Site icon 1 second school

ওজন কমানোর ৫ দারুণ কার্যকরী ও নিরাপদ পদ্ধতি

ওজন কমানোর উপায়

ওজন কমানোর ৫ দারুণ কার্যকরী ও নিরাপদ পদ্ধতি

শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য : নতুন বছরে নতুন চিন্তাভাবনা। নতুন প্রচেষ্টা। তার মধ্যে অবশ্যই সেই তালিকায় থাকা উচিত সুস্বাস্থ্য। কত কম সময়ের মধ্যে শরীরের মেদকে দ্রুত কমানো যায়, তার একটি প্রক্রিয়া নিশ্চয় তৈরি করা প্রয়োজন। ওজন কমানোর চিন্তাভাবনা থাকলেও সময়মতো নিজেকে সময় দিতে না পারায় সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হয়ে উঠছে না। 

আরও দেখুন : ডিমেনশিয়া রোগ নিয়ে যে ৬ ভুল ধারণা

তাই নতুন বছরের শুরু থেকেই শরীরে বাড়তি মেদ ছেঁটে ফেলার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেই ফেলুন। কিন্তু কীভাবে নিরাপদে ও দ্রুত এই অসম্ভব কাজ সম্ভব করবেন তা কখনও ভেবে দেখেছেন? নিরাপদে ওজন কমানোর জন্য় রয়েছে কিছু পদ্ধতি আর সেগুলি কী তা আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে দেখে নিন একনজরে-শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধি-

শারীরিক ক্রিয়াকলাপ হলো আপনার ওজন মারাত্মকভাবে হ্রাস করার সর্বোত্তম উপায়। প্রতিদিন ক্যালোরি বার্ন করতে এটি নিয়মিত করা দরকার। লক্ষ্য যদি ঠিক থাকে তাহলে স্বাস্থ্যকর ও অল্প ক্যালোরিযুক্ত খাবারের সঙ্গে ওয়ার্কআউটও পাশাপাশি করা উচিত। ৩০ মিনিট করে নিয়মিত ওয়ার্কআউট করুন। সঙ্গে সুষমং খাদ্য খান যেগুলি ওজন কমানোক জন্য আরও ভাল ফল দেয়। সাইকেল চালানো, হাঁটা, জগিং, সাঁতার কাটা এইগুলি পেশীকে যেমন শক্তিশালী করে তোলে তেমনি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

আরও জানুন : অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ কি জেনে নিন

খাওয়া সীমিত করুন-

খাদ্যগ্রহণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ থাকলে আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হবে। বয়সের ভিত্তিতে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা দরকার। যদি পদ্ধতিটি নিজের করে আনতে না পারেন তাহলে প্লেটের আকার ছোট করুন, চামচের আকার ছোট করে দিন। এই ভাবে দিনের জন্য খাওয়া খাবারের পরিমাণ নিশ্চিত করতে পারেন।

চিনি-যুক্ত খাবার খাওয়া চলবে না-

ওজন যদি কমাতেই চান, তাহলে চিনিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের সমস্যা তৈরি করতে চিনি হল একমাত্র খাবার। আপনার খাবারে স্বাদ আনে চিনির বিকল্প ও প্রাকৃতিক কিছু ব্যবহার করতে পারেন।

আরও জানুন : ঘরোয়া ৫ উপায় অ্যাসিডিটি দূর করার উপায়

সেফ ডায়েট প্ল্যান-

কম কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে আরও ফল ও সবজি যোগ করুন। ওজন কমানোর জন্য একটি সেফ ডায়েট প্ল্যান করা অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে ১ থেকে ২ কেজি ওজন কমানমোর চেষ্টা করলে প্রথমে দেখা উচিত খাবার গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে কত ক্যালোরি গ্রহণ করছেন। সবচেয়ে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিকল্পনা হিসেবে খাবারে ক্যালোরি পরিমাপ বুঝে ডায়েট প্ল্যান করা দরকার। স্বাস্থ্যকর ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত খাবারে গোটা শস্য, ওটস, গম ও কম পরিমাণে চাল যোগ করুন।

ওয়ার্কআউট শুরু করুন-

নতুন বছরে নতুন সংকল্প নেওয়া সকলেরই প্রয়োজন। নিজের শরীরের ভাল-মন্দ নিজে জানলেও ওজন কমানোর জন্য ডায়েট প্ল্যান নিয়ে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া খুবই প্রয়োজন। চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ীই নিজের ডায়েট প্ল্যান ও ওয়ার্কআউট শুরু করুন।

এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ!

Exit mobile version