ডেভিড কার্ড

আমি ঘুমাতে যাওয়ার কথা ভাবছিলাম: নোবেল পেয়ে ডেভিড কার্ডের প্রতিক্রিয়া

শেয়ার করুন
ডেভিড কার্ডের এ ছবিটি তোলেন তাঁর স্ত্রীছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
ডেভিড কার্ডের এ ছবিটি তোলেন তাঁর স্ত্রী
ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

অর্থনীতিতে ২০২১ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী গুইডো ডব্লিউ ইমবেনস ও জোশুয়া ডি অ্যাংগ্রিস্ট খুব ভালো বন্ধু। এমনকি গুইডো ডব্লিউ ইমবেনসের বিয়ের সবকিছুতে ছিলেন জোশুয়া ডি অ্যাংগ্রিস্ট। এ বছর এই পুরস্কারে এ দুজনের সঙ্গে আরও আছেন ডেভিড কার্ড। নোবেল কমিটির কিছু টুইট ও বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানা যায়, নোবেল জয়ের পর তাঁদের প্রতিক্রিয়ার কথা। ডেভিড কার্ড দাদির স্মরণসভা থেকে দীর্ঘ বিমানযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পর খবরটা পান।

নোবেল মিডিয়ার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অ্যাডাম স্মিথ ফোনে কার্ডকে যখন তাঁর নোবেল জয়ের কথা জানান, তখন তিনি কিছুটা বিস্মিত হয়ে বলেন, ‘আমি ঘুমাতে যাওয়ার কথা ভাবছিলাম।’ তবে এ সময় মজার একটি কাজ করেন কার্ডের স্ত্রী সিনথিয়া গেসেলে। ফোনে যখন স্মিথের সঙ্গে কথা বলছিলেন কার্ড, তখন টুক করে কার্ডের একটি ছবি তুলে নেন তিনি। টুইটারে সেই ছবি পোস্ট করেছে নোবেল কমিটি।

ডেভিড কার্ড শ্রম অর্থনীতিতে অবদানের জন্য এবং অ্যাংগ্রিস্ট ও ইমবেনস কার্যকারণ সম্পর্ক নিয়ে গবেষণার জন্য এ বছর সবচেয়ে সম্মানের এ পুরস্কার পান। ৬৫ বছর বয়সী ডেভিড কার্ড যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক। অ্যাংগ্রিস্টের বয়স ৬১ বছর। তিনি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) অর্থনীতি বিভাগের ফোর্ড অধ্যাপক আর ৫৮ বছর বয়সী ইমবেনস স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডেভিড কার্ড বলেন, প্রথমে তিনি ফোন পেয়ে ভেবেছিলেন, স্কুলের কোনো পুরোনো বন্ধু তাঁর সঙ্গে কৌতুক করছেন।
এএফপি জানায়, ইমবেনসের প্রতিক্রিয়াও ছিল অনেকটা কার্ডের মতো। ইমবেনস বলেছিলেন যে তিনি এ টেলিফোন কল পেয়ে একেবারে হতবাক। এএফপির সাংবাদিকদের ইমবেনস বলেন, ‘জোশুয়া ডি অ্যাংগ্রিস্ট আসলে আমার বিয়ের “বেস্টম্যান” ছিলেন। তিনি পেশাগত ও ব্যক্তিগতভাবে আমার একজন ভালো বন্ধু। আমি তাঁর ও ডেভিডের সঙ্গে পুরস্কার ভাগ করে নিতে পেরে খুব রোমাঞ্চিত।’
এএফপির মতে, ডেভিড কার্ড, গুইডো ডব্লিউ ইমবেনস ও জোশুয়া ডি অ্যাংগ্রিস্টের জয় অপ্রত্যাশিত ছিল না। এবারে তাঁরাই ছিলেন সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী।

ডেভিড কার্ড অভিজ্ঞতাভিত্তিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দেখেছেন, শ্রমবাজারে ন্যূনতম মজুরি, অভিবাসন ও শিক্ষার কী প্রভাব পড়ে। সেই ১৯৯০ দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তিনি এ নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁর গবেষণায় অনেক পুরোনো ধ্যান-ধারণার অবসান ঘটেছে। তার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *