সূচনা – অ্যাজমা কি: ফুসফুস আমাদের শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে জীবনধারণ নিশ্চিত করে থাকে। তবে অ্যাজমা নামক দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার কারণে অনেকেই স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে কষ্ট পান। পরিবেশ দূষণ, অ্যালার্জি এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা অ্যাজমার প্রধান কারণ হয়ে থাকে। সঠিক তথ্য ও সচেতনতার মাধ্যমে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে করা সম্ভব। আজ আমরা জানবো অ্যাজমা কেন হয়, এর লক্ষণ, চিকিৎসা এবং এটি নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়।
অ্যাজমা কি – what is asthma
Asthma হল একটি দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসতন্ত্রের রোগ যা ফুসফুসের বায়ুপ্রবাহের পথকে সংকুচিত করে ফেলে এবং যার কারনে আমাদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এটি মূলত শ্বাসনালির প্রদাহ ও অতিসংবেদনশীলতার কারণে ঘটে থাকে। অ্যাজমার ফলে বায়ুপ্রবাহ সীমিত হয়ে যায় এবং শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুকে চাপ অনুভব, এবং শ্বাসপ্রশ্বাসে সাঁ সাঁ শব্দ হতে থাকে। এটি একধরনের অ্যালার্জিক রোগ । কোনো নির্দিষ্ট বয়সের সীমাবদ্ধ নয় যেকোন বয়সে হতে পারে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবাই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই সাবধানে থাকা উচিত সবাইকে।
অ্যাজমা কেন হয় – Why does asthma occur?
এটি হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এগুলোকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ হয়—বাহ্যিক (পরিবেশগত) কারণ এবং অভ্যন্তরীণ (জেনেটিক) কারণ।
১. বাহ্যিক কারণ
- পরিবেশগত দূষণ: ধূলিকণা, ধোঁয়া, রাসায়নিক গ্যাস, এবং গাড়ির কালো ধোঁয়া থেকে অ্যাজমা হয়ে থাকে।
- অ্যালার্জেন: পরাগ রেণু, পশুর লোম, ঘরের ধুলা এবং কিছু খাবার অ্যাজমাকে বেশি উদ্দীপিত করতে পারে।
- ধূমপান: সক্রিয় বা প্যাসিভ ধূমপানের কারণে ফুসফুসে সমস্যা বাড়তে পারে।
- আবহাওয়ার পরিবর্তন: শীতকাল বা আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন অ্যাজমাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

২. অভ্যন্তরীণ কারণ
- জেনেটিক কারণ: সাধারনত পরিবারের কারও যদি অ্যাজমা থাকে তাহলে এটি বংশগতভাবে হতে পারে।
- ইমিউন সিস্টেমের দুর্বলতা: দেহের প্রতিরোধক্ষমতা যদি কম হয় তাহলে শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ বাড়তে পারে।
- মানসিক চাপ: দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ অ্যাজমার উপসর্গ আরও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
অ্যাজমার লক্ষণ – asthma symptoms
এর উপসর্গ ব্যক্তি বিশেষে এটা ভিন্ন হতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো-
- শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
- বুকে বেশ চাপ অনুভব করা।
- ঘন ঘন কাশি হয়, বিশেষত রাতের বেলা বেড়ে যায়।
- শ্বাসপ্রশ্বাসে সাঁ সাঁ শব্দ করে।
- দৌড়ানোর পর বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের সময় শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।
অ্যাজমা রোগ নির্ণয় – Diagnosis of asthma
এটা নির্ণয়ের জন্য ডাক্তার সাধারণত নিম্নলিখিত পরীক্ষা করে থাকেন:
- স্পিরোমেট্রি টেস্ট (spirometry test) : এটি ফুসফুসের কার্যক্ষমতা যাচাই করার জন্য একটি শ্বাস পরীক্ষা করা হয়।
- পিক ফ্লো মিটার- Peak flow meter : শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষমতা মাপার জন্যি এটি ব্যবহৃত হয়।
- অ্যালার্জি টেস্ট – Allergy Blood Test : অ্যালার্জেন চিহ্নিত করার জন্য এটি করা হয়।
- এক্স-রে: ফুসফুসে কোনো ক্ষতি বা প্রদাহ আছে কিনা তা নির্ধারণের জন্য সাধারনত এক্স-রে করা হয়।

অ্যাজমা রোগের চিকিৎসা – asthma treatment
এটা পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য নয়, তবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। চিকিৎসার পদ্ধতিগুলো নিচে দেওয়া হলো:
১. ওষুধ
- ইনহেলার: অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা। এটি শ্বাসনালিকে প্রশস্ত করে থাকে।
- রিলিভার ইনহেলার: তাৎক্ষণিক উপশমের জন্য ব্যবহার হয়।
- প্রিভেন্টার ইনহেলার: দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহার হয়।
- স্টেরয়েড ওষুধ: এটি ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে ব্যবহার হয়।
- অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধ: অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করে থাকে।
২. ঘরোয়া প্রতিকার
- গরম পানির ভাপ: শ্বাসনালির বায়ুপ্রবাহ সহজ করতে এটা অনেক সাহায্য করে।
- মধু ও আদার রস: শ্বাসকষ্ট কমাতে বেশ কার্যকর।
- লবঙ্গ চা: শ্বাসতন্ত্রকে বেশ আরাম দেয়।
৩. জীবনধারা পরিবর্তন করুন-
- পরিবেশগত যত্ন: ধুলাবালি এড়িয়ে চলতে হবে সেজন্য বাহিরে বের হলেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
- স্বাস্থ্যকর খাবার: ভিটামিন সি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার তালিকায় রাখতে হবে।
- ব্যায়াম: যোগব্যায়াম ও হালকা শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর।
- ধূমপান পরিহার: নিজে ধূমপান না করা এবং ধূমপানের পরিবেশ থেকে নিজেকে দূরে রাখা।
এজমা থেকে বাঁচার উপায়
এর ঝুঁকি কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
- ঘর এবং আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে।
- অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী খাবার এড়িয়ে চলা মাস্ট।
- মাস্ক ব্যবহার করা, বিশেষত ধুলাবালির জায়গায় যখন যাবেন।
- নিয়মিত ডাক্তার চেকআপ করানো।
- শরীরচর্চা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা।
শ্বাস কষ্ট হলে করনীয়
শ্বাসকষ্ট বা ব্রিদিং প্রবলেম নানা কারণেই আপনার হতে পারে। এটি কখনো সাময়িক, আবার কখনো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার কারণ হতে পারে। শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত মুক্তি পেতে কিছু কার্যকরী পদ্ধতি এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধের উপায় অনুসরণ করা উচিৎ। নিচে কিছু কার্যকরী উপায় দেওয়া হলো:
১. শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে হবে
শ্বাসকষ্ট হলে সঠিক শ্বাসপ্রশ্বাসের কৌশল শ্বাসনালিকে প্রশস্ত করতে আপনার সাহায্য করবে।
- পার্সড লিপ ব্রিদিং (Pursed-Lip Breathing):
- প্রথমে একটি নাক দিয়ে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন।
- এরপর ঠোঁট সামান্য গোল করে ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন।
- এভাবে কয়েকবার করতে থাকুন।
- ডায়াফ্রামিক ব্রিদিং:
পেটের পেশির সাহায্যে শ্বাস নেয়ার এই কৌশল ফুসফুসের বেশ কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
২. গরম পানির ভাপ নিন প্রতিদিন
গরম পানির ভাপ নিলে শ্বাসনালি প্রশস্ত হয় এবং শ্লেষ্মা পরিষ্কার হতে বেশ সাহায্য করে।
- একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল বা মেন্থল তেল যোগ করতে হবে।
- এবার তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে ভাপ নিন।
- এটি শ্বাসকষ্টের তাৎক্ষণিক উপশমে খুব ভালো কার্যকর।
৩. সঠিক ভঙ্গিতে বসুন বা শুয়ে থাকুন
শ্বাসকষ্ট হলে শরীরকে এমন ভঙ্গিতে রাখুন, যা ফুসফুসকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে।
- সোজা হয়ে বসুন: চেয়ারে বসলে তখন সামান্য সামনে ঝুঁকে কনুই হাঁটুর ওপর রাখুন।
- ফুলার পজিশন: শুয়ে থাকার সময় পিঠে বালিশ রেখে ফুসফুসের উপর চাপ কমান।
৪. পর্যাপ্ত হাওয়া প্রবাহ নিশ্চিত করুন
তাজা বাতাস শ্বাসকষ্ট কমাতে বেশ সাহায্য করে।
- ঘরে জানালা খুলে রাখুন বা ফ্যান চালিয়ে হাওয়া প্রবাহ বাড়ান। যেন বাতাস আসা যাওয়া করতে পারে। ঘর কোনভাবেই বন্ধ রাখা যাবেনা।
- অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা পরিবেশ সবসময় এড়িয়ে চলুন।
৫. অ্যালার্জেন থেকে দূরে থাকুন
শ্বাসকষ্ট বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো অ্যালার্জেন।
- ধুলাবালি, ধোঁয়া, পরাগরেণু এবং রাসায়নিক গন্ধ থেকে নিজেকে দূরে থাকুন।
- মাস্ক ব্যবহার করুন, বিশেষত ধুলাবালি বা ধোঁয়ার সংস্পর্শে যদি থাকেন।
৬. ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করুন
আদা এবং মধু: প্রথমে এক চা চামচ আদার রস এবং মধু মিশিয়ে পান করলে শ্বাসতন্ত্র বেশ প্রশস্ত হয়।
তুলসী পাতা এবং মধু: তুলসী পাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে ভালো আরাম পাওয়া যায়।
লবঙ্গ এবং গরম পানি: লবঙ্গ ফুটিয়ে সেই পানি পান করুন। এটি শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে।
৭. স্ট্রেস কমাতে হবে
মানসিক চাপ শ্বাসকষ্টকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমাতে হলে:
- মেডিটেশন বা ধ্যান করতে হবে।
- শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন ব্যায়াম করুন।
- হালকা সংগীত শুনুন যেন স্ট্রেস না কাজ করে।
এ সম্পর্কে বিশেজ্ঞদের মতামত জানতে ক্লিক করুন–
৮. ডাক্তারের পরামর্শ নিন
শ্বাসকষ্ট নিয়মিত হলে দেরি না করে তখনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
- প্রয়োজনীয় টেস্ট করে এর কারণ নির্ধারণ করুন।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ বা ইনহেলার ব্যবহার করতে বলবে নিয়মিত সেই অনুযায়ী করুন।

আরও পড়ুন:
অ্যাজমা কি এবং শ্বাসকষ্ট সম্পর্কিত FAQ
প্রশ্ন ২: অ্যাজমা কেন হয়?
উত্তর: অ্যাজমা সাধারণত নিম্নলিখিত কারণগুলোর কারনে হতে পারে:
- বংশগত কারণ হলে।
- ধুলাবালি, ধোঁয়া বা অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসলে।
- ভাইরাল সংক্রমণ হলে।
- আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে।
- মানসিক চাপ বা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করলে।
প্রশ্ন ৩: অ্যাজমার সাধারণ উপসর্গ কী কী?
উত্তর:
- শ্বাস নিতে কষ্ট হবে।
- ঘন ঘন কাশি, বিশেষ করে রাতে হয়ে থাকে।
- বুক থেকে শোঁ শোঁ শব্দ আসতে থাকে।
- বুকে চাপ বা ব্যথা অনুভব করে।
প্রশ্ন ৪: অ্যাজমা নিরাময়যোগ্য কি?
উত্তর: অ্যাজমা সম্পূর্ণভাবে হয়না। তবে সঠিক চিকিৎসা ও জীবনযাপনের পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
প্রশ্ন ৫: অ্যাজমার চিকিৎসা কীভাবে করা হয়?
উত্তর:
- ইনহেলার ব্যবহার করে, যা দ্রুত উপশমে কার্যকর হয়।
- দীর্ঘমেয়াদী নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ গ্রহণ করা।
- অ্যালার্জেন বা ট্রিগার থেকে দূরে থাকতে হবে।
- শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে হবে।
প্রশ্ন ৬: অ্যাজমা কি শিশুদেরও হয়?
উত্তর: হ্যাঁ, শিশু সহ সব বয়সই হয়। অ্যাজমা শিশুদের মধ্যে খুবই সাধারণ। এটি শিশুর শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং শোঁ শোঁ শব্দের কারণ হতে পারে।
প্রশ্ন ৭: অ্যাজমার জন্য কোন খাবার এড়ানো উচিত?
উত্তর:
- ধুলাবালি বা অ্যালার্জি বাড়াতে পারে এমন খাবার না খাওয়া।
- প্রসেসড খাবার এবং ঠাণ্ডা পানীয় না খাওয়া।
- অতিরিক্ত ঝাল বা তেলে জাতীয় ভাজা খাবার না খাওয়া।
প্রশ্ন ৮: অ্যাজমা আক্রান্তদের জন্য ইনহেলার কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: ইনহেলার অ্যাজমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা বলা হয়। এটি দ্রুত শ্বাসনালীর সংকোচন কমিয়ে শ্বাস নিতে সাহায্য করে থাকে।
প্রশ্ন ৯: অ্যাজমার সময় কীভাবে দ্রুত উপশম পাওয়া যায়?
উত্তর:
- সোজা হয়ে বসুন এবং এভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
- পার্সড-লিপ ব্রিদিং (নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়া এবং মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়া) করুন।
- ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে।
- যদি উপশম না পান, তবে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
প্রশ্ন ১০: অ্যাজমার ঝুঁকি কমাতে কী করা উচিত?
উত্তর:
- ধূমপান থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন।
- ধুলাবালি, অ্যালার্জেন এবং দূষিত পরিবেশ এড়িয়ে চলতে হবে।
- প্রতিদিন ব্যায়াম করুন, তবে অতিরিক্ত পরিশ্রম কখনো করবেন না।
- মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান বা মেডিটেশন করতে হবে।
১১. শ্বাসকষ্টের ঘরোয়া প্রতিকার কী কী?
উত্তর: গরম পানির ভাপ নিতে হবে।
- আদা ও মধু মিশিয়ে পান করতে হবে।
- তুলসী পাতা বা পুদিনা পাতা চা তৈরি করে পান করতে হবে।
- লেবু ও গরম পানি মিশিয়ে পান করতে হবে।
১২. শ্বাসকষ্ট কমাতে খাদ্যাভ্যাসে কোনো পরিবর্তন দরকার?
উত্তর: হ্যাঁ, শ্বাসকষ্ট কমাতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন করতে হবে:
- অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে 8-10 গ্লাস পানি পান করুন।
- আদা, তুলসী পাতা, এবং লবঙ্গজাতীয় প্রাকৃতিক উপাদান গ্রহণ করতে হবে।
উপসংহার
অ্যাজমা কি, এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ হলেও এটি নিয়মিত চিকিৎসা এবং জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। সঠিক সচেতনতা এবং যত্নের অভাবে এই রোগ জীবনযাত্রার মান কমিয়ে দিতে পারে। তাই সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।