কিভাবে ওয়েব ডিজাইন শিখব
কিভাবে ওয়েব ডিজাইন শিখব :- বর্তমান সময়ে মানুষ ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রচুর আগ্রহ দেখাচ্ছে। অধিকাংশ নতুন তাই কোনটা শেখার দরকার বুঝতে পারছেন না। ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার মাধ্যমে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করবেন; এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য। তাছাড়া যারা চাকরির উদ্দেশ্যে ওয়েব ডিজাইনার হবেন, তারাও পড়ুন। ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার জন্য ওয়েব ডিজাইনার অনেক ভালো একটি সুযোগ। আপনি ওয়েব ডিজাইনার হয়ে ভালো অংকের টাকা আয় করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কোম্পানী ওয়েব ডিজাইনার নিয়োগ দিচ্ছে। মোটামুটি কারিগরি ডিগ্রী ও একটি সুন্দর পোর্টফোলিও থাকলে আপনি চাকরিটি পেতে পারেন। দেশে বিদেশে ওয়েব ডিজাইনারের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে।
Best 10 step: ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার
- ১. ওয়েব ডিজাইন থিওরি
- ২. কিভাবে কোডিং করতে হয়
- ৩. সঠিক টুলের ব্যবহার
- ৪. বেসিক SEO স্ট্রাকচার
- ৫. ওয়েব টেস্টিং অভ্যাস তৈরি
- ৬. ট্রেন্ডসগুলোর দিকে নজর দেয়া
- ৭. কমিউনিটি জয়েন করুন
- ৮. সমালোচনাকে হ্যা বলুন
- ৯. Portfolio তৈরি করুন
- ১০. কমিউনিকেশন স্কিল
- Conclusion
তাহলে চলুন শুরু করা যাক, কিভাবে আপনি একজন ওয়েব ডিজাইনার হতে পারেন।
ওয়েব ডিজাইন কি?
ওয়েব ডিজাইনার হবেন অথচ ওয়েব ডিজাইন কি সেটা না জানলে হবে!!
চিন্তা করুন, কালার, টাইপোগ্রাফি এবং স্পেস ছাড়াই একটি ওয়েবসাইট, কেমন হয় বিষয়টা। মানে আপনি এমন একটি ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন; যার বাটন ও নেভিগেশন মেনু ছড়ানো কেমন হয় বিষয়টা।
ওয়েব ডিজাইন হল ওয়েবসাইটের সেই অংশ যা আমরা দেখতে পাই। যার মাধ্যমে আমরা ওয়েব এপটির সাথে ইন্টারেক্ট করি।
আরো ভালো করে বললে, ওয়েব ডিজাইন এমন একটি স্কিল; যেটা ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইটের সঠিক জায়গায় সঠিক বাটন, কালার ও ফন্ট দেয়া হয়; যাতে ওয়েব সাইট দেখতে সুন্দর হয় ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধি পায়।
ওয়েব ডিজাইনার কে?
যারা ওয়েব সাইট ডিজাইন করে থাকে অর্থাৎ ওয়েবসাইটের লে-আউট, টাইপোগ্রাফি ও ইউজার ইন্টারফেস তৈরি করে, তাদের ওয়েব ডিজাইনার বলা হয়।
একজন ওয়েব ডিজাইনারের গ্রাফিক্স ডিজাইনের সাথে সাথে টেকনিক্যাল স্কিল HTML, XHTML, CSS ইত্যাদি সম্পর্কে খুব ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
একজন ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার জন্য নিচের দক্ষতাগুলো অর্জন করতে হবে।
১. ওয়েব ডিজাইন থিওরি
আপনার কোনো বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জন করার, আগে সেই বিষয়ের বেসিক / ফান্ডামেন্টাল সম্পর্কে জানতে হবে।
ভালো ওয়েব ডিজাইন করা ওয়েবসাইটগুলো খুব ভালোভাবে UX মেনে তৈরি করা হয়। এবং দেখতে অনেক সুন্দর হয়, যেমন ব্রান্ড ম্যাচিং কালার, ফন্ট ইত্যাদি।
তাই ওয়েব ডিজাইন শুরুর আগে আপনাকে ওয়েব ডিজাইন কিভাবে করা হয়। কিভাবে ডিজাইন করলে ইউজাররা সহজে ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারবে; এরকম অনেক বিষয় আছে যেগুলো আপনাকে জানতে হবে।
ওয়েব ডিজাইন থিওরি জানা তেমন কঠিন কিছু নয়; গুগলে বা ইউটিউবে “Web design theory” লিখে সার্চ করুন প্রচুর কন্টেন্ট পাবেন। সেখান থেকে ১০-১৫ টি পড়ে নিন।
ওয়েব সাইটের জন্য কোন কালার ও ফন্ট সঠিক; সেগুলো ভালোভাবে বাছাই করার জন্য আপনাকে কালার থিওরি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।
বেসিক বিষয়গুলোকে অবহেলা করা যাবে না। এই ছোট্ট ছোট্ট বিষয়গুলো আপনাকে আরো ইউনিক করে তুলবে।
ওয়েব ডিজাইন একটি ক্রমাগত বিকশিত ক্ষেত্র, তাই আপনাকে সব সময় নতুন কিছু শেখার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
২. কিভাবে কোডিং করতে হয়
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানা ছাড়া ওয়েব ডিজাইন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা সত্যিই অনেক কঠিন। হ্যা, কোডিং ছাড়াই বিভিন্ন বিল্ডার ব্যবহার করে ওয়েব ডিজাইন করা যায়। যেমন: Wix, Squarespace এবং WordPress Elementor ইত্যাদি।
কিন্তু আপনি যখন ওয়েব ডিজাইনের জন্য বিল্ডার উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করেন; তখন আপনার হাতে কন্ট্রোল অনেক কম থাকে।
অনেক ছোট ছোট পরিবর্তন করার জন্য নতুন নতুন প্লাগিন ইনস্টল করতে হবে। যাতে আপনার সাইট ভারি হবে ও অনেক সমস্যার সৃষ্টি হবে।
আপনি যদি কোডিং জানেন তবে খুব সহজে আপনার মনের মতো ডিজাইন করতে পারবেন। যেটা আপনার সামনে অনেক সুযোগ সৃষ্টি করবে।
তাই আপনাকে অবশ্যই HTML (Hypertext Markup Language) and CSS (Cascading Style Sheets) জানতে হবে।
HTML ওয়েবসাইটের স্ট্রাকচার তৈরি করে, যেখানে CSS ওয়েবসােইট ডিজাইন মানে কালার, ফন্ট ইস্টাইল ঠিক করে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন করবেন অথচ জাভাস্ক্রিপ্টের কথা আসবে না!! আমি আপনাকে রিকমেন্ড করব HTML, CSS এর পর Javascript শিখতে।
আপনার ওয়েবসাইটের বেসিক ডিজাইনের পর একটু এডভান্স ডিজাইন করতে হলে জাভাস্ক্রিপ্ট শেখা দরকার। জাভাস্ক্রিপ্ট মূলত একটি সাইটকে জীবন্ত করে তোলে।
এই সবগুলো স্কিল আপনি ফ্রিতে W3school থেকে শিখতে পারেন।
আরও পড়ুন:
Full website development course
৩. ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার উপায় : সঠিক টুলের ব্যবহার
প্রতিটি ইন্ডাস্টিতে আপনাকে ভালো কিছু করতে হলে অবশ্যই সেই ইন্ডাস্ট্রির টুলগুলোতে মাস্টার হতে হবে।
ইন্ডাস্ট্রি-স্ট্যান্ডার্ড টুলস না জেনে আপনি একজন সফল ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার আশা করতে পারেন না।
কিন্তু যেহেতু ওয়েব ডিজাইন একটি বিস্তৃত পেশা, তাই ওয়েব ডিজাইনারদের ডিজাইনের বিভিন্ন টুলের সাথে পরিচিত হতে হবে যেমন:
গ্রাফিক্যাল ডিজাইন: গ্রাফিক ডিজাইন এবং ওয়েব ডিজাইন দুটি পৃথক ক্ষেত্র সত্ত্বেও, ওয়েব ডিজাইনারদের একটি নির্দিষ্ট ডিজাইনের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রায়ই গ্রাফিক ডিজাইনে ডুব দিতে হয়।
সুতরাং, অ্যাডোব ফটোশপের মতো গ্রাফিক্স এডিটর কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা শেখা গুরুত্বপূর্ণ।
গ্রাফিক্স এডিটরদের মধ্যে ওয়েব ডিজাইনারদের সবচেয়ে সাধারণ কাজ হল ইমেজ এডিটিং – ইমেজ রিসাইজ করা বা ক্রপ করা যাতে সেগুলো নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে সঠিকভাবে ফিট হয়।
প্রোটোটাইপিং: প্রোটোটাইপিং ওয়েব ডিজাইনের একটি ভিত্তি। যেসব ডিজাইনারের প্রটোটাইপিং দক্ষতা ভালো, তাদের চূড়ান্ত প্রোটোটাইপের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।
কোডিং: আমি উপরেই আলোচনা করেছি, একজন ডিজাইনারের কেন কোডিংয়ের উপর দক্ষতা থাকতে হবে।
৪. বেসিক SEO স্ট্রাকচার
ওয়েবসাইট ডিজাইনারের শুধুমাত্র ডিজাইন করলেই চলে না, তার চেয়ে বেশি কিছু করতে হয়। যেমন: ওয়েনসাইটের স্ট্রাকচার শুধুমাত্র ইউজারের কথা ভেবে তৈরি করলে হবে না; সার্চ ইঞ্জিন বট ফ্রেন্ডলি করে তৈরি করা।
এসইও হল এমন একটি টেকনিক যার মাধ্যমে গুগলে আপনার সাইটকে আরো ভালোভাবে দেখাতে পারবেন। এবং অনেক ভিজিটর অর্গানিক পদ্ধতিতে পাবেন।
ওয়েব ডিজাইনার সবসময় ওয়েবসাইটকে অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে অর্গানিক / সাধারণ উপায়ে দর্শকের কাছে পৌছাতে চায়।
এই ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে একটি ওয়েব সাইট আরো সার্চইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি হয়। এবং আমরা দেখি কিছু কিছু থিমের সাইট দ্রুতই র্যাংক করে। যেমন: এস্ট্রা, জেনারেটপ্রেস ইত্যাদি।
৫. ওয়েব টেস্টিং অভ্যাস তৈরি
ওয়েব ডিজাইনারদের অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয়। একটি ওয়েবসাইট তৈরির পর সেটি ঠিকঠাক কাজ করছে কি না দেখতে হবে।
যেমন ধরুন: ওয়েব পেজটি দ্রুত লোড হচ্ছে কি না, ডিজাইনটি ডেক্সটপের সাথে সাথে মোবাইল বা অন্যান্য ডিভাইসের ফ্রেন্ডলি হল না কি। ডিজাইনের রিসপনসিভনেস কেমন ইত্যাদি।
প্রতিটি ব্রাউজারে জাভাস্ক্রিপ্ট চলছে বা ফংশন হচ্ছে কি না। এগুলো একজন ওয়েব ডিজাইনারকে প্রতিনিয়ত টেস্ট করতে হবে।
যেমন: Gtmetrix, PageSpeed Insights, Pingdom Website Speed Test
৬. ট্রেন্ডসগুলোর দিকে নজর দেয়া
অনলাইন বিষয়ক প্রতিটি জিনিসে ট্রেন্ডিং বিষয়গুলোতে নজর রাখা খুব জরুরী। আপনার ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান ট্রেন্ডিং কোনটি বুঝতে হবে।
একজন ওয়েব ডিজাইনার এর ব্যাতিক্রম নয়। ওয়েব ডিজাইনারকে মার্কেটের ট্রেন্ডিং ডিজাইনগুলোর খোজ খবর রাখতে হয়।
আপনাকে প্রতিদিন কমপক্ষে ভাইরাল ডিজাইনগুলো দেখতে হবে। অন্যের ডিজাইন গুলো দেখলেই আপনার মাথায় ডিজাইনের ভালো আইডিয়া আসবে।
নিচে কিছু ওয়েবসাইটের নাম দিলাম, যেখান থেকে প্রতিদিন ডিজাইন দেখতে পারেন।
Awwwards: এটা অনেকের কাছে একটি প্রিয় সাইট; এখানে আপনি বিভিন্ন ওয়েব ডিজাইন ট্রেন্ডস ছবি সহ দেখতে পাবেন।
Dribbble: এটা একটি সোস্যাল সাইট, যেখানে বিভিন্ন রকম ডিজাইন আপলোড করে থাকে। এখানে আপনি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ডিজাইনের ছবি দেখতে পারেন, পরবর্তী ডিজাইনে ইপ্লিমেন্ট করার জন্য।
Behance: বিভিন্ন ডিজাইনের সাথে সাথে ওয়েব ডিজাইনের বিভিন্ন ট্রেন্ডস ও নতুন নতুন ডিজাইন এখানে পাবেন।
৭. কমিউনিটি জয়েন করুন
বর্তমানে প্রায় সব পেশারই কমিউনিটি অনলাইনে ও অফলাইনে আছে। আপনি কেমন আচরণ করেন, তা অনেকটা নির্ভর করে আপনার আশে-পাশের মানুষ কেমন।
ওয়েব ডিজাইনের ক্ষেত্রে এর খুব ব্যাতিক্রম নয়। আপনি যদি ভালো ডিজাইনারদের সাথে চলেন, অবশ্যই একদিন আপনার ডিজাইন সেন্স ভালো হবে।
আমি মনে করি, আপনাকে কয়েকটি ভালো ভালো ডিজাইন কমিউনিটিতে যুক্ত হওয়া উচিৎ। অনলাইনের কমিউনিটিতে যুক্ত হতে টাকা লাগে না।
আপনাকে নিয়মিত কমিউনির পোস্টগুলো দেখতে হবে, কোনো সমস্যায় পড়লে সাহায্য নিতে পারেন; আবার কেউ সমস্যায় পড়লে সাহায্য করুন। এতে কিছু ডিজাইনারের সাথে আপনার পার্সোনাল সম্পর্ক তৈরি হবে।
আমাদের কর্মজীবনে এই পার্সোনালে সম্পর্কের গুরুত্ব অনেক।
Sitepoint or Uxmastery এই দুটি ওয়েব ডিজাইন কমিউনিটি অনেক ভালো, আপনি চাইলে জয়েন হতে পারেন।
৮. ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার উপায় : সমালোচনাকে হ্যা বলুন
ওয়েবসাইট শুধুমাত্র আপনার জন্য ডিজাইন করছেন না; আপনার অডিয়েন্সের পছন্দের জন্য ডিজাইন করছেন।
তাই প্রতিটি ডিজাইন করার পরে আশে পাশের মানুষদের দেখান। তাদের মতামত গ্রহণ করুন, বোঝার চেষ্টা করুন কিভাবে আপনার ডিজাইনকে আরো ইম্পুভ করবেন।
অনেক ডিজাইনার একটি ডিজাইন করার পরে সেটাকে পরিবর্তন করতে চাই না। আপনাকে এটা এড়িয়ে চলতে হবে।
ফিডব্যাক গ্রহন করার পর, এনালাইজ করুন। আপনার ভুলগুলো বুঝে ডিজাইনে পরিবর্তন আনুন; সেটা ছোট বা বড় যাই হোক।
অনেকে আছো ছোট খাটো ভুলের জন্য ডিজাইনের পরিবর্তন করে না। মনে রাখবেন ছোট্ট ছোট্ট বিষয়গুলোই আপনাকে পার্ফেক্ট করে তুলবে।
তাই সবসময় ফিডব্যাকের যথাযথ মূল্যাযন করুন ও সংশোধনের চেষ্টা করুন।
ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার উপায়
৯. Portfolio তৈরি করুন
আপনি যদি কোনো কোম্পানী বা ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করতে চান; তাহলে আপনাকে সবসময় কাজের স্যাম্পল দিতে বলা হবে।
কোনো কোম্পানি তার কাজের জন্য আপনাকে হায়ার কবরে, আপনি কাজটি ঠিকঠাক করতে পারবেন কিনা; সেটা তাদের বোঝানে জরুরী।
কিভাবে তাদের বোঝাবেন, আপনি তাদের কাজটি করতে পাবরেন। এখানেই আপনার পোর্টফোলিও আপনাকে সাহায্য করবে।
নিজেকে শো-অফ করাতে পোর্টফোলিও আপনাকে Help করবে। আজই তাই নিজের পোর্টফোলিও তৈরির কাজ শুরু করুন।
১০. কমিউনিকেশন স্কিল
Web Designer হওয়ার জন্য আপনার কমিউনিকেশন দক্ষতা থাকতে হবে। একজন ডিজাইনার যখন কাজ করে তখন সে একা সবকিছু করে না।
একটি ওয়েবসাইটের অনেক কাজ থাকে, যেমন: প্রোটোটাইপ ডিজাইন -> ওয়েব ডিজাইন -> ওয়েব ডেভলপমেন্ট-> বিজনেস প্রোমটার।
এখন একজন ওয়েব ডিজাইনার যদি ডেভলপার ও প্রোটোটাইপ ডিজাইনারের সাথে ভালোভাবে কমিউনিকেট করতে না পরে তবে ডিজাইনটা ইফেকটিভ হবে না।
কারণ শুধু ডিজাইন করলেই তো ওয়েবসাইট হয়ে যাবে না, সেখানে বিভিন্ন ফাংশন যুক্ত করতে হবে। যা ডেভলপার করব, যদি আপনার কোডিংয়ে সমস্যা থাকে ডেভলপার ভালোভাবে কাজ করতে পারবে না।
তাছাড়া একজন প্রটোটাইপ ডিজাইন করার পরও কিছু সংশোধনের দরকার পড়ে, তার জন্য আপনাকে প্রটোটাইপ ডিজাইনারের সাথে যোগাযোগ করতে হতে পারে।
এই সেক্টরে কাজ করতে হলে কমিউনিকেশন স্কিল থাকতেই হবে। তাছাড়া ক্যারিয়ারে ভালো কিছু করা সম্ভব নয়।
Conclusion
Web Designer হওয়া খুব কঠিন নয়, কিন্তু আপনাকে একটু পরিশ্রম ও সময় দিতে হবে।
এই আর্টিকেলে উল্লেখিত অনেক দক্ষতা বই পড়ে বা অনলাইন কোর্স শেষ করে দ্রুত অর্জন করা যায় না। আপনাকে একটু সময় দিতে হবে ও চিন্তা করতে হবে। নিয়মিত চর্চার ফলে আপনার ভিতর ওয়েব ডিজাইনারের অভ্যাস তৈরি হবে।
আপনাকে কাজের প্রতি প্যাশানেট / উৎসাহী হতে হবে। আপনার প্রথম জবটিতে যদি টাকা নাও দেয় তারপরও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ফ্রিতে করে দেয়ার মানষিকতা থাকতে হবে।
নতুন নতুন ডিজাইনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে, এর থেকে আপনার অনেককিছু শিখতে পারবেন।
যদি আপনি এই পরামর্শগুলি অনুসরণ করেন, একদিন আপনি নিজেকে বিশ্বমানের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
আল্লাহ হাফেজ!
Onekei suru kore kintu ses korte pare na