1 second school

বাচ্চাদের টিকা – কয়টি ও কি কি এবং তালিকা

বাচ্চাদের টিকা : 1ss

শেয়ার করুন

Table of Contents

Toggle

বাচ্চাদের টিকা

বাচ্চাদের টিকা: শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় টিকা দেওয়া আমাদের অত্যন্ত জরুরি। জন্মের পর থেকে শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে।সেজন্য, বিভিন্ন সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা পেতে টিকা অপরিহার্য। টিকা শিশুদের শরীরে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে এবং বিভিন্ন মারাত্মক রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়। তাহলে চলুন দেখে নিই আজকের পোষ্ট এ টিকা সম্পর্কে বিস্তারিত।

টিকা কি এবং কিভাবে কাজ করে ?

টিকা হল এমন একটি পদার্থ যা শরীরে অ্যান্টিজেন বা জীবাণুর আংশিক বা সম্পূর্ণ উপস্থিতি সৃষ্টি করে, যার ফলে শরীর রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে শেখে। এভাবে, ভবিষ্যতে ওই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে শরীর দ্রুততার সাথে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। সেজন্য টিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ।

শিশুর টিকার তালিকা

বাচ্চাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিকা গুলোর তালিকা দেওয়া হলো:

বিসিজি টিকা (BCG) :

বিসিজি টিকা শিশুর শরীরকে টিউবারকুলোসিস (যক্ষ্মা) রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখে। জন্মের পর থেকেই এটি প্রদান করা হয়।

পোলিও টিকা (Polio vaccine) :

পোলিও রোগ একটি ভয়ানক ভাইরাসজনিত রোগ যা শিশুর শরীরে পক্ষাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। পোলিও টিকা এই রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। জন্মের পর এবং বিভিন্ন বয়সে এ টিকা দেওয়া হয়।

হেপাটাইটিস বি (Hepatitis B) টিকা:

হেপাটাইটিস বি একটি লিভারের রোগ যা খুবই মারাত্মক হতে পারে। এই টিকা শিশুকে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয়।

 পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা (DTwP-HepB-Hib vaccine):

এই টিকাটি ডিপথেরিয়া, পার্টুসিস (হুপিং কাশি), টিটেনাস, হেপাটাইটিস বি, এবং হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর।

 রুবেলা, হাম এবং মাম্পস (MR) টিকা:

এই টিকা শিশুকে হাম, মাম্পস, এবং রুবেলা থেকে রক্ষা করে, যা শিশুদের শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল করে দিতে পারে।

শিশুর টিকার তালিকা
শিশুর টিকার তালিকা

ছোট বাচ্চাদের টিকা দেওয়ার নিয়ম

প্রতিটি টিকার জন্য নির্দিষ্ট বয়স এবং সময় রয়েছে, যা পেডিয়াট্রিশিয়ান বা স্বাস্থ্যকর্মীদের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুদের দিতে হবে।

টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

যদিও টিকা শিশুদের সুস্থ রাখে, কিছু ক্ষেত্রে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন:

তবে, এসব লক্ষণ খুবই স্বাভাবিক এবং কয়েক দিনের মধ্যে সেরে যায়।

টিকা নেওয়ার পর কী করবেন?

টিকা নেওয়ার পর শিশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে হবে এবং যদি জ্বর বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দেয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বাচ্চাদের সরকারি টিকার তালিকা

বাংলাদেশে বাচ্চাদের জন্য সরকার কর্তৃক প্রদত্ত টিকাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবদান রাখতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন মারাত্মক সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করে। সরকার শিশুদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা প্রত্যেক শিশুর জন্য নিশ্চিত করতে হয়। নিচে সরকারি টিকা (বাচ্চাদের টিকা) একটি তালিকা দেওয়া হলো:

বিসিজি (BCG) টিকা

রোগ প্রতিরোধ: যক্ষ্মা (টিউবারকুলোসিস)
প্রয়োগের সময়: জন্মের পরই
কেন গুরুত্বপূর্ণ: যক্ষ্মা একটি প্রাণঘাতী ব্যাধি, যা ফুসফুস এবং অন্যান্য অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। বিসিজি টিকা শিশুদের এই মারাত্মক রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।

হেপাটাইটিস বি টিকা

রোগ প্রতিরোধ: হেপাটাইটিস বি
প্রয়োগের সময়: জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে
কেন গুরুত্বপূর্ণ: হেপাটাইটিস বি একটি ভাইরাসজনিত লিভারের সংক্রমণ, যা দীর্ঘমেয়াদে লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সার তৈরি করতে পারে। এই টিকা শিশুকে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

পোলিও টিকা (ওরাল পোলিও ভ্যাকসিন – OPV)

রোগ প্রতিরোধ: পোলিওমাইলাইটিস (পোলিও)
প্রয়োগের সময়: জন্মের পর এবং পরবর্তী ধাপে (৬, ১০, ১৪ সপ্তাহে)
কেন গুরুত্বপূর্ণ: পোলিও একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা পক্ষাঘাত বা পঙ্গুত্ব সৃষ্টি করতে পারে। এই টিকা পোলিও ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর।

পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা

রোগ প্রতিরোধ: ডিপথেরিয়া, পার্টুসিস (হুপিং কাশি), টিটেনাস, হেপাটাইটিস বি, এবং হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি
প্রয়োগের সময়: ৬, ১০, ১৪ সপ্তাহে
কেন গুরুত্বপূর্ণ: এই একক টিকা পাঁচটি মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, যা শিশুদের শরীরকে সুরক্ষিত রাখে।

 পিসিভি (PCV) টিকা

রোগ প্রতিরোধ: নিউমোনিয়া এবং মেনিনজাইটিস
প্রয়োগের সময়: ৬, ১০, ১৪ সপ্তাহে
কেন গুরুত্বপূর্ণ: নিউমোনিয়া এবং মেনিনজাইটিস শিশুদের মধ্যে প্রচলিত এবং ভয়াবহ রোগ, যা সঠিক সময়ে প্রতিরোধ করা না গেলে শিশুর মৃত্যুও ঘটতে পারে।

ইনঅ্যাক্টিভেটেড পোলিও ভ্যাকসিন (IPV)

রোগ প্রতিরোধ: পোলিও
প্রয়োগের সময়: ১৪ সপ্তাহ
কেন গুরুত্বপূর্ণ: পোলিও ভাইরাস থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে IPV দেওয়া হয়। এটি শিশুর ইমিউন সিস্টেমকে আরো শক্তিশালী করে।

 এমআর টিকা (MR)

রোগ প্রতিরোধ: হাম এবং রুবেলা
প্রয়োগের সময়: ৯ মাস এবং ১৫ মাস
কেন গুরুত্বপূর্ণ: হাম ও রুবেলা শিশুদের মারাত্মক রোগ, যা মস্তিষ্ক, শ্বাসতন্ত্র এবং ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এমআর টিকা এই রোগগুলোর প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর।

রোটা ভাইরাস টিকা

রোগ প্রতিরোধ: ডায়রিয়া (রোটা ভাইরাস সংক্রমণ)
প্রয়োগের সময়: ৬ এবং ১০ সপ্তাহে
কেন গুরুত্বপূর্ণ: রোটা ভাইরাস ডায়রিয়া শিশুদের মধ্যে মারাত্মক ডায়রিয়ার কারণ, যা তরল শুন্যতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এই টিকা শিশুদের ডায়রিয়া থেকে রক্ষা করে।

 জাপানিজ এনসেফালাইটিস (JE) টিকা

রোগ প্রতিরোধ: জাপানিজ এনসেফালাইটিস
প্রয়োগের সময়: নির্দিষ্ট অঞ্চলে প্রদত্ত, ১২ মাস বয়সে
কেন গুরুত্বপূর্ণ: জাপানিজ এনসেফালাইটিস একটি মস্তিষ্কের সংক্রমণ, যা মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এটি শিশুর মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে গুরুতর সমস্যা তৈরি করে।

 বুস্টার ডোজ:

বাচ্চাদের আরও সুরক্ষিত রাখতে নির্দিষ্ট বয়সে (১৮ মাস এবং ৫ বছর) পেন্টাভ্যালেন্ট, পোলিও এবং এমআর টিকার বুস্টার ডোজ প্রদান করা হয়, যা প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করে।

পোলিও টিকা

টি টি টিকা (Tetanus vaccine)

টি টি টিকা (টিটেনাস টক্সয়েড) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধক যা টিটেনাস রোগের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। টিটেনাস রোগটি ক্লস্ট্রিডিয়াম টিটানি নামক একটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে ঘটে, যা সাধারণত মাটিতে, ধূলা এবং পশুর মলমূত্রে পাওয়া যায়। যখন কোনো কাটা, ক্ষত বা ছিদ্রের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করে, তখন তা নার্ভ সিস্টেমকে আক্রমণ করে এবং পেশিতে কঠোরতা ও খিঁচুনি সৃষ্টি করতে পারে। এটি জীবনের জন্য মারাত্মক হতে পারে, তবে টি টি টিকা এই রোগের প্রতিরোধে কার্যকর।

টিটি টিকা কখন দিতে হয় (tt tika)

শিশুদের জন্য:

শিশুরা সাধারণত পেন্টাভ্যালেন্ট টিকার মাধ্যমে টিটেনাসের টিকা পায়, যা একাধিক রোগ প্রতিরোধ করে। সময়সূচি হলো:

এই তিনটি ডোজ শিশুদের ডিপথেরিয়া, পার্টুসিস, টিটেনাস এবং হেপাটাইটিস বি-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য:

গর্ভাবস্থায় টি টি টিকা গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মা এবং গর্ভের শিশুকে টিটেনাসের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দেয়। সময়সূচি হলো:

কাটা বা আঘাতপ্রাপ্তদের জন্য:

কোনো ব্যক্তি গুরুতর কাটা বা আঘাত পেলে এবং যদি আগের টি টি টিকা নেওয়ার পাঁচ বছর বা তার বেশি সময় পার হয়ে যায়, তাহলে টিটেনাস থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য একটি বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়।

বুস্টার ডোজ:

প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে এবং টিটেনাসের দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতি দশ বছর পর পর একটি বুস্টার ডোজ দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে, যারা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করে বা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাদের নিয়মিত বুস্টার ডোজ নেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন:

E Cap Capsule – কিভাবে কাজ করে ও উপকারিতা

ধুমপানের প্রভাবে কি হয় দেখুন

চিরতা পাতার উপকারিতা

টিটি টিকা কেন দেওয়া হয়

টি টি টিকা দেওয়ার কারণসমূহ নিচের দেওয়া হলো:

টিটি টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

টি টি টিকা সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু ক্ষেত্রে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতেও পারে। যেমন:

এসব লক্ষণ খুব স্বাভাবিক এবং সাধারণত এক বা দুই দিনের মধ্যে সেরে যায়, চিন্তার কোন কারন নেই।

পোলিও টিকা – Polio vaccine

এটি একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা পোলিওমাইলাইটিস ভাইরাসের কারণে হয়। এই ভাইরাস সাধারণত শিশুদের আক্রমণ করে এবং পেশী দুর্বলতা বা পক্ষাঘাতের কারণ হতে পারে। বিশ্বজুড়ে পোলিও নির্মূলের জন্য পোলিও টিকা একটি অত্যন্ত কার্যকর উপায় হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পোলিও টিকা খাওয়ানোর নির্দিষ্ট সময়সূচি রয়েছে যা শিশুর জন্মের পর থেকেই শুরু হয়। (বাচ্চাদের টিকা)

পোলিও টিকা খাওয়ানোর বয়স

১. জন্মের পর (০-১ মাসের মধ্যে):

২. ৬ সপ্তাহ বয়সে:

৩. ১০ সপ্তাহ বয়সে:

৪. ১৪ সপ্তাহ বয়সে:

৫. ৯ মাস বয়সে:

৬. ১.৫-২ বছর বয়সে:

ছোট বাচ্চাদের টিকা দেওয়ার নিয়ম

হামের টিকা Measles vaccine

হাম একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাসজনিত রোগ, যা সাধারণত শিশুদের আক্রমণ করে। এই রোগের উপসর্গগুলো বেশ মারাত্মক হতে পারে, যেমন জ্বর, চোখে লালভাব, সর্দি, কাশি, এবং লালচে দানাদার র‌্যাশ বা ফুসকুড়ি। হামের বিরুদ্ধে টিকা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই রোগ থেকে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে, যেমন নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, মস্তিষ্কে প্রদাহ (এনসেফালাইটিস) ইত্যাদি।

হামের টিকার নাম কি

এ টিকা সাধারণত এমএমআর (MMR) টিকা নামে পরিচিত, যা মাম্পস (Mumps), রুবেলা (Rubella) এবং হাম (Measles)—এই তিনটি রোগ থেকে রক্ষা করে।

হামের টিকা কখন দিতে হয়

১. প্রথম ডোজ:

২. দ্বিতীয় ডোজ:

হামের লক্ষণ

হামের প্রধান লক্ষণসমূহ হলো:

  • উচ্চ জ্বর:
    • ১০৪°F (৪০°C) পর্যন্ত তাপমাত্রা, সাধারণত ৪-৭ দিন স্থায়ী হয়।
  • সর্দি ও কাশি:
    • শুষ্ক কাশি ও নাক দিয়ে পানি পড়া, যা শিশুদের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
  • চোখ লাল হওয়া:
    • কনজাংটিভাইটিসের ফলে চোখ লাল ও জলযুক্ত হয়, আলোতে সমস্যা হয়।
  • কপলিক স্পট:
    • মুখের ভেতরে ছোট সাদা দাগ দেখা যায়, যা জ্বর শুরু হওয়ার ২-৩ দিনের মধ্যে হয়।
  • শরীরে র‍্যাশ:
    • মুখ থেকে শুরু হয়ে সারা শরীরে লালচে র‍্যাশ ছড়িয়ে পড়ে, সাধারণত ৭ দিন পর্যন্ত থাকে।
  • ক্ষুধামন্দা ও ক্লান্তি:
    • শিশুরা সাধারণত দুর্বল হয়ে পড়ে এবং খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যায়।
  • অস্বাভাবিক আচরণ:
    • শিশুরা বিরক্তি ও অসুখবোধ করে, এবং ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • যথাযথ চিকিৎসার অভাব:
    • সময়মতো চিকিৎসা না হলে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, এবং মস্তিষ্কের প্রদাহ (এনসেফালাইটিস) হতে পারে।

হাম হলে কি চুলকায়

হামে সাধারণত শরীরের বিভিন্ন অংশে র‍্যাশ দেখা দেয়, যা সাধারণত লালচে এবং বumpy হয়। তবে, হাম রোগের কারণে চুলকানির অনুভূতি হতে পারে, বিশেষ করে যখন র‍্যাশ উপস্থিত হয়। বাচ্চাদের টিকা

হাম হলে চুলকানির কারণ:

  1. র‍্যাশ: হাম আক্রান্ত হলে সারা শরীরে লালচে র‍্যাশ দেখা দেয়। এই র‍্যাশের কারণে চুলকানি অনুভূত হতে পারে, যা সাধারণত অস্বস্তির সৃষ্টি করে।
  2. আলার্মের প্রতিক্রিয়া: শরীর যখন ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তখন ইমিউন সিস্টেমের প্রতিক্রিয়ায় ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, যা চুলকানির কারণ হতে পারে।
  3. শুষ্ক ত্বক: হাম সংক্রমণের সময় শিশুদের ত্বক শুষ্ক হতে পারে, যা চুলকানি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

চুলকানি কমানোর উপায়:

  • নম ত্বক: শিশুর ত্বককে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করে মসৃণ রাখা উচিত।
  • বিশ্রাম: শিশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে হবে, কারণ এটি তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
  • চুলকানি প্রতিরোধক: যদি চুলকানি খুব বেশি হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী antihistamines ব্যবহার করা যেতে পারে।
হামের ঘরোয়া চিকিৎসা: 1ss

হামের ঘরোয়া চিকিৎসা

  • বেশি তরল পান করা: পানি, ফলের রস, এবং স্যুপ খাওয়ান।
  • গরম সেক: শরীরের অস্বস্তি ও জ্বর কমাতে গরম সেক বা উষ্ণ স্নান করুন।
  • মধু: কাশি ও গলা ব্যথা কমাতে এক চামচ মধু দিন।
  • আদা ও তেজপাতা: সিদ্ধ করে পানীয়টি খাওয়ান।
  • হলুদ দুধ: গরম দুধে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করুন।
  • শান্ত পরিবেশ: শিশুকে আরামদায়ক পরিবেশে রাখুন।
  • পুষ্টিকর খাবার: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন কমলা ও স্ট্রবেরি দিন।

সতর্কতা: লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

হাম রোগের ওষুধ

কিছু গুরুত্বপূর্ণ মেডিসিন গুলো হলো:

  1. প্যারাসিটামল: জ্বর এবং ব্যথা কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
  2. ইবুপ্রোফেন: জ্বর এবং ব্যথা উপশমের জন্য একটি বিকল্প।
  3. শ্বাসকষ্টের জন্য ওষুধ: যেমন, ব্রঙ্কোডাইলোটরস (যদি প্রয়োজন হয়)।
  4. অ্যান্টিবায়োটিক: হাম থেকে সৃষ্ট জটিলতার ক্ষেত্রে, যেমন নিউমোনিয়া হলে ডাক্তার দ্বারা prescriibe করা হয়।

তবে মনে রাখবেন: হাম রোগের জন্য কোন বিশেষ antivirals নেই। আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।

আরও পড়ুন:

উপসংহার:

টিকা (বাচ্চাদের টিকা) শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। নিয়মিত টিকা দেওয়ার মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব। প্রতিটি অভিভাবকের উচিত শিশুদের সঠিক সময়ে টিকা প্রদান করা এবং তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখা।

আশা করি টিকা সম্পর্কে সমাধান পেয়েছেন। তবে, যদি টিকা সম্পর্কে আরও প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট করুন। আমি সঠিক উত্তর দিবো ইনশাল্লাহ!

 

Exit mobile version