মেনোপজ: এটি নারীদের/মেয়েদের জীবনের একটি স্বাভাবিক এবং গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা একটি নতুন যাত্রার সূচনা করে এটি আসলে তখন ঘটে যখন একজন নারীর মাসিক চক্র একেবারে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়, এবং সন্তান ধারণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এই পরিবর্তনটি শারীরিক এবং মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলে তখন। তবে সঠিক যত্ন, সচেতনতা এবং চিকিৎসার মাধ্যমে এই সময়কে সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব। আমরা এই পোষ্টে এর সমাধানসহ সবকিছু নিয়ে জানবো। তাহলে শুরু করা যাক-
Menopause হচ্ছে নারীদের জীবনে একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যখন তাদের মাসিক চক্র একেবারে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এটি সাধারণত ৪৫-৫৫ বছরের মাঝে ঘটে এবং আপনার এটি শরীরে অনেককিছু পরিবর্তন নিয়ে আসে। মেনোপজ শুরু হলে একজন মেয়ের আর সন্তান ধারণের ক্ষমতা তখন থাকে না। এজন্য ৫০+ বয়স হলে তখন সন্তান হওয়ার ক্ষমতা বন্ধ হয়ে যায়।
মেনোপজের পূর্ব লক্ষণ – menopause symptoms
এটি শুরু হওয়ার আগে মেয়েদের শরীরে কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়, যা “পেরিমেনোপজ – Perimenopause ” নামে পরিচিত। এই সময়ের মধ্যে হরমোন আপনার ওঠানামা করবে এবং এটি কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। নিচে মেনোপজের পূর্বে দেখা দেওয়া কিছু সাধারণ লক্ষণ বলা হলো:
অনিয়মিত মাসিক চক্র : তখন মাসিক চক্র অনিয়মিত হয়ে যায়। মাসিক কখনো সময়মতো আসে, আবার অনেকসময় কখনো কয়েক মাস বন্ধ থাকতে পারে।
গরম ফ্ল্যাশ: শরীরে হঠাৎ তাপ বা গরম অনুভব হওয়া এবং ঘাম হওয়া, এটি সাধারণত পেরিমেনোপজের প্রথম দিকের লক্ষণ হয়।
মেজাজের পরিবর্তন: হরমোনের তারতম্যের কারণে আপনার মেজাজ অস্থির হতে পারে। হঠাৎ মন খারাপ বা বিষণ্ণতা এমনও হতে পারে।
ঘুমের সমস্যা: অনিদ্রা বা ঘুমের মাঝে হঠাৎ জাগ্রত হওয়া। গরম ফ্ল্যাশের কারণে রাতের বেলা ঘুমাতে অসুবিধা হবে।
ত্বক ও চুলের পরিবর্তন: ত্বক শুষ্ক হতে পারে এবং চুল অনেকটা পাতলা হয়ে যেতে পারে।
যোনির শুষ্কতা: ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার ফলে যোনিতে শুষ্কতা অনুভব ও যৌনতার সময় অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি: এসময় বিশেষ করে পেটের দিকে ওজন বেড়ে যাবে।
শক্তি ও মানসিক স্বচ্ছতা কমে যাওয়া: শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বলতা ফিল করা এবং মনোযোগ ধরে রাখতে আপনার সমস্যা হতে পারে।
মেনোপজের কারণ
মেনা*পজ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যা নারীর ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণুর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ঘটে। এই প্রক্রিয়ায় ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের মাত্রা একেবারে কমে যায়, যা নারীর শরীরের বিভিন্ন প্রভাব ফেলে।
সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে এটা ঘটে থাকে। তবে একটু আগে বা পরে হতে পারে এটি একজন নারীর শারীরিক অবস্থা, জীবনধারা, এবং জিনগত বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে । কিছু ক্ষেত্রে, নারীরা ৪০ বছরের আগেও মেনো*পজে পৌঁছাতে পারেন, যা “প্রি-ম্যাচিউর মেনো*পজ” – Primary ovarian insufficiency বা আগাম মেনো*পজ হিসেবেও পরিচিত।
মেনোপজের পর কি বাচ্চা হয়
মেনো*পজের পর একজন নারীর আর সন্তান ধারণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। মেনোপজ তখনই ঘটে , যখন ডিম্বাশয় তার ডিম্বাণু উৎপাদন বন্ধ করে দেয় এবং মাসিক চক্র একদম স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এই সময়ের পর নারীরা প্রাকৃতিকভাবে গর্ভধারণ করতে পারেন না, কারণ তাদের শরীরে প্রয়োজনীয় হরমোনের মাত্রা একেবারে কমে যায় এবং ডিম্বাণুর উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
মাসিক বন্ধ হওয়ার (Menopause ) লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে এটা দেখা দেয় এবং এগুলো বেশ বৈচিত্র্যময়ও হতে পারে। কিছু সাধারণ লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো:
অনিয়মিত মাসিক চক্র হয়
গরম ফ্ল্যাশ হবে
রাতের ঘাম হবে
মেজাজের পরিবর্তন দেখা যাবে
যোনির শুষ্কতা হবে
অনিদ্রা বা ঘুমের সমস্যা হয়
ওজন বৃদ্ধি ও চুল পড়া শুরু হবে
শক্তি কমে যাওয়া ও মনোযোগের ঘাটতি হওয়া
এই লক্ষণগুলো মেনোপজ শুরু হওয়ার পূর্বে (পেরিমেনোপজ) থেকেই দেখা দিতে পারে এবং মেনোপজের পরেও কিছু সময় ধরে থাকতে পারে।
menopause types – মেনোপজের প্রকারভেদ
এটি বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। নিচে কিছু প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করা হলো:
প্রাকৃতিক মেনোপজ (Natural Menopause): এটি নারীদের বয়সের সাথে স্বাভাবিকভাবে এটা ঘটে থাকে। তবে সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে মাসিক চক্র স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। অনেকের আগেও হতে পারে।
প্রি-ম্যাচিউর মেনোপজ (Premature Menopause): এটি অনেকের ৪০ বছর বয়সের আগেই ঘটে । এর কারণ হতে পারে জিনগত সমস্যা, ডিম্বাশয় অপসারণ, প্রাকৃতিক কারন, অটোইমিউন রোগ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণ।
সার্জিকাল মেনোপজ (Surgical Menopause): অনেকসময় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ডিম্বাশয় অপসারণ করা হলে মেনোপজ ঘটে বা হিস্টেরেকটমি ও ক্যান্সার চিকিৎসায় ঘটে থাকে। এ কারণে হঠাৎ করে মেনোপজের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
কেমিক্যাল মেনোপজ (Chemical Menopause): কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপির করার ফলে চিকিৎসার কারণে ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে গেলে তখন এই মেনোপজ ঘটে।
পেরিমেনোপজ (Perimenopause): সাধারণত মেনোপজের আগে যে সময়ে হরমোনের ওঠানামা শুরু হয়, সেটিকে পেরিমেনোপজ বলা হয়। এই সময়ে মাসিক অনিয়মিত হতে থাকে এবং মেনোপজের লক্ষণ দেখা দেয়।
রোগ নির্ণয়
শারীরিক পরীক্ষা: চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্যের সামগ্রিক ভাবে অবস্থা মূল্যায়ন করবেন।
রক্ত পরীক্ষা:- হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা: ফোলিকেল-স্টিমুলেটিং হরমোন (FSH) এবং ইস্ট্রোজেনের মাত্রা পরীক্ষা করা হতে পারে। যখন ডিম্বাশয় কার্যকরীভাবে কাজ করা বন্ধ করে তখন, FSH এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলিকল-উত্তেজক হরমোন (FSH) এবং ইস্ট্রোজেন (Estradiol) মাত্রা এবং থাইরয়েড-উত্তেজক হরমোন।
অন্যান্য পরীক্ষাসমূহ: যদি কোনো বিশেষ লক্ষণ থাকে, তবে চিকিৎসক অতিরিক্ত পরীক্ষার নির্দেশ দিতে পারেন, যেমন আলট্রাসাউন্ড বা প্যাপ স্মিয়ার।
লক্ষণ নিরীক্ষণ: অনেক সময় চিকিৎসক আপনাকে কিছু মাস পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দিতে পারেন, কারণ মেনোপজের লক্ষণ ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়।
মেনোপজের চিকিৎসা এবং উপশমের উপায় (menopause treatments)
মেনো*পজ একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যা প্রত্যেক মেয়ের এক পর্যায় গিয়ে ঘটে থাকে। তবে এর উপসর্গগুলো কমাতে কিছু চিকিৎসা এবং উপশমের উপায় রয়েছে।
সেগুলো হলো:
হরমোন থেরাপি (HRT): ইস্ট্রোজেন (Estrogen) বা প্রোজেস্টেরন (progesterone hormone) হরমোনের মাধ্যমে মেনোপজের উপসর্গ, যেমন গরম ফ্ল্যাশ, যোনির শুষ্কতা এবং হাড় ক্ষয় রোধ করা যায়। তবে এটি একমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শে গ্রহণ করতে হবে।
ভেষজ ও প্রাকৃতিক উপায়: কিছু ভেষজ যেমন সয়াবিন, ফ্ল্যাক্সসিড, এবং ব্ল্যাক কোহোশ মেনোপজের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
লাইফস্টাইল পরিবর্তন/জিবনধারন পরিবর্তন:
সু- স্বাস্থ্যকর খাদ্য: ক্যালসিয়াম (দুধ, দই, পনির, সালমন মাছ, সার্ডিন মাছ, ব্রকোলি, কালা শাক, আমন্ড, তিল, সয়াবিন, কমলালেবু, এবং চিয়া সিডস) এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন সবুজ শাকসবজি, এবং মাছ হাড়ের শক্তি ধরে রাখতে সহায়ক।
নিয়মিত ব্যায়াম: যোগব্যায়াম, মেডিটেশন এবং অন্যান্য শারীরিক কার্যক্রম শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত বা পরিমাণমত ঘুম এবং মানসিক শান্তি মেনোপজের সময় মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অ-হরমোনাল ওষুধ: কিছু অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ মেনোপজের গরম ফ্ল্যাশ এবং মেজাজ পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।
যোনির শুষ্কতার চিকিৎসা: যোনির শুষ্কতার জন্য বিশেষ এস্ট্রোজেন ক্রিম, ট্যাবলেট বা রিং সহায়ক হতে পারে বা ময়েশ্চারাইজার বা লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। জল পানের পরিমাণ বাড়ানো।
মেনোপজের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
নিম্নের কারন গুলো যখন দেখবেন নিজের ভিতর। তখনই একজন ডাক্তারের কাছে গিয়ে সবকিছু খুলে বলবেন:
মাসিক অনিয়মিত হলে
গরম ফ্ল্যাশ বাড়তে থাকলে
যোনির শুষ্কতা বা অস্বস্তি অনুভব হলে
উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা দেখা দিলে
শরীর দুর্বল বা ক্লান্ত অনুভব করলে
পারিবারিক ইতিহাস থাকলে
পূর্বে কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে
এর সাথে মানিয়ে নেয়ার উপায়
মেনো*পজের সময় শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিছু উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে:
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: প্রচুর সবুজ শাকসবজি, ফল, সম্পূর্ণ শস্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। বিশেষ করে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার হাড়ের শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
ব্যায়াম: প্রত্যেকদিন ব্যায়াম মেনোপজের উপসর্গগুলো কমাতে সাহায্য করতে পারে। যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন মন শান্ত রাখতে এটা সাহায্য করে।
মানসিক সমর্থন: মেনোপজের সময় মানসিক পরিবর্তনগুলি স্বাভাবিক। পরিবারের সদস্য বা বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে পারেন এবং এই থেরাপি গ্রহণ করা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ঔষধ সেবন: মেনোপজের লক্ষণ খুব তীব্র হলে, আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হরমোন থেরাপি বা অন্যান্য ঔষধ গ্রহণ করতে পারেন।
প্রাকৃতিক ভাবে চিকিৎসা
এর উপসর্গগুলো প্রাকৃতিকভাবে মোকাবেলার কিছু চিকিৎসা ও উপায় রয়েছে। তাহলে চলুন সেগুলো এবার দেখে নেই।
১. ভেষজ উপাদান:
ব্ল্যাক কোহোশ: এটি গরম ফ্ল্যাশ কমাতে সাহায্য করবে।
সয়াবিন: সয়াবিনের ফাইটোস্ট্রোজেন এটা প্রাকৃতিক হরমোনের মতো কাজ করে থাকে এবং যোনির শুষ্কতা কমাতে সহায়তা করে।
ফ্ল্যাক্সসিডস: ফ্ল্যাক্সসিডসের (যা আলসী বীজ) উচ্চ ফাইবার কন্টেন্ট এবং অঙ্গনারসের কারণে এটি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
২. জীবনধারা পরিবর্তন:
স্বাস্থ্যকর খাদ্য: ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা, যেমন দুধ, ডিম, মাছ, এবং সবজি।
নিয়মিত ব্যায়াম: যোগব্যায়াম, হালকা হাঁটা বা অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপ মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
যোগা এবং মেডিটেশন: স্ট্রেস কমাতে এবং মানসিক শান্তি বজায় রাখতে বেশ সহায়ক।
৩. পর্যাপ্ত জলপান:
যথেষ্ট পরিমাণে প্রতিদিন আপনাকে জল পান করতে হবে। এতে আপনার শরীর আর্দ্র থাকে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
৪. আরামদায়ক পরিবেশ:
পর্যাপ্ত অথ্যাৎ প্রতিদিন নূন্যতম ৬ ঘন্টা ঘুম এবং আরামদায়ক পরিবেশ আপনার মেনোপজের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।
৫. প্রাকৃতিক তেল:
নারকেল তেল অথবা অ্যালোভেরা জেল যোনির শুষ্কতা কমাতে পারে।
এর পরে জীবনের মান উন্নয়ন
মেনো*পজের পরে শরীরের নানা পরিবর্তন সত্ত্বেও সুস্থ, সুন্দর জীবনযাপন করা সম্ভব। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক সমর্থন পেলে মেনোপজের সময় এবং এর পরে নারীরা সহজেই এটাকে মানিয়ে নিতে পারেন।
মেনোপজ একটি প্রাকৃতিক জীবনের ধাপ, যা নারীদের ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে ঘটে। এটি মাসিক চক্রের স্থায়ী বন্ধের মাধ্যমে শুরু হয় এবং হরমোনের পরিবর্তন নিয়ে আসে, যার ফলে গরম ফ্ল্যাশ, রাতের ঘাম, যোনির শুষ্কতা, এবং মেজাজ পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। মেনোপজের চিকিৎসায় হরমোন থেরাপি, প্রাকৃতিক উপায়, এবং জীবনধারা পরিবর্তন সহায়তা করে। স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত খাদ্য, ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুম মেনোপজের উপসর্গ মোকাবেলায় সাহায্য করে। সঠিক চিকিৎসা এবং সাপোর্টের মাধ্যমে নারীরা এই পর্যায়টি সহজে পার করতে পারে। তাই নিজের যত্ন নিন। চিন্তা মুক্ত থাকুন। ইনশাল্লাহ ভালো ফল পাবেন।