1 second school

ব্যায়াম করার পর খাবার তালিকা

ব্যায়াম করার পর খাবার তালিকা

শেয়ার করুন

ব্যায়াম করার পর খাবার তালিকা

ব্যায়াম করার পর খাবার তালিকা : ব্যায়াম করার পর খাবার তালিকা:  সুস্থ থাকার জন্য আমাদের ব্যায়াম করতে হবে। এখন বর্তমানে পৃথিবীতে হাজার হাজার রোগ আছে।

একজন মানুষ  দেহের ওজন কমানো, সুগঠিত মাংসপেশি কিংবা সুস্বাস্থ্যের জন্য ব্যায়াম করছেন? সেই সাথে যদি আপনি অস্বাভাবিক কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাবার খান তাহলে ব্যায়ামের কোনো উপকারই পাবেন না। এতে দেহের ওজন যেমন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে তেমন উপকারও পাওয়া যাবে না।

এ কারণে ব্যায়াম করার পাশাপাশি কিছু খাবারও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।  তাই অনেকে জিমে যান, অনেকে ঘরে ব্যায়াম করেন।

ব্যায়াম করছেন আবার ইচ্ছামতো খাবারও খেয়ে নিচ্ছেন। ভাবছেন, ব্যায়াম করলে তো খাবারের সব শক্তি হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে তা নয়। খাবেন, ইচ্ছামতো নয়, নিয়ম করে খান।

জিম এর খাদ্য তালিকা

একটি সঠিক খাদ্য তালিকা শরীরকে পুষ্টি জোগায় এবং ব্যায়ামের সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে সাহায্য করে। এখানে একটি সাধারণ খাদ্য তালিকা দেওয়া হলো:

প্রাতঃরাশ/ সকালে:

দুপুরের খাবার লিস্ট:

সন্ধ্যাবেলা স্ন্যাকস লিস্ট:

রাতের খাবার লিস্ট:

অতিরিক্ত টিপস লিস্ট:

ব্যায়াম করার আগে কখন খাবেন

ব্যায়াম শুরু করার ৩০ মিনিট থেকে ৪ ঘণ্টা আগে প্রি-ওয়ার্কআউট খাবার খেয়ে বা নাশতা করে নিতে হবে। কারণ, খাবার হজমের পরই প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যাবে।

ভারী খাবার খেতে হলে তা ব্যায়ামের ২-৩ ঘণ্টা আগে খেতে হবে আর নাশতার জন্য এ সময় হবে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা। এ নিয়ম মেনে চললে ব্যায়ামের সময়ে যথাযথ শক্তিই পাওয়া যাবে, জানান পুষ্টিবিদরা।

ব্যায়াম করার পর খাবার তালিকা
ব্যায়াম করার পর খাবার তালিকা
  • প্রথমে কখনোই খালি পেটে ব্যায়াম করতে যাবেন না। ব্যায়ামের ফলে যে চাপ পড়বে সেটি শরীরের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। যার ফলে হাইপোগ্লেসিমিয়া হয়ে শরীর অবসন্ন হয়ে যেতে পারে। তাই কখনোই খালি পেটে ব্যায়াম করতে যাবেন না। হালকা কিছু খেতে পারেন যেমন, ২টা কলা এক গ্লাস পানি।
  • ডায়াবেটিক হলে ভারি খাবারের পর ব্যায়াম করা প্রয়োজন। তবে সাধারণ লোকের জন্য ভারি খাবারের দুই তিন ঘণ্টা পর ব্যায়াম করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এতে দেহের শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে। ডায়াবেটিক হলে কখনো খালি পেটে বা হালকা খেয়ে ব্যায়াম করবেন না। মোটামুটি ভারি ধরনের কিছু খাবেন তারপর ১৫ মিনিট পর ব্যায়াম শুরু করবেন।
  • জিমে বা ব্যায়ামে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে কাবোর্হাইড্রেট জাতীয় খাবার খেতে হবে। ব্যায়ামের আগে বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে পারেন। ব্যায়ামের আগে খাওয়ার জন্য আপেল বেশ আদর্শ ফল। এর পাশাপাশি কলা, টোস্ট, কর্নফ্লাকস এগুলোও খেতে পারেন। এই খাবারগুলো হজম হতে কম সময় লাগে এবং ব্যায়ামের আগে শরীরে শক্তি জোগাবে। এ ছাড়া ব্যায়ামের আগে অবশ্যই এক গ্লাস পানি পান করে নেবেন। এর ফলে শরীর ভালোভাবে আর্দ্র থাকবে।

জিম করার আগে কি খাওয়া উচিত

জিম করার আগে সঠিক খাবার গ্রহণ শরীরকে পর্যাপ্ত শক্তি ও সহনশীলতা দেয়। সাধারণত, ব্যায়াম শুরুর ৩০-৬০ মিনিট আগে হালকা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। জিমের আগে কিছু স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট যেমন ওটমিল, ব্রাউন ব্রেড, ফলমূল (যেমন কলা বা আপেল) খাওয়া ভালো, কারণ এগুলো দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে।

প্রোটিনও গুরুত্বপূর্ণ, যা পেশির পুনর্গঠন ও শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যেমন একটুখানি বাদাম, দই, বা ডিম। এছাড়া, পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি, যাতে শরীর হাইড্রেট থাকে এবং ব্যায়ামের সময় ক্লান্তি কমে।

সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত

ব্যায়াম শুরুর ৩০-৬০ মিনিট আগে হালকা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। সকালে ব্যায়ামের আগে আপনি ওটমিল, ব্রাউন ব্রেড, ফলমূল (যেমন কলা বা আপেল) খাওয়া ভালো, কারণ এগুলো দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে থাকে।

ব্যায়াম করার পর খাবারের তালিকা

ভারী বা মাঝারি—সব ধরনের ব্যায়ামের পরই সঠিক পরিমাণ ও ধরনের খাবার দরকার। আর তরুণদের ক্ষেত্রেও এর বিকল্প নেই। সঠিক খাবার সঠিক সময়ে খেলেই পাওয়া যাবে ব্যায়ামের সঠিক সুফল।

খাওয়ার কতক্ষণ পর ব্যায়াম করা উচিত

খাবারের পর ব্যায়াম করার সময়ের ওপর নির্ভর করে আপনি কী ধরনের খাবার খেয়েছেন। হালকা খাবার খেলে সাধারণত ৩০-৬০ মিনিট পর ব্যায়াম করা যায়। এই সময়ের মধ্যে শরীর হালকা খাবার হজম করতে পারে এবং আপনাকে পর্যাপ্ত শক্তি দেয়।

তবে, ভারী খাবার (যেমন ভাত, পাস্তা, মাংস) খেলে অন্ততপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করা উচিত, কারণ শরীরকে এই ধরনের খাবার হজম করতে বেশি সময় লাগে। হজম না হলে ব্যায়ামের সময় অস্বস্তি, পেট ফাঁপা বা ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে। তাই হালকা ও ভারী খাবারের উপর নির্ভর করে সময় ঠিক করা জরুরি।

আরও জানুন!

খুশকি দূর করার উপায়

শিলাজিতের উপকারিতা ও অপকারিতা

লেবু পানির উপকারিতা

চিরতা পাতার উপকারিতা

সর্বশেষ কথা-

ব্যায়াম করার আগে ও পরে আপনাকে কি কি করতে হবে এবং কি কি করা নিষেধ সেই দিকে খেয়াল মাস্ট রাখতে হবে। মনে রাখবেন, ব্যায়াম আপনার শরীরের সুস্থ থাকার জীবন। সেই জন্য সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করার আগে ও পরে কি খেতে হবে সেই দিকে লক্ষ্য রাখবেন। সবার সুস্থ কামনা আশা করছি।

উপসংহার:

ব্যায়ামের পর সঠিক খাবার খাওয়া শরীরের পুনর্গঠনে সহায়ক। প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার পেশি পুনর্নির্মাণ ও শক্তি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। যেমন, গ্রিলড মুরগি, ডিম, মাছ, বাদাম বা দই প্রোটিন সরবরাহ করে, এবং ব্রাউন রাইস বা মিষ্টি আলু থেকে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট মেলে। পর্যাপ্ত পানি পান করে শরীরকে হাইড্রেট রাখা অপরিহার্য। স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন অ্যাভোকাডো বা অলিভ অয়েল পেশি ও হাড়ের জন্য উপকারী। সঠিক পরিমাণে এবং সময়ে খাওয়া ব্যায়ামের সর্বোচ্চ ফলাফল নিশ্চিত করতে সহায়ক।

Exit mobile version