1 second school

হ্যাকার হতে চাই । কিভাবে হ্যাকিং শিখবো

হ্যাকার : 1ss হ্যাকার হতে চাই ।

শেয়ার করুন

Table of Contents

Toggle

হ্যাকার হতে চাই

হ্যাকার হতে চাই: বর্তমান প্রযুক্তির যুগে হ্যাকিং একটি জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হিসেবে বিবেচিত হয়। অনেকেই ইন্টারনেটের জগতে প্রবেশ করে জানতে চান, কীভাবে একজন দক্ষ হ্যাকার হওয়া যায়। তবে, হ্যাকার হওয়ার মানে শুধু কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা ভেদ করা নয়। প্রকৃতপক্ষে, হ্যাকিং এমন একটি শিল্প যা সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষায় সহায়তা করতে পারে। এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব কীভাবে একজন সফল হ্যাকার হওয়া যায় এবং এর জন্য কী কী দক্ষতা প্রয়োজন। তাহলে চলুন (হ্যাকার হতে চাই) পোষ্ট সম্পূর্ণ দেখুন।

হ্যাকার কাকে বলে

এটা হলেন এমন একজন ব্যক্তি, যিনি কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা পরীক্ষা করেন এবং এর দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করেন। হ্যাকারদের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে। যেমন:

হ্যাকার
Hacker

হ্যাকার কত প্রকার

বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে এবং তারা তাদের উদ্দেশ্য, কাজের ধরণ, এবং ব্যবহৃত কৌশলের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত হয়। নিচে হ্যাকারদের প্রধান প্রকারগুলো তুলে ধরা হলো:

১. হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার (White Hat Hacker)

২. ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার (Black Hat Hacker)

৩. গ্রে হ্যাট হ্যাকার (Grey Hat Hacker)

৪. স্ক্রিপ্ট কিডি (Script Kiddie)

৫. ব্লু হ্যাট হ্যাকার (Blue Hat Hacker)

৬. রেড হ্যাট হ্যাকার (Red Hat Hacker)

৭. গ্রিন হ্যাট হ্যাকার (Green Hat Hacker)

৮. স্টেট স্পন্সরড হ্যাকার (State-Sponsored Hacker)

৯. হ্যাকটিভিস্ট (Hacktivist)

১০. এলিট হ্যাকার (Elite Hacker)

কিভাবে হ্যাকিং শিখবো

১. প্রোগ্রামিং ভাষা শেখা: একজন দক্ষ হ্যাকার হ’তে চাইলে আপনাকে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা শিখতে হবে। প্রোগ্রামিং দক্ষতা ছাড়া হ্যাকিংয়ের জগতে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রামিং ভাষার তালিকা দেওয়া হলো:

২. নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে গভীর জ্ঞান: নেটওয়ার্কিংয়ের জ্ঞান ছাড়া হ্যাকিং অসম্ভব। একজন দক্ষ হ্যাকারকে নেটওয়ার্কের প্রতিটি অংশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে আপনার বেসিক ধারণা তৈরি করতে হলে, আপনাকে নিচের বিষয়গুলোতে দক্ষ হতে হবে:

৩. অপারেটিং সিস্টেমের জ্ঞান:

একজন দক্ষ হ্যাকারকে বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের কাজ এবং দুর্বলতা সম্পর্কে জানতে হবে। সাধারণত হ্যাকাররা লিনাক্স (Linux) ভিত্তিক সিস্টেমগুলো ব্যবহার করে। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেটিং সিস্টেমের নাম দেওয়া হলো:

৪. পেনেট্রেশন টেস্টিং শেখা: ইথিক্যাল হ্যাকিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল পেনেট্রেশন টেস্টিং। এর মাধ্যমে সিস্টেমের দুর্বলতা বের করে সেগুলোর সমাধান করা হয়। পেনেট্রেশন টেস্টিংয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টুল রয়েছে:

৫. ক্রিপ্টোগ্রাফি শেখা: ক্রিপ্টোগ্রাফি হল এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে তথ্য এনক্রিপ্ট করা হয়। হ্যাকারদের জন্য ক্রিপ্টোগ্রাফি শেখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সিস্টেমের সুরক্ষা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ক্রিপ্টোগ্রাফির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সাইবার আক্রমণ থেকে ডেটা রক্ষা করা যায়।

কম্পিউটার হ্যাকিং কি

কম্পিউটার হ্যাকিং হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা দল অনুমতি ছাড়াই একটি কম্পিউটার সিস্টেম, নেটওয়ার্ক, বা ডিভাইসে প্রবেশ করে এবং এর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। (হ্যাকার হতে চাই) হ্যাকিংয়ে সাধারণত সিস্টেমের নিরাপত্তা দুর্বলতা বা ত্রুটির সুযোগ নেওয়া হয় এবং এটি অবৈধ বা বৈধ উদ্দেশ্যে করা যেতে পারে।

হ্যাকিং এর উদ্দেশ্য এবং প্রকারভেদ:

  1. বৈধ হ্যাকিং (Ethical Hacking):

    • বৈধ বা নৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়।
    • সিস্টেমের নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য এবং নিরাপত্তার দুর্বলতা খুঁজে বের করে তা ঠিক করার জন্য করা হয়।
    • সাধারণত সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট বা ইথিক্যাল হ্যাকাররা এটি করেন, যারা কোনো প্রতিষ্ঠানের অনুমতি নিয়ে কাজ করেন।
  2. অবৈধ হ্যাকিং (Illegal Hacking):

    • অবৈধ উদ্দেশ্যে এবং অনুমতি ছাড়াই করা হয়।
    • সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে তথ্য চুরি, অর্থনৈতিক ক্ষতি করা বা সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য করা হয়।
    • এই ধরনের হ্যাকারদের ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার বলা হয়।

কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের সাধারণ কৌশল:

  1. ফিশিং (Phishing):
    • ভুয়া ইমেল বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর গোপনীয় তথ্য (যেমন পাসওয়ার্ড বা ব্যাংক ডিটেইলস) সংগ্রহ করা।
  2. ম্যালওয়ার (Malware):
    • ক্ষতিকারক সফটওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটারে ভাইরাস, ওয়ার্ম, বা ট্রোজান ছড়িয়ে দেওয়া।
  3. পাসওয়ার্ড ক্র্যাকিং (Password Cracking):
    • বিভিন্ন টুল ব্যবহার করে সিস্টেম বা অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড ভেঙে সিস্টেমে প্রবেশ করা।
  4. SQL ইনজেকশন (SQL Injection):
    • ওয়েবসাইটের ডেটাবেসে অননুমোদিত কোড প্রবেশ করিয়ে তথ্য চুরি করা বা সাইটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।

হ্যাকিংয়ের প্রভাব:

হ্যাকার হওয়ার জন্য যে পদক্ষেপগুলো নেবেন:

১. বেসিক কম্পিউটার জ্ঞান অর্জন:

প্রথমে আপনাকে কম্পিউটারের বেসিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কীভাবে কম্পিউটার কাজ করে, কীভাবে নেটওয়ার্ক গঠিত হয়—এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা জরুরি।

২. প্রোগ্রামিং ভাষা শেখা:

হ্যাকিংয়ের জন্য প্রোগ্রামিং ভাষা শেখা অপরিহার্য। পাইথন, সি, জাভা ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

৩. নেটওয়ার্কিংয়ের উপর দক্ষতা অর্জন:

নেটওয়ার্কিংয়ের বেসিক ধারণা ও নেটওয়ার্কের বিভিন্ন প্রোটোকল এবং নিরাপত্তা পদ্ধতি সম্পর্কে শিখুন।

৪. পেনেট্রেশন টেস্টিং এবং সাইবার সিকিউরিটির কোর্স সম্পন্ন করা:

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন Udemy, Coursera, এবং YouTube-এ ইথিক্যাল হ্যাকিং ও সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কিত অনেক কোর্স রয়েছে। সেগুলো সম্পন্ন করুন।

৫. প্র্যাকটিস প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা:

হ্যাকিং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন অনলাইন প্র্যাকটিস প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেমন:

নৈতিক হ্যাকার হওয়ার ধাপগুলো

  1. নেটওয়ার্কিং ও প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক শিখুন: হ্যাকার হতে হলে, নেটওয়ার্ক এবং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে তা বুঝতে হবে। আইপি অ্যাড্রেস, রাউটার, ডিএনএস, এবং ফায়ারওয়ালের মতো নেটওয়ার্কিং এর মূল ধারণাগুলো শিখুন। পাশাপাশি, Python, C বা Java-এর মতো প্রোগ্রামিং ভাষায় দক্ষ হওয়া প্রয়োজন। Codecademy এবং Udemy এর মতো ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে ভালো রিসোর্স পাওয়া যায়।

  2. অপারেটিং সিস্টেম আয়ত্ত করুন: হ্যাকাররা বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করে, বিশেষত লিনাক্সে। উবুন্টু বা কালি লিনাক্সের মতো ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবহার করে নিজেকে দক্ষ করে তুলুন। কমান্ড লাইন নেভিগেট করা শিখুন, কারণ এটি অনেক হ্যাকিং কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

  3. সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রিপ্টোগ্রাফি শিখুন: নৈতিক হ্যাকার হতে হলে সাইবার সিকিউরিটির জ্ঞান অপরিহার্য। এনক্রিপশন, ফায়ারওয়াল, ভিপিএন এবং অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানুন। ক্রিপ্টোগ্রাফির ওপর জ্ঞান থাকা দরকার, কারণ এটি তথ্যকে অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে রক্ষা করে। Coursera-এর মতো প্ল্যাটফর্মে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে অনেক ফ্রি কোর্স পাওয়া যায়।

  4. ইথিক্যাল হ্যাকিং টুল প্র্যাকটিস করুন: Metasploit, Wireshark, Nmap এবং Burp Suite-এর মতো টুলগুলো ইথিক্যাল হ্যাকারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই টুলগুলো দুর্বলতা স্ক্যান, নেটওয়ার্ক বিশ্লেষণ এবং পেনেট্রেশন টেস্টিং-এ সাহায্য করে। এগুলো ভালোভাবে ব্যবহার করতে শিখুন।

  5. সার্টিফিকেশন নিন: পেশাদার নৈতিক হ্যাকার হতে হলে, ইন্ডাস্ট্রি-স্বীকৃত সার্টিফিকেশন নেওয়া আবশ্যক। সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু সার্টিফিকেশন হলো:

    • Certified Ethical Hacker (CEH)
    • CompTIA Security+
    • Certified Information Systems Security Professional (CISSP)

    এই সার্টিফিকেশনগুলো আপনার দক্ষতা নিশ্চিত করে এবং ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়।

  6. হ্যাকিং কমিউনিটিতে যোগ দিন: অনলাইন হ্যাকিং কমিউনিটিতে যুক্ত হলে অভিজ্ঞ হ্যাকারদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ পাবেন। Reddit, Stack Overflow এবং বিশেষায়িত হ্যাকিং ফোরামগুলোতে অংশগ্রহণ করে প্রশ্ন করতে, জ্ঞান শেয়ার করতে এবং প্রকল্পে সহযোগিতা করতে পারেন।

  7. বাগ বাউন্টি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করুন: Google, Facebook এবং Microsoft-এর মতো বড় কোম্পানিগুলো বাগ বাউন্টি প্রোগ্রাম চালায়, যেখানে সিস্টেমের দুর্বলতা খুঁজে বের করলে হ্যাকারদের পুরস্কৃত করা হয়। এটি আপনার দক্ষতা প্র্যাকটিস করার, অর্থ উপার্জনের এবং সাইবার সিকিউরিটি উন্নত করার একটি ভালো উপায়।

hacker – হ্যাকিং

মোবাইল দিয়ে হ্যাকিং শিখুন

মোবাইল দিয়ে হ্যাকিং শেখার জন্য কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, তবে এখনও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ রয়েছে যা আপনাকে এই ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে। এখানে মোবাইল দিয়ে হ্যাকিং শেখার প্রক্রিয়া দেওয়া হলো:

১. মোবাইল হ্যাকিং সম্পর্কে মৌলিক ধারণা

মোবাইল হ্যাকিংয়ের মৌলিক ধারণা জানতে হবে:

২. মোবাইল হ্যাকিং টুলস ব্যবহার করা

কিছু মোবাইল হ্যাকিং টুলস রয়েছে যা মোবাইল ডিভাইসে ইনস্টল করা যেতে পারে:

৩. মোবাইল হ্যাকিং কোর্স ও রিসোর্স

মোবাইল হ্যাকিং শেখার জন্য কিছু ফ্রি বা পেইড রিসোর্স ব্যবহার করতে পারেন:

৪. মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের নিরাপত্তা পরীক্ষা করা:

৫. মোবাইল নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি

মোবাইল নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা পরীক্ষা:

৬. প্র্যাকটিস প্ল্যাটফর্ম ও চ্যালেঞ্জ

মোবাইল হ্যাকিংয়ে প্র্যাকটিস করার জন্য কিছু প্ল্যাটফর্ম:

৭. মোবাইল ডিভাইসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা

মোবাইল হ্যাকিংয়ের সাথে সাথে আপনার নিজের ডিভাইসের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে:

৮. কমিউনিটি ও ফোরাম

মোবাইল হ্যাকিং কমিউনিটি এবং ফোরামগুলোতে অংশগ্রহণ করুন:

আরও পড়ুন:

Digital marketing income

Top 10 domain hosting company in bangladesh

Full website development course

নৈতিক দিক:

মনে রাখবেন, অনুমতি ছাড়া হ্যাকিং করা আইন বিরোধী এবং এর জন্য শাস্তি হতে পারে। আপনার হ্যাকিং কাজগুলো সর্বদা বৈধ এবং অনুমোদিত হওয়া উচিত। (হ্যাকার হতে চাই) নৈতিক হ্যাকিং মানে সিস্টেমের সুরক্ষা বাড়ানো, শোষণ করা নয়।

উপসংহার

এটা হতে চাইলে অবশ্যই ধৈর্যশীল এবং নিরলস প্রচেষ্টা থাকতে হবে। হ্যাকার হতে চাই এটি একটি ক্রমাগত শেখার প্রক্রিয়া, যেখানে আপনাকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি ও সিকিউরিটি পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তবে, সবসময় আইনসম্মত ও নৈতিকভাবে কাজ করা উচিত। ইথিক্যাল হ্যাকার হয়ে আপনি শুধুমাত্র একটি সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন না, বরং সাইবার বিশ্বকে আরও নিরাপদ করতে সহায়তা করতে পারবেন।

এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ!

Exit mobile version