ওয়েব ডিজাইন – ও ডেভেলপমেন্ট গাইডলাইন

শেয়ার করুন

Table of Contents

ওয়েব ডিজাইন

ওয়েব ডিজাইন: ওয়েব ডিজাইন হলো একটি ওয়েবসাইটের সামগ্রিক চেহারা ও বিন্যাস নির্ধারণের প্রক্রিয়া। এটি এমন একটি পদ্ধতি যা একটি ওয়েবসাইটের ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা এবং ইউজার ইন্টারফেসকে আকর্ষণীয় ও ব্যবহারযোগ্য করে তোলে। আধুনিক ওয়েব ডিজাইনে প্রায়ই মোবাইল রেস্পন্সিভ ডিজাইন, ইউজার এক্সপিরিয়েন্স (UX), এবং ইউজার ইন্টারফেস (UI) এর উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়।

বর্তমান সময়ে মানুষ ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রচুর আগ্রহ দেখাচ্ছে। অধিকাংশ নতুন তাই কোনটা শেখার দরকার বুঝতে পারছেন না। ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার মাধ্যমে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করবেন; এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য। তাছাড়া যারা চাকরির উদ্দেশ্যে ওয়েব ডিজাইনার হবেন, তারাও পড়ুন। ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার জন্য ওয়েব ডিজাইনার অনেক ভালো একটি সুযোগ। আপনি ওয়েব ডিজাইনার হয়ে ভালো অংকের টাকা আয় করতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কোম্পানী ওয়েব ডিজাইনার নিয়োগ দিচ্ছে। মোটামুটি কারিগরি ডিগ্রী ও একটি সুন্দর পোর্টফোলিও থাকলে আপনি চাকরিটি পেতে পারেন। দেশে বিদেশে ওয়েব ডিজাইনারের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে।

web design development course

ওয়েব ডিজাইন হওয়ার উপায়
web design development course

Best 10 step: ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার

১. ওয়েব ডিজাইন থিওরি

২. কিভাবে কোডিং করতে হয়

৩. সঠিক টুলের ব্যবহার

৪. বেসিক SEO স্ট্রাকচার

৫. ওয়েব টেস্টিং অভ্যাস তৈরি

৬. ট্রেন্ডসগুলোর দিকে নজর দেয়া

৭. কমিউনিটি জয়েন করুন

৮. সমালোচনাকে হ্যা বলুন

৯. Portfolio তৈরি করুন

১০. কমিউনিকেশন স্কিল

ওয়েব ডিজাইন কি (web design ki)

এটি হলো ওয়েবসাইটের ভিজ্যুয়াল বিন্যাস ও গঠন তৈরি করার প্রক্রিয়া। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের জন্য নান্দনিক এবং ব্যবহারযোগ্য হয়। ওয়েব ডিজাইন শুধুমাত্র রং, ছবি বা লেআউট নির্ধারণ নয়, এটি ওয়েবসাইটের ইউজার এক্সপিরিয়েন্স (UX), ইউজার ইন্টারফেস (UI), এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)-এর সাথে সরাসরি সম্পর্কিত।

ওয়েব ডিজাইন মূলত দুটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে বিভক্ত: ফ্রন্টএন্ড ডিজাইন এবং ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্ট। ফ্রন্টএন্ড ডিজাইন মানে ওয়েবসাইটের ভিজ্যুয়াল অংশ যেটি ব্যবহারকারীরা দেখতে পান এবং ব্যবহার করেন, যেমন লেআউট, রঙ, ফন্ট, ছবি ইত্যাদি। ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্ট হলো ওয়েবসাইটের প্রযুক্তিগত দিক যা এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করে, যেমন ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট এবং সার্ভার সাইড ফাংশন।

আধুনিক ওয়েব ডিজাইন সাধারণত মোবাইল রেস্পন্সিভ হয়, যার ফলে ওয়েবসাইটটি বিভিন্ন স্ক্রিন সাইজে মানিয়ে যায় এবং যেকোনো ডিভাইসে সঠিকভাবে প্রদর্শিত হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক কারণ বর্তমানে অনেক ব্যবহারকারী মোবাইল বা ট্যাবলেট ডিভাইস থেকে ইন্টারনেট ব্রাউজ করে থাকে।

আরো ভালো করে বললে, ওয়েব ডিজাইন এমন একটি স্কিল; যেটা ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইটের সঠিক জায়গায় সঠিক বাটন, কালার ও ফন্ট দেয়া হয়; যাতে ওয়েব সাইট দেখতে সুন্দর হয় ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধি পায়।

