বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস। বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগ

শেয়ার করুন
study
study : 1secondschool

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসঃ– বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলা ভাষার সাহিত্য চর্চা পরিবর্তিত হয়ে আসছে। বর্তমানে বাংলা সাহিত্যে যে বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়, অথবা আধুনিক বাংলা সাহিত্য বলতে সাহিত্যের যে অংশগুলো বুঝানো হয়ে থাকে সেগুলোর সাথে কয়েক যুগ আগের সাহিত্য চর্চার বিষয়ের পার্থক্য রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে বাংলা সাহিত্যের বিবর্তনের এই

ধারা প্রভাবিত হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ের কিছু শক্তিমান সাহিত্যিকদের মাধ্যমে। দশম শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে রচিত হচ্ছে বাংলা সাহিত্য । তাই বাংলা সাহিত্যের বয়স এক হাজার বছরেরও বেশি।এ সময়ে সৃষ্টি হয়েছে সুবিশাল এক সাহিত্য। নানা সময়ে নানা রূপ ধারণ করেছে সাহিত্য। কালে কালে নতুন হয়ে এগিয়েছে সাহিত্য।

Table of Contents

হাজার বছরের বাংলা সাহিত্যকে ভাগ করা হয় তিনটি যুগে যুগ

তিনটি হচ্ছে:

প্রাচীন যুগ:৯৫০-১২০০ পর্যন্ত।

মধ্যযুগ:১৩৫০-১৮০০ পর্যন্ত।

আধুনিক যুগ:১৮০০ থেকে এখন পর্যন্ত,আরো বহুদিন পর্যন্ত।

বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস এ  যুগের একমাত্র সাহিত্যিক নিদর্শন হল চর্যাপদ।

চর্যাপদ :চর্যাপদ হল বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সাধনা সঙ্গীত।বৌদ্ধদের ধর্মতত্ব,দর্শনতত্ত্ব  সাধন -ভজন প্রভৃতি কাব্যরূপ লাভ করেছে। মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের ‘রয়েল লাইব্রেরি ‘থেকে ১৯০৭ সালে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন। চর্যাপদের পদের সংখ্যা ছিল মোট ৫১ টি।এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে সাড়ে ৪৬ টি।জানা গেছে,১৯০৭ সালের আগে চর্যাপদের কোন ধারণা ছিল না।চর্যাপদের রচয়িতার সংখ্যা ছিল ২৪ জন মতান্তরে ২৩ জন।সব’চে বেশি চর্যাপদ রচনা করেন কাহ্নুপা /কাহ্নপা /কৃষ্ণপা।১৩ টি পদ রচনা করেন তিনি।চর্যাপদের আদি কবি হলেন লুইপা।সন্ধ্যা ভাষায় রচিত হয় চর্যাপদ।

চর্যাপদ রচিত হয়েছিল মাত্রাবৃত্ত ছন্দে। চর্যাপদের রচয়িতাগণের মধ্যে কাহ্নপা-র ২৪ নং,তন্ত্রীপা ২৫ নং কুক্কুরীপা-র ৪৮ নং পদ পাওয়া যায় নি। ধারণা করা হয়,চর্যাপদের রচয়িতাগণের মধ্যে একমাত্র মহিলা ছিলেন কুক্কুরীপা। চর্যাপদ নামটি নিয়ে পন্ডিতগণের মতভেদ রয়েছে।

কারো মতে,আশ্চর্যচর্যাচয়,সুকুমার সেনের মতে ,চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়, আধুনিক গণের মতে,চর্যাগীতিকোষ।তবে চর্যাপদ নামটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য।

প্রাচীন যুগের সময়কাল

আদিযুগ বা প্রাচীন যুগ (আনুমানিক ৬৫০ খ্রি. মতান্তরে ৯৫০ খ্রি. –১২০০ খ্রি.)

আরও জানুন : বাক্য শুদ্ধিকরণ ।। 1secondschool Bsc Mcq সহ

বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস এ  ১২০১-১৮০০ সাল পর্যন্ত সময়কে বলা হয় মধ্যযুগ। তবে মধ্যযুগের কিছু কালিমা আছে।যার নাম অন্ধকার যুগ। শ্রীকৃষ্ণকীর্তনঃ মধ্যযুগের প্রথম ও বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় নিদর্শন হল ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।শ্রীকৃষ্ণের প্রেমে রাধা ও গোপীদের পাগলপ্রায় অবস্থা বর্ণিত হয়েছে এ গ্রন্হে।মূলত এই গ্রন্হে রাধা কৃষ্ণের অন্তরালে ইশ্বরের প্রতি জীবকুলের আকুলতা প্রকাশ পেয়েছে।মধ্যযুগের প্রথম কবি বড়ু চণ্ডীদাস এটি রচনা করেন।

মঙ্গলকাব্য

মধ্যযুগে দেব দেবীর লীলামাহাত্ন্য নির্ভর করে যে শ্রেণীর  কাব্য  রচিত হয়, তাই মঙ্গল কাব্য। মঙ্গল কাব্যের প্রধান শাখা ৩ টি।মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল, অন্নদামঙ্গল। এ কাব্যে প্রায় ৬২ জন কবির সন্ধান পাওয়া গেছে।

সাহিত্যে মুসলমানদের আবির্ভাবঃপ্রথম মুসলমান সাহিত্যিকের আবির্ভাব ঘটে এ যুগে।অনেক মুসলমান কবি বৈষ্ণবসাহিত্য রচনা করেন। তারা মূলত ঐতিহাসিক কাহীনি নিয়ে কাব্য রচনা করতেন।এ যুগের আরেকটি আবিষ্কার হল ইউসুফ-জুলেখা।কাব্যটির রচনা করেন সাহ মুহম্মদ সগীর। মূলত ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের মৃত্যুর পর ই শেষ হয় মধ্যযুগ। তাই তাকে বলা হয় যুগ সন্ধিক্ষণের কবি। তারপর উদিত হয় আধুনিক যুগের সূর্য! এই যুগের সাহত্যের প্রধান বৈশিষ্ট হল মানবতাদ, আত্মচেতনা এবং তার প্রসার। আগের সাহিত্যে মূলত দেব দেবীর স্তুতি গাওয়া হত।

কিন্ত আধুনিক যুগ এই প্রথা ভেঙ্গে দেয়। জন্ম দেয় নতুন প্রথার। এই যুগেই আমরা পাই গল্প, উপন্যাস, রম্য, প্রবন্ধ ইত্যাদি। এর সুচনা করেন অনেকেই। তার মধ্যে প্রথম আর প্রধান হলেন উইলিয়াম কেরি। এজন্য বাঙ্গালী এই মহান মানুষকে মনে রাখবে আজীবন।

বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ

১২০১-১৩৫০ পর্যন্ত সময় অন্ধকার যুগ হিসেবে পরিচিত। এই ১৫০ বছর বাংলা সাহিত্যে লিখিত কোন সাহিত্যকর্ম পাওয়া যায় নি।সমাজ ও জনজীবন নিয়ে মানুষ বিপর্যয় হওয়ায় সাহিত্য রচনায় আত্ননিয়োগ করতে পারে নি।

বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগ

১৮০১ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত সময় হল আধুনিক যুগ। বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগে অনেক লেখকের সমৃদ্ধ লাভ করেছে। প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা গদ্যে কোন নিদর্শন পাওয়া যায় নি। মধ্যযুগে কিছু নিদর্শন পাওয়া গেলেও তা উল্লেগযোগ্য নয়। তাই বলা হয় বাংলা গদ্যের বিকাশ ঘটে উনিশ শতকে।বাংলা গদ্যের পথিকৃৎ হলেন ‘উইলিয়াম কেরি’। ১৮০০ সালের ৪ঠা মে লর্ড ওয়েলেসলি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্টা করেন।এ কলেজ থেকেই বাংলা বিভাগ চালু করা হয় ১৮০১ সালে।

উল্লেখযোগ্য অনেকের নামই বলতে পারি তবে অন্যতম হলেন ঈশ্বরচন্দ্র নামের ভদ্রলোকের যিনি আবস্কার করেন বাংলা ভাষার ১২ টি বিরাম চিহ্নের।

তার আগে বাংলা সাহিত্য কোন দাড়ি কমা ছিল না! শুধু ছিল এক দাড়ি আর দুই দাড়ি! তিনি একজন সমাজ সংস্কারকও ছিলেন। মানুষ খুশি হয়ে তার উপাধি দিলেন বিদ্যাসাগর। তা দেখে কিছুটা মনে কষ্ট পেয়ে কপালকুণ্ডলা, দুর্গেশ নন্দিনি, বিষবৃক্ষ কিংবা কমলাকান্তের দপ্তরের মত কালজয়ী উপন্যাস প্রবন্ধ সৃষ্টি করেন বঙ্কিমচন্দ্র সাহেব। মানুষ দিলেন বাহবা!!! বিনিময়ে পেয়ে গেলেন সাহিত্য সম্রাট উপাধি! এটা দেখে রেগেমেগে বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্য মেঘনাদবদ এবং বাংলা সাহিত্যে প্রথম প্রচলন করলেন সনেটের সেই সাথে নাটকও। আরও সৃষ্টি করলেন প্রহসন! তার এতগুনে মুগ্ধ হয়ে এবার সবাই

তাকে দিলেন বাংলা কাব্য সাহিত্যের আধুনিকতার জনক, আধুনিক বাংলা নাটকের জনক, বাংলা সাহিত্যর সনেটের প্রবর্তক। তিনি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তবে প্রথম উপন্যাস কিন্ত প্যারিচাদ মিত্র ই লেখেন যার নাম আলালের ঘরে দুলাল। মধুসূদন এরপর আসেন বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে নক্ষত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

আধুনিক যুগের সময়কাল

১৮০০ থেকে এখন পর্যন্ত,আরো বহুদিন পর্যন্ত 

আরও পড়ুন : সমার্থক ও বিপরীত শব্দ Bsc Mcq সহ

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস এ সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই যেখানে তার নিপুন ছোঁয়া পড়েনি। তিনি একই সঙ্গে কবি, ঔপন্যাসিক, শিক্ষাবিদ, গল্পকার, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার, অভিনেতা, ভাষাবিদ, গায়ক, নাট্যপ্রযোজক, চিত্রশিল্পী, দার্শনিক! তাই তার সম্পর্কে কোন রকম আলোচনা এই আর্টিকেলে করতে চাইনা শুধু এতটুকু ই বলব রবী ঠাকুর মানেই একটি নাম একটি জগত! তার সাহিত্যের অনবদ্য অবদান স্বরূপ তিনি পান নোবেল পুরুস্কার! (গীতাঞ্জলী কাব্যের ইংরেজি অনুবাদ – song offerings, ১৯১২)

মূলত বাংলা সাহিত্যের উপন্যাসের শাখাকে যে কয়জন টেনে নিয়ে গেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ৬ জন যেমন ১ ঠাকুর (রবিন্দ্রনাথ) ২ চট্টোপাধ্যায় (শরত, বঙ্কিম) আর ৩ বন্দ্যোপাধ্যায় (বিভুতি, মানিক, তারাশঙ্কর) উপন্যাসের জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে রবী ঠাকুরকেও যিনি ছাপিয়ে গেছেন তিনি শরত বাবু। সমাজের পোড় খাওয়া, নিগৃহীত, অবহেলিত মানুষদের প্রতিদিনের মনের কথা আর বাস্তব অথচ করুন চিত্র অত্যন্ত সুন্দরভাবে তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন। তাকে দেয়া হয় “বাংলা সাহিত্যের অপরাজেয় কথাশিল্পি” উপাধি।
তিন বন্দ্যোপাধ্যায়ও কিন্ত তার কাছাকাছিই ছিলেন। বিভূতি বাবুকে সবাই মনে রাখবে তার পথের প্যাচালি, আরণ্যক বা আদর্শ হিন্দু হোটেল প্রভৃতি সৃষ্টির জন্য। একইভাবে মানিক বাবুকে সবাই মনে রাখবে তার পুতুল নাচের ইতিকথা, দিবারাত্রির কাব্য, পুতুল নাচের ইতিকথা ইত্যাদির জন্য কিংবা তারাশঙ্কর বাবুকে সবাই চিনবে তার কবি, গনদেবতা, ধাত্রিদেবতার প্রভৃতি অমরসব সৃষ্টির জন্য।
মূলত বাংলা ভাষায় আধুনিক কবিতা যে কয়জন সৃষ্টি করেছেন তাদের মধ্যে ৫ জনের নাম সবার আগে থাকবে। তারা হলেন, বুদ্ধদেব বসু, জীবনানন্দ দাশ, সুধিন্দ্রনাথ দত্ত, বিষ্ণু দে ও অমিয় চক্রবতি।

বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ ও চর্যাপদ

১। বাংলা সাহিত্যের সময়কালকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায় –
(ক)প্রাচীন যুগ (৬৫০-১২০০ খ্রি., শহীদুল্লাহর মতে) ,
তবে সুনীতিকুমারের মতে, ৯৫০-১২০০খ্রি.।দুটো থাকলে ৬৫০-১২০০খ্রি.।
(খ)মধ্যযুগ     (১২০১-১৮০০খ্রি.)  ও
(গ)আধুনিক যুগ (১৮০১-বর্তমান পর্যন্ত)
২। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন বা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের প্রথম গ্রন্থ বা বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন হল – চর্যাপদ।
৩। ১৮৮২ সালে রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র তাঁর ‘Sanskrit Buddhist Literature in Nepal’ গ্রন্থে নেপালে বৌদ্ধতান্ত্রিক সাহিত্যের কথা প্রকাশ করেন।
৪। ১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের রয়েল লাইব্রেরি থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
৫। ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে চর্যাপদ, ডাকার্ণব ও দোহাকোষ (সরহপাদের দোহা ও কৃষ্ণপাদের দোহা) -এই তিনটি গ্রন্থ ‘হাজার বছরের

পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’নামে প্রকাশিত হয়।
৬। ১৯২৬ সালে ড.সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় চর্যাপদকে সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় রচিত বলে প্রমাণ করেন।
৭। ১৯২৭ সালে ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সর্বপ্রথম চর্যাপদের ধর্মমত নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁর মতে চর্যাপদের ভাষা বঙ্গকামরূপী এবং এতে বোদ্ধধর্মের সাধনতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
অতএব, বলা যায়, চর্যাপদ একটি ধর্মীয় সাহিত্য এবং এতে বৌদ্ধধর্মের কথা ব্যক্ত হয়েছে।
৮। চর্যাপদের পদসংখ্যা   ৫১ টি( সুকুমার সেনের মতে)। কিন্তু শহীদুল্লাহর মতে,চর্যাপদের পদসংখ্যা ৫০ টি। পরীক্ষার অপশনে দুটো থাকলে ৫১ টি উত্তর করতে হবে।
৯। তবে কয়েকটি পাতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সাড়ে ৪৬ টি পদ আবিষ্কৃত হয়েছে। ২৩ এর অর্ধেক, ২৪,২৫ ও ৪৮ সংখ্যক পদ পাওয়া যায়নি।
১০।চর্যাপদের রচয়িতা হলেন ২৪ জন (সুকুমার সেনের মতে)।কিন্তু শহীদুল্লাহর মতে,চর্যাপদের রচয়িতা হলেন ২৩ জন।পরীক্ষার অপশনে দুটো থাকলে ২৪ জন উত্তর করতে হবে।
১১ চর্যাপদের ২৪ জন কবি সকলেই বোদ্ধধর্মাবলম্বী। তাই এর আলোচ্য বিষয়ও  বৌদ্ধধর্মের সহজিয়া সাধনতত্ত্ব।
১২। চর্যাপদ মূলত একটি গানের সংকলন।চর্যাপদের এসব গানের মূল বিষয় বোদ্ধধর্ম।

আরও পড়ুন : সমাস কাকে বলে ? কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা। Bsc Mcq সহ

১৩। চর্যাপদের প্রথম  পদের রচয়িতা – লুইপা।

বাংলা সাহিত্যের প্রথম গ্রন্থ যেহেতু চর্যাপদ এবং এই  গ্রন্থের ৫১ টি পদের প্রথম পদের রচয়িতা  যেহেতু     লুইপা তাই লুইপাকে বাংলা সাহিত্যের আদি কবি বলা হয়।

তবে শহীদুল্লাহর মতে লুইপার গুরু হলেন – শবরপা।    অর্থাৎ শহীদুল্লাহর মতে, প্রাচীন কবি শবরপা।

১৪। চর্যাপদের সবচেয়ে বেশি পদের রচয়িতা কাহ্নপা। তিনি ১৩ টি পদ লিখেছেন।

তবে তাঁর রচিত ২৪ সংখ্যক পদটি পাওয়া না যাওয়ায় তাঁর আবিষ্কৃত পদসংখ্যা হল ১২ টি।

১৫। নিজেকে বাঙালি বলে দাবি করেছেন ভুসুকুপা। ভুসুকুপা তাঁর রচিত  ৪৯সংখ্যক পদের একটি লাইনে বলেছেন – ‘আজি ভুসুকু বঙ্গালী ভইলী’।  

তিনি  দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক(৮ টি ) পদের রচয়িতা।

ভুসুকুপা রচিত ২৩ সংখ্যক পদের অর্ধেক পাওয়া যায়নি।তাই বলা তাঁর আবিষ্কৃত পদসংখ্যা সাড়ে ৭ টি।

১৬। চর্যাপদের মহিলা কবি হিসেবে অনুমান/ধারণা করা হয় কুক্কুরীপাকে।

তবে বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতী। কারণ, কুক্কুরীপা মহিলা কবি ছিলেন তা আমাদের অনুমান কিন্তু নিশ্চিত  করে বলা যায় না।

১৭। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে চর্যাপদের ভাষার নাম –  সন্ধ্যা  ভাষা বা আলো- আঁধারি ভাষা।

আরও দেখুন : উপসর্গ কাকে বলে? উপসর্গ কি ? উপসর্গ কত প্রকার ও কি কি ? উদাহরনসহ ব্যাখ্যা কর।

১৮।  বিজয়চন্দ্র মজুমদারের মতে চর্যাপদের ভাষার নাম  – খিচুড়ি ভাষা।

১৯।চর্যাপদের ভাষায় পশ্চিম বাংলার প্রাচীন কথ্য ভাষার নমুনা পরিলক্ষিত হয়।

২০। চর্যাপদের সংস্কৃত ভাষার  টীকা লিখেছেন মুনিদত্ত।

২১। ১৯৩৮ সালে তিব্বতি ভাষার টীকা আবিষ্কার করেন প্রবোধচন্দ্র বাগচী।

২২। চর্যাপদ পাল শাসনামলে রচিত হয়েছে।

২৩। চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।

২৪। চর্যাপদে ৬ টি প্রবাদ বাক্য পাওয়া যায়।

২৫। চর্যাপদের বয়স আনুমানিক ১০০০ বছর।

২৬। চর্যাপদের রচনাকাল সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী।তা না থাকলে দশম থেকে চতুর্দশ শতাব্দী।

২৭। সুনীতিকুমার  ১৯২৬ সালে ‘Origin and Development of the Bengali Language'(ODBL) গ্রন্থ রচনা করে চর্যাপদকে বাংলা সাহিত্যের বলে প্রমাণ করেন।

২৮। চর্যাপদ ছাড়াও ডাক ও খনার বচনকে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের সৃষ্টি বলে বিবেচনা করা হয়। তবে এগুলো যে রূপে সৃষ্টি হয়েছিল

তার কোন লিখিত নিদর্শন নেই এবং তা মুখে মুখে প্রচলিত থাকার ফলে তার ভাষাও হয়ে পড়েছে আধুনিক যুগের মত।

বাংলা সাহিত্য প্রশ্ন

বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগ

১। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে কয়টি যুগে ভাগ করা হয়ে থাকে ? সেগুলি কী কী ?

উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে তিনটি যুগে ভাগ করা হয়। ভাগগুলি হল—

(১) প্রাচীন যুগ (২) মধ্যযুগ ও (৩) আধুনিক যুগ।

২। প্রাচীনযুগের সময় সীমা কত ধরা হয় ?

উত্তরঃ খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দী থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত সময়কালকে বলা হয় বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ ।

৩। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মধ্যযুগের সময়সীমা কত ?

উত্তরঃ খ্রিস্টীয় তেরশো পঞ্চাশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত মধ্যযুগের সময়সীমা ধরা হয়।

৪। আধুনিকযুগের সময়সীমা কত ধরা হয় ?

ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে অর্থাৎ ১৮০০ সাল থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত আধুনিকযুগের সময়-সীমা বিস্তৃত।

৫। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ‘বন্ধ্যাযুগ’ বা ‘অন্ধকার যুগ’ বলা হয় কোন্ সময়কে ?

উত্তরঃ ত্রয়ােদশ ও চতুর্দশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত সময়কে অর্থাৎ ১২০১ থেকে ১৩৫০ সাল পর্যন্ত দেড়শো বছরকে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ‘বন্ধ্যাযুগ’ বা ‘অন্ধকার যুগ’ বলা হয়।

(প্রাচীন যুগ) চর্যাপদ

৬। বাংলা সাহিত্যের আদিতম নিদর্শন কোন্ গ্রন্থটি ?

উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যের আদিতম নিদর্শন ‘চর্যাপদ’

৭। চর্যাপদকে অন্য কোন্ কোন্ নামে অভিহিত করা হয় ?

উত্তরঃ চর্যাপদকে আশ্চর্য চর্যাচয় ’ বা ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’ নামেও অভিহিত করা হয়।

৮। চর্যাপদ কোন্ সময়ে রচিত বলে অনুমান করা হয় ?

উত্তরঃ চর্যাপদ আনুমানিক দশম শতাব্দী থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে রচিত হয়। কেউ কেউ মনে করেন অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে রচিত।

চর্যাপদের ভাষাকে কোন্ ভাষারূপে অভিহিত করা হয় ?

উত্তর: চর্যাপদের ভাষাকে ‘সন্ধ্যাভাষা’ নামে অভিহিত করা হয়।

১০। চর্যাপদের পুঁথি কে আবিষ্কার করেন ?

উত্তর: চর্যাপদের পুঁথি মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কার করেন।

১১। চর্যাপদের বিষয়বস্তু কী ?

উত্তর: বৌদ্ধধর্মের সহজযান নামক একটি শাখার ধর্মীয় তত্ত্ব ও গুঢ় সাধনার কথা চর্যাপদের বিষয়বস্তু।

 ১২। চর্যাপদ কত খ্রিস্টাব্দে কোথা থেকে প্রকাশিত হয় ?

উত্তর: চর্যাপদ ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয়।

১৩। চর্যাপদে মােট কয়টি পদ ছিল ? তার মধ্যে কয়টি পদ পাওয়া গিয়েছে ?

উত্তর: চর্যাপদে মােট ৫০টি পদ ছিল (কারও কারও মতে ৫১টি) তার মধ্যে সাড়ে ছেচল্লিশটি পদ পাওয়া গেছে।

১৪। চর্যাপদে মােট কতজন কবির নাম পাওয়া যায় ?

উত্তর: চর্যাপদে মােট ২৪ জন কবির নাম পাওয়া যায়।

১৫। চর্যাপদ রচনার সময়ে বাংলাদেশে কোন্ রাজবংশ রাজত্ব করতেন ?

উত্তর: চর্যাপদ রচনার সময়ে বাংলাদেশে পাল বংশের রাজারা রাজত্ব করতেন।

( মধ্যযুগ) শ্রীকৃষ্ণকীর্তন

১৬। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন কোন গ্রন্থ ?

উত্তর: মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য।

১৭। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কোন্ সময়ে রচিত হয় ?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য পঞ্চদশ শতাব্দীতে রচিত হয়।

১৮। শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুঁথি কে আবিষ্কার করেন ?

উত্তর: শ্রীকষ্ণকীর্তনের পুঁথি পণ্ডিত বসন্ত রঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ আবিষ্কার করেন।

১৯। শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুঁথি কত খ্রিস্টাব্দে কোথা থেকে আবিষ্কৃত হয় ?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুঁথি ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রাম থেকে আবিষ্কৃত হয়।

২০। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কত খ্রিস্টাব্দে কোথা থেকে প্রকাশিত হয় ?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয়।

২১। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কয়টি খণ্ডে বিভক্ত ? খণ্ডগুলির নাম কী কী ?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য ১৩টি খণ্ডে বিভক্ত। সেগুলি হলঃ-   ১)জন্মখন্ড,২)তাম্বুলখন্ড,৩)দানখন্ড,৪)নৌকাখন্ড, ৫)ভারখন্ড,৬)ছত্রখণ্ড,৭)বৃন্দাবনখন্ড, ৮)কালীয়াদমনখন্ড, ৯) যমুনা বা বস্ত্রহরণখন্ড, ১০)হারখন্ড, ১১)বাণখণ্ড,১২)বংশীখন্ড ও ১৩)রাধাবিরহ।

আরও দেখুন : সন্ধি কাকে বলে? সন্ধি কত প্রকার ও কি কি?

২২। বাংলা সাহিত্যে প্রথম আখ্যানকাব্য কোনটি ?

উত্তর: বাংলা সাহিত্যে প্রথম আখ্যান কাব্য শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য।

২৩। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা কে ?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস।

২৪। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যকে অন্য কোন নামে অভিহিত করা হয় ?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যকে ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামেও অভিহিত করা হয়।

২৫। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের প্রধান তিনটি চরিত্রের নাম লেখ।

  উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের প্রধান তিনটি চরিত্র হল কৃষ্ণ, রাধা এবং বড়াই।

বিদ্যাপতি

২৬. বিদ্যাপতি কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?

উত্তর: বিদ্যাপতি বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলার বিসফী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

২৭। বিদ্যাপতি কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন ?

উত্তর: বিদ্যাপতি ১৩৮০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।

২৮। বিদ্যাপতির পিতার নাম কী ?

উত্তর: বিদ্যাপতির পিতার নাম গণপতি ঠাকুর।

২৯। বিদ্যাপতি কোন্ রাজসভার সভাকবি ছিলেন ?

উত্তর: বিদ্যাপতি মিথিলা রাজসভার সভাকবি ছিলেন।

৩০। ‘মৈথিল কোকিল’ কাকে বলা হয় ?

উত্তর: বিদ্যাপতিকে ‘মৈথিল কোকিল’ বলে অভিহিত করা হয়।

৩১। ‘অভিনব জয়দেব’ কাকে বলা হয় ?

উত্তর: বিদ্যাপতিকে ‘অভিনব জয়দেব’ বলে অভিহিত করা হয়।

৩২। মধ্যযুগে কবি সার্বভৌম কাকে বলা হয় ?

উত্তর: বিদ্যাপতিকে ‘কবি সাবভৌম’ বলা হয়।

৩৩। বিদ্যাপতি রাধাকৃষ্ণবিষয়ক পদগুলি কোন্ ভাষায় রচনা করেন ?

উত্তর: বিদ্যাপতি রাধাকৃষ্ণবিষয়ক পদগুলি মৈথিলি ভাষায় রচনা করেন। বাংলা দেশে সেগুলি ব্রজবুলি আকারে পাওয়া যায়।

৩৪। ব্রজবুলি ভাষা কী ?

উত্তর: ব্রজবুলি ভাষা বাংলা, মৈথিলি ও অবহট্টভাষার সংমিশ্রণের গঠিত একটি শ্রুতিমধুর কৃত্রিম সাহিত্যিক ভাষা।

৩৫। ব্রজবুলি ভাষার স্রষ্টা কে ?

উত্তরঃ ব্রজবুলি ভাষার স্রষ্টা বাংলাদেশের সাধারণ পাঠক । বিদ্যাপতির পদগুলিই প্রথম এই ভাষায় প্রচারিত হয়।

মঙ্গলকাব্য

৩৬। মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি কে ?

উত্তর: মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি কানাহরি দত্ত।

৩৭। মনসামঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে ? তাঁর কাব্যের নাম কী ?

উত্তর: মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি কানা হরি দত্ত। মনসামঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি নারায়ণ দেব। নারায়ণদেবের রচিত কাব্যের নাম ছিল ‘পদ্মাপুরাণ’

৩৮। মনসামঙ্গলের প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাহিনী কে রচনা করেন ?

উত্তর: বিজয় গুপ্তই প্রথম মনসামঙ্গল কাব্যের পূর্ণাঙ্গ কাহিনি রচনা করেন। কানা হরি দত্ত যে কাহিনী লিখেছিলেন তা ছিল আংশিক।

৩৯। বিজয় গুপ্ত লিখিত মনসামঙ্গলের পুঁথির নাম কী ?

উত্তর: বিজয়গুপ্ত লিখিত মনসামঙ্গলের পুঁথির নাম ছিল ‘পদ্মাপুরাণ’।

৪০। বিজয় গুপ্ত কোন শতাব্দীর কবি ?

উত্তর: বিজয়গুপ্ত পঞ্চদশ শতাব্দীর কবি।

৪১। নারায়ণ দেবের উপাধি কী ছিল ?

আরও পড়ুন : বাক্য কাকে বলে? গঠন ও অর্থ অনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ। বিস্তারিত আলোচনা

উত্তর: নারায়ণদেবের উপাধি ছিল সুকবিবল্লভ।

৪২। ধর্মমঙ্গল কাব্যের কয়টি কাহিনি বৃত্ত এবং কী কী ?

উত্তর: ধর্মমঙ্গল কাব্যের কাহিনী বৃত্ত -ধর্মমঙ্গল কাব্যের দুইটি কাহিনিবৃত্ত রয়েছে।সেগুলি হল-

i)হরিশ্চন্দ্রের কাহিনি এবং 

ii)লাউসেনের কাহিনি

৪৩। বিপ্রদাস পিপিলাই-এর রচিত কাব্যের নাম কী ছিল ?

উত্তর: বিপ্রদাস পিপিলাই রচিত কাব্যের নাম ছিল ‘মনসাবিজয়‘।

৪৪। বিপ্রদাস পিপিলাই এর বাসস্থান কোথায় ছিল ?

উত্তর: বিপ্রদাস পিপিলাই এর বাসস্থান ছিল চব্বিশ পরগণা জেলার বসিরহাট মহকুমার অন্তর্গত নাদুড়্যা বটগ্রামে। ৪৫। কোন্ কবি নিজেকে ‘কেতকাদাস’ নামে অভিহিত করেছেন ?

উত্তর: মনসামঙ্গলের কবি ক্ষেমানন্দ নিজেকে ‘কেতকাদাস’ বলে উল্লেখ করেছেন।

৪৬। কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের জন্মস্থান কোথায় ?

উত্তর: বর্ধমান জেলার সেলিমাবাদ পরগণার অন্তর্গত কাঁদড়া গ্রামে কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের জন্মস্থান।

৪৭। চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আদি কবি কে ?

উত্তর: চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আদি কবি হলেন মানিক দত্ত।

৪৮। মানিক দত্তের জন্মস্থান কোথায় ?

উত্তর: মানিক দত্তের জন্মস্থান ছিল মালদহ জেলার ফুলিয়া নগরে।

৪৯। দ্বিজমাধব কর্তৃক রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের নাম কী ?

উত্তর: দ্বিজমাধব কর্তৃক রচতি কাব্যের নাম ‘সারদামঙ্গল’ বা ‘সারদাচরিত’

৫০। চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে ?

উত্তর: চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী।

৫১। মুকুন্দরামের কাব্য কোন শতাব্দীতে রচিত ?

উত্তর: মুকুন্দরামের কাব্য যােড়শ শতাব্দীতে রচিত।

৫২। মুকুন্দরামের জন্মস্থান কোথায় ছিল ?

উত্তর: মুকুন্দরামের জন্মস্থান ছিল বর্ধমান জেলার দামুন্যা গ্রামে।

৫৩। মুকুন্দরামের উপাধি কি ছিল ?

উত্তর: মুকুন্দরামের উপাধি ছিল ‘কবিকঙ্কণ’

৫৪। মুকুন্দরামের কাব্যের নাম কী ছিল ?

উত্তর: মুকুন্দরামের কাব্যের নাম ছিল ‘অভয়ামঙ্গল‘ ।

৫৫। মুকুন্দরাম কার আশ্রয়ে থেকে অভয়ামঙ্গল রচনা করেন ?

উত্তর: মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার অন্তর্গত আড়ব্যা গ্রামের জমিদার বাঁকুড়া রায়ের পুত্র রঘুনাথ রায়ের আশ্রয়ে থেকে অভয়ামঙ্গল কাব্য রচনা করেন।

৫৬। ধর্মমঙ্গল কাব্যের আদি কবি কে ?

উত্তর: ধর্মমঙ্গল কাব্যের আদি কবি হলেন ময়ূরভট্ট।

৫৭। ময়ূর ভট্টের কাব্যের নাম কী ?

উত্তর: ময়ূর ভট্টের কাব্যের নাম ‘হাকন্দপুরাণ ‘।

৫৮। ধর্মমঙ্গল কাব্যের প্রথম সার্থক রচয়িতা কে ?

উত্তর: ধর্মমঙ্গল কাব্যের প্রথম সার্থক রচয়িতা রূপরাম চক্রবর্তী।

৫৯। রূপরাম কোন্ শতাব্দীর কবি ?

উত্তর: রূপরাম সপ্তদশ শতাব্দীর কবি।

৬০। ধর্মমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে ?

উত্তর: ঘনরাম চক্রবর্তী ধর্মমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি।

৬১। ঘনরাম কোন্ শতাব্দীর কবি ?

উত্তর: ঘনরাম অষ্টাদশ শতাব্দীর কবি।

৬২। ‘কবিরত্ন’ কার উপাধি ?

উত্তর: ‘কবিরত্ন’ ঘনরাম চক্রবর্তীর উপাধি।

৬৩। ঘনরামের কাব্য কয়টি সর্গে বিভক্তি ?

উত্তর: ঘনরামের কাব্য ২৪টি সর্গে বিন্যস্ত।

৬৪। ঘনরামের কাব্যের মােট শ্লোক সংখ্যা কত ?

উত্তর: ঘনরামের কাব্যের মােট শ্লোকসংখ্যা ৯১৪৭।

৬৫। ঘনরামের কাব্যে কোন্ রাজার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ?

উত্তর: ঘনরামের কাব্যে বর্ধমানের মহারাজা কীর্তিচন্দ্রের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

৬৬। কোন্ কাব্যকে ‘রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য ‘ বলা হয় ?

উত্তর: ধর্মমঙ্গল কাব্যকে রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য বলা হয়।

৬৭। ধর্মমঙ্গল কাব্যকে কে রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য বলে অভিহিত করেছেন ?

উত্তর: ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ধর্মমঙ্গল কাব্যকে রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য বলে অভিহিত করেছেন।

রামায়ণ বাংলা অনুবাদ

৬৮। রামায়ণের প্রথম অনুবাদক কে ?

উত্তর: রামায়ণের প্রথম অনুবাদক কৃত্তিবাস ওঝা।

৬৯। কৃত্তিবাসের রামায়ণ কোন্ সময়ে রচিত হয় ?

উত্তর: কৃত্তিবাসের রামায়ণ পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথমভাবে রচিত হয়।

৭০। কৃত্তিবাসের রামায়ণ কোথা থেকে প্রথম মুদ্রিত হয় ?

উত্তরঃ কৃত্তিবাসের রামায়ণ শ্রীরামপুরের খ্রিস্টান মিশন থেকে ১৮০২-২৮০৩ খ্রিস্টাব্দে | সর্বপ্রথম মুদ্রিত হয়।

৭১। কৃত্তিবাসের রামায়ণে মােট কতগুলি শ্লোক আছে ?

উত্তর: কৃত্তিবাসের রামায়ণে মােট ২৪,০০০ শ্লোক আছে।

৭২। কোন্ মহিলা কবি রামায়ণের অনুবাদ করেন ?

উত্তর: মহিলা কবি চন্দ্রাবতী রামায়ণের অনুবাদ করেন।

৭৩। চন্দ্রাবতী কার কন্যা ?

উত্তর: চন্দ্রাবতী মনসামঙ্গল কাব্যের কবি দ্বিজ বংশীদাসের কন্যা।

ভাগবত অনুবাদ ধারা

৭৪। ভাগবতের অনুবাদ প্রথম কে করেন ?

উত্তর: ভাগবতের প্রথম অনুবাদ করেন মালাধর বসু।

৭৫। মালাধর বসুর কাব্যের নাম কী ?

উত্তর: মালাধর বসুর কাব্যের নাম ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’

৭৬। মালাধর বসুর উপাধি কী ছিল ?

উত্তর: মালাধর বসুর উপাধি ছিল ‘গুণরাজ খান।

মহাভারত অনুবাদ ধারা

৭৭। মহাভারতের আদি অনুবাদক কে ?

উত্তর: মহাভারতের আদি অনুবাদক হিসাবে কেউ কেউ সঞ্জয়ের নাম আবার কেউ কেউ কবীন্দ্র পরমেশ্বরের নাম উল্লেখ করেছেন।

৭৮। কবীন্দ্র পরমেশ্বর কাব্যের নাম কী ?

উত্তর: কবীন্দ্র পরমেশ্বরের কাব্যের নাম ‘পাণ্ডববিজয়’

৭৯। কবীন্দ্র পরমেশ্বরের কাব্য অপর কী নামে পরিচিত ?

উত্তর: কবীন্দ্র পরমেশ্বরের কাব্য ‘পরাগলী মহাভারত’ নামে পরিচিত।

৮০। কবীন্দ্র পরমেশ্বর কার সভাকবি ছিলেন ?

উত্তর: কবীন্দ্র পরমেশ্বর চট্টগ্রামের শাসনকৰ্ত্তা পরাগল খাঁর সভাকবি ছিলেন।

৮১। শ্রীকর নন্দী কার সভাকবি ছিলেন ?

উত্তর: শ্রীকর নন্দী চট্টগ্রামের শাসনকর্তা ছুটি খার (পরাগল খাঁর পুত্র) সভাকবি ছিলেন।

৮২। শ্রীকর নন্দী মহাভারতের কোন অংশ অনুবাদ করেন ?

উত্তর: শ্ৰকির নন্দী মহাভারতের শুধু অশ্বমেধ পর্বের অনুবাদ করেন।

৮৩। মহাভারতের অনুবাদক হিসাবে সঞ্জয়ের নাম কে প্রথম উল্লেখ করেন ?

মহাভারতের আনুবাদক হিসাবে সঞ্জয়ের নাম প্রথম উল্লেখ করেন আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন।

৮৪। সঞ্জয়ই মহাভারতের প্রথম অনুবাদক– একথা কে বলেছেন ?

উত্তর: মনীন্দ্রকুমার ঘােষ সঞ্জয়কে মহাভারতের প্রথম অনুবাদ হিসাবে প্রতিপন্ন করতে চেয়েছেন।

৮৫। মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কে ?

উত্তর: মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কাশীরাম দাস।

৮৬। কাশীরাম দাসের জন্মস্থান কোথায় ?

উত্তর: কাশীরাম দাসের জন্মস্থান বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার অন্তর্গত সিঙ্গি গ্রামে।

৮৭। কাশীরাম দাসের কাব্যের নাম কী ছিল ?

উত্তর: কাশীরাম দাসের কাব্যের নাম ছিল ‘ভারত পাঁচালী’

৮৮। কাশীরাম দাসের কাব্য কোন সময়ে রচিত হয় ?

উত্তর: কাশীরাম দাসের কাব্য যােড়শ শতাব্দীর একেবারে শেষ ভাগে অথবা সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে রচিত হয়।

৮৯। কাশীরাম দাস মহাভারতের কোন্ কোন্ পর্ব অনুবাদ করেন ?

কাশীরাম দাস মহাভারতের আদি, সভা, বন, বিরাট এই চারটি পর্ব অনুবাদ করেন।

৯০। কাশীরাম দাসের মহাভারতের বাকী অংশ কারা লেখেন ?

উত্তর: কাশারীম দাসের মহাভারতের বাকী অংশ লেখেন কবির ভ্রাতুপুত্র এবং জামাতা সম্পূর্ণ করেন।

আরাকান রাজসভা

৯১। দৌলত কাজী কার পৃষ্ঠপােষকতায় তার কাব্য রচনা করেন ?

উত্তর: দৌলতী কাজী আরাকান-রাজ শ্রীসুধমার সমরসচিব আশরাফ খানের পৃষ্ঠপােষকতায় তাঁর কাব্য রচনা করেন।

৯২। দৌলত কাজীর কাব্যের নাম কী ?

উত্তর: দৌলত কাজীর কাব্যের নাম ‘লাের চন্দ্রানী বা সতী ময়নামতী’

৯৩। দৌলত কাজী কোন্ শতাব্দীর কবি ?

উত্তর: দৌলত কাজী সপ্তদশ শতাব্দীর কবি।

৯৪। দৌলত কাজী কত খ্রিস্টাব্দে তাঁর কাব্য রচনা করেন ?

উত্তর: দৌলত কাজী ১৫২২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৬৩৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তার কাব্য রচনা করেন।

৯৫। সৈয়দ আলাওলের বিখ্যাত কাব্যটির নাম কী ?

উত্তর: সৈয়দ আলাওলের বিখ্যাত কাব্যটির নাম ‘পদ্মাবতী’

৯৬। সৈয়দ আলাওল কোন শতাব্দীর কবি ?

উত্তর: সৈয়দ আলাওল সপ্তদশ শতাব্দীর কবি।

৯৭। বাংলা সাহিত্যে যথার্থ গাথা সাহিত্য কোনগুলি ?

উত্তর: বাংলা সাহিত্যে যথার্থ গাথা সাহিত্যের নিদর্শন হল ময়মনসিংহ গীতিকা ও পূর্ববঙ্গ গীতিকাগুলি।

৯৮। গীতিকাগুলি কার সম্পাদনায় কোথা থেকে প্রকাশিত হয় ?

উত্তর: গীতিকাগুলি দীনেশচন্দ্র সেনের সম্পাদনায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত হয়।

৯৯। গীতিকাগুলিতে মােট কয়টি পালা আছে ?

উত্তর: গীতিকাগুলিতে মােট ৫৪টি পালা আছে।

১০০। এই পালাগুলির মধ্যে কোন্ পালাটি শ্রেষ্ঠ ?

উত্তর: পালাগুলির মধ্যে ‘মহুয়া’ পালাটিই সর্বশ্রেষ্ঠ।

মোট নম্বর : ৩০ সময় : ২০ মিনিট

নীচে উত্তর দেওয়া আছে ,মিলিয়ে নাও।

১. চর্যাপদের পুথিটি প্রকাশকালে সম্পাদনার দায়িত্বে কে ছিলেন ?

(ক) প্রবোধচন্দ্র বাগচী

(খ) বিধুশেখর শাস্ত্রী

(গ) মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী

(ঘ) সুকুমার সেন

২. ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে,চর্যাপদ রচিত হয়েছে –

(ক) অষ্টম থেকে দশম শতাব্দীর মধ্যে

(খ) নবম থেকে একাদশ শতাব্দীর মধ্যে

(গ) দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে

(ঘ) একাদশ থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যে

৩. ‘চর্যা’ শব্দটির অর্থ-

(ক) যোগীর আচার-ব্যবহার পদ্ধতি

(খ) ভিক্ষুর আচার-ব্যবহার পদ্ধতি

(গ) বাউলের আচার-ব্যবহার পদ্ধতি

(ঘ) সামাজিক আচার-ব্যবহার পদ্ধতি

৪. বাংলায় ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, বৈদ্য বংশীয় মানুষ কোন্ গোষ্ঠীর

অন্তর্গত?

(ক) অ্যালপাইন

(খ) আদি নর্ডিক

(গ) আর্মানীয়

(ঘ) কোনোটিই নয়

৫. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁর কোন্ গ্রন্থে প্রমাণ করেছেন যে চর্যাপদের ভাষা বাংলা ভাষারই পূর্বসূরি ?

(ক)  Origin and Development of the Bengali Literature.

(খ) Origin and Development of the Bengali Language.

(গ)  Origin and Development of the Buddhist Literature.

(ঘ) Origin and Development of the Buddhist Language.

৬. ‘আর্যাসপ্তশতী’ নামক সংস্কৃত কাব্যটির রচয়িতা কে ?

(ক) ধোয়ী

(খ) কালিদাস

(গ) ভবভূতি

(ঘ) গোবর্ধন আচার্য

৭. কার পৃষ্ঠপোষকতায় মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যে পুনরুজ্জীবন লক্ষ করা যায় ?

(ক) আলাউদ্দিন হুসেন শাহ

(খ) রুকনুদ্দিন বরবক শাহ                      

(গ) সামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ

(ঘ) জালালউদ্দিন

৮. ‘ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যে যে ছন্দের প্রয়োগ দেখা যায়, তা হল-

(ক) পয়ার ও ত্রিপদী

(খ) পয়ার ও তুনট

(গ) ত্রিপদী ও তুনট

(ঘ) তুনট ও ভুজঙ্গপ্রয়াত

৯. শ্রীকৃয়কীর্তন’কাব্যটি —

(ক) দৃশ্যকাব্য

(খ) বর্ণনামূলক

(গ) উক্তি-প্রত্যুক্তিমূলক

(ঘ) নৃত্যনাট্য

 ১০. কাশীরাম দাস কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ?

(ক) বর্ধমানের কাটোয়া অঞ্চলের সিঙ্গি গ্রামে

(খ) হাওড়ার পেড়ো গ্রামে

(গ) নদীয়ার ফুলিয়া গ্রামে

(ঘ) বাকুঁড়ার কাকিল্যা গ্রামে

১১. কার সম্পাদনায় কাশীরাম দাসের মহাভারত শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে মুদ্রিত হয় ?

(ক) দুর্লভ সিংহ

(খ) জয়গোপাল তর্কালঙ্কার

(গ) চন্ডী চরণ মুন্সি

(ঘ) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী

১২. ষোড়শ শতাব্দীর একজন ভাগবত অনুবাদক হলেন-

(ক) মালাধর বসু

(খ) গোবিন্দ আচার্য

(গ) অভিরাম দাস

(ঘ) দ্বিজ প্রভুরাম

১৩. ছুটি খাঁ’-র নির্দেশে কে মহাভারত বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন ?

(ক) পরমেশ্বর দাস

(খ) শ্রীকর নন্দী

(গ) রামচন্দ্র খান

(ঘ) কাশীরাম দাস

১৪. কোনটি ধর্মমঙ্গলের চরিত্র নয় ?

(ক) ইছাই ঘোষ

(খ) লাউসেন

(গ) হরিশচন্দ্র

(ঘ) ধনপতি

১৫. মহারাষ্ট্রপুরাণ’ গ্রন্থের রচয়িতা—

(ক) নরসিংহ বসু

(খ) কৃষ্ণুরাম দাস

(গ) বলরাম চক্রবর্তী

(ঘ) গঙ্গারাম

১৬.  সপ্তদশ শতাব্দীর একজন বিদ্যাসুন্দর কাহিনি রচনাকার হলেন—

(ক) সাবিরিদ খান

(খ) গোবিন্দ দাস

(গ) ভারতচন্দ্র রায়

(ঘ) প্রাণরাম চক্রবর্তী

১৭. ‘মৃদ্ধলুব্ধ’–এর একজন কাহিনিকার হলেন—

(ক) দ্বিজ গৌরাঙ্গ

(খ) রামরাজা

(গ) শঙ্কর

(ঘ) প্রাণবল্লভ

 ১৮. খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর আগে প্রথম কোন গ্রন্থে রাধা-কৃষ্ণ লীলা বিষয়ক পদের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায় ?

(ক) গাথাসপ্তশতী

(খ) উজ্জ্বল নীলমণি

(গ) ভক্তিরসামৃত

(ঘ) উদ্ধবসন্দেশ

১৯. ব্রজবুলি কোন্ কোন্ ভাষার সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছিল ?

(ক) বাংলা ও ওড়িয়া

(খ) বাংলা ও অসমিয়া

(গ) বাংলা-মৈথিলি-অবহট্ঠ

(ঘ) অসমিয়া ও মৈথিলি

২০. ‘দ্বিতীয় বিদ্যাপতি’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে কোন্ কবিকে ?

(ক) চণ্ডীদাস

(খ) জ্ঞানদাস

(গ) গোবিন্দদাস

(ঘ) কবিরঞ্জন

২১.প্রাক্-চৈতন্য যুগের বৈষ্ণব কবিদের রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ছিল—

(ক) বিশ্বপৃথিবী থেকে মোক্ষলাভের বাসনা

(খ) বিশুদ্ধ সাহিত্যসৃষ্টির বাসনা

(গ) রাধাপ্রেম তন্ময়তা

(ঘ) কৃষপ্রেম বিভোরতা

২২.গয়ায় চৈতন্যদেব যার কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন —

(ক) নিত্যানন্দ আচার্য

(খ) কেশবভারতী

(গ) অদ্বৈত আচার্য

(ঘ) ঈশ্বরপুরী

২৩. ‘গাজীমঙ্গল’ রচনা করেছিলেন—

(ক) আলীরাজা

(খ) আবদুল গফুর

(গ) দৌলত উজীর

(ঘ) শেখ রাজ

২৪. ‘সত্যনারায়ণ পাঁচালি’ রচনা করেছিলেন—

(ক) জৈনুদ্দিন

(খ) ফৈজুল্লা

(গ) সৈয়দ মর্তুজা

(ঘ) আলীরাজা

২৫. ‘কালীকীর্তন’ নামক গ্রন্থটির রচয়িতা কে ?

(ক) রামপ্রসাদ সেন

(খ) কমলাকান্ত ভট্টাচার্য

(গ) আশুতোষ মুখোপাধ্যায়  

(ঘ) নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়

২৬. কোন্ চৈতন্য জীবনীগ্রন্থে ‘বাউল’ শব্দের প্রয়ােগ আছে ?

(ক) বৃন্দাবনদাসের চৈতন্যভাগবত

(খ) জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গল

(গ) লোচনদাসের চৈতন্যমঙ্গল

(ঘ) গোবিন্দদাসের কড়চা

২৭.গোরক্ষবিজয়ের প্রাচীনতম কবি হলেন—

(ক) ভীমসেন রায়

(খ) দুর্লভ মল্লিক

(গ) ভবানী দাস

(ঘ) সুকুর মামুদ

২৮. দ্বিজ কানাই, নয়নচাঁদ ঘোষ, রঘুসুত প্রমুখের নাম সংযুক্ত রয়েছে বাংলা সাহিত্যের যে ধারাটির সঙ্গে–

(ক) শাক্তপদাবলি

(খ) বাউলগান

(গ) নাথ সাহিত্য

(ঘ) পূর্ববঙ্গ গীতিকা

২৯. মুকুন্দ চক্রবর্তীর পিতার নাম কী ছিল ?

(ক) জগন্নাথ মিশ্র

(খ) সনাতন মিশ্র

(গ) রূপরাম মিশ্র

(ঘ) হৃদয় মিশ্র

৩০. নীচের কোন জোড়াটি ভুল :

(ক) সুভুতিচন্দ্র — কামধেনু

(খ) ক্ষেমীশ্বর — চন্ডকৌশিক

(গ) মুরারিমিশ্র — অনর্ঘ রাঘব

(ঘ) সবগুলিই ঠিক

উত্তর মিলিয়ে দেখে নাও কত পেলে

১। (গ) মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
২। (গ) দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে
৩। (ক) যোগীর আচার-ব্যবহার পদ্ধতি
৪। (ক) অ্যালপাইন
৫। (খ) Origin and Development of the Bengali Language.
৬। (ঘ) গোবর্ধন আচার্য
৭। (ক) আলাউদ্দিন হুসেন শাহ
৮। (ক) পয়ার ও ত্রিপদী
৯। (গ) উক্তি-প্রত্যুক্তিমূলক
১০। (গ) নদীয়ার ফুলিয়া গ্রামে
১১। (খ) জয়গোপাল তর্কালঙ্কার
১২। (খ) গোবিন্দ আচার্য
১৩। (খ) শ্রীকর নন্দী
১৪। (ঘ) ধনপতি
১৫। (ঘ) গঙ্গারাম
১৬। (ঘ) প্রাণরাম চক্রবর্তী
১৭। (খ) রামরাজা
১৮। (ক) গাথাসপ্তশতী
১৯। (গ) বাংলা-মৈথিলি-অবহট্ঠ
২০। (গ) গোবিন্দদাস
২১। (ক) বিশ্বপৃথিবী থেকে মোক্ষলাভের বাসনা
২২। (ঘ) ঈশ্বরপুরী
২৩। (খ) আবদুল গফুর
২৪। (খ) ফৈজুল্লা
২৫। (ক) রামপ্রসাদ সেন
২৬। (ক) বৃন্দাবনদাসের চৈতন্যভাগবত
২৭। (ক) ভীমসেন রায়
২৮। (ঘ) পূর্ববঙ্গ গীতিকা
২৯। (ঘ) হৃদয় মিশ্র
৩০। (ঘ) সবগুলিই ঠিক

আমাদের পোষ্ট গুলো প্রতিনিয়ত আপডেট করা হয়। বিসিএস,প্রাইমারি সহ সব পরীক্ষার প্রতিনিয়ত প্রশ্ন অনুযায়ী পোষ্ট গুলো আমরা আপডেট করি। সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।

এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *