ডায়াবেটিসের লক্ষণ ও প্রতিকার
ডায়াবেটিসের কারণ, নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। কার্যকর স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে ডায়াবেটিস-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ ও নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রণ তথা সুশৃংখল জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে আমাদের। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও চিকিৎসা একটি সমন্বিত, সামাজিক পদক্ষেপ।
ডায়াবেটিসের লক্ষণ
diabetes er lokkhon
টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের নিম্নোক্ত লক্ষণ দেখা দিতে পারে:
- অতিরিক্ত পিপাসা
- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
- অতিরিক্ত ক্ষুধা, ক্লান্তি
- কোন কারণ ছাড়াই অনেক ওজন কমে যাওয়া
- চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া অথ্যাৎ চোখে কম দেখা শুরু করা।
- শরীরে ক্ষত বা কাটাছেঁড়া হলেও দীর্ঘদিনেও সেটা না সারা
- স্পর্শ ও ব্যথার অনুভূতি কমে যাওয়া
- দুর্বল লাগা’ ঘোর ঘোর ভাব আসা
- ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া
- সময়মতো খাওয়া-দাওয়া না হলে রক্তের শর্করা কমে হাইপো হওয়া
- মিষ্টি জাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া
- বিরক্তি ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠা
- চামড়ায় শুষ্ক, খসখসে ও চুলকানি ভাব
ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণ
এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য প্রাভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন 10648 এ।
কারণ:
যেকোনো বয়সেই টাইপ ২ ডায়াবেটিস হতে পারে তবে শিশু বা তরুণদের তুলনায় মধ্য-বয়সী এবং তুলনামূলক বয়স্করা এ রোগের ঝুঁকিতে বেশি থাকেন।
অন্য যে বিষয়গুলোর জন্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়:
- নিকটজনের কারো টাইপ ২ ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স থাকলে
- প্রি-ডায়াবেটিস অর্থাৎ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কিন্তু ডায়াবেটিসের নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে কম থাকলে
- অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে
- শারীরিক পরিশ্রম কম করলে
- পূর্বে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকলে
- তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ করলে
- খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত চিনি এবং কম ফাইবারযুক্ত খাবার থাকলে
- অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকলে
ডায়াবেটিসে কাদের ঝুঁকি বেশি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের এই রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশেই বেশি রয়েছে।
এছাড়া যারা নিয়মিত হাঁটাচলা বা শারীরিক পরিশ্রম করেন না, অলস বা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন, শুযে বসে থাকে তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
এছাড়া নারীদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে।
যাদের হৃদরোগ রয়েছে, রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকি রয়েছে।
যেসব শিশুর ওজন বেশি, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের ডায়াবেটিস রয়েছে, যাদের মায়ের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হয়েছিল, সেই সব শিশুর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে। ডায়াবেটিসের লক্ষণ ও প্রতিকার
ডায়াবেটিস এর প্রতিকার
ডায়াবেটিস যদিও জেনেটিক এবং আপনার জীবন যাপনের স্টাইলের ওপর নির্ভরশীল তারপরেও আপনি চেষ্টা করলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারেন। সেজন্যে আপনাকে খাবার গ্রহণের বিষয়ে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে এবং আপনাকে হতে হবে অত্যন্ত সক্রিয় একজন মানুষ।
২. জীবনধারা পাল্টে দিন অথ্যাৎ পূবে যেভাবে চলতেন সেভাবে চলা যাবেনা। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।
ডায়াবেটিস চিকিৎসা
১ম ধাপ: রোগ নির্ণয় করতে হবে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস সাধারণত কিছু রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়ে থাকে।
২য় ধাপ: ব্যবস্থাপনা/ ম্যানেজমেন্ট
যদিও আমরা জানি যে, এই রোগের কোনো নিরাময় নেই অথ্যাৎ একে বারে ভালো হওয়ার সম্ভবনা নেই, তবে ডাক্তারের নির্দেশিত জীবনধারা মেনে চললে সুস্থ থাকা সম্ভব।
নিজের অথবা আপনজনকে নিয়ে চিন্তিত? প্রাভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে ভিডিও কনসালটেশন বা সরাসরি পরামর্শ নিয়ে সম্ভাব্য ডায়াবেটিস নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রনে সহায়তা নিন।
আরও জানুন!
- খুশকি দূর করার উপায়
- কিডনির দাম কত?
- ৮ লক্ষণে বুঝবেন ফুসফুসে ক্যান্সার
- সকল রোগ থেকে মুক্তির দোয়া
- ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়