কোডিং
coding

ওয়েব ডিজাইনের প্রধান উপাদান:

  1. লেআউট (Layout): এটি একটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন উপাদান যেমন টেক্সট, ইমেজ এবং মেনুর স্থাপন নিয়ন্ত্রণ করে। সঠিক লেআউট একটি ওয়েবসাইটকে ব্যবহারকারীর জন্য সহজবোধ্য ও আকর্ষণীয় করে তোলে।
  2. রঙ (Colors): রঙ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা ওয়েবসাইটের অনুভূতি এবং উদ্দেশ্য প্রকাশ করে। সাধারণত ব্র্যান্ডের লোগো বা প্রোডাক্ট অনুযায়ী রঙ নির্ধারণ করা হয়।
  3. টাইপোগ্রাফি (Typography): সাইটের লেখার ধরন, আকার ও ফন্টের ব্যবহারও একটি বিশেষ দিক। সহজে পড়া যায় এমন ফন্ট বেছে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।
  4. ছবি এবং ভিডিও (Images & Videos): ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট ওয়েবসাইটকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করে। ভালো মানের ছবি এবং ভিডিও ওয়েবসাইটের প্রফেশনাল লুক বাড়ায়।
  5. নেভিগেশন (Navigation): ওয়েবসাইটের নেভিগেশন সহজ ও সঠিক হওয়া উচিত যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য দ্রুত পেতে পারেন।

ওয়েব ডিজাইন এর কাজ কি

এর প্রধান কাজ হলো একটি ওয়েবসাইটকে নান্দনিকভাবে সুন্দর, ব্যবহারযোগ্য এবং কার্যকরী করে তৈরি করা। এটি শুধুমাত্র একটি ওয়েবসাইটের ভিজ্যুয়াল দিক নিয়ে কাজ করে না, বরং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা (User Experience – UX) উন্নত করাও এর অন্যতম লক্ষ্য। নিচে ওয়েব ডিজাইনের কিছু প্রধান কাজ তুলে ধরা হলো:

1. ওয়েবসাইটের লেআউট তৈরি করা:

ওয়েব ডিজাইনের প্রথম কাজ হলো ওয়েবসাইটের গঠন তৈরি করা, যা সাধারণত ওয়েব পেজের বিভিন্ন অংশ যেমন মেনু, হেডার, ফুটার, এবং কন্টেন্টের অবস্থান নির্ধারণ করে। এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি ব্যবহারকারীদের জন্য সহজবোধ্য হয়।

2. রঙ এবং ফন্ট নির্বাচন করা :

ওয়েব ডিজাইনার ওয়েবসাইটের জন্য উপযুক্ত রঙ এবং ফন্ট নির্বাচন করেন, যা সাইটটির ব্র্যান্ড এবং বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। রঙ এবং ফন্ট একটি ওয়েবসাইটের দেখনদারি ও পাঠযোগ্যতা বাড়ায়।

3. ইউজার ইন্টারফেস (UI) ডিজাইন করা :

UI ডিজাইন মানে এমন একটি ব্যবহারকারী বান্ধব ইন্টারফেস তৈরি করা যেখানে ব্যবহারকারীরা সহজেই নেভিগেট করতে পারে। এর জন্য মেনু, বোতাম, ফর্ম ইত্যাদির স্থান এবং আকারের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়।

4. রেস্পন্সিভ ডিজাইন নিশ্চিত করা:

বর্তমান যুগে মোবাইল এবং ট্যাবলেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই ওয়েবসাইটটি বিভিন্ন ডিভাইসে ঠিকভাবে প্রদর্শিত হওয়া জরুরি। রেস্পন্সিভ ডিজাইন নিশ্চিত করে যে ওয়েবসাইটটি মোবাইল, ট্যাবলেট, এবং ডেস্কটপে সমানভাবে কার্যকরী হবে।

5. ছবি এবং মিডিয়া ব্যবহার করা:

ওয়েব ডিজাইনের একটি কাজ হলো উপযুক্ত ছবি এবং ভিডিও যুক্ত করা, যা সাইটটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। ভিজ্যুয়াল কন্টেন্টের সঠিক ব্যবহার ওয়েবসাইটের গুণমান এবং পেশাদারিত্ব বাড়ায়।

6. ইন্টারঅ্যাকটিভ ফিচার যোগ করা:

ওয়েবসাইটে ইন্টারঅ্যাকটিভ ফিচার যেমন কন্টাক্ট ফর্ম, সার্চ বক্স, এবং সোশ্যাল মিডিয়া বাটন যোগ করা, যাতে ব্যবহারকারীরা সহজেই সাইটের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

7. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) বান্ধব ডিজাইন করা:

SEO এর জন্য ওয়েব ডিজাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কন্টেন্টের গঠন, ইমেজ অপ্টিমাইজেশন, এবং দ্রুত লোডিং টাইম নিশ্চিত করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র‍্যাঙ্ক পায়।

8. ওয়েবসাইটের নেভিগেশন সহজ করা:

ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পাওয়ার জন্য সহজ নেভিগেশন তৈরি করা ওয়েব ডিজাইনের একটি বড় দায়িত্ব। মেনু সিস্টেম, লিঙ্ক, এবং কন্টেন্ট স্ট্রাকচার এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে ব্যবহারকারীরা সহজে নেভিগেট করতে পারেন।

এই সমস্ত কাজ একত্রিতভাবে একটি সফল ওয়েবসাইট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, যা ব্যবহারকারীদের সন্তুষ্টি ও প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য পূরণে সাহায্য করে।

ওয়েব ডিজাইন এর কাজ কি
ওয়েব ডিজাইন এর কাজ কি

কিভাবে ওয়েব ডিজাইন শিখব

ওয়েব ডিজাইন শেখা একটি ক্রমাগত প্রক্রিয়া, যেখানে বিভিন্ন ধাপ এবং দক্ষতা অর্জন করতে হয়। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন শিখতে চান, তবে ধাপে ধাপে এটি শেখা সহজ হবে। নিচে কিছু ধাপ তুলে ধরা হলো যা অনুসরণ করলে আপনি ভালোভাবে ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারবেন:

১. ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে বেসিক ধারণা নিন:

প্রথমে ওয়েব ডিজাইনের মৌলিক ধারণা ও উপাদানগুলো বুঝে নিন। ওয়েব ডিজাইন মূলত কীভাবে কাজ করে, কোন কোন উপাদান নিয়ে তৈরি হয় এবং এর গুরুত্ব কী তা বোঝা জরুরি।

২. HTML ও CSS শেখা:

ওয়েব ডিজাইনের ভিত্তি হলো HTML (HyperText Markup Language) এবং CSS (Cascading Style Sheets)। HTML দিয়ে ওয়েব পেজের গঠন তৈরি করা হয় এবং CSS ব্যবহার করে সেই পেজের স্টাইল ও লেআউট নির্ধারণ করা হয়। প্রথমে এই দুটি ভাষা ভালোভাবে আয়ত্ত করুন।

  • HTML দিয়ে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ট্যাগ যেমন হেডার, ফুটার, টেক্সট, ইমেজ ইত্যাদি যোগ করতে শিখুন।
  • CSS দিয়ে কীভাবে রঙ, ফন্ট, মার্জিন, প্যাডিং ইত্যাদি সেট করা হয় তা জানুন।

৩. রেস্পন্সিভ ডিজাইন শিখুন:

মোবাইল এবং ট্যাবলেট ডিভাইসে ওয়েবসাইট সঠিকভাবে কাজ করার জন্য রেস্পন্সিভ ডিজাইন শেখা জরুরি। এর জন্য আপনাকে CSS Flexbox, CSS Grid এবং মিডিয়া কুয়েরি (Media Queries) শেখা প্রয়োজন।

৪. জাভাস্ক্রিপ্ট শিখুন:

ওয়েবসাইটে ইন্টারঅ্যাক্টিভ ফিচার যোগ করতে জাভাস্ক্রিপ্ট শেখা দরকার। এটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ইভেন্ট যেমন বাটন ক্লিক, স্ক্রোলিং ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। জাভাস্ক্রিপ্ট শিখলে আপনি ওয়েব পেজে ডায়নামিক কন্টেন্ট, পপআপ, এবং আরো অনেক ফিচার যোগ করতে পারবেন।

৫. ইউজার ইন্টারফেস (UI) এবং ইউজার এক্সপিরিয়েন্স (UX) ডিজাইন শিখুন:

UI এবং UX ডিজাইন ওয়েব ডিজাইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। UI ডিজাইন বলতে বোঝায় ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ এবং সুন্দর ইন্টারফেস তৈরি করা, আর UX ডিজাইন নিশ্চিত করে যে ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে একটি ভালো অভিজ্ঞতা পাবে।

৬. ওয়েব ডিজাইন টুলস গুলো শেখা:

ওয়েব ডিজাইনে বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করা হয়। কিছু জনপ্রিয় ডিজাইন টুল হলো:

  • Adobe XD: ওয়েবসাইটের প্রোটোটাইপ এবং ডিজাইন তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
  • Figma: এটি একটি অনলাইন ডিজাইন টুল, যা সহযোগিতার মাধ্যমে ওয়েব ডিজাইন তৈরি করতে সাহায্য করে।
  • Sketch: ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের জন্য একটি জনপ্রিয় ডিজাইন টুল।

৭. প্র্যাকটিস ও প্রজেক্ট তৈরি করা:

ওয়েব ডিজাইন শেখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো প্রচুর প্র্যাকটিস করা। নিজের বিভিন্ন ছোট প্রজেক্ট তৈরি করে শিখুন। আপনি নিজের ব্যক্তিগত ব্লগ বা পোর্টফোলিও সাইট তৈরি করতে পারেন, যা আপনাকে প্র্যাকটিস করার সুযোগ দেবে এবং আপনার কাজের উদাহরণ দেখাতে পারবে।

৮. রেফারেন্স সাইট বিশ্লেষণ করবেন:

কোনো ভালো ওয়েবসাইট দেখলে তা কীভাবে ডিজাইন করা হয়েছে তা বিশ্লেষণ করুন। আপনি ওয়েবসাইটের লেআউট, রঙের ব্যবহার, নেভিগেশন পদ্ধতি ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এবং এগুলো থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারেন।

৯. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) শিখুন:

SEO ফ্রেন্ডলি ওয়েব ডিজাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটের র‍্যাঙ্ক বাড়াতে সাহায্য করে। কিভাবে ওয়েবসাইটের গঠন, ইমেজ অপ্টিমাইজেশন এবং দ্রুত লোডিং নিশ্চিত করা যায় তা শেখা প্রয়োজন।

১০. একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন:

ওয়ে’ব ডিজাইন শিখার পর, নিজের কাজগুলো একটি পোর্টফোলিও সাইটে প্রদর্শন করুন। এটি আপনাকে পেশাগতভাবে পরিচিত করতে সাহায্য করবে এবং আপনার দক্ষতা দেখাতে পারবে।

ওয়েব টেস্টিং অভ্যাস তৈরি

ওয়ে’ব ডিজাইনারদের অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয়। একটি ওয়েবসাইট তৈরির পর সেটি ঠিকঠাক কাজ করছে কি না দেখতে হবে।

যেমন ধরুন: ওয়েব পেজটি দ্রুত লোড হচ্ছে কি না, ডিজাইনটি ডেক্সটপের সাথে সাথে মোবাইল বা অন্যান্য ডিভাইসের ফ্রেন্ডলি হল না কি। ডিজাইনের রিসপনসিভনেস কেমন ইত্যাদি।

প্রতিটি ব্রাউজারে জাভাস্ক্রিপ্ট চলছে বা ফংশন হচ্ছে কি না। এগুলো একজন ওয়েব ডিজাইনারকে প্রতিনিয়ত টেস্ট করতে হবে।

যেমন: Gtmetrix, PageSpeed Insights, Pingdom Website Speed Test

Sitepoint or Uxmastery এই দুটি ওয়েব ডিজাইন কমিউনিটি অনেক ভালো, আপনি চাইলে জয়েন হতে পারেন।

seo 1ss
SEO

ওয়েব ডিজাইন শিখতে কতদিন লাগে

শিখতে কতদিন লাগবে তা নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের ওপর, যেমন আপনার শেখার গতি, পূর্বের দক্ষতা, এবং কোন লেভেলের ওয়েব ডিজাইনার হতে চান। সাধারণত, মৌলিক থেকে মধ্যম স্তরের ওয়েব ডিজাইন শিখতে সময় লাগে প্রায় ৩ থেকে ৬ মাস। তবে একজন দক্ষ পেশাদার হিসেবে কাজ করতে আরও বেশি সময় প্রয়োজন হতে পারে। নিচে বিভিন্ন ধাপে ওয়েব ডিজাইন শেখার সময় সম্পর্কে ধারণা দেয়া হলো:

১. প্রাথমিক স্তর (১-২ মাস):

