Site icon 1 second school

হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষন

শেয়ার করুন

হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষন

হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষন : প্রথমে হার্ট এ্যাটাক এর লক্ষন  জানার পূর্বে আমাদের জানতে হবে হার্ট অ্যাটাক কি এবং এই হার্ট এ্যাটাক্ট কাদের হয় বা কেন হয়ে থাকে।

অনেকের হঠাৎ সাধারণত কোন বয়স মানে না এটা যেকোন বয়সের হয়ে থাকে সেটা হউক অল্প বয়স্ক বা বৃদ্ধ। তাহলে আমরা প্রথমে জেনে নেই যে হার্ট অ্যাটাক কি?

হার্ট অ্যাটাক কি

হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম বা কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য হার্টে পর্যাপ্ত পরিমান রক্ত সরবরাহ দরকার হয়।

এই হার্টে রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালী যদি বন্ধ হয়ে যায় এবং এর ফলে যদি রক্ত হার্টে পৌঁছাতে না পারে, তাহলে হার্টের মাংসপেশিতে পর্যাপ্ত পরিমান অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না। আর তখনই ঘটে থাকে হার্ট অ্যাটাক।

 

হার্ট অ্যাটাক

হার্ট ব্লক কী

আমাদের সমস্ত দেহে ছড়িয়ে আছে দুই ধরনের রক্তনালি- ১. ধমনী ২. শিরা। ধমনীর কাজ হল অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে দেয়া।

ধমনীর প্রবাহপথ যদি কোন কারণে সরু বা বন্ধ হয়ে গেলে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়, এই বাধাকে বলে ‘ব্লক’ ।

হার্ট ব্লক হওয়ার কারণ

ধমনীতে ব্লকের মূল কারণ হলো কোলেস্টেরল যা আমাদের প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে থাকে এবং রক্তের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে ধমনীর ভেতরের গায়ে জমা হয়ে আস্তে আস্তে একসময় ব্লকের সৃষ্টি করে।

কোলেস্টেরলই ব্লকের একমাত্র কারণ নয়। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এমনকি ধূমপানকেও বড় কারণগুলোর অন্যতম মনে বলে করা হয়।

বিশ্বে প্রত্যেক বছর ৩৮ লাখ পুরুষ এবং ৩৪ লাখ মহিলা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে, তার মধ্যে প্রতি ৪ জনের একজনের মৃত্যুর কারণ দেখা যাচ্ছে করোনারি হার্ট ডিজিজ বা ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ যা মূলত এথোরোসক্লেরোসিস এর ফলাফল হয়ে থাকে।

অল্পতেই দম ফুরিয়ে যাওয়া, মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়াও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। অতিরিক্ত ঘাম হওয়া: অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ।

বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা হওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম, বুক ধড়ফড়, হঠাৎ শরীর খারাপ লাগতে শুরু করলে অব্যশই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

হার্ট ব্লক হলে করনীয়

যদি এই ধরনের লক্ষণ দেখা যায়,আপনি ৯০ ভাগ নিশ্চিত হতে পারেন যে এখানে হার্ট অ্যাটাকের প্রক্রিয়া চলছে। সেই সময় সঙ্গে সঙ্গে এসপিরিন ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।

এজন্য এসপিরিন ট্যাবলেট সাথে  রাখা সবচেয়ে ভালো। এটি ৩০০ মিলিগ্রামের পাওয়া যায়- এটি খেতে পারে এবং সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ হাসপাতালে আপনাকে যেতে হবে।

এর কারণ প্রাথমিক চিকিৎসার মধ্যে প্রথম চিকিৎসা হলো, ব্যথাটাকে কমানো এবং সম্ভব দ্রুত ইসিজি করে রোগ নির্ণয় করা।

এর আরো একটি কারণ হলো, যত তাড়াতাড়ি হাসপাতালে পৌঁছাবে তত তাড়াতাড়ি তার চিকিৎসা শুরু হবে। 

আরও জানুন:

সুগার রোগীর খাদ্য তালিকা

ডায়াবেটিসের লক্ষণ ও প্রতিকার

রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

হার্ট ব্লক এর লক্ষণ

হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা

১। লাইফস্ট্যাইল মোডিফাই করতে হবে এবং অতিরিক্ত ওজন কমার জন্য প্রত্যেকদিন ব্যায়াম করতে হবে।

২। ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সে জন্য নিয়মিত রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত খেয়ে যেতে হবে।

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মেডিসিন বাদ দেয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে খুব খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন মেডিসিন খেতে ভুলে না যায়। এছাড়া যে কোন জটিলতায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বুকে প্রচন্ড ব্যাথা হলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে।

আর বিশেষ করে শীতকালে ঠাণ্ডা থেকে দূরে থাকুন। তাড়াহুড়া করে সকালবেলা ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করতে গিয়েই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রথমে বাথরুমে গিয়ে পায়ে পানি ঢালবেন।

তারপর সারা শরীরে পানি দেবেন।

এ ছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। ভোরের ঠাণ্ডা বা কুয়াশা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য নিজেদের রুটিনে অল্পবিস্তর পরিবর্তন আনতে হবে। হার্ট ভালো রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার অর্থাৎ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি খেতে হবে।

পানি পান ও লবণ খাওয়ার ক্ষেত্রেও নজর দিতে হবে। কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ ও পানি খেলে সমস্যা হতে পারে। ধূমপান বন্ধ করা, নিয়মিত শরীরচর্চা করা, ফল খাওয়া, সুগার, রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

বিঃদ্রঃ সবাই প্রচুর পরিমান শাক-সবজি নিয়মিত খাই। ধুমপান,মদপান থেকে নিজেদের কে দূরে রাখি। নিয়মিত ব্যায়াম করি।

মনে রাখবেন, একবার অসুস্থ হলে সেটা রিকভার করা অনেক অনেক কঠিন সেজন্য নিজেদেরকে নিয়ম এর মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া। ফাইনালি আপনি সুন্দর সুস্থ একটা জীবন পাবেন। সবার জন্য দোয়া এবং শুভ কামনা রইলো।

 

Exit mobile version