মুরগির কলিজা
মুরগির কলিজা: এটি বাংলাদেশে এবং বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে একটি জনপ্রিয় খাবার। এর স্বাদ ও পুষ্টিগুণের জন্য এটি অনেকের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে। পুষ্টিকর এবং সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে এটি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে, মুরগির কলিজা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী। এই পোস্টে আমরা মুরগির কলিজার পুষ্টিগুণ, উপকারিতা এবং এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব নিয়ে আলোচনা করব।
কলিজার ইংরেজি কি
কলিজা এর ইংরেজি হলো Liver.
মুরগীর কলিজা কি (koliza)
কলিজা হল মুরগির একটি পুষ্টিকর অংশ, যা সহজলভ্য এবং অনেকেরই পছন্দের খাবার। এটি নানা রকম ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
মুরগির কলিজা খাওয়ার উপকারিতা
- রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সহায়ক: মুরগির কলিজা আয়রনে ভরপুর, যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে: এতে থাকা ভিটামিন এ এবং সেলেনিয়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, যা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
- মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে: মুরগির কলিজায় পাওয়া ভিটামিন বি১২ এবং ফলেট স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করে।
- শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে: প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবারটি শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি যোগায়, যা দৈনন্দিন কাজকর্মে সহায়ক।
- চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: এতে উপস্থিত ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় এবং রাত্রিকালীন অন্ধত্ব প্রতিরোধ করতে পারে।
- সুস্থ চামড়া ও চুলের জন্য উপকারী: মুরগির কলিজায় থাকা ভিটামিন বি, আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান চামড়া ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।
- হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক: নিয়মিত এবং পরিমিত পরিমাণে মুরগির কলিজা খেলে এতে থাকা সেলেনিয়াম এবং আয়রন হার্টের কার্যক্রমকে সুষ্ঠু রাখতে সাহায্য করে।
কলিজার এই পুষ্টিগুণগুলো নিশ্চিত করে যে এটি শুধুমাত্র সুস্বাদু নয়, বরং স্বাস্থ্যকরও।
কলিজা খাওয়ার অপকারিতা
- উচ্চ কোলেস্টেরল মাত্রা: মুরগির কলিজায় প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে। যারা উচ্চ কোলেস্টেরল বা হৃদরোগের ঝুঁকিতে আছেন, তাদের জন্য এটি অতিরিক্ত খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। নিয়মিত বেশি পরিমাণে কলিজা খেলে হৃদরোগের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।
- ভিটামিন এ-এর অতিরিক্ত মাত্রা: মুরগির কলিজায় ভিটামিন এ-এর পরিমাণ খুব বেশি। অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণ করলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, চামড়ায় র্যাশ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের জন্য অতিরিক্ত ভিটামিন এ ক্ষতিকর হতে পারে।
- পিউরিনের উপস্থিতি: কলিজায় পিউরিন নামক একটি যৌগ থাকে, যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে। যারা গাউট বা ইউরিক অ্যাসিড সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এটি খাওয়া সমস্যাজনক হতে পারে, কারণ এটি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
- হেভি মেটাল সংগ্রহ: প্রাণীর কলিজা শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাই কখনও কখনও এতে সীসা বা পারদের মতো ক্ষতিকর ভারী ধাতু জমা হতে পারে। অতিরিক্ত সেবনে এসব উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- অতিরিক্ত ক্যালোরি: যদিও মুরগির কলিজা পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ, তবে বেশি পরিমাণে খেলে এতে থাকা ক্যালোরি এবং ফ্যাটের কারণে ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকতে পারে।
সুতরাং, কলিজা পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে (যেমন উচ্চ কোলেস্টেরল, গর্ভাবস্থা বা গাউটের সমস্যা) সঠিকভাবে পরামর্শ নিয়ে সেবন করা ভালো।
খাসির কলিজা খাওয়ার উপকারিতা
- প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস: খাসির কলিজা উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা শরীরের পেশী গঠন ও মেরামতে সাহায্য করে এবং শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।