ওয়েব ডিজাইনের প্রাথমিক ধারণা এবং মূল ভাষাগুলো (HTML, CSS) শেখা এই সময়ে সম্ভব। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত সময় দেন, তাহলে এক থেকে দুই মাসের মধ্যে ওয়েবসাইটের মৌলিক স্ট্রাকচার এবং ডিজাইন করতে পারবেন। এই স্তরে আপনি নিচের বিষয়গুলো শিখতে পারবেন:

  • HTML এর মৌলিক ট্যাগগুলো।
  • CSS দিয়ে ওয়েবসাইটের রঙ, ফন্ট, এবং লেআউট পরিবর্তন করা।
  • কিছু সহজ ওয়েবসাইট বা ল্যান্ডিং পেজ ডিজাইন করা।

২. মধ্যম স্তর (৩-৪ মাস):

এই স্তরে, আপনি ওয়েবসাইটকে আরো ইন্টারঅ্যাকটিভ এবং ব্যবহারযোগ্য করার জন্য নতুন স্কিল যোগ করবেন। এই সময়ে নিচের বিষয়গুলো শেখা যাবে:

  • জাভাস্ক্রিপ্টের বেসিক ব্যবহার, যাতে ওয়েবসাইটে ডায়নামিক কন্টেন্ট ও ইন্টারঅ্যাকটিভ ফিচার যোগ করা যায়।
  • রেস্পন্সিভ ডিজাইন শেখা, যাতে ওয়েবসাইটটি মোবাইল এবং ট্যাবলেটে ভালোভাবে কাজ করে।
  • UI/UX ডিজাইন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নেওয়া।
  • সহজ প্রজেক্ট তৈরি করা, যেমন ব্লগ সাইট বা পোর্টফোলিও সাইট ডিজাইন করা।

৩. উন্নত স্তর (৫-৬ মাস এবং এর বেশি):

উন্নত স্তরে, আপনি আরো জটিল এবং পেশাদার ওয়েব ডিজাইন করতে শিখবেন। এই সময়ে শেখার বিষয়গুলো হলো:

  • জটিল জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে আরও ডায়নামিক ফিচার যোগ করা।
  • UI/UX ডিজাইনের উন্নত কৌশল শেখা।
  • ওয়েব ডিজাইনের জন্য জনপ্রিয় টুলস যেমন Adobe XD, Figma বা Sketch ব্যবহার করা।
  • SEO ফ্রেন্ডলি ওয়েব ডিজাইন শেখা।
  • বিভিন্ন বড় প্রজেক্টে কাজ করা, যেমন ই-কমার্স সাইট বা বড় ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট ডিজাইন করা।

৪. চর্চা ও অভিজ্ঞতা অর্জন (৬ মাস থেকে ১ বছর এবং এর বেশি):

ওয়েব ডিজাইন একটি ক্রমাগত শেখার প্রক্রিয়া। প্রযুক্তি এবং ডিজাইন ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তিত হয়, তাই আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন পেশাগতভাবে করতে চান, তবে নিয়মিত চর্চা এবং নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার দক্ষতা আরও বাড়বে এবং আপনি বিভিন্ন জটিল প্রজেক্টে কাজ করতে সক্ষম হবেন।

সারসংক্ষেপ:

  • মৌলিক ওয়েব ডিজাইন শিখতে ১-২ মাস।
  • মধ্যম স্তরের দক্ষতা অর্জন করতে ৩-৪ মাস।
  • উন্নত স্তরের ও পেশাদার দক্ষতা অর্জন করতে ৬ মাস থেকে ১ বছর অথবা এর বেশি সময় প্রয়োজন।

প্রতিদিন নিয়মিত সময় দেওয়া এবং পর্যাপ্ত প্র্যাকটিস করলেই আপনি দ্রুত ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারবেন।

নিচে কিছু ওয়েবসাইটের নাম দিলাম, যেখান থেকে প্রতিদিন ডিজাইন দেখতে পারেন।

Awwwards: এটা অনেকের কাছে একটি প্রিয় সাইট; এখানে আপনি বিভিন্ন ওয়েব ডিজাইন ট্রেন্ডস ছবি সহ দেখতে পাবেন।

Dribbble: এটা একটি সোস্যাল সাইট, যেখানে বিভিন্ন রকম ডিজাইন আপলোড করে থাকে। এখানে আপনি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ডিজাইনের ছবি দেখতে পারেন, পরবর্তী ডিজাইনে ইপ্লিমেন্ট করার জন্য।

Behance: বিভিন্ন ডিজাইনের সাথে সাথে ওয়েব ডিজাইনের বিভিন্ন ট্রেন্ডস ও নতুন নতুন ডিজাইন এখানে পাবেন।

আরও পড়ুন:

লেবু পানির উপকারিতা

Causes of Smoking And Effects

চিরতা পাতার উপকারিতা

ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট

ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট দুটি ভিন্ন কিন্তু সমন্বিত প্রক্রিয়া যা একসঙ্গে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে সাহায্য করে। ওয়েব ডিজাইন মূলত ওয়েবসাইটের চেহারা, লেআউট, এবং ব্যবহারযোগ্যতার ওপর ফোকাস করে, যেখানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ওয়েবসাইটটির কার্যকারিতা এবং প্রযুক্তিগত কাঠামো নিয়ে কাজ করে।

১. ওয়েব ডিজাইন (Web Design):

ওয়েব ডিজাইন বলতে বোঝানো হয় একটি ওয়েবসাইটকে ভিজ্যুয়ালি সুন্দর ও ব্যবহারকারীদের জন্য সহজবোধ্য করে তৈরি করা। এটি মূলত ইউজার ইন্টারফেস (UI) এবং ইউজার এক্সপিরিয়েন্স (UX) ডিজাইনের ওপর গুরুত্ব দেয়। ওয়েব ডিজাইনের প্রধান কাজগুলো হলো:

  • লেআউট ডিজাইন: ওয়েব পেজের বিভিন্ন অংশ যেমন হেডার, ফুটার, মেনু, এবং কন্টেন্টের অবস্থান নির্ধারণ।
  • রঙ এবং ফন্ট নির্বাচন: ওয়েবসাইটের জন্য উপযুক্ত রঙ এবং ফন্ট নির্ধারণ করা যা ভিজ্যুয়াল আপিল বাড়ায়।
  • ইমেজ এবং মিডিয়া ব্যবহার: সুন্দর এবং মানানসই ইমেজ, ভিডিও ও আইকন ব্যবহার করে সাইটটিকে আকর্ষণীয় করা।
  • রেস্পন্সিভ ডিজাইন: ওয়েবসাইটকে মোবাইল, ট্যাবলেট এবং ডেস্কটপে সমানভাবে ব্যবহারযোগ্য করে তৈরি করা।

২. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web Development):

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো ওয়েবসাইটের পিছনের প্রযুক্তি এবং কোডিং প্রক্রিয়া, যা ওয়েবসাইটের কার্যকারিতা নিশ্চিত করে। এটি দুটি অংশে বিভক্ত:

  • ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপমেন্ট (Frontend Development): ওয়েবসাইটের যেসব অংশ ব্যবহারকারীরা সরাসরি দেখে এবং ব্যবহার করে, যেমন বাটন, ফর্ম, মেনু ইত্যাদি, তা ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপমেন্টের অংশ। HTML, CSS, এবং জাভাস্ক্রিপ্ট হলো ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপমেন্টের প্রধান ভাষা।
  • ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্ট (Backend Development): ওয়েবসাইটের পিছনে যে ডেটাবেস ও সার্ভার কাজ করে তা ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্টের অংশ। এটি সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং, ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট, এবং ডেটা প্রক্রিয়াজাতকরণে সহায়তা করে। এর জন্য ব্যবহৃত প্রধান ভাষাগুলো হলো PHP, Python, Node.js ইত্যাদি।

৩. ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টের পার্থক্য:

  • ওয়েব ডিজাইন মূলত সৃজনশীল এবং ভিজ্যুয়াল কাজের ওপর নির্ভর করে, যেখানে ওয়েব পেজের নান্দনিকতা এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করা হয়।
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো ওয়েবসাইটের প্রোগ্রামিং এবং কারিগরি দিক যা সাইটটির কার্যক্ষমতা নিশ্চিত করে এবং ব্যবহারকারীর কাজগুলো সম্পন্ন করতে সহায়তা করে।

৪. উভয়ের সমন্বয়:

ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। একটি আকর্ষণীয় ও কার্যকরী ওয়েবসাইট তৈরি করতে ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টের সমন্বয় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিজাইনাররা যখন একটি সুন্দর ইন্টারফেস তৈরি করেন, ডেভেলপাররা সেটাকে কার্যকরী করে তুলেন।

৫. পুরো প্রক্রিয়ায় একটি ওয়েবসাইটের ধাপগুলো:

  • প্রথমে ডিজাইন: ডিজাইনাররা সাইটের ভিজ্যুয়াল আউটলাইন, প্রোটোটাইপ এবং লেআউট তৈরি করেন।
  • পরবর্তীতে ডেভেলপমেন্ট: ডেভেলপাররা ডিজাইনকে কোডে রূপান্তরিত করেন এবং ওয়েবসাইটের কার্যকারিতা নিশ্চিত করেন।

web development courses :

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web development)

এটা হলো ওয়েবসাইট তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রক্রিয়া, যা মূলত ওয়েব পেজের কার্যকারিতা, নকশা, এবং ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন টেকনোলজি ব্যবহার করে। এর মধ্যে ফ্রন্টএন্ড (যা ব্যবহারকারী দেখেন) এবং ব্যাকএন্ড (যা সার্ভার ও ডেটাবেস পরিচালনা করে) কাজ অন্তর্ভুক্ত।

এর কাজ শুধু একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা নয়, বরং সেটির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এবং ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করার দায়িত্বও এর অন্তর্ভুক্ত।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ভবিষ্যৎ (web development future)

এর ভবিষ্যৎ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি ও টুলসের মাধ্যমে এটি আরও আধুনিক ও কার্যকরী হচ্ছে। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সাথে ওয়েব ডেভেলপমেন্টে বড় পরিবর্তন এবং নতুন ট্রেন্ড আসছে, যা ভবিষ্যতে আরও গুরুত্বপূর্ণ হবে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সাথে এটি আরও আধুনিক হচ্ছে। প্রধান ট্রেন্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  1. AI ও মেশিন লার্নিং – স্মার্ট ও স্বয়ংক্রিয় ওয়েবসাইট।
  2. প্রগ্রেসিভ ওয়েব অ্যাপস (PWA) – মোবাইল অ্যাপের মতো ওয়েবসাইট।
  3. রেস্পন্সিভ ডিজাইন – সব ডিভাইসে সহজে ব্যবহৃত ওয়েবসাইট।
  4. জ্যামস্ট্যাক আর্কিটেকচার – দ্রুত ও নিরাপদ ওয়েবসাইট।
  5. নো-কোড প্ল্যাটফর্ম – প্রোগ্রামিং ছাড়াই ওয়েবসাইট তৈরি।
  6. ব্লকচেইন – নিরাপত্তা ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট উন্নত করা।
  7. ভয়েস ইন্টারফেস (VUI) – কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ।

এই ট্রেন্ডগুলো ওয়েব ডেভেলপমেন্টকে আরও কার্যকরী ও ব্যবহারকারী-বান্ধব করে তুলছে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ কি

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ হলো একটি ওয়েবসাইটের কার্যকারিতা এবং প্রযুক্তিগত কাঠামো তৈরি করা। এর মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট শুধু ভিজ্যুয়াল নয়, কার্যকরীও হয়। মূলত, ওয়েব ডেভেলপমেন্টকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:

১. ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপমেন্ট:

এটি ওয়েবসাইটের সেই অংশ যা ব্যবহারকারীরা সরাসরি দেখে এবং ব্যবহার করে। এর মধ্যে HTML, CSS, এবং জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে ওয়েব পেজের নকশা এবং ব্যবহারযোগ্যতা তৈরি করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, বাটন, ফর্ম, মেনু ইত্যাদি ফ্রন্টএন্ডের অংশ।

২. ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্ট:

ব্যাকএন্ড হলো ওয়েবসাইটের সেই অংশ যা ব্যবহারকারীরা দেখতে পান না। এটি সার্ভার, ডেটাবেস এবং সার্ভার-সাইড স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করে। এই অংশে ডেটা প্রসেসিং, ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট এবং ওয়েবসাইটের সার্ভার সংক্রান্ত কাজ করা হয়।

৩. ফুলস্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট:

ফুলস্ট্যাক ডেভেলপাররা ফ্রন্টএন্ড এবং ব্যাকএন্ড উভয় ক্ষেত্রেই দক্ষ হন। তারা সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট তৈরি করতে সক্ষম এবং প্রজেক্টের প্রতিটি ধাপে অংশ নিতে পারেন।

ওয়েব ডেভেলপারদের বেতন

১. জুনিয়র ওয়েব ডেভেলপার:

নতুন ডেভেলপারদের (0-2 বছর অভিজ্ঞতা) বেতন সাধারণত প্রতি মাসে ২০,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে অন্যান্য দেশে মাসে $40,000 থেকে $60,000 বেতন পান। তাদের কাজের দায়িত্ব সাধারণত ফ্রন্টএন্ড বা ব্যাকএন্ডের কিছু অংশে সীমাবদ্ধ থাকে।

২. মিডিয়র ওয়েব ডেভেলপার:

মাঝারি অভিজ্ঞতা (৩-৫ বছর) থাকা ডেভেলপারদের জন্য বেতন সাধারণত প্রতি মাসে ৪০,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত। তবে বিভিন্ন দেশে মাসে $60,000 থেকে $90,000 বেতন পান। তারা সাধারণত প্রজেক্টের নেতৃত্ব দেন এবং নতুন টেকনোলজির সাথে কাজ করেন।

৩. সিনিয়র ওয়েব ডেভেলপার:

৫ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা থাকা ডেভেলপাররা মাসে ৭০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ টাকা বা তার বেশি উপার্জন করতে পারেন। তারা সাধারণত টিমের নেতৃত্ব দেন এবং জটিল প্রজেক্টে কাজ করেন। উন্নত দেশ গুলোতে মাসে $90,000 থেকে $130,000 বা তার বেশি বেতন পান। তারা জটিল প্রজেক্ট পরিচালনা করেন এবং টিমের নেতৃত্ব দেন।

৪. ফুলস্ট্যাক ডেভেলপার:

ফুলস্ট্যাক ডেভেলপারদের বেতন প্রায়শই প্রতি মাসে ৫০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা। অন্য দেশে সাধারণত $70,000 থেকে $120,000 মাসে।

৫. বিশেষায়িত ডেভেলপার:

বিশেষ প্রযুক্তিতে (যেমন, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইন) দক্ষ ডেভেলপাররা আরো বেশি বেতন পেতে পারেন, যা ৮০,০০০ টাকার উপরে চলে যেতে পারে।

ওয়েব ডেভেলপার হতে কতদিন লাগে

হতে সময়কাল ব্যক্তির প্রাথমিক দক্ষতা, অধ্যবসায় এবং শেখার পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে। সাধারণত, নিচের ধাপগুলোতে সময়কাল ভাগ করা যায়:

১. বেসিক শিক্ষা (৩-৬ মাস):

HTML, CSS, এবং JavaScript-এর মতো বেসিক টেকনোলজি শেখার জন্য প্রায় ৩ থেকে ৬ মাস সময় লাগতে পারে। এই সময়ে আপনি একটি মৌলিক ওয়েব পেজ তৈরি করতে সক্ষম হবেন।

২. মাঝারি স্তরের শিক্ষা (৬-১২ মাস):

ফ্রন্টএন্ড বা ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্টের আরো গভীর জ্ঞান অর্জন করতে ৬ থেকে ১২ মাস সময় লাগতে পারে। এতে ফ্রেমওয়ার্ক (যেমন, React, Angular, Node.js) এবং ডেটাবেসের সাথে পরিচয় করানো হয়।

৩. প্র্যাকটিস ও প্রকল্প (৬-১২ মাস):

প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে প্রায় ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় লাগতে পারে। এখানে আপনি বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করবেন এবং আপনার দক্ষতা বাড়াবেন।

৪. বিশেষায়িত শিক্ষা (অতিরিক্ত ৬-১২ মাস):

আপনি যদি বিশেষায়িত (যেমন, ফুলস্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট) হতে চান, তবে অতিরিক্ত ৬ থেকে ১২ মাস সময় লাগতে পারে।

মোট সময়কাল:

সাধারণত, একজন ওয়েব ডেভেলপার হতে প্রায় ১.৫ থেকে ৩ বছর সময় লাগতে পারে। তবে এটি ব্যক্তির আগ্রহ, শেখার গতি এবং অনুশীলনের ওপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে। আপনি যেমন সময় দিবেন তত তাড়াতাড়ি শেষ করতে পারবেন।

যদি আপনি এই পরামর্শগুলি অনুসরণ করেন, একদিন আপনি নিজেকে বিশ্বমানের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

আল্লাহ হাফেজ!

One Comment to “ওয়েব ডিজাইন – ও ডেভেলপমেন্ট গাইডলাইন”

  1. Onekei suru kore kintu ses korte pare na

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *