রোগ মুক্তির দোয়া বাংলা

রোগ মুক্তির দোয়া বাংলা ও আরবি উচ্চারণসহ

শেয়ার করুন

রোগ মুক্তির দোয়া বাংলা

রোগ মুক্তির দোয়া বাংলা :আপনার অথবা আপনার প্রিয়জনদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উদ্বেগ থাকলে, রোগ মুক্তির দোয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হতে পারে। ইসলামিক বিশ্বাসে, দোয়া এবং প্রার্থনা শুধু আধ্যাত্মিক শান্তির জন্য নয়, বরং শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

কুরআনের বিসমিল্লাহসহ প্রথম সূরা ‘ফাতিহা’ (আলহামদুলিল্লাহ) পাঠ করা রোগমুক্তির সবচেয়ে উপকারী আমল বলা হয়। তা ছাড়া কুরআনে আরও এমন কিছু আয়াত উল্লেখ রয়েছে-যেগুলো রোগমুক্তির আমল হিসাবে গণ্য করা হয়। তার মধ্যে বহু পাঠ্য দুটি আয়াত বা আমল রয়েছে যা নিচে উল্লেখ করা হলো, কেউ যদি রোগমুক্তির উদ্দেশ্যে নিচের আয়াতগুলো পড়ে তাহলে আল্লাহতায়ালা তাকে সব রোগ-বালাই থেকে মুক্তি দেবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।

রোগ মুক্তির জন্য দোয়া

اللهم رب الناس، مذهب الباس، اشف أنت الشافي، لا شافي إلا أنت، شفاء لا يغادر سقما

উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা রাব্বান না’সি, মুজহিবাল বা’সি, ইশফি, আনতাশ-শাফি, লা শাফি ইল্লা আনতা, শিফাআন লা ইউগাদিরু ছুকমা।”

অর্থ:
“হে মানুষদের পালনকর্তা আল্লাহ! কষ্ট দূরকারী, আপনি সুস্থতা দিন। আপনি হচ্ছেন একমাত্র সুস্থতা প্রদানকারী। আপনার বাইরে আর কেউ সুস্থতা দিতে পারে না। এমন সুস্থতা দান করুন যাতে কোনো অসুস্থতা অবশিষ্ট না থাকে।”

এই দোয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে বর্ণিত এবং রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এটি খুবই প্রভাবশালী ও উপকারী।

উপকার : হাদিসে এসেছে,  আনাস বিন মালিক (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পড়ে অসুস্থ ব্যক্তিদের ঝাড়-ফুঁক করতেন। (বুখারি, হাদিস : ৫৭৪২)

‘ওয়া ইজা মারিদতু ফা হুয়া ইয়াশফি-নি।’

অর্থ : যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই (মহান আল্লাহই আমাকে) আরোগ্য দান করেন। (সূরা শুয়ারার-৮০)।

দোয়াটি কুরআনের একটি আয়াতের অংশ:

দোয়টি-  وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ

উচ্চারণ: ওয়া নুনাজ্জিলু মি’নাল কুরআনি মা হুয়া শিফাউও ওয়া রহমাতুল্লিল মু’মিনি..ন।”

অর্থ:
“আর আমরা কুরআন থেকে এমন কিছু অবতীর্ণ করি যা রোগের জন্য সুস্থতা এবং বিশ্বাসীদের জন্য রহমত।” (সূরা ইসরা, আয়াত ৮২)

এই আয়াতটি কুরআনের সত্ত্বা নিয়ে এবং এটি কিভাবে মুমিনদের জন্য সুস্থতা ও রহমত প্রদান করে তা বর্ণনা করে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়াত যা সুস্থতার জন্য কুরআনের আধ্যাত্মিক প্রভাব নির্দেশ করে।

উপর্যুক্ত আয়াতগুলো যদি পাঠ করে রোগীর গায়ে ফুঁ দিলে, কিংবা পানিতে ফুঁ দিয়ে সে পানি রোগীকে পান করালে, অথবা রোগী নিজে উপর্যুক্ত আয়াতগুলো অধিক পরিমাণে পড়লে মহান আল্লাহ তাকে সব ধরনের রোগ-বালাই থেকে মুক্তি দেবেন। শিফায়ে কমেলা দান করবেন। আমিন!

অন্য হাদিসে এসেছে– ‘মুসলিম ব্যক্তির ওপর যে কষ্ট ক্লেশ, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানি আসে, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে ফোটে, এসবের মাধ্যমে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন।’ (বুখারি: ৫৬৪১) সকল রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

রোগ মুক্তির দোয়া বাংলা

১. সূরা ফাতিহা: ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূরা হিসেবে পরিচিত, এটি রোগ মুক্তির জন্য অত্যন্ত কার্যকর। প্রতি দিন নিয়মিত সূরা ফাতিহা পাঠ করলে তা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে।

২. আয়াতুল কুরসি: সূরা বাকারা, আয়াত ২৫৫, আয়াতুল কুরসি রোগমুক্তি এবং নিরাপত্তার জন্য বিশেষভাবে প্রশংসিত। নিয়মিত পাঠ করলে তা সুরক্ষা এবং সুস্থতা নিয়ে আসে।

৩. সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস: এই তিনটি সূরা একত্রে পাঠ করলে দুঃখ, বেদনা ও রোগ থেকে মুক্তির আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

মুনাজাত পাঠের সময়

  • সকালের ও সন্ধ্যার দোয়া: দিন শুরু এবং শেষ করার সময় দোয়া পাঠ করা বিশেষভাবে সুফলদায়ক হতে পারে।
  • রোগীর পাশে বসে: রোগীর সুস্থতার জন্য তার পাশে বসে দোয়া করা অধিক ফলদায়ী হতে পারে।
  • ইচ্ছা ও বিশ্বাসের সাথে: দোয়া পাঠের সময় পূর্ণ বিশ্বাস এবং আন্তরিকতা থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

 মুনাজাত বা দোয়া ও চিকিৎসার সমন্বয়

দোয়া ও চিকিৎসা একসাথে চললে রোগ মুক্তির সম্ভাবনা বাড়ে। ধর্মীয় দোয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি চিকিৎসা পদ্ধতি ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।

সকল রোগ থেকে মুক্তির দোয়া
সকল রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) ও আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণনাকৃত এক হাদিসে এসেছে, আল্লাহর রাসুল (স.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্ত লোককে দেখে উল্লেখিত দোয়াটি পড়ে, সে ওই ব্যাধিতে কখ নো আক্রান্ত হবে না।’ (তিরমিজি: ৩৪৩২; জামেউস সগির: ৮৬৬৭; সিলসিলাতুস সহিহা: ২৭৩৭)

কঠিন, ভয়ংকর রোগ থেকে বাঁচার আরেকটি দোয়ার উল্লেখ রয়েছে হাদিসে। দোয়াটি হলো—اللَّهمَّ إنِّي أسألُكَ وأتوجَّهُ إليكَ بنبيِّكَ محمدٍ صَلَّى اللَّهُ عليْهِ وعلى آلهِ وسلَّمَ نبيِّ الرحمةِ ، يا محمدُ إنِّي أتوجَّهُ بكَ إلى ربِّي في حاجَتي هذه فتَقضى، وتُشفعُني فيه وتشفعُهُ فيَّ

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ওয়া আতাওয়াজ্জাহু ইলাইকা বিনাবিয়্যিকা মুহাম্মাদিন নাবিয়্যির রহমাতি ইন্নি তাওয়াজ্জাহতু বিকা ইলা রব্বি ফি হাজাতি হাজিহি লিতুকদ্বা লি, আল্লাহুম্মা ফাশাফফি’হু ফিয়্যা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি প্রার্থনা করি এবং তোমার প্রতি মনোনিবেশ করি তোমার নবী, দয়ার নবী মুহাম্মদ (স.) এর (দোয়ার) মাধ্যমে। আমি তোমার দিকে ঝুঁকে পড়লাম, আমার প্রয়োজনের জন্য আমার প্রভুর দিকে ধাবিত হলাম, যাতে আমার এ প্রয়োজন পূর্ণ করে দেওয়া হয়। হে আল্লাহ! আমার প্রসঙ্গে তুমি তার সুপারিশ কবুল (গ্রহন) করো।’ (রোগ মুক্তির দোয়া বাংলা)

গোপন রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

আল্লাহুম্মা রাব্বান নাসি, মুজহিবাল বা’সি, ইশ’ফি, আনতাশ-শাফি, লা শাফি ইল্লা আনতা, শিফাআন লা ইউগাদিরু সুকমা

শিফার দোয়া

শিফার দোয়া (রোগ মুক্তির দোয়া) ইসলামে রোগীকে সুস্থ করার জন্য বিশেষভাবে উল্লেখিত। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দোয়াগুলি উল্লেখ করা হলো:

দোয়া ফর রিকভারি (শিফার দোয়া)

اللهم رب الناس، مذهب البأس، اشف أنت الشافي، لا شافي إلا أنت، شفاء لا يغادر سقما

উচ্চারণ:
“আল্লাহুম্মা রাব্বান নাসি, মুজহিবাল বা’সি, ইশ’ফি, আনতাশ-শাফি, লা শাফি ইল্লা আনতা, শিফাআন লা ইউগাদিরু সুকমা।”

অর্থ:
“হে মানুষদের পালনকর্তা আল্লাহ! কষ্ট দূরকারী, আপনি সুস্থতা দিন। আপনি হচ্ছেন একমাত্র সুস্থতা প্রদানকারী। আপনার বাইরে আর কেউ সুস্থতা দিতে পারে না। এমন সুস্থতা দান করুন যাতে কোনো অসুস্থতা অবশিষ্ট না থাকে।”

রোগ মুক্তির দোয়া আরবি

সূরা ফাতিহা বাংলা লেখা

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ

উচ্চারণ:
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন। আর রাহমানির রাহীম। মালিকি ইয়াওমিদ্দিন। ইয়া কা নাআবুদু ওয়াইয়া কা নাস্তাঈনু। ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম। সিরাতাল লাজীনা আন’মতা আলাইহিম গায়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়া লা দাল্লিন।”

অর্থ:
“আল্লাহর নামে শুরু করছি, পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, জগতের পালনকর্তা। পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। বিচার দিবসের মালিক। একমাত্র তোমাকেই আমরা ইবাদত করি এবং তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করো, তাদের পথে যাদের ওপর তুমি অনুগ্রহ করেছ, তাদের পথে না যাদের ওপর তুমি রেগে গেছো এবং না যারা পথভ্রষ্ট।”

আয়াতুল কুরসি দোয়া

اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

উচ্চারণ:
“আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ূম। লা তাখুঝুহু সিনাতুন ওয়া লা নাওমুন, লাহুয়া মাফি আস-সামাওয়াতি ওয়া মাফি আল-আরদ। মান যাল লাজি ইয়াশফাউ ইন্দাহু ইল্লা বি ইজ্জিনিহি, ইয়াআলামু মা বেইন আইদেইহিম ওয়া মা খালফাহুম, ওয়া লা ইউহীতূনা বি শাই’ইম মিন ইল্মিহি ইল্লা বি মা শা। ওয়া সি’য়া কুরসিয়ুহু আস-সামাওয়াতি ওয়া আল-আরদ, ওয়া লা ইয়ুআউদুহু হিফযুহুমা, ওয়া হুয়াল আলিয়্যুল আজীম।”

অর্থ:
“আল্লাহ, ছাড়া কোনো দেবতা/মাবুত নেই, তিনি চিরজীবী, চিরকাল স্থায়ী। তাকে কোন নিদ্রা অথবা ঘুম লাগে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে সব তারই। তার কাছে কে আছে যিনি তার অনুমতি ছাড়া সুপারিশ করতে পারে? তিনি জানেন তাদের সামনে ও তাদের পিছনে যা কিছু আছে এবং তারা তাঁর জ্ঞানের কিছুই জানতে পারে না কেবল তার অনুমতি দ্বারা। তাঁর কুরসির পরিধি আসমান ও জমিনকে ঢেকে আছে। তাদের রক্ষা করা তাঁর জন্য কোন কষ্টকর নয়। তিনি সর্বোচ্চ মহান।”

এই দোয়াগুলির মাধ্যমে আপনি রোগ মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে পারেন। নিয়মিত দোয়া এবং চিকিৎসা পদ্ধতির সমন্বয় করা ভাল।

কিডনি রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

আল্লাহুম্মা রাব্বান নাসি, মুজহিবাল বা’সি, ইশ’ফি, আনতাশ-শাফি, লা শাফি ইল্লা আনতা, শিফাআন লা ইউগাদিরু সুকমা।

আয়াতুল কুরসি

আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ূম। লা তাখুঝুহু সিনাতুন ওয়া লা নাওমুন, লাহুয়া মাফি আস-সামাওয়াতি ওয়া মাফি আল-আরদ। মান যাল লাজি ইয়াশফাউ ইন্দাহু ইল্লা বি ইজ্জিনিহি, ইয়াআলামু মা বেইন আইদেইহিম ওয়া মা খালফাহুম, ওয়া লা ইউহীতূনা বি শাই’ইম মিন ইল্মিহি ইল্লা বি মা শা। ওয়া সি’য়া কুরসিয়ুহু আস-সামাওয়াতি ওয়া আল-আরদ, ওয়া লা ইয়ুআউদুহু হিফযুহুমা, ওয়া হুয়াল আলিয়্যুল আজীম।

দ্রুত রোগ মুক্তির দোয়া

অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়া

لَا بَأْسَ طَهُوْرٌ إِنْ شَآءَ اللّهُ

উচ্চারণ:
লা-বাসা তুহুরুন ইংশা-আল্লহ। অর্থ:। ভয় নেই, আল্লাহ চান তো তুমি খুব শীঘ্রই ভালো হয়ে যাবে। এ রোগ তোমার পবিত্র হবার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِىْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءٌ لَا يُغَادِرُ سَقَمًا উচ্চারণ: আযহিবিল বা’স, রব্বান নাস, ওয়াফি আংতাশ শা-ফী লা- শিফা-আ ইল্লা- শিফাউকা শিফাআন লা- ইউগাদিরু সাক্ক মা। অর্থ: হে মানুষের রব! এ ব্যক্তির রোগ দূর করে দিন৷ তাকে নিরাময় করে দিন৷ নিরাময় করার মালিক আপনিই। আপনার নিরাময় ছাড়া আর কোনো নিরাময় নেই। এমন নিরাময় যা কোন রোগকে বাকী রাখে না।

আরোগ্য লাভের দোয়া

হে আল্লাহ, আপনি সকল রোগের রহমত প্রদানকারী। আমি আপনার কাছে দোয়া করি যে আপনি আমার সকল শারীরিক এবং মানসিক কষ্ট দূর করুন। আপনি একমাত্র সুস্থতা প্রদানকারী। দয়া করে আমাকে এমন সুস্থতা দান করুন যাতে কোনো অসুস্থতা অবশিষ্ট না থাকে। আপনার অনুগ্রহে আমি সুস্থ এবং সুস্থতায় পূর্ণ হতে চাই।

সর্বপ্রকার রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

সব রোগের দোয়া ওই ‍পূর্বের গুলোই। প্রতিটি দোয়া ভালো ভাবে শিখে রাখলে প্রতিটি রোগ মুক্তির দোয়া হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

লেখক : গবেষক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

উপসংহার:

রোগ মুক্তির দোয়া” মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য প্রার্থনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এই দোয়া মানুষের অন্তরের শান্তি এবং ঈমান শক্তি বাড়ায়, যা রোগমুক্তির জন্য সহায়ক হতে পারে। ইসলামে, আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে দোয়া করা এবং তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তবে, রোগমুক্তির জন্য কেবল দোয়াই নয়, সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করাও অপরিহার্য। দোয়া এবং চিকিৎসার সমন্বয়ে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব, আল্লাহর ইচ্ছায়। অতএব, দোয়া করুন, চিকিৎসা নিন এবং আল্লাহর রহমতের উপর আস্থা রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *