মানুষের কিডনির দাম কত
মানুষের কিডনির দাম কত: আপনার কৌতুহলী মনে কি কখনো প্রশ্ন জেগেছে যে, একটি কিডনির দাম কত এবং কিডনি কোথায় বিক্রি করা হয়?
কিডনি মানব শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ, যা রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। বিশ্বব্যাপী হাজারো মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে, যার মধ্যে অনেকেই কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য অপেক্ষা করে।
তবে কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং এটি বিভিন্ন আইন ও নিয়মের আওতাভুক্ত।
যদি এ সকল প্রশ্নের উত্তর জানার ইচ্ছে জেগে থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
১. কিডনির দাম কত?
২. মৃত মানুষের কিডনি দাম
৩. কিডনি বিক্রি করা যায় কোথায়
৪. কিডনি বেচার ঠিকানা
৫. জীবিত মানুষের কিডনির দাম
কিডনি বিক্রি কি আইনসিদ্ধ?
প্রথমেই জানা গুরুত্বপূর্ণ যে, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই কিডনি বা অন্য কোনো অঙ্গ বাণিজ্যিকভাবে কেনাবেচা করা অবৈধ।
বাংলাদেশ, ভারতসহ অধিকাংশ দেশে মানব অঙ্গ বিক্রির ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিডনি প্রতিস্থাপন শুধুমাত্র নিকট আত্মীয় বা আইনত অনুমোদিত ব্যক্তির মাধ্যমে সম্ভব, যেখানে কোনো আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই।
মানুষের একটা কিডনির দাম কত
আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা জানবো একটি কিডনির দাম কত বা এর মূল্য কত হতে পারেভ কিডনি কোথায় বিক্রি করা যায় কিডনি কারা বিক্রি করে এ সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিস্তারিত সব কিছু।
মার্কিন গোয়েন্দা দপ্তর এফবিআই সূত্রে যে খবর এসেছে, তাতে মানবশরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দাম বেশ চড়া এই বাজারে। সেই সব দাম যোগ করলে তা দাঁড়াবে প্রায় আড়াই কোটি টাকা অথ্যাৎ 22,270,000 টাকা ! kidneys cost about $262,000 each.
মানুষের কিডনি বিক্রি আইনত নিষিদ্ধ, তাই এর নির্দিষ্ট কোনো বাজারমূল্য নেই। তবে অবৈধভাবে কিডনি কেনাবেচা অনেক দেশে ঘটে থাকে,
যেখানে কিডনির দাম ২০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ ডলারের মধ্যে হতে পারে। এই ধরনের লেনদেন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং কঠোর আইনি শাস্তির আওতায় পড়ে।
কিডনির দাম কত বাংলাদেশে
বাংলাদেশে কিডনি বিক্রি সম্পূর্ণ অবৈধ, তাই এর কোনো বৈধ মূল্য নির্ধারণ করা নেই। তবে অবৈধভাবে কিডনি কেনাবেচার খবর মাঝে মাঝে শোনা যায়, যেখানে দাম ২ থেকে ৫ লাখ টাকার মধ্যে হতে পারে।
তবে এটি বেআইনি এবং জড়িত ব্যক্তিরা কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে পারে। কিডনি প্রতিস্থাপন শুধুমাত্র নিকট আত্মীয় বা আইনত অনুমোদিত দাতার মাধ্যমে করা যায়।
ছেলেদের কিডনির দাম কত (kidnir dam koto)
ছেলেদের কিডনির দাম সাধারণত বাজারে উপলব্ধ নয়, কারণ কিডনি বিক্রি বা কেনা একটি অবৈধ কার্যকলাপ। দাম ২ থেকে ৫ লাখ টাকার মধ্যে হতে পারে।
মানব অঙ্গের বাণিজ্যিক সেবা অনেক দেশে আইনসিদ্ধ নয় এবং এটি একাধিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যদি কিডনির সমস্যার কারণে কোনো চিকিৎসা সহায়তা দরকার হয়, তবে আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
১টি কিডনির দাম কত
বাংলাদেশে, কিডনি প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ার জন্য কিডনির দাম বা মোট খরচ নির্ভর করে অনেক ফ্যাক্টরের উপর।
যেহেতু কিডনি বিক্রি বা কেনা আইনত নিষিদ্ধ, তাই এর সঠিক দাম নির্ধারণ করা কঠিন। সাধারণত, কিডনি প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া, হাসপাতালের খরচ, ডোনার খরচ, এবং অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ মিলিয়ে মোট খরচ হয়।
বাংলাদেশে এই প্রক্রিয়ার মোট খরচ কয়েক লাখ টাকা হতে পারে। যদি আপনাকে এই বিষয়ে আরো বি
২. মৃত মানুষের কিডনি দাম
মৃত মানুষের কিডনি বিক্রি বা কেনা আন্তর্জাতিক আইন এবং নীতিমালা অনুযায়ী সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং অৈতিক। এই ধরনের কর্মকাণ্ড আইনসিদ্ধ নয় এবং গুরুতর আইনগত ও নৈতিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
যদি কিডনির প্রয়োজন হয়, তাহলে প্রতিস্থাপন বা চিকিৎসার জন্য বৈধ ও নিরাপদ উপায়গুলো অনুসরণ করা উচিত। মেডিক্যাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান আপনার জন্য উপযুক্ত পরামর্শ এবং সহায়তা প্রদান করতে সক্ষম।
কিডনির দাম কত : কালো বাজারে চাহিদা সবথেকে বেশি কিডনির।
জীবিত মানুষের কিডনির দাম মোটামুটি ২২,২৭০,০০০ টাকা।
মৃত মানুষের কিডনি দাম ১০,০৬,৪৪৬ টাকা
মানব শরীরের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের দাম সম্পর্কে জেনে আসি।
২. লিভার : 47,345,000 টাকা (লিভার আসে, যার মূল্য প্রায় $557,000)
৩. চোখ : ১,২৭,৫০০ টাকা। চোখের বল ($1,500 প্রতিটি)
৪. বোন ম্যারো : ১৫,৪৩,২১৮ টাকা।
৫. হৃৎপিণ্ড : ৭৯,৮৪,৪৭৭ টাকা। (আপনি যদি আইনত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আপনার হৃদয় বিক্রি করতে চান তবে এটি প্রায় 1 মিলিয়ন ডলারে কেনা যাবে)
আরও পড়ুন : জিম করার সঠিক নিয়ম দেখুন
ডায়াবেটিসের লক্ষণ ও প্রতিকার
৬. গল ব্লাডার : ৮১,৭৯০ টাকা
৭. ডিম্বাণু : মোটামুটি দাম ৮,৩৮,৭০৫ টাকা।
৮. রক্ত : ১,৬৭৭ – ২২,৮১২ টাকা।
৯. করোনারি আর্টারি : ১,০২,৩২২ টাকা
১০. ক্ষুদ্রান্ত্র : ১,৬৯,০১৫ টাকা।
১১. পাকস্থলী $500 (42,500 টাকা)
আশ্চর্যজনকভাবে, কালো বাজারে অঙ্গগুলি কম দামে দেওয়া হয়: উপরের দামের 10 শতাংশ – কিন্তু আপনি কখনই জানেন না যে এই শরীরের অঙ্গগুলি কোথা থেকে এসেছে।
৩. কিডনি বিক্রি করা যায় কোথায়
সারা পৃথিবীতেই কিডনি বিক্রির জন্য বৈধ বাজার বা বৈধ অফিস নেই। মূলত কিডনি বিক্রি হয়ে থাকে চোরা কারবারি সহ কালোবাজারি মার্কেট গুলোতে। তবে আমাদের দেশসহ পরবর্তীতে আশেপাশের দেশগুলোতে কিডনি বিক্রির জন্য অনেক হাসপাতালে যোগাযোগ করলে পাওয়া যেতে পারে।
কিডনি ট্রান্সফার কিংবা কিডনির দাম অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ যখন কিডনি বিক্রি করতে চায় তখন তাদের থেকে কম দামে কিডনি কিনে নেয়া হয়ে থাকে। মূলত এ সকল কিডনি পরবর্তীতে চোরাকারবারি কালোবাজারি বাজারের মাধ্যমে চড়া মূল্যে বিক্রি করা হয়।
৪. কিডনি বেচার ঠিকানা
সঠিকভাবে যদি বলি তাহলে কিডনির বেচার কোন নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই, কিছু অসাধু প্রতারকরা কিডনি কম দামের কার করার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে এর সাথে জড়িত রয়েছে কিছু অসাধু হাসপাতাল কিংবা ডাক্তাররা।
সরাসরি কিডনি না কিনলেও অনেক দালাল আছে যারা আপনাকে কিডনি বেচার ঠিকানা বলে দিবে এমনকি পৌঁছাতেও সাহায্য করবে। কিডনি বেচা এবং কেনা থেকে বিরত থাকুন। এসব আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
৫. জীবিত মানুষের কিডনির দাম
মোটামুটি ২,২২,৭০,০০০ টাকা।। আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন, আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে কিডনি বিক্রি দাম 2021 এর তথ্য দেয়া হয়েছে।
সুতারাং এই মূল্যের কিছু হেরফর হতে পারে। বর্তমান সময়ের সঠিক মূল্য আপনার জানা থাকলে কমেন্ট করে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।
আপনি যদি আপনার শরীরের প্রতিটি অঙ্গ এবং রাসায়নিক সংগ্রহ করতে পারেন তবে আপনি $ 45 মিলিয়ন উপার্জন করতে পারেন।
সুত্র : medicalfuturist.com
কিডনি প্রতিস্থাপনের খরচ
যদিও কিডনি বিক্রি আইনত অবৈধ, তবে কিডনি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে খরচ একটি বড় বিষয়। বাংলাদেশে কিডনি প্রতিস্থাপনের খরচ সাধারণত ৪ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। উন্নতমানের হাসপাতালে খরচ আরও বেশি হতে পারে। এছাড়া, ওষুধ ও পরবর্তী চিকিৎসার খরচও যুক্ত হয়।
অবৈধ কিডনি বাণিজ্য এবং এর বিপদ
দুর্ভাগ্যবশত, কিছু স্থানে অবৈধ কিডনি বাণিজ্য চালু আছে, যেখানে মানুষের জীবন বিপন্ন হয়। কিডনি বিক্রির প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি ছাড়াও আইনগত ঝুঁকি থাকে, কারণ এটি বেআইনি এবং জড়িত ব্যক্তিরা কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন।
কিডনি দানের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি
মানবিক কারণে কিডনি দান করা একটি মহৎ কাজ। নিকট আত্মীয়ের কিডনি দান বা মৃত ব্যক্তির অঙ্গ দান সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে অনেক রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। অঙ্গ দান নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা জরুরি, যাতে কেউ অবৈধ পথে না যায়।
সবশেষে বলবো, আমি এখানে শুধু তথ্য তুলে ধরেছি কেমন দাম হতে পারে আমাদের অঙ্গের। এর মানে এই নয় যে আমি কিডনি বিক্রি করতে বলছি বা কোথায় বা কিডনি করা হয় সেসব জানি। কিডনি বিক্রি করা থেকে বিরত থাকুন! এসব আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
উপসংহার
কিডনি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা শরীরের বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করে, যেমন:
- বর্জ্য অপসারণ: কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য এবং অতিরিক্ত তরল অপসারণ করে মূত্রের মাধ্যমে বের করে দেয়।
- ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য: কিডনি সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং অন্যান্য ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: কিডনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে, রেনিন নামক হরমোনের মাধ্যমে।
- ইরিথ্রোপোয়েটিন উৎপাদন: কিডনি রক্তের লোহিত কণিকার উৎপাদন নিয়ন্ত্রণকারী ইরিথ্রোপোয়েটিন হরমোন তৈরি করে।
কিডনি স্বাস্থ্য রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কিডনির অসুস্থতা বা অক্ষমতা শরীরের বর্জ্য অপসারণ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে। কিডনির সমস্যা বা রোগের জন্য চিকিৎসা বা প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া গ্রহণ করার আগে, একটি অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।