Full website development course

Full website development course

শেয়ার করুন

Full website development course

Full website development course :- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স নিয়ে নিশ্চয়ই আমরা কথা বলবো। কিন্তু তার আগে আপনাকে বুঝতে হবে যে, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট আসলে কী?

ওয়েব সার্ভারে জমা রাখা ইনফরমেশন ওয়েব ব্রাউজার এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিজিটরের কাছে দর্শন পাঠানো । ও পঠনযোগ্য করে তোলার প্রক্রিয়াকেই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলা হয়। আর যিনি ওয়েব ডেভেলপ করেন তাকে ওয়েব ডেভেলপার বলা হয়।

গুগল ব্লগারে লগইন করার পর আপনার ব্লগের সেটিংস ও পোস্ট সহ অন্যান্য যে অপশন দেখতে পান সেগুলোই ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে করা হয়। তাছাড়া আপনারা যারা Magone থিমটি ব্যবহার করছেন।  তারা ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে, SneeitSpot এর মাধ্যমে ব্লগের ডিজাইনের বিভিন্ন পরিবর্তন করা যায়। এই পরিবর্তন করানোর যে অপশন আমরা দেখতে পাই, সেগুলোই ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে করা হয়।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হল একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এটি মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত: ফ্রন্টএন্ড এবং ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্ট। ফ্রন্টএন্ডে ব্যবহারকারীদের দেখানো অংশ তৈরি হয়, আর ব্যাকএন্ডে ডাটাবেস এবং সার্ভার পরিচালিত হয়। Full website development course

ওয়েব ডেভেলপার কত প্রকার

সাধারণত কাজের ধরণ অনুসারে ওয়েব ডেভেলপারকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-

  • ফ্রন্ট ইন্ড ওয়েব ডেভেলপার
  • ব্যাক ইন্ড ওয়েব ডেভেলপার
  • ফুলস্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার
ওয়েব ডেভেলপার কত প্রকার
ওয়েব ডেভেলপার কত প্রকার: 1ss

কিভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখব

অনলাইনে অধিকাংশ লোক সহজে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার প্রফেস খুঁজে থাকেন।  আপনি জেনে রাখুন, সহজে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার কোন উপায় বা কোর্স নেই।  ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে এক ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। আর আপনি অবশ্যই জানেন যে, প্রোগ্রামিং শেখা কোন সহজ কাজ নয়। তবে আপনি ধৈর্য ধারণ করে নিচের উপায়গুলো অনুসরণ করলে আপনিও অল্পদিনে একজন ওয়েব ডেভেলপার হতে পারবেন। Full website development course

১. HTML, CSS এর মাধ্যমে ফ্রন্টএন্ডের বেসিক ধারণা প্রথমে তৈরি করুন।
২. javascript শিখুন, এটি ওয়েবসাইটের ইন্টারঅ্যাকশন বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩. ব্যাকএন্ডের জন্য PHP, Python, বা Node.js থেকে যেকোন একটি ভাষা শিখতে পারেন।
৪. ফ্রেমওয়ার্ক যেমন React, Angular, Django ইত্যাদি ব্যবহার শিখতে হবে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে কী কী লাগবে?

  • অবশ্যই আপনার একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ লাগবে।
  • আপনার প্রচুর ধৈর্য্য শক্তি ও মনোযোগ থাকতে হবে।
  • কাজর শেখার জন্য আপনার প্রচুর আগ্রহ থাকতে হবে।
  • কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকতে হবে। কারণ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট খুব সুক্ষ বিষয়।
  • এডোবি ফটোশপ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা থাকতেই হবে।
  • ইংরেজী ভালোভাবে না জানলেও মোটামুটি জানতে হবে।
  • সৃজনশীল চিন্তা শক্তি থাকলে কাজ করতে সহজ হবে।
  •  ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট সম্বন্ধে ধারণা থাকতে হবে।
  • কিছু গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার লাগবে। যেমন- নোটপ্যাড++ ও এডবি ড্রিমওয়েবার।

আরও জানুন:

কিভাবে ওয়েব ডিজাইন শিখব ? ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর সম্পূর্ণ গাইডলাইন

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখার জন্য যা যা জানা প্রয়োজন তা হচ্ছে, HTML, CSS, Javascript (Basic এর উপর ধারণা), Jquery (Javascript এর একটি ফ্রেমওয়ার্ক), PHP (সার্ভার স্ক্রিপ্টিং ল্যাংগুয়েজ) ।

পাশাপাশি যেকোনো একটি CMS (Content management system) যেমন, ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা, ড্রপাল শিখে রাখা ভাল। এসব শিক্ষা দেওয়ার জন্য বাংলা, ইংরেজি অনেক সাইট গড়ে উঠেছে, যেখানে কোর্স করে সহজেই ওয়েব ডেভেলপমেন্টে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। ফ্রিতে কোর্স করা যায় এমন ৫ টি সেরা সাইট হলো-

Best web development course in bangladesh

১. কোডেকাডেমি (Codecademy)

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের বেসিক বিষয় শেখার জন্য কোডিক এডেমির রয়েছে একটা সিরিজ টিউটোরিয়াল। এই টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে যে কেউ খুব সহজেই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা অর্জন করতে পারবে। এছাড়াও ফ্রন্ট ইন্ড কোডিং।

যেমন এইস টি এম এল (HTML), সি এস এস(CSS) শেখা এবং প্রোগামিং ল্যাংগুয়েজ যেমন, পাইথন, জাভা, রুবি ইত্যাদি শেখার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এখানে যা আছে এইসব বিষয় আয়ত্ত্ব করতে পারলে একটি ওয়েব সাইট ডেভেলপ করা কোন কষ্ট সাধ্য ব্যাপার বলে মনে হবে না।

২. খান একাডেমি (Khan Academy)

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার অসাধারণ একটি ওয়েবসাইট হলো খান একাডেমি। এখানে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কিছুই শেখার ব্যবস্থা আছে। এই সাইটে যেমন টিউটোরিয়াল রয়েছে তেমনি আবার ওয়েব ডেভেলপমেন্টে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা তৈরিকৃত অডিও, ভিডিও রয়েছে।

এগুলোর মাধ্যমে একজন খুব অনায়াসে ওয়েবসাইট ডেভেলপের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় শিখতে পারবে। এখানে যথেষ্ট যত্ন সহকারে শিখানো হয়।

৩. এম আই টি ওপেন কোর্স ওয়্যার (MIT OpenCourseware)

আমেরিকার অন্যতম সেরা টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠান হলো এম আই টি। এই স্কুল কর্তৃক পরিচালিত এম আই টি ওপেন কোর্স ওয়্যার ওয়েবসাইটে প্রোগামিং, ম্যাথ, ডেভেলপমেন্ট ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কিত বিষয়ে শতশত টিউটোরিয়াল রয়েছে। প্রোগামিং বা ওয়েব ডেভেলপমেন্টে একদম অনভিজ্ঞ ব্যক্তিও এই সাইটের টিউটোরিয়াল গুলোর মাধ্যমে ওয়েব ডেভেলপমেন্টে দক্ষ হয়ে উঠতে পারবে।

আরও দেখুনঃ- 

web hosting list । best web hosting for wordpress

৪. মজিলা ডেভেলপার নেটওয়ার্ক (Mozilla Developer Network)

জনপ্রিয় ফায়ার বক্স ওয়েব ব্রাউজারের পিছনে থাকা মজিলা, ডেভেলপারদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচুর রিসোর্স প্রস্তুত করেছে। যারা ওয়েব ডেভেলপমেন্টে ক্যারিয়ার গড়তে চায়, তাদের জন্য আর্টিকেল ও টিউটোরিয়াল গুলো বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

নতুনরা যেনো খুব সহজে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে, সে জন্য টিউটোরিয়ালে প্রচুর উদাহরণ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং যতটা সম্ভব সহজ ভাষার প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে। আপনি খুব সহজে নিজেই আয়ত্ব করে নিতে পারবেন।

৫. এ লিস্ট অ্যাপার্ট ( A List Apart)

ওয়েব ডেভেলপার এবং ডিজাইনারদের লক্ষ্য করে সবচেয়ে পেশাদার।  আপ টু ডেট অনলাইন ম্যাগাজিনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হল এ লিস্ট অ্যাপার্ট। কোডিং, প্রোগামিং, ডিজাইন এবং ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা সংবলিত বহুবিধ আর্টিকেলের সমাবেশ ঘটেছে এই সাইটটিতে। কেউ যদি অন্যের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ থেকে শিখতে চায়, তবে তার জন্য প্রচুর রিসোর্স রয়েছে এ লিস্ট অ্যাপার্টে।

Best web development course in bangladesh
Best web development course in bangladesh: 1ss

full stack developer

ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার (Full Stack Developer) হলো এমন একজন দক্ষ/এক্সপার্ট প্রোগ্রামার, যিনি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের পুরো প্রক্রিয়ার বিভিন্ন স্তর নিয়ে কাজ করতে পারেন। একজন ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার ফ্রন্টএন্ড (UI/UX বা ব্যবহারকারী ইন্টারফেস) এবং ব্যাকএন্ড (সার্ভার, ডাটাবেস ইত্যাদি) উভয় দিকেই সমানভাবে পারদর্শী হয়ে থাকেন।

এর মানে হলো, তিনি ব্যবহারকারী-সম্মুখীন দিক থেকে শুরু করে সার্ভারের পেছনের জটিল কাজগুলোর মধ্যে, যেমন ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট, API ডেভেলপমেন্ট, সার্ভার সেটআপ ইত্যাদি, সবকিছু পরিচালনা করতে পারেন।

frontend developer

  • HTML: Hypertext Markup Language
    • ওয়েব পেজের গঠন/ স্ট্রাকচার তৈরি করা:
      HTML বিভিন্ন ট্যাগের সাহায্যে একটি ওয়েব পেজের স্ট্রাকচার নির্ধারণ করে থাকে। এটি হেডার, প্যারাগ্রাফ, লিস্ট, টেবিল, ফর্ম ইত্যাদি তৈরি করতে সাহায্য করে।
    • টেক্সট ফরম্যাটিং:
      HTML এর মাধ্যমে টেক্সটের বিভিন্ন ফরম্যাট যেমন বোল্ড, ইটালিক, আন্ডারলাইন, হেডিং ইত্যাদি করে। এর জন্য <h1>, <p>, <b>, <i> ইত্যাদি ট্যাগ ব্যবহার হয়ে থাকে।
    • লিঙ্ক তৈরি করা:
      এটি ব্যবহার করে এক পেজ থেকে অন্য পেজে যাওয়ার জন্য হাইপারলিঙ্ক তৈরি করা যায়। এর জন্য <a> ট্যাগ ব্যবহার করা হয়, যেখানে একটি URL যোগ করে লিঙ্ক তৈরি করা হয়।
    • ইমেজ এবং ভিডিও এম্বেড করা:
      HTML এর মাধ্যমে ওয়েব পেজে ছবি এবং ভিডিও যুক্ত করা যায়। এর জন্য <img> এবং <video> ট্যাগ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
    • লিস্ট তৈরি করা:
      এটা দিয়ে অর্ডারড (Ordered) বা আনঅর্ডারড (Unordered) লিস্ট তৈরি করা যায়। যেমন <ul> আনঅর্ডারড লিস্ট এবং <ol> অর্ডারড লিস্টের জন্য ব্যবহৃত হয়।
    • টেবিল তৈরি করা:
      HTML এর মাধ্যমে টেবিল তৈরি করে ডেটা প্রদর্শন করতে পারবেন। এর জন্য <table>, <tr>, <td> ইত্যাদি ট্যাগ ব্যবহার হয়ে থাকে।
    • ফর্ম তৈরি করা:
      HTML দিয়ে ইউজার ইনপুট সংগ্রহ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফর্ম তৈরি করা যায়। এর মধ্যে রয়েছে টেক্সট ইনপুট, বাটন, চেকবক্স, রেডিও বাটন ইত্যাদি, যা <form>, <input> ইত্যাদি ট্যাগ ব্যবহার করে ।
    • SEO (Search Engine Optimization):
      এর এর মাধ্যমে ওয়েব পেজে মেটা ট্যাগ ব্যবহার করে SEO ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন। এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনকে পেজ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করা সম্ভব হয়, যা পেজের র‍্যাংকিং উন্নত করতে সাহায্য করে।
  • CSS:

    • CSS এর বেসিক সিনট্যাক্স।
    • CSS3 এবং এর নতুন ফিচার: Flexbox, Grid ইত্যাদি।
    • রেসপনসিভ ডিজাইন: মিডিয়া কুয়েরি এবং ব্রেকপয়েন্ট ব্যবহার করে মোবাইল ওয়েব ডিজাইন করা।
    • ডিজাইন এবং লেআউট নির্ধারণ করা: CSS ব্যবহার করে ওয়েব পেজের লেআউট সেট করতে পারবেন। এটি ওয়েব পেজের উপাদানগুলো কোথায় এবং কিভাবে সেটি প্রদর্শিত হবে তা নিয়ন্ত্রণ করে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো উপাদানকে সেন্টারে রাখার জন্য বা সাইডবার তৈরি করার জন্য CSS ব্যবহার করতে পারবেন।
    • রঙ এবং ব্যাকগ্রাউন্ড নির্ধারণ: CSS এর মাধ্যমে টেক্সট, ব্যাকগ্রাউন্ড, বর্ডার ইত্যাদির রঙ নির্ধারণ করতে পারবেন। এটি ওয়েব পেজকে রঙিন এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন।
      • উদাহরণ: color: blue; দ্বারা টেক্সটের রঙ নীল করা যায়।
      • background-color: #f0f0f0; দিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড রঙ নির্ধারণ করা যায়।
    • ফন্ট স্টাইলিং: CSS এর মাধ্যমে ফন্টের আকার, টাইপ, এবং স্টাইল নির্ধারণ করতে পারবেন।
      • উদাহরণ: font-size: 16px;, font-family: Arial, sans-serif;, এবং font-weight: bold; ব্যবহার করে ফন্টের আকার, ধরন, ও বোল্ড স্টাইল নির্ধারণ করতে পারবেন।
    • স্পেসিং এবং মার্জিন নির্ধারণ করা: CSS ব্যবহার করে উপাদানের ভিতরের ও বাইরের স্পেসিং (padding এবং margin) নির্ধারণ করতে পারবেন। এটি উপাদানগুলোর মধ্যে সঠিক ফাঁক বা দূরত্ব তৈরি করতে সাহায্য করে।
      • উদাহরণ: margin: 20px; বা padding: 10px; ব্যবহার করে উপাদানের চারপাশে স্থান নির্ধারণ করা যায়।
    • বর্ডার এবং শ্যাডো যোগ করা: CSS এর মাধ্যমে উপাদানের চারপাশে বর্ডার এবং শ্যাডো যোগ করতে পারবেন। এটি উপাদানগুলোর সৌন্দর্য বা আরও আকৃষনীয় বৃদ্ধি করে।
      • উদাহরণ: border: 1px solid black; বা box-shadow: 5px 5px 10px grey;
  • JavaScript:

    • DOM ম্যানিপুলেশন, ইভেন্ট হ্যান্ডলিং এবং API ইন্টিগ্রেশন।
    • ES6 সিনট্যাক্স এবং অ্যাডভান্সড কনসেপ্ট: Arrow functions, Promises, Async/Await ইত্যাদি।
    • ইন্টারঅ্যাকটিভ ফিচার যোগ করা হয়:
      JavaScript ব্যবহার করে ওয়েব পেজে বিভিন্ন ইন্টারঅ্যাকটিভ ফিচার যেমন বাটনে ক্লিক করলে পপআপ আসা, ফর্ম জমা দিলে মেসেজ দেখানো, এবং মাউসের মুভমেন্টের উপর ভিত্তি করে পেজের উপাদান পরিবর্তন করতে পারবেন।
    • ডায়নামিক কন্টেন্ট আপডেট করা হয়:
      JavaScript এর মাধ্যমে ওয়েব পেজে ডায়নামিক কন্টেন্ট আপডেট করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, কোনো ইউজারের ইনপুটের উপর ভিত্তি করে পেজের কন্টেন্ট পরিবর্তন করতে পারবেন, বা লাইভ ডেটা যেমন সময় বা আবহাওয়া দেখানো যেতে পারে।
    • ইভেন্ট হ্যান্ডলিং করা:
      JavaScript বিভিন্ন ইভেন্ট যেমন ক্লিক, স্ক্রোল, কীবোর্ড প্রেস ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে কাজ করতে পারবেন।

      • উদাহরণ: একটি বাটনে ক্লিক করলে মেসেজ দেখানো।
    • ফর্ম ভ্যালিডেশন:
      JavaScript দিয়ে ফর্মের ইনপুট ডেটা ভ্যালিডেট করা যায়। ইউজার কোনো ভুল তথ্য দিলে JavaScript তা চেক করে সতর্কতা বার্তা দেখাতে পারে, যাতে সার্ভারে পাঠানোর আগেই ভুলগুলো ঠিক করতে পারা যায়।
    • DOM (Document Object Model) ম্যানিপুলেশন:
      JavaScript এর মাধ্যমে HTML ডকুমেন্টের স্ট্রাকচার বা DOM পরিবর্তন করতে পারবেন। এটি ব্যবহার করে ডাইনামিকভাবে কোনো উপাদান অ্যাড বা রিমুভ করা যায়, বা কোনো উপাদানের স্টাইল পরিবর্তন আপনি করতে পারবেন।
    • এনিমেশন তৈরি করা:
      JavaScript দিয়ে পেজে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন ধরনের এনিমেশন তৈরি করা যায়, যেমন কোনো উপাদানকে স্ক্রল করানো, রঙ পরিবর্তন করা, বা কোনো বস্তুকে মুভ করা যায়।
    • ব্রাউজার API গুলোর সাথে কাজ করা:
      JavaScript দিয়ে বিভিন্ন ব্রাউজার API (Application Programming Interface) ব্যবহার করা যায়, যেমন Geolocation API দিয়ে ইউজারের লোকেশন খুঁজে বের করা যায় খুব সহজে, Web Storage API দিয়ে লোকালি ডেটা সংরক্ষণ করা আরও অনেক কিছু।
    • ক্যালকুলেশন এবং লজিক্যাল অপারেশন করা:
      JavaScript এর মাধ্যমে কোনো সংখ্যা বা স্ট্রিং নিয়ে ক্যালকুলেশন এবং লজিক্যাল অপারেশন করতে পারবেন। এটি ব্যবহার করে বিভিন্ন লজিক্যাল চেক এবং গাণিতিক হিসাব-নিকাশ খুব সহজে করতে পারবেন।

Backend Developer

  • সার্ভার সেটআপ:
    • PHP, Python, বা Node.js ব্যবহার করে সার্ভার সাইড প্রোগ্রামিং শিখুন।
    • কিভাবে একটি API তৈরি করবেন এবং ডেটা হ্যান্ডল করবেন।
  • অপারেটিং সিস্টেম (OS) ইনস্টলেশন
    • আপনি কিভাবে একটি VPS সার্ভারে Linux ইনস্টল করবেন তার জন্য আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার থেকে নির্দেশনা নিতে পারেন।
  • সার্ভার সফটওয়্যার সেটআপ
    • Apache: ওয়েব সার্ভার সফটওয়্যার।
    • Nginx: উচ্চ পারফরমেন্সের জন্য জনপ্রিয়।
    • Node.js: JavaScript ভিত্তিক ব্যাকএন্ড পরিবেশ।
    • Python (Django/Flask) বা PHP: ব্যাকএন্ড প্রোগ্রামিং ভাষা এবং ফ্রেমওয়ার্ক।
  • সার্ভার ম্যানেজমেন্ট টুল ইনস্টল করা
    • cPanel বা Plesk: এটি সার্ভার ম্যানেজ করতে সাহায্য করে।
    • SSH: সার্ভারে দূরবর্তী অ্যাক্সেসের জন্য Secure Shell ব্যবহার করুন।
  • ডাটাবেস:

    • ডাটাবেস কী, ডাটাবেস টেবিল তৈরি এবং ডাটার ইন্সার্ট/আপডেট/ডিলিট।
    • রিলেশনাল (MySQL) এবং নন-রিলেশনাল (MongoDB) ডাটাবেসের মধ্যে পার্থক্য।
  • ডাটাবেস প্রকার নির্বাচন
    • রিলেশনাল ডাটাবেস (SQL-based): যেমন MySQL, PostgreSQL, MariaDB।
    • নন-রিলেশনাল ডাটাবেস (NoSQL-based): যেমন MongoDB, Firebase।
  • ডাটাবেস ইনস্টলেশন
    • ডাটাবেস প্রকার নির্বাচন করার পর সেটি সার্ভারে ইনস্টল করতে হবে।
  • ডাটাবেস তৈরি করা
    • ইনস্টলেশন সম্পন্ন হলে একটি নতুন ডাটাবেস তৈরি করতে হবে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্টে সফল হওয়ার কিছু টিপস
ওয়েব ডেভেলপমেন্টে সফল হওয়ার কিছু টিপস

ওয়েব ডেভেলপমেন্টে সফল হওয়ার কিছু টিপস

  • নতুন টেকনোলজি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন প্রতিনিয়ত।
  • নিয়মিত কোডিং অনুশীলন করতে হবে। অথ্যাৎ সবসময় নিজেকে আপডেট রাখতে হবে।
  • গিটহাবের মতো প্ল্যাটফর্মে আপনার প্রোজেক্টগুলি শেয়ার করতে হবে।
  • বিভিন্ন কমিউনিটিতে অংশগ্রহণ করে অন্য ডেভেলপারদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করুন অথবা প্রতিনিয়ত ডেভেলপারদের সাথে কথা বলবেন প্রতিটা বিষয় নিয়ে।

উপসংহার
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট আধুনিক প্রযুক্তি জগতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। যেকোনো ব্যবসায়ের উন্নতি এবং ক্যারিয়ার গড়ার জন্য এটি শেখা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হতে পারে। ভবিষ্যতে এর চাহিদা শির্ষে থাকবে। সঠিক জ্ঞান ও চর্চার মাধ্যমে একজন সফল ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই এই গাইডলাইন দিয়ে আপনিও হতে পারেন একজন ফুল স্টাক ওয়েব ডেভেলপার। শুভ কামনা আপনার জন্য।

Full website development course

এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *