1 second school

class 8 ict answer 17th week assignment answer/solution 2021, মাধ্যমিক ৮ম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ১৭ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২১

শেয়ার করুন

Class 8 Ict Assignment Answer

 

 

উত্তরঃ

তারিখ : –/—/২০২১ ইং ।

বরাবর , প্রধান শিক্ষক রাকিবুল স্কুল ,ঢাকা।


বিষয় : নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন কর।

জনাব,
বিনতি নিবেদন এই যে , আপনার আদেশ নং বা.উ.বি.৩৫৫-১ তারিখ : –/—/২০২১ ইং অনুসারে উপরােক্ত বিষয়ের উপর আমার স্বব্যখ্যাত প্রতিবেদনটি নিন্মে পেশ করলাম ।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক মানে কি, বিষয়টা অনেক সহজেই বুঝা যেতে পারে যদি আপনি মন দিয়ে বিষয়টা বুঝার চেষ্টা করে থাকেন।

যখন একাধিক কম্পিউটার পরস্পরে কোনো তার বা বেতার (wired or wireless) মাধ্যমে সংযুক্ত (connected) হয়ে থাকে তখন সেটাকেই বলা হয় নেটওয়ার্ক।

সাধারণ দুটি কম্পিউটার পরস্পরে সংযুক্ত থাকাটাকেও নেটওয়ার্ক বলা হয় আবার হাজার লক্ষ কম্পিউটার ডিভাইস পরস্পরে সংযুক্ত থাকলে সেটাও একটি নেটওয়ার্ক।

আর এভাবেই, যখন কম্পিউটার গুলো পরস্পরে কোনো মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে থাকে তখন তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ (communication), ডাটার আদান প্রদান, শংসাধনের আদান প্রদান ইত্যাদি করতে পারেন।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরীর জন্য সাধারণত ৬ ধরনের নেটওয়ার্ক টপোলজি ব্যবহার করা হয়।

 

১.বাস টপোলজি (Bus Topology)

এই পদ্ধতিতে কম্পিউটারগুলোকে অনেকটা বাসের ভেতরে সীটগুলো যেভাবে সাজানো থাকে সেভাবে সাজানো হয়। বাসের ভেতরে যেমন দুইপাশে সীট দিয়ে মাঝখানে ফাকা রাখা হয় যাতে লোকজন এই পথে হেটে গিয়ে সিটে বসতে পারে বাস টপোলজিতেও ঠিক একই ব্যাপারটি ঘটে। এক্ষত্রে কম্পিউটারগুলো (নোডগুলো) হচ্ছে দুইপাশের সীট আর মাঝখানের ফাকা জায়গাটি হচ্ছে টপোলজির প্রধান তার। এই তারের মধ্য দিয়ে ডাটাগুলো চলাচল করে এক নোড থেকে অন্য নোডে যায়।
এই প্রধান তারকে বলা হয় বাস। প্রতিটি কম্পিউটার দুইপাশ থেকে আলাদা আলাদাভাবে বাসের সাথে সংযুক্ত থাকে। বাস টপোলজিতে ডাটা আদান প্রদানের সময় যেই কম্পিউটার থেকে ডাটা পাঠানো হয় সেই কম্পিউটার থেকে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয় ডাটাগুলো কোন কম্পিউটারে যাবে। এরপর প্রেরক কম্পিউটার মূল তার অর্থাৎ বাসে ডেটা পাঠিয়ে দেয়। যেহেতু বাসের সাথে নেটওয়ার্কের সকল কম্পিউটার যুক্ত তাই বাসে সংযুক্ত থাকা অন্য কম্পিউটারগুলো প্রেরিত ডাটা পরিক্ষা করে এবং ডাটাগুলো যে কম্পিউটারে পাঠানো হয়েছে শুধুমাত্র সেই কম্পিউটারই ডাটা গ্রহণ করে এবং অন্যরা ডাটা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে।

২.স্টার টপোলজি(Star Topology)

এই পদ্ধতিতে কম্পিউটারগুলোকে অনেকটা তারার মতো সাজিয়ে নেটওয়ার্ক গঠন করা হয়। তারার যেমন পাঁচটি কোণা এবং মাঝখানে একটি কেন্দ্র থাকে এই টপোলজিতেও নোডগুলোকে পাঁচটি কোণায় রেখে মাঝখানের কেন্দ্রে একটি হাব বা সুইচ এর মাধ্যমে নোডগুলোকে সংযুক্ত করে নেটওয়ার্ক তৈরী করা হয়। কেন্দ্রে থাকা হাব বা সুইচের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রন করা হয়।
স্টার টপোলজি নেটওয়ার্কে যেহেতু প্রতিটি কম্পিউটার কেন্দ্রের সাথে যুক্ত সেহেতু ডাটা আদান প্রদানের সময় তা কেন্দ্রে থাকা হাব বা সুইচের মধ্য দিয়ে যায়। এই টপোলজি তৈরীতে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল, কো-এক্সিয়াল ক্যাবল, ফাইবার অপটিক ক্যাবল ব্যবহার করা হয়।

৩.রিং টপোলজি(Ring Topology)

ট্রি টপোলজিকে স্টার টপোলজির সম্প্রসারিত রূপ বলা যায়। এতে একাধিক কম্পিউটার কেন্দ্রীয়ভাবে একটি প্রধান হোস্ট কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে, যাকে সার্ভার বা রুট নোড বলা হয়। এতে প্রতিটি কম্পিউটার তার পরবর্তী কম্পিউটারের জন্য ইন্টার্নাল হোস্ট কম্পিউটার হিসেবে কাজ করে।

৫.মেশ টপোলজি(Mesh Topology)

আমরা জানি মেশ শব্দের অর্থ হচ্ছে জাল। নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে মেশ টপোলজিতে নোডসমূহকে অনেকটা জালের মতো করে সাজানো হয়। এ পদ্ধতিতে প্রতিটি কম্পিউটার একে অপরের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে যার ফলে নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলো একে অপরের সাথে খুব সহজে এবং দ্রুত ডাটা আদান-প্রদান করতে পারে। মেশ টপোলজিতে সংযুক্ত প্রতিটি কম্পিউটার একে অপরের সাথে P2P ( Point to Point বা Peer to Peer) নেটওয়ার্ক তৈরী করে।

৬.হাইব্রিড টপোলজি(Hybrid Topology)

বাস, স্টার, রিং, মেশ ইত্যাদি টপোলজির সমন্বয় করে গঠন করা হয় হাইব্রিড টপোলজি। বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজে একটিমাত্র টপোলজি দিয়ে সবকিছু করা সবসময় সম্ভব নাও হতে পারে। কেননা প্রতিটি টপোলজির ই নিজস্ব কিছু সুবিধা অসুবিধা আছে। এক্ষত্রে আমাদের একই নেটওয়ার্কে একাধিক টপোলজির প্রয়োজন হতে পারে। আর এজন্যই একাধিক টপোলজির সমন্বয়ে গঠন করা হয় হাইব্রিড টপোলজি।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এখন খুব জরুরি একটি বিষয়। নেটওয়ার্কিং জানা থাকলে তথ্য আদান-প্রদান অনেক সহজ হয়ে যায়। তারবিহীন নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুবিধা নিয়ে লিখছেন দেশের খ্যাতনামা নেটওয়ার্ক বিশেষজ্ঞ এবং লেখক সুহূদ সরকার

স্থানান্তরের সুবিধা
মোবাইল ব্যবহারকারীরা সহজেই এ নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। এর ফলে তাদের নেটওয়ার্কে যুক্ত করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয় না। স্বাচ্ছন্দ্যে নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার ফলে তাদের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়।

 সহজ ও দ্রুত ইনস্টলেশন
তারবিহীন নেটওয়ার্ক সহজেই ইনস্টল করা যায়। এখানে কেবল ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার ইনস্টলেশন করেই আপনি কম্পিউটারগুলোর মধ্যে নেটওয়ার্ক তৈরি করে ফেলতে পারেন। এ ছাড়া একসেস পয়েন্ট কিংবা রাউটার কোনো কেন্দ্রীয় স্থানে স্থাপন করা হলেই আপনার নেটওয়ার্ক সেটআপ শেষ, ক্যাবলিংয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।

নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি
তার দিয়ে যুক্ত করা যায় না এমন স্থানেও তারবিহীন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নেটওয়ার্কিংকে বিস্তৃত করা সম্ভব হয়। যেমন∏কোনো ক্যাফেতে এ রকম নেটওয়ার্ক সেটআপ করা থাকলে ক্রেতারা এসে তাদের ডিভাইস যুক্ত করতে পারে যেকোনো সময়। তারপর তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে।

অধিক নমনীয়তা
তারবিহীন নেটওয়ার্কের নমনীয়তা বেশি এবং একে সহজেই বিভিন্ন পরিবেশে ব্যবহার করা সম্ভব হয়।

কম মালিকানা ব্যয়
তারবিহীন নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক বিনিয়োগ একটু বেশি হলেও এর অন্যান্য খরচ নেই বললেই চলে। তারবিহীন নেটওয়ার্কে ক্যাবলিং ঠিক রাখার মতো কোনো সংরক্ষণ ব্যয় নেই। নতুন কোনো স্থানে নেটওয়ার্ককে নিয়ে যাওয়ার জন্যও বাড়তি কোনো ব্যয় নেই।

 পরিবর্ধনযোগ্যতা
তারবিহীন নেটওয়ার্ককে সহজেই পরিবর্ধন করতে পারেন। এ জন্য বাড়তি কম্পিউটারগুলোতে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার যোগ করা কিংবা বাড়তি ওয়্যারলেস একসেস পয়েন্ট বা রাউটার যোগ করাই যথষ্টে। এ ছাড়া আপনি সহজেই ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের কনফিগারেশন পরিবর্তন করতে পারেন। ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ককে তারযুক্ত নেটওয়ার্কের সঙ্গেও যুক্ত করা যায়।

Exit mobile version