1 second school

Website Affiliate Marketing : Earn More Money Online

Website Affiliate Marketing

শেয়ার করুন

সূচনা: Website Affiliate Marketing – বর্তমান ডিজিটাল যুগে আয় করার অনেক অনেক নতুন এবং আকর্ষণীয় উপায় রয়েছে, যার মধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অন্যতম। এটি এমন একটি পদ্ধতি, যা আপনাকে বিনিয়োগ ছাড়াই অনলাইনে আয়ের সুযোগ করে দিবে। যারা বাড়িতে বসে কাজ করতে চান বা ফ্রিল্যান্সিং জগতে নতুন কিছু চেষ্টা করতে আগ্রহী, তাদের জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে একটি চমৎকার বিকল্প উপায়। সঠিক কৌশল ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এটি শুধু আয়ের মাধ্যমই নয়, বরং একটি সফল ক্যারিয়ারেও পরিণত হতে পারে।

Table of Contents

Toggle

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? what is Website Affiliate Marketing

এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি, যেখানে আপনি কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা প্রচার করে বিক্রয়ের ভিত্তিতে কমিশন অর্জন করতে পারবেন। সহজ কথায়, এটি হলো কমিশন-ভিত্তিক আয়ের একটি মাধ্যম। এখানে আপনাকে একটি বিশেষ এফিলিয়েট লিঙ্ক দেওয়া হযবে, যা আপনি আপনার ব্লগ, ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো শেয়ার করতে পারেন। যদি কেউ সেই লিঙ্ক ব্যবহার করে পণ্য ক্রয় করে, তাহলে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন।

উদাহরণ-

ধরুন, আপনার একটি ব্লগ সাইট আছে বা ইউটিউব চ্যানেল আছে। যেখানে আপনি বিভিন্ন প্রোডাক্ট রিভিউ লিখে থাকেন বা প্রডাক্টের ভিডিও বানা। যদি আপনি কোনো পণ্যের এফিলিয়েট লিঙ্ক যুক্ত করেন এবং দর্শক সেই লিঙ্কের মাধ্যমে পণ্যটি কেউ কিনে, তাহলে আপনি সেই বিক্রয় থেকে একটি কমিশন উপার্জন করতে পারবেন।

কমিশন = পণ্যের মূল্য × কমিশনের হার
= ৫,০০০ টাকা × ১০%
= ৫০০ টাকা।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন জনপ্রিয় ?

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করা হয়? Affiliate Marketing

যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে শুরু করার জন্য কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। সঠিক পরিকল্পনা এবং কার্যকর কৌশল আপনাকে সফল এফিলিয়েট মার্কেটার হতে সাহায্য করবে। নিচে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার প্রক্রিয়া গুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো:

Affiliate marketing websites – Website Affiliate Marketing

১. সঠিক নিশ বা বাজার নির্বাচন করা

শুরু করার আগে একটি নির্দিষ্ট নিস বা বিষয় নির্বাচন করুন। এটি এমন একটি বিষয় হওয়া উচিত যা নিয়ে আপনি কাজ করতে আগ্রহী এবং যেখানে পণ্য বা সেবার চাহিদা বেশি হয়। উদাহরণস্বরূপ, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, ফিটনেস, ফ্যাশন বা শিক্ষা সংক্রান্ত নিস হতে পারে। আপনার যেটা ভালো লাগে।

২. এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান

বিভিন্ন কোম্পানি এবং প্ল্যাটফর্ম এফিলিয়েট প্রোগ্রাম অফার করে। আপনার নিস অনুযায়ী সঠিক প্রোগ্রাম নির্বাচন করুন। জনপ্রিয় কিছু এফিলিয়েট প্রোগ্রাম:

                পদক্ষেপ: ShareASale সাইটে রেজিস্টার করুন, আপনার পছন্দের পণ্য বা সেবা নির্বাচন করুন এবং লিঙ্ক বা ব্যানার ব্যবহার করে সেটা প্রচার করুন।

                পদক্ষেপ: Flipkart Affiliate সাইটে সাইন আপ করুন, প্রোডাক্ট নির্বাচন করুন, এবং আপনার লিঙ্ক শেয়ার করে কমিশন উপার্জন করেন।

Affiliate marketing websites
Affiliate marketing websites: 1SS

বাংলাদেশের-

৩. একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুন

আপনার পণ্য প্রচার করার জন্য একটি মাধ্যম প্রথমে দরকার হবে। এটি হতে পারে:-

৪. এফিলিয়েট লিঙ্ক তৈরি এবং শেয়ার করুন

এ প্রোগ্রামে যোগ দেওয়ার পর আপনাকে একটি ইউনিক এফিলিয়েট লিঙ্ক দেওয়া হবে। সেই লিঙ্কটি আপনার মাধ্যম থেকে বিক্রয়কে ট্রাকিং করতে সাহায্য করবে। ব্লগ, ভিডিও, বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এই লিঙ্ক যুক্ত করুন। তখন এই লিঙ্ক এ ক্লিক করে কেউ কিনলে আপনি একটা কমিশন পাবেন।

টিপস

আরও পড়ুন:

এসইও কি – কিভাবে করবেন সহ বিস্তারিত সঠিক গাইডলাইন

ক্রিপ্টোকারেন্সি কি – কীভাবে বিনিয়োগ এবং কিনবেন বিস্তারিত

এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন শিখবেন ? Why learn affiliate marketing

এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখে আপনি ঘরে বসেই ইনকামের সুযোগ পেতে পারেন। এটি প্যাসিভ আয়ের একটি মাধ্যম, যেখানে আপনি একবার প্রচার শুরু করলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সেখান থকে আয় করতে পারেন। তবে, সঠিক পণ্য নির্বাচন, নৈতিকতা বজায় রাখা এবং হারাম পণ্য এড়িয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং কীভাবে শুরু করবেন?

এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হওয়ার টিপস

  1. বিশ্বাসযোগ্য নেটওয়ার্ক প্র্রথমে নির্বাচন করুন: শেয়ারএস্যাল, অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস, ক্লিকব্যাংক ইত্যাদি।
  2. লক্ষ্যভিত্তিক পণ্য নির্বাচন করুন: আপনার দর্শকদের প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য সঠিকভাবে নির্বাচন করুন।
  3. গুণগতমান সম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরি করুন: কন্টেন্টের মান ভালো হলে দর্শক আপনার লিঙ্কে ক্লিক করার প্রবণতা বাড়বে। এতে সেল থেকে কমিশন পাবেন।
  4. সোশ্যাল মিডিয়া এবং এসইও ব্যবহার করুন: আপনার প্রচার কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে।
  5. নিয়মিত বিশ্লেষণ করুন: কোন পণ্য বা প্ল্যাটফর্মে বেশি সাফল্য পাচ্ছেন তা বিশ্লেষণ করে কৌশল ঠিক করুন। প্রতিনিয়ত বিশ্লেষণ করুন।

affiliate marketing course

এফিলিয়েট মার্কেটিং শেখার জন্য কিছু কোর্সের ধারণা এবং স্থান দেওয়া হলো:

1. অফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচিতি

2. সঠিক এফিলিয়েট প্রোগ্রাম নির্বাচন করতে হবে

3. আপনার নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুন

4. কনটেন্ট তৈরি ও মার্কেটিং

5. ট্রাফিক বাড়ানো

6. কনভার্সন অপটিমাইজেশন

7. আইনগত এবং নৈতিক দিক

এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স কোথায় নেবেন?

  1. Udemy
    • Affiliate Marketing for Beginners – নতুনদের জন্য একটি জনপ্রিয় কোর্স, সহজভাবে শেখানোর জন্য।
    • Advanced Affiliate Marketing – যারা আরও গভীরে যেতে চান তাদের জন্য।
  2. Coursera
    • শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলির কোর্স, যেখানে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কৌশল শেখানো হয়।
  3. Skillshare
    • ক্রিয়েটিভ কোর্স যা এফিলিয়েট মার্কেটারদের জন্য কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে শুরু করে উন্নত মার্কেটিং কৌশল শেখায়।
  4. Wealthy Affiliate
    • এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য একটি বিশেষ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি বিস্তারিত কোর্স, টুলস, এবং একটি সহায়ক কমিউনিটি পাবেন।
  5. ClickBank University
    • ClickBank প্ল্যাটফর্মে পণ্য প্রচারের জন্য ডিজাইন করা একটি কোর্স, যেখানে আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ ট্রেনিং দেওয়া হয়।
  6. YouTube
    • সফল এফিলিয়েট মার্কেটারদের ফ্রি টিউটোরিয়াল এবং গাইড, যেখানে আপনি সব ধরণের কৌশল শিখতে পারেন, নতুনদের জন্যও উপযোগী।

Frequently Asked Questions About Website Affiliate Marketing

Frequently Asked Questions

এফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে?

উত্তর: এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্য কোনো কোম্পানির পণ্য বা সেবা প্রচার করে সেখান থেকে প্রতিবার বিক্রির উপর কমিশন পায়।

কীভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করব?

উত্তর: আপনি প্রথমে একটি এফিলিয়েট প্রোগ্রামে সাইন আপ করুন, যেমন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট বা শপিফাই। তারপর আপনার ব্লগ, ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে পণ্য বা সেবা প্রচার করুন এবং এর মাধ্যমে আপনার একাউন্টে কমিশন আয় করুন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে কত টাকা আয় করা সম্ভব?

উত্তর: এটি সম্পূর্ণ আপনার প্রচেষ্টা ও পরিকল্পনার ওপর নির্ভর করবে। কিছু এফিলিয়েট মার্কেটার মাসে কয়েক হাজার টাকা আয় করতে পারেন, আবার কিছু ব্যক্তি এর মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আয়ও করতে পারেন। আপনি যেমন লিংক ক্রিয়েট করে বেশি প্রচার করবেন তত বাড়বে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কোন ধরনের সাইট বা ব্লগ দরকার হয়?

উত্তর: এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আপনার একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ দরকার, যেখানে আপনি পণ্য বা সেবার রিভিউ, তুলনা, বা গাইডলাইন প্রকাশ করতে পারেন। এছাড়াও আপনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মও কাজে লাগানো যেতে পারেন।

এফিলিয়েট প্রোগ্রামে সাইন আপ করার জন্য কি কোনো খরচ আছে?

উত্তর: বেশিরভাগ এফিলিয়েট প্রোগ্রাম সাইন আপ করার জন্য ফ্রি, তবে কিছু প্রোগ্রাম বা প্ল্যাটফর্মে বিশেষ ধরনের সুবিধার জন্য সদস্যপদ ফি বা অন্যান্য খরচ থাকতে পারে। তবে এগুলো সিমিত। এক্সট্রা ফিচারের জন্য আপনি পেমেন্ট করতে পারেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে কীভাবে পেমেন্ট পাবো আমি?

উত্তর: সাধারণত এফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলি ব্যাংক ট্রান্সফার, পেপাল, চেক বা অন্যান্য অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যমের খুব সহজে পেমেন্ট করে থাকে। প্রতিটি প্রোগ্রামের সবার পেমেন্ট পদ্ধতি আলাদা হতে পারে।

আমি কি অনলাইনে প্রচারের জন্য কোনো বিশেষ দক্ষতা বা শিক্ষা প্রয়োজন?

উত্তর: না, তবে কিছু সাধারণ ডিজিটাল মার্কেটিং দক্ষতা, যেমন SEO, কন্টেন্ট মার্কেটিং, এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং জানলে আপনি আরও এতে সফল হতে পারবেন। যদি নিজের সাইট থাকে তাহলে এসইও জানতে হবে।

শেষ কথাঃ

Website Affiliate Marketing  – এফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইন আয়ের একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। সঠিক জ্ঞান, পরিশ্রম এবং নৈতিকতা বজায় রেখে কাজ করলে আপনি এ থেকে উল্লেখযোগ্য আয় করতে পারেন। তবে, সবসময় সতর্ক থাকুন এবং হারাম পণ্য বা সেবা প্রচার থেকে বিরত থাকুন। আর অবশ্যই হাল ছাড়বেন না লেগে থাকুন। একসময় গিয়ে সব গুছিয়ে উঠলে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। তাই সময়কে কাজে লাগান ও ধৈয্য ধরুন।

Exit mobile version