- আয়রন সরবরাহ করে: এতে থাকা হিম আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়ক, যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে উপকারী।
- ভিটামিন বি১২: খাসির কলিজা ভিটামিন বি১২-এর ভালো উৎস, যা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম এবং রক্তকণিকা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ভিটামিন এ: এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে, যা চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- সেলেনিয়াম: খাসির কলিজায় সেলেনিয়াম রয়েছে, যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরকে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে।
- জিঙ্কের উপস্থিতি: এতে থাকা জিঙ্ক ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং শরীরের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
- শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক: খাসির কলিজায় থাকা পুষ্টিগুণ শরীরকে দীর্ঘমেয়াদী শক্তি প্রদান করে, যা দৈনন্দিন কাজকর্মে সহায়ক।
- স্বাস্থ্যকর চামড়ার জন্য উপকারী: খাসির কলিজা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক, কারণ এতে উপস্থিত ভিটামিন ও মিনারেলগুলি ত্বকের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
গরুর কলিজা খাওয়ার উপকারিতা
- আয়রনের প্রধান উৎস: গরুর কলিজা আয়রনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে, রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সহায়ক।
- ভিটামিন বি১২-এর ভালো উৎস: গরুর কলিজায় ভিটামিন বি১২ বেশি পরিমাণে থাকে, যা রক্তকণিকা গঠনে সহায়ক এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে। এটি শরীরে শক্তি উৎপাদনেও সাহায্য করে।
- ভিটামিন এ-এর উচ্চ মাত্রা: গরুর কলিজা ভিটামিন এ-তে সমৃদ্ধ, যা চোখের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- প্রোটিনের ভালো উৎস: গরুর কলিজা প্রোটিনে সমৃদ্ধ, যা পেশী গঠনে সহায়ক এবং শরীরের কোষ মেরামত ও তৈরি করতে সাহায্য করে।
- সেলেনিয়াম এবং দস্তার উপস্থিতি: গরুর কলিজায় সেলেনিয়াম ও দস্তা রয়েছে, যা শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক।
- ফলেটের গুরুত্বপূর্ণ উৎস: গরুর কলিজা ফলেট সমৃদ্ধ, যা কোষ বিভাজন এবং রক্তের নতুন কোষ তৈরিতে সহায়তা করে। এটি গর্ভবতী নারীদের জন্যও উপকারী, কারণ এটি শিশুর সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে।
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান: গরুর কলিজা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর, যা শরীরের ফ্রি র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
চিরতা পাতার উপকারিতা
গরুর কলিজার পুষ্টিগুণ
গরুর কলিজা পুষ্টিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং এটি প্রোটিন, ভিটামিন, এবং খনিজ পদার্থের একটি দুর্দান্ত উৎস। এর প্রধান পুষ্টিগুণগুলো হলো:
- প্রোটিন: গরুর কলিজা প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা পেশী গঠনে সহায়ক এবং শরীরের কোষ পুনর্নির্মাণ ও মেরামত করতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন এ: এতে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে, যা চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
- ভিটামিন বি১২: গরুর কলিজা ভিটামিন বি১২-এর একটি প্রধান উৎস, যা রক্তকণিকা গঠনে সহায়ক এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে।
- ফলেট (ভিটামিন বি৯): এটি শরীরের নতুন কোষ তৈরি এবং কোষ বিভাজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গর্ভবতী নারীদের জন্যও ফলেট অত্যন্ত উপকারী।
- আয়রন: গরুর কলিজায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়ক এবং রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- জিঙ্ক: এতে জিঙ্ক রয়েছে, যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং শরীরের ক্ষত দ্রুত সারাতে সাহায্য করে।
- সেলেনিয়াম: সেলেনিয়াম একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরকে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে এবং কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচায়।
- কপার (তামা): গরুর কলিজায় কপারও থাকে, যা শরীরের বিভিন্ন এনজাইমের কার্যক্রমে সহায়ক এবং শক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর কলিজায় প্রায় নিম্নলিখিত পুষ্টি উপাদান থাকে:
- ক্যালোরি: প্রায় ১৩৫-১৪০ ক্যালোরি
- প্রোটিন: ২০-২৫ গ্রাম
- চর্বি: ৩.৬-৫ গ্রাম
- আয়রন: ৬.২ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি১২: ৮৪ মাইক্রোগ্রাম (প্রায় ৩,৫০০% দৈনিক প্রয়োজন)
- ভিটামিন এ: প্রায় ১৬,৫০০ IU (দৈনিক প্রয়োজনের ৩২০% এর বেশি)
গরুর কলিজার পুষ্টিগুণের কারণে এটি একটি শক্তিশালী সুপারফুড হিসাবে বিবেচিত হয়।
গরুর কলিজা খাওয়ার অপকারিতা
- উচ্চ কোলেস্টেরল: গরুর কলিজায় প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে। যারা উচ্চ কোলেস্টেরল বা হৃদরোগের ঝুঁকিতে আছেন, তাদের জন্য এটি অতিরিক্ত খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে।
- ভিটামিন এ-এর অতিরিক্ত গ্রহণ: গরুর কলিজায় ভিটামিন এ-এর পরিমাণ বেশি। অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণ করলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, এবং চামড়ায় র্যাশ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- পিউরিনের উপস্থিতি: গরুর কলিজায় পিউরিন নামক একটি যৌগ থাকে, যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে। যারা গাউট বা ইউরিক অ্যাসিড সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এটি খাওয়া সমস্যা হতে পারে।
- অতিরিক্ত ক্যালোরি: যদিও গরুর কলিজা পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ, তবে বেশি পরিমাণে খেলে এতে থাকা ক্যালোরি এবং ফ্যাটের কারণে ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকতে পারে।
- ক্ষতিকর ভারী ধাতু: কলিজা শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাই কখনও কখনও এতে সীসা বা পারদের মতো ক্ষতিকর ভারী ধাতু জমা হতে পারে। অতিরিক্ত সেবনে এসব উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- অতিরিক্ত সোডিয়াম: যদি গরুর কলিজা প্রক্রিয়াজাত বা ফাস্টফুড স্টাইলে প্রস্তুত করা হয়, তবে এতে উচ্চ সোডিয়াম থাকতে পারে, যা রক্তচাপে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
মানুষের কলিজার কাজ কি
মানুষের কলিজা বা লিভার শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। লিভারের মূল কাজগুলো হলো:
- বিষাক্ত পদার্থ নির্গমন: লিভার রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ এবং অপ্রয়োজনীয় রাসায়নিক বের করে শরীরকে ডিটক্সিফাই করে।
- পাচনে সহায়তা: এটি পিত্তরস (bile) তৈরি করে, যা চর্বি হজম করতে সহায়ক।
- এনার্জি সংরক্ষণ: লিভার অতিরিক্ত গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেনে রূপান্তর করে এবং তা সংরক্ষণ করে। প্রয়োজন হলে গ্লাইকোজেনকে গ্লুকোজে পরিণত করে শরীরকে শক্তি প্রদান করে।
- রক্ত পরিশোধন: লিভার রক্তের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক পদার্থ যেমন, অ্যালকোহল এবং ড্রাগের মতো উপাদান পরিশোধন করে।
- প্রোটিন সংশ্লেষণ: এটি বিভিন্ন প্রোটিন তৈরি করে, বিশেষত রক্ত জমাট বাঁধার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন।
- ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের সঞ্চয়: লিভার ভিটামিন এ, ডি, ই, এবং কে এবং আয়রনসহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ সংরক্ষণ করে।
- ইমিউন সিস্টেমে সহায়তা: লিভার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
এই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর জন্য লিভারকে শরীরের “কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি” বলা হয়।
যকৃত কি কলিজা
হ্যাঁ, যকৃত এবং কলিজা একই জিনিস। বাংলায় যকৃতকে কলিজা বলা হয়, আর ইংরেজিতে একে liver বলা হয়। এটি মানবদেহের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ, পিত্তরস উৎপাদন, এবং শক্তি সংরক্ষণে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন:
উপসংহার:
কলিজা, বিশেষ করে গরু, খাসি বা মুরগির, পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি খাদ্য উপাদান। এটি প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন বি১২ এবং ভিটামিন এ-তে ভরপুর, যা শরীরের পেশী গঠন, রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। তবে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল এবং পিউরিনের কারণে সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। সঠিকভাবে প্রস্তুত এবং পরিমিত খাওয়ার মাধ্যমে কলিজা শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে কলিজা অন্তর্ভুক্ত করা হলে এর পুষ্টিগুণ পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব।