1 second school

ডেঙ্গু ফিভার – ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার

ডেঙ্গু ফিভার : 1secondschool

শেয়ার করুন

Table of Contents

Toggle

ডেঙ্গু ফিভার

ডেঙ্গু ফিভার:  এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস মশার কামড়ে সংক্রমিত হয়। এটি বিশেষত বর্ষাকালে বা ভেজা মৌসুমে এটা বেশি দেখা যায়। ডেঙ্গু জ্বরকে উপেক্ষা করলে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে, তাই ডেঙ্গুর প্রতিরোধ এবং সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ডেঙ্গু রোগ কি ( dengue fever bangla)

এটি একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ যা ডেঙ্গু ভাইরাসের (DENV) কারণে হয়। এটি মূলত এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়, বিশেষত এডিস ইজিপ্টি এবং এডিস অ্যালবোপিকটাস প্রজাতির মশার মাধ্যমে। ডেঙ্গু রোগ মূলত উপক্রান্তীয় এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে দেখা যায়, যেখানে বর্ষাকালে মশার বংশবিস্তার বেড়ে যায়।

ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বর

রোগের প্রধান লক্ষণসমূহ হলো:

এ রোগকে দ্রুত চিকিৎসা করা না হলে এটি ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (DHF) বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (DSS)-এ পরিণত হতে পারে, যা প্রাণঘাতী হতে পারে। ডেঙ্গুর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মশা নিয়ন্ত্রণ করা এবং মশার কামড় থেকে বাঁচার উপায়গুলো মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও কারণ ( dengue jorer lokkhon )

ভাইরাসের (DENV) সংক্রমণের কারণে হয়, যা এডিস প্রজাতির মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। প্রধানত এডিস ইজিপ্টি এবং এডিস অ্যালবোপিকটাস নামক মশাগুলো ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে। এই মশাগুলো দিনে কামড়ায়, বিশেষত ভোর ও সন্ধ্যার সময়। রাতে কামরায় না।

প্রধান কারণগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

  1. মশার কামড় দিলে: ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত মশা একজন সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ানোর মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে দেয়। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে মশা রক্ত খাওয়ার সময় ভাইরাসটি গ্রহণ করে এবং এরপর সেই মশা অন্য সুস্থ ব্যক্তিকে কামড় দিলে ভাইরাসটি তার শরীরে প্রবেশ করে।
  2. মশার বংশবিস্তার ঘটে: এডিস মশা সাধারণত স্বচ্ছ, জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে। বাড়ির আশপাশে পানি জমে থাকলে, যেমন ফেলে রাখা টায়ার, পাত্র, ফুলের টব, কনটেইনার ইত্যাদিতে এডিস মশার বংশবিস্তার ঘটে, যা ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
  3. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব: মশার বংশবিস্তার রোধে যে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যেমন বাড়ির চারপাশে পানি জমতে না দেওয়া, সেটি যদি ঠিকভাবে করা না হয়, তাহলে মশার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং ডেঙ্গুর ঝুঁকি প্রতিনিয়ত বেড়ে যায়।
  4. সচেতনতার অভাব: ডেঙ্গু প্রতিরোধে মানুষ যদি পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন না করে, যেমন মশারি ব্যবহার না করা বা মশার প্রতিরোধমূলক স্প্রে ব্যবহার না করা, তাহলে রোগটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

তাই, ডেঙ্গু রোগের মূল কারণ এডিস মশার কামড় এবং মশার বংশবিস্তার প্রতিরোধ করা না হলে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে।

ডেঙ্গু রোগীর খাবার চাট (dengue)

শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এ সময় সঠিক খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডেঙ্গু রোগীর দ্রুত সুস্থতার জন্য পুষ্টিকর এবং হালকা খাবার খাওয়ানো উচিত, যা রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিম্নে ডেঙ্গু রোগীর জন্য একটি উপযুক্ত খাবার তালিকা দেওয়া হলো:

ডেঙ্গু রোগীর খাবার তালিকা:

  1. পানি এবং হাইড্রেশনের জন্য তরল পদার্থ:
    • ডেঙ্গুতে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে যায়, তাই প্রচুর পানি পান করা উচিত।
    • ডাবের পানি: ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক।
    • ফল বা ভেজিটেবল জুস: পুষ্টি এবং শক্তির জন্য ঘরে তৈরি ফলের রস, যেমন পেঁপে, কমলা, আপেল, এবং গাজরের রস খাওয়ানো যেতে পারে।
    • গ্লুকোজ পানি বা ওআরএস (ORS): শরীরে তরলের ঘাটতি পূরণের জন্য খুব কার্যকর।
  2. হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে:
    • ভাত এবং ডাল: হালকা সিদ্ধ ভাত এবং পাতলা ডাল শরীরে সহজে শক্তি জোগায় এবং সহজে হজম হয়।
    • খিচুড়ি: পুষ্টিকর এবং হালকা খাবার যা রোগীর জন্য উপযোগী।
    • সুপ: চিকেন বা সবজির স্যুপ শরীরে প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি সরবরাহ করে।
    • দই: দই প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে এবং হজমের জন্য ভালো।
  3. ফলমূল সমূহ:
    • পেঁপে: ডেঙ্গু রোগীর রক্তের প্লাটিলেট বাড়াতে পেঁপে খুবই কার্যকরী।
    • কমলা: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
    • আম, আপেল, কলা: শক্তি ও পুষ্টি প্রদান করে, ফলে দুর্বলতা কমাতে সহায়তা করে।
  4. শাক-সবজি:
    • সবুজ শাক-সবজি: ভিটামিন এবং মিনারেলস সমৃদ্ধ, যা রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
    • ফুলকপি, ব্রকলি, গাজর: এগুলো সহজে হজম হয় এবং রোগীকে পুষ্টি প্রদান করে।
  5. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে:
    • ডাল: প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস, যা প্লাটিলেট বাড়াতে সহায়ক।
    • মুরগির স্যুপ: প্রোটিন ও মিনারেলসের ভালো উৎস।
    • ডিম: শক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়ক, তবে সহজে হজম হয় এমনভাবে রান্না করা উচিত।

এড়িয়ে চলা উচিত যেসব খাবার:

পরামর্শ:

এড়িয়ে চলা উচিত যেসব খাবার

ডেঙ্গু হলে করনীয়

এটা হলে দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং ক্ষেত্রবিশেষে প্রাণঘাতীও হতে পারে। ডেঙ্গু হলে নিচের করণীয় বিষয়গুলো মেনে উচিত:

১. চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে

এ জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গু নিশ্চিত করতে পারেন এবং সঠিক চিকিৎসা পরামর্শ দেবেন। বিশেষ করে প্লাটিলেট গণনা এবং রক্তের হিমাটোক্রিট পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।

২. প্রচুর পানি ও তরল পদার্থ পান করুন

এ কারণে শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে, যা বিপজ্জনক হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পানি, ডাবের পানি, ওআরএস (ORS), স্যুপ, ফলের রস ইত্যাদি পান বেশি করা উচিত। তরল পানীয় রক্তের সঞ্চালন ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে সহায়ক।

৩. প্যারাসিটামল খাবেন

ডেঙ্গুর কারণে উচ্চ মাত্রার জ্বর এবং শরীরে ব্যথা হতে পারে। প্যারাসিটামল (যেমন পারাসিট) খেলে জ্বর এবং ব্যথা কমানো যেতে পারে। তবে, এসপিরিন (Aspirin) বা আইবুপ্রোফেন (Ibuprofen) এর মতো ওষুধ থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ এগুলো রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্য করে।

৪. পর্যাপ্ত পরিমান বিশ্রাম নিন

ডেঙ্গু হলে শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে, তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া খুবই জরুরি। বিশ্রাম শরীরকে দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।

৫. পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন

ডেঙ্গু হলে সহজপাচ্য এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। খাবারের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ উপাদান থাকা উচিত, যা শরীরের শক্তি ও প্লাটিলেট বাড়াতে সহায়ক। বেশি মশলাযুক্ত এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

৬. প্লাটিলেট সংখ্যা সবসময় পর্যবেক্ষণ

ডেঙ্গু রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তের প্লাটিলেট সংখ্যা হ্রাস পাওয়া অত্যন্ত সাধারণ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত প্লাটিলেট সংখ্যা আপনি পরীক্ষা করুন। প্লাটিলেট সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে গেলে হাসপাতালের চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে।

৭. মশার কামড় থেকে সুরক্ষা রাখতে হবে

ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করার জন্য ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে মশার কামড় থেকে রক্ষা করা খুবই জরুরি। মশারি ব্যবহার করুন, মশার প্রতিরোধক স্প্রে ব্যবহার করুন এবং মশা ধ্বংসকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

৮. উপসর্গের অবনতি হলে দ্রুত চিকিৎসা সেবা নিন

যদি রোগীর অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে বা ডেঙ্গুর জটিলতা দেখা দেয়, যেমন রক্তপাত, বমি, পেটে তীব্র ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট, তাহলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। এগুলো ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (DHF) বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (DSS)-এর লক্ষণ হতে পারে, যা জীবনঘাতী হতে পারে।

৯. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখুন

বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখুন এবং পানি জমে না থাকার ব্যবস্থা করুন, কারণ এডিস মশা জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে বংশবিস্তার করে। ফুলের টব, ফেলে রাখা পাত্র বা টায়ারগুলিতে পানি জমতে দেবেন না।

মশা কামড়ানোর কতদিন পর ডেঙ্গু হয়

মশা কামড়ানোর পর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণগুলি সাধারণত ৪ থেকে ১০ দিনের মধ্যে দেখা দেয়। এই সময়টিকে ইনকিউবেশন পিরিয়ড (incubation period) বলা হয়। অর্থাৎ, ডেঙ্গু ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পর রোগের লক্ষণ দেখা দিতে ৪ থেকে ১০ দিন সময় নেয়।

ডেঙ্গুর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরের গিঁটে ও পেশীতে ব্যথা, ত্বকে র‍্যাশ, এবং বমি বা বমি ভাব।

ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা

ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা মূলত লক্ষণভিত্তিক এবং সহায়ক, কারণ ডেঙ্গুর জন্য সরাসরি কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই। ডেঙ্গুর চিকিৎসায় রোগীকে স্বস্তি দেওয়ার পাশাপাশি জটিলতা এড়াতে সহায়তা করা হয়। নিচে ডেঙ্গু রোগের সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো:

১. পর্যাপ্ত তরল পান

ডেঙ্গু রোগের সময় শরীর খুব দ্রুত ডিহাইড্রেট হতে পারে, তাই পর্যাপ্ত তরল পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২. প্যারাসিটামল খান

ডেঙ্গুতে উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর এবং ব্যথা দেখা দেয়, যার জন্য প্যারাসিটামল (যেমন, পারাসিট) জ্বর কমানোর ও ব্যথা উপশমের জন্য ব্যবহৃত হয়।

৩. বিশ্রাম নিন

ডেঙ্গু রোগীর শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে, তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্রাম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং দ্রুত সুস্থ হতে সহায়ক।

৪. রক্তের প্লাটিলেট পর্যবেক্ষণ করুন

ডেঙ্গু ফিভার রোগের সময় রক্তের প্লাটিলেট সংখ্যা কমে যেতে পারে, যা বিপজ্জনক হতে পারে। চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়মিত প্লাটিলেট গণনা করা প্রয়োজন।

৫. রোগীকে মশার কামড় থেকে রক্ষা করা

ডেঙ্গু রোগীকে মশার কামড় থেকে রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ভাইরাসটি অন্যদের মধ্যে না ছড়ায়। মশারি ব্যবহার করা এবং মশা নিরোধক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

৬. গুরুতর লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতালে ভর্তি

যদি ডেঙ্গুর গুরুতর লক্ষণ যেমন তীব্র পেটব্যথা, শ্বাসকষ্ট, রক্তপাত, বা অবিরাম বমি দেখা দেয়, তাহলে রোগীকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত। এসব লক্ষণ ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (DHF) বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (DSS) এর লক্ষণ হতে পারে, যা জীবনঘাতী।

৭. পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন

ডেঙ্গু রোগীর শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, তাই সহজপাচ্য এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো উচিত।

ডে’ঙ্গু হলে করনীয়

ডেঙ্গু পজিটিভ হলে করণীয়

করণীয় গুরুত্বপূর্ণ স্টেপগুলো হলো:

  1. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যান এবং ডেঙ্গুর সঠিক চিকিৎসা শুরু করুন।
  2. প্রচুর তরল পান করুন: ডিহাইড্রেশন রোধে পানি, ডাবের পানি, ওআরএস ইত্যাদি পান করুন।
  3. প্যারাসিটামল সেবন করুন: জ্বর ও ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল সেবন করুন, তবে এসপিরিন বা আইবুপ্রোফেন এড়িয়ে চলুন।
  4. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন: শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধারের জন্য বিশ্রাম অত্যন্ত জরুরি।
  5. রক্তের প্লাটিলেট পর্যবেক্ষণ করুন: প্লাটিলেট গণনা নিয়মিত পরীক্ষা করুন এবং কমে গেলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হন।
  6. মশার কামড় থেকে সুরক্ষিত থাকুন: মশারি ব্যবহার করুন এবং মশা থেকে সুরক্ষিত থাকার ব্যবস্থা নিন।
  7. গুরুতর লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতালে যান: রক্তপাত, শ্বাসকষ্ট বা তীব্র পেটব্যথা দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে যান।

ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়

উপায় হলো মশার বংশবিস্তার রোধ এবং মশার কামড় থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করা। নিচে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য কিছু কার্যকরী উপায় উল্লেখ করা হলো:

১. মশার বংশবিস্তার রোধ

২. ব্যক্তিগত সুরক্ষা

৩. পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন

৪. সরকারি উদ্যোগে অংশগ্রহণ করুন

৫. স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন

ডেঙ্গু রোগের ঔষধ

এ রোগের (ডেঙ্গু ফিভার) জন্য সরাসরি কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই, তবে লক্ষণ উপশমের জন্য কিছু ওষুধ ব্যবহৃত হয়। নিচে ডেঙ্গু রোগে ব্যবহৃত সাধারণ ওষুধের তালিকা দেওয়া হলো:

১. প্যারাসিটামল

২. ইলেকট্রোলাইট সলিউশন (ORS)

৩. হোমিওপ্যাথিক ওষুধ

৪. রক্তের প্লাটিলেট বৃদ্ধি করার জন্য

৫. চিকিৎসকের পরামর্শ

আরও পড়ুন:

এলাচের উপকারিতা ও অপকারিতা

ঘুম কম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

শিলাজিতের উপকারিতা ও অপকারিতা

লেবু পানির উপকারিতা

উপসংহার:-

ডেঙ্গু ফিভার একটি মারাত্মক ভাইরাল সংক্রামক রোগ, যা এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়। এর লক্ষণগুলো সাধারণত জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরে ব্যথা, এবং ত্বকে র‍্যাশ হিসেবে প্রকাশিত হয়। ডেঙ্গুর জন্য কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকলেও, লক্ষণগুলোর উপশম এবং সতর্কতা অবলম্বন করে এ রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ, বিশ্রাম এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। আক্রান্ত রোগীকে মশার কামড় থেকে সুরক্ষিত রাখাও অপরিহার্য। সচেতনতা ও সঠিক তথ্যের মাধ্যমে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করে স্বাস্থ্যকর সমাজ গঠন সম্ভব। তাই, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

Exit mobile version