এইচআইভি কি

এইচআইভি কি (HIV) : সংক্রমণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা

শেয়ার করুন

সূচনা : এইচআইভি কি–  (HIV) হলো হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস HIV (human immunodeficiency virus), যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে নষ্ট করে দেয়। এই ভাইরাসের কারণে সময়ের সাথে সাথে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পূর্ণ ভাবে দুর্বল হয়ে যায় এবং যদি চিকিৎসা না করা হয়, তবে এটি অ্যাডস (AIDS) রোগে পরিণত হতে পারে। এই পোস্টে আমরা এইচআইভি সংক্রমণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও সচেতনতা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।

এইচআইভি কি – What is HIV ?

HIV – এইচআইভি হলো এমন একটি ভাইরাস যা দেহের ইমিউন সিস্টেমকে আক্রমণ করে দুর্বল করে ফেলে, বিশেষত CD4 টি-সেল নামক গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলোর সংখ্যা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। ফলে দেহে সহজেই বিভিন্ন সংক্রমণে আক্রান্ত হয়। যদি এই ভাইরাসের চিকিৎসা করা না হয়, তবে এটি অ্যাকুয়ার্ড ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম (AIDS) বা অ্যাডসে রূপ নেয়। যা মূত্যু ডেকে আনে।

What is HIV
What is HIV : 1ss

এইচআইভি কিভাবে ছড়ায় – How HIV is transmitted

এইচআইভি সংক্রমণের বা ছড়ানোর প্রধান মাধ্যমগুলো নিম্নে দেওয়া হলো:

  • অসুরক্ষিত যৌনসম্পর্ক: আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সুরক্ষিত ব্যবস্থা ছাড়া যদি যৌনসম্পর্ক করেন তাহলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • সংক্রমিত রক্ত গ্রহণ: যদি কেউ এইচআইভি সংক্রমিত থাকে এবং তার রক্ত গ্রহণ করে, তবে এই ভাইরাস তার শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
  • সংক্রমিত সূঁচ বা ইনজেকশন ব্যবহার: মাদক গ্রহণের জন্য আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত একই সূঁচ ব্যবহার করলে সংক্রমণ হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থা, প্রসবকালীন বা বুকের দুধ: যদি মা এইচআইভি আক্রান্ত হয়ে থাকে, তাহলে শিশুও আক্রান্ত হতে পারে।

এইচ আই ভি রোগের লক্ষণ – HIV Symptoms

এইচআইভির লক্ষণ সংক্রমণের পর্যায়ের উপর নির্ভর করে:

প্রাথমিক (Acute) সংক্রমণের লক্ষণ গুলো:

এটি সংক্রমণের ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে দেখা যেতে পারে, যা ফ্লু-জাতীয় অসুস্থতার মতো মনে হবে। সেগুলো হলো-

  • জ্বর
  • ফোলা লসিকা গ্রন্থি
  • তীব্র মাথাব্যথা
  • গলা ব্যথা
  • গায়ে র‍্যাশ হবে

নিষ্ক্রিয় পর্যায় (Chronic HIV) গুলো:

এই পর্যায়ে লক্ষণ গুলো সাধারণত স্পষ্ট হয় না, তবে ভাইরাস শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে ফেলে: সেগুলো হলো-

  • কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে অনেক সময়
  • ভাইরাস শরীরে সক্রিয় থাকে ও ধীরে ধীরে ইমিউন সিস্টেমটাকে দুর্বল করে ফেলে

অ্যাডস (AIDS) পর্যায় গুলো:

যখন এইচআইভি সংক্রমণ অ্যাডস-এ রূপ নেয় বা নিবে, তখন দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত ভাবে দুর্বল হয়ে যায় এবং গুরুতর লক্ষণ গুলো দেখা দেয়: যেমন-

  • দ্রুত ওজন কমতে থাকে
  • দীর্ঘমেয়াদী জ্বর হবে
  • অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব হবে
  • দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া হয়
  • সংক্রমণের কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত হবে
এইচ আই ভি রোগের লক্ষণ
এইচ আই ভি রোগের লক্ষণ: 1ss

পুরুষদের মধ্যে এইচআইভি লক্ষণ

পুরুষদের মধ্যে এইচআইভির লক্ষণ সংক্রমণের ধাপে ধাপে পরিবর্তিত হয়। সংক্রমণের প্রথমে তীব্র লক্ষণ দেখা দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে তা সুপ্ত অবস্থায়ও থাকতে পারে।

প্রাথমিক পর্যায়ের লক্ষণ (Acute HIV Infection)

এই সংক্রমণ সাধারণত সংক্রমণের ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে দেখা যাওয়া শুরু হয় এবং ফ্লুর মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে:

  • উচ্চ জ্বর হবে
  • গলা ব্যথা হবে
  • ফোলা লসিকা গ্রন্থি হবে
  • মাথাব্যথা হয়
  • তীব্র ক্লান্তি অনুভব
  • গায়ে র‍্যাশ দেখা দিবে
  • পেশি ও গাঁটে ব্যথা হবে

দ্বিতীয় পর্যায়ের লক্ষণ (Chronic HIV Infection)

এই ধাপে রোগীর শরীরে ভাইরাস সক্রিয় থাকে কিন্তু লক্ষণগুলি খুব হালকা হতে পারে বা অনুপস্থিত থাকতে পারে:

  • সামান্য ক্লান্তি অনুভব
  • ওজন কমতে থাকবে
  • ঘন ঘন সংক্রমণ হওয়া সম্ভবনা
  • রাতে অতিরিক্ত ঘাম হবে

এইডস পর্যায়ের লক্ষণ (AIDS Stage)

যদি এইচআইভির চিকিৎসা না করা হয়, তবে এটি অ্যাডস-এ পরিণত হয়, যার ফলে ইমিউন সিস্টেম একেবারে দুর্বল হয়ে পড়বে:

  • দীর্ঘমেয়াদী ডায়রিয়া হবে
  • শ্বাসকষ্ট শুরু হবে
  • দ্রুত ওজন হ্রাস পাবে
  • চামড়ায় ফুসকুড়ি বা ক্ষত দেখা যাবে
  • ফাঙ্গাস সংক্রমণ হবে
  • মেমোরি লস বা মানসিক বিভ্রান্তি শুরু হবে

যদি কেউ এই লক্ষণগুলো অনুভব করেন, তবে দ্রুত পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

HIV Test
HIV Test : 1ss

এইচআইভি পরীক্ষা – HIV Test

এটি শনাক্ত করতে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা রয়েছে, তার মধ্যে হলো –

  • অ্যান্টিবডি টেস্ট: রক্তে আপনার এইচআইভি অ্যান্টিবডি রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করাতে হবে।
  • এলিসা (ELISA) টেস্ট: এটি সাধারণত প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়।
  • পিসিআর (PCR) টেস্ট: এই পরীক্ষা ভাইরাসের উপস্থিতি নির্ণয়ের জন্য বেশ কার্যকর।
  • র‍্যাপিড টেস্ট: এটি দ্রুত ফলাফল দেয়, সাধারণত ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে ফলাফল পেয়ে যাবেন।

এইচআইভি প্রতিরোধের উপায়

HIV সংক্রমণ প্রতিরোধে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ অনুসরণ করা জরুরি:

  • সুরক্ষিত যৌনসম্পর্ক: যৌনসম্পর্কের সময় কন্ডোম ব্যবহার করা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভালো কার্যকর।
  • রক্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতা: শুধুমাত্র পরীক্ষিত রক্ত গ্রহণ করা দরকার।
  • নিরাপদ সূঁচ ও ইনজেকশন ব্যবহার: চিকিৎসা নেওয়া বা করার সময় সবসময় জীবাণুমুক্ত সূঁচ ও সিরিঞ্জ ব্যবহার করা উচিত।
  • প্রি-এক্সপোজার প্রোফিল্যাক্সিস (PrEP) ও পোস্ট-এক্সপোজার প্রোফিল্যাক্সিস (PEP): এক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।

ঘরে বসে এইডস পরীক্ষা – HIV Test at home

বর্তমানে আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন। ঘরে বসেই এইচআইভি পরীক্ষার জন্য কয়েকটি সহজ ও বিশ্বস্ত পদ্ধতি রয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, ঘরে বসে পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ আপনাকে নিতে হবে।

১. এইচআইভি সেলফ-টেস্ট কিট

এই কিটগুলো সাধারণত বাজারে পাওয়া যায় এবং এগুলো ব্যবহার করে নিজেই আপনি পরীক্ষা করতে পারকেন। সাধারণত দুই ধরনের কিট বেশি ব্যবহার হয়:

  • মৌখিক তরল (Oral Fluid Test): মুখের মাড়ি বা জিহ্বার ভেতর থেকে লালা সংগ্রহ করে টেস্ট স্ট্রিপে দিতে হয়। এর পর একটু অপেক্ষা, ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে ফলাফল পাওয়া যায়।
  • রক্তের নমুনা (Finger Prick Test): আঙুলে ছোট সূঁচ দিয়ে রক্তের ফোঁটা সংগ্রহ করে পরীক্ষার স্ট্রিপে দিতে হয়।

২. অনলাইনে অর্ডার করা টেস্ট কিট

অনেক দেশে অনুমোদিত সংস্থার মাধ্যমে অনলাইনে এইচআইভি সেলফ-টেস্ট কিট কিনতে পারওয়া যায়। বাংলাদেশে এটি পাওয়া যায় কিনা, তা স্থানীয় ফার্মেসি বা স্বাস্থ্য সেবা সংস্থার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত করবেন।

৩. পরীক্ষার নির্ভুলতা

এই সেলফ-টেস্টগুলো সাধারণত নির্ভুল হয়ে থাকে, তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য দ্বিতীয়বার পরীক্ষা বা হাসপাতালের পরীক্ষার সাথে মিলিয়ে দেখা সবচেয়ে ভালো।

৪. পরীক্ষার পর করণীয়

  • নেগেটিভ ফলাফল পেলে: তবুও ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ থেকে বিরত থাকা উচিত এবং প্রয়োজনে ৩-৬ মাস পর আবার আপনি পরীক্ষা করা ভালো।
  • পজিটিভ ফলাