বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ওমিক্রন নিয়ে আশার বাণী শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: মূল করোনাভাইরাস ও এটির অন্যান্য রূপান্তরিত ধরনগুলোর চেয়ে ওমিক্রন যে কম প্রাণঘাতী এবং অপেক্ষাকৃত মৃদ্যু উপসর্গ তৈরি করে- তার পক্ষে আরও প্রমাণ মিলেছে।

মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর ইনসিডেন্ট ম্যানেজার আবদি মাহমুদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ওমিক্রন নিয়ে যত গবেষণা হচ্ছে, সেসবের তথ্য আমাদের কাছে এসেছে। ডব্লিউএইচওর নিজস্ব গবেষণা ও অনুসন্ধানও রয়েছে। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে ওমিক্রন ভাইরাস মানুষের ফুসফুসকে সহজে আক্রমণ করে না; এটি মূলত নিজের বিস্তারের জন্য বেছে নেয় মানুষের নাসারন্ধ্র ও শ্বাসনালী অঞ্চলে।’

আরও পড়ুন : দেশে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া আরও ২৪ লাখ ৯১ হাজার ডোজ ফাইজার টিকা

‘এখানেই মূল করোনাভাইরাস ও এটির অন্যান্য রূপান্তরিত ধরনগুলোর সঙ্গে তফাৎ ওমিক্রনের। ওই ভাইরাসগুলো মানুষের নাসারন্ধ্র থেকে ফুসফুস- অর্থাৎ এই পুরো এলাকায় বিস্তার লাভ করে এবং অল্প সময়ের মধ্যে শ্বাসতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফেলে।

‘অন্যদিকে ওমিক্রন কেবল নাসারন্ধ্র ও শ্বাসনালীতে বিস্তারলাভ করায় ফুসফুস কিছুটা হলেও সুরক্ষিত থাকে। নিউমোনিয়া চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে মানুষ যেসব উপসর্গে ভোগে, ওমিক্রনে গুরুতর অসুস্থ হলেও প্রায় একই রকম উপসর্গ দেখা যায়।’

তবে কম প্রাণঘাতী হলেও উচ্চ সংক্রমণক্ষমতার কারণে সামনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে প্রাধান্য বিস্তারকারী ধরন হয়ে উঠবে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন আবদি মাহমুদ।

২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর বিশ্ববাসীকে প্রথম ওমিক্রন ভাইরাসের বিষয়ে তথ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি দেশে ইতোমধ্যে শনাক্ত হয়েছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী।

আরও দেখুন : নতুন ৫৫২ প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদের সন্ধান : ২০২১

সম্প্রতি এক গবেষণা প্রবন্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওমিক্রন ভাইরাসটি তুলনামূলকভাবে কম প্রাণঘাতী। আবদি মাহমুদের মঙ্গলবারের বক্তব্যেও তার ইঙ্গিত পাওয়া গেল।

ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে বিশেষ ধরনের টিকার প্রয়োজন হবে কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে আবদি আহমেদ বলেন, ‘এখনও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসেনি। তবে এক্ষেত্রে বাণিজ্যিক স্বার্থ বা দৃষ্টিভঙ্গিকে কোনো রকম প্রশ্রয় দেওয়ার পক্ষপাতী নয় ডব্লিউএইচও।’

এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *