরিক্ত NaOH এ দ্রবীভূত হয় নিচের কোন আয়নগুলোর অধঃক্ষেপ?
i. অ্যালুমিনিয়াম আয়ন
ii. ফেরাস আয়ন
iii. কিউপ্রিক আয়ন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও ii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)
৪২. এসিড বৃষ্টির ফলে জলাশয় ও মাটির pH কত হয়?
ক) 4
খ) 5
গ) 6
ঘ) 7
সঠিক উত্তর: (ক)
৪৩. আমাদের পরিবেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন পরিবর্তনের সাথে কোনটি কোনো না কোনো ভাবে সম্পৃক্ত?
ক) পদার্থ
খ) গণিত
গ) জীববিজ্ঞান
ঘ) রাসায়নিক
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৪৪. এসিড বৃষ্টির ফলে-
i. জলীয় ও মাটির pH মান 4 এর চেয়ে কমে যায়
ii. মাটি ও এসিডিক হয়
iii. জীব বিলুপ্ত হয় না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও ii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)
৪৫. সমস্যা চিহ্নিতকরণ, অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রক্রিয়ার কোন ধাপ?
ক) প্রথম
খ) দ্বিতীয়
গ) তৃতীয়
ঘ) সর্বশেষ
সঠিক উত্তর: (ক)
৪৬. HNO2-
i. ক্ষণস্থায়ী
ii. NO2 ও H2O
iii. একটি এসিডীয় লবণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও ii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)
৪৭. বৃষ্টির পানিতে উপস্থিত থাকে?
ক) NaOH
খ) Ca(OH)2
গ) CaO
ঘ) H2CO3
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৪৮. pH মানের সাথে লিটমাস পেপারের বর্ণ হচ্ছে-
i. pH < 7 হলে বর্ণ লাল
ii. pH > 7 হলে বর্ণ নীল
iii. pH = 7 হলে বর্ণ নীল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও ii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)
৪৯. ধাতু ও লঘু এসিডের বিক্রিয়ায় কোন গ্যাসটি উৎপন্ন হয়?
ক) নাইট্রোজেন
খ) হাইড্রোজেন
গ) অক্সিজেন
ঘ) ক্লোরিন
সঠিক উত্তর: (খ)
৫০. স্বর্ণের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত তথ্যগুলো লক্ষ কর-
(i) অভিজাত ও মল্যবান ধাতু
(ii) খনি থেকে এ ধাতু সংগ্রহ করা হয়
(iii) খ্রিস্টপূর্ব ২৬০০ বছর পূর্বে ভারতীয়রা খনি থেকে স্বর্ণ আহরণ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i ও iii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ) অম্ল ক্ষারক ও লবণ
আমাদের পোষ্ট গুলো প্রতিনিয়ত আপডেট করা হয়। বিসিএস,প্রাইমারি সহ সব পরীক্ষার প্রতিনিয়ত প্রশ্ন অনুযায়ী পোষ্ট গুলো আমরা আপডেট করি।
সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।