Class 6 assignment 17th week

৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ১৭ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২১

শেয়ার করুন

class 6 17th week assignment answer 2021

 

17th week assignment

 

 

 

উত্তরঃ

ভূমিকাঃ বিশ্বের প্রতিটি সৃষ্টি একক ও অনন্য সুন্দর্যে মহিমান্বিত। প্রতিটি সৃষ্টিই স্বাধীনভাবে স্ব স্ব সুন্দর্য বিলিয়ে দিয়ে ধন্য হচ্ছে এবং বিশ্বের সেবা করে চলছে। মানুষ তার মধ্যে আরও বেশি একক ও অনন্য। আল্লাহতালা মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। এই পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা কোটি কোটি। কিন্তু একজন মানুষ অন্য আর একজন মানুষের মতো নয়, এরা একে অন্যের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটি মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট্য যেটি তাকে দান করে আলাদা গৌরব ও মর্যাদা।

একক ও অনন্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে মানুষ যদি বৃদ্ধি লাভ করতে পারে তাহলেই মানুষ হয়ে ওঠে স্বাধীন। মানুষ তার অনন্য বৈশিষ্ট্য ও স্বাধীনতার কারণে নিজেকে আবিষ্কার করতে চায় বা নিজেকে সে আর গভীরভাবে জানতে চায়। নিজেকে জানার মধ্য দিয়ে সে নিজের শক্তির সীমাবদ্ধতা, ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আরও বেশি সচেতন হয়। এতে অন্যের সাথেও তার সুসম্পর্ক বজায় থাকে। এভাবেই মানুষ পরিপূর্ণ আত্মদান করে তার মানব জীবন স্বার্থক করে তােলে।

 

মানুষ জাতি কবিতার বিষয় বস্তুর আলোকে সমাজে মানুষ মানুষের সৃষ্ট ভেদাভেদ দূরীকরণে আমার মতামত নিম্নে ব্যক্ত করা হলােঃ

শারীরিক গঠন ও আকৃতিগত পার্থক্য: পৃথিবীর একটি বিস্ময়কর বিষয় হলো মানুষের মধ্যে কেউ কারাে মতাে নয়। একই মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া এমনকি জমজ ভাইবোন হলােও একজন আরেকজনের মতো নয়। দেখতে প্রায় একইরকম হলেও কিংবা উচ্চতার মিল থাকলেও কোন না কোন দিকে কিছুটা ভিন্নতা থাকছেই। মানুষের ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যের জ্ঞানের আলাে প্রথম বৈশিষ্ট্যই হলো শারীরিক গঠন ও আকৃতিগত দিক থেকে।

https://1secondschool.com/

আত্মপরিচয়: প্রত্যেক মানুষের রয়েছে তার নিজস্ব আত্মপরিচয়। তার নিজের নাম, ঠিকানা, পেশা, পিতামাতা, আত্মীয়স্বজন ও বংশ পরিচয়। এগুলোর মধ্য দিয়েও তার ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যের দিক প্রকাশিত হয়। অনেক সময় একই প্রতিষ্ঠানে দুইজন শিক্ষার্থীর একই নাম হলেও তাদের রোল নম্বর দিয়ে তাদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়। তবে যে করি হােক আত্মপরিচয়ের মাধ্যমে মানুষ কোন না কোন ভাবে তার আলাদা অস্তিত্ব প্রকাশ করে থাকে।

ভিন্ন ব্যক্তিত্ব: ব্যক্তিত্বের দিক থেকেও মানুষে মানুষে মালিক পার্থক্য রয়েছে। মনােবিজ্ঞানীগণ মানুষের কতকগুলা মােলিক বৈশিষ্টের ভিত্তিতে ব্যক্তিত্বের শ্রেণীবিভাগ করলেও সত্যিকারে যত মানুষ আছে, তত রকম ব্যক্তিত্বও আছে। তার নিজস্ব পরিবেশ, পটভূমি ও জীবন অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করেই তার ব্যক্তিত্ব তৈরি হয়। স্বভাব গুণে মানুষের কিছুটা মিল থাকলেও মূলত একজন মানুষ আরেকজন মানুষ থেকে আলাদাই।

 

ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ ও রুচিবোধ: মানুষে মানুষে পছন্দ, অপছন্দ ও রুচিবোধের মধ্যেও ভিন্নতা রয়েছে। এর কারণেও মানুষ আলাদা। নানা বিষয়ে এই ভিন্নতা লক্ষণীয়। যেমন: পােশাকপরিচ্ছদ,খাবার দাবার, জীবন সঙ্গী বা বন্ধু নির্বাচন, পরিবেশ, রং ইত্যাদি। বিষয় নির্বাচনেও মানুষের মধ্যে অনেক পার্থক্য।

study

মূল্যবােধের পার্থক্য: মূল্যবােধের পার্থক্যের কারণে মানুষের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের বৈশিষ্ট্যে অনেক বড় পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। প্রত্যেক মানুষের রয়েছে নিজস্ব মূল্যবােধ বা বিশ্বাসের ধারা, যে অনুসারে সে আচরণ করে। এর উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে তার স্বাধীন ব্যক্তিত্ব। যীশু খ্রিষ্ট, মহাত্মা গান্ধী, মাদার তেরেসা, আর্চবিশপ গাঙ্গুলী এক কথায় পৃথিবীর সব মহামানবেরা স্ব স্ব মূল্যবােধের কারণেই হয়ে উঠেছেন একক ও অনন্য।

 

সম্পর্ক রক্ষার উপায়: 

ক) সমাজকে ধর্মীয় প্রতিচ্ছবি মনে করা এবং সেখানে ধর্মীয় উপস্থিতি উপলব্ধি করা।

খ) সৃষ্টিকর্তা নিজেই আমাদের পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত করেন তা মনে রেখে মন খোলা রাখা।

গ) সমাজের মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যকে স্বীকার করে তাদের গ্রহণ করা। নারী পুরুষ, ধনী-গরিব সবার প্রতি সমান মনােভাব করা।

ঘ) সমাজের মানুষকে সব পরিস্থিতিতে সহযােগিতা করা ও তাদের প্রতি সহমর্মিতার মনােভাব প্রকাশ করা।

ঙ) সমাজকে বা সমাজের প্রতিষ্ঠানকে নিজের স্বার্থের উপায় বলে মনে না করে বরং সমাজের স্বার্থকে বড় করে দেখা।

চ) সম্পর্ক রক্ষার জন্য পরস্পরের প্রতি সহনশীল থাকা।

ছ) প্রয়ােজনে ত্যাগস্বীকার করার মনোভাব থাকা।

জ) কোন কারণে সম্পর্ক নষ্ট হলে ক্ষমা ও পুনর্মিলনের মাধ্যমে তা পুনঃস্থাপন করা।

ঝ) সম্পর্কের জন্য ন্যায্যতা একান্ত দরকার। সামাজিক সাম্য ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে সম্পর্ক রক্ষা করা।

ঞ) সম্পর্ক রক্ষার সরচেয়ে বড় বিষয় হলো নিজের ও অন্যের স্বাধীনতা স্বীকার করা।

ট) সম্পর্ককে জীবনের একটি মূল্যবােধের বলে মনে করা। মূল্যবােধের কারণে সম্পর্ককে লালন করা।

https://www.youtube.com/channel/UCBe7l0gB5CdXhtc8Rof8NPA

পরিশেষে বলা যায় যে,উপরোক্ত উপায়ে আমরা আমাদের সমাজ থেকে জগড়া ফ্যাসাদ দূর করে সমাজকে সুন্দর ও বসবাসের জন্য উপযােগী পরিবেশে রুপান্তর করতে পারি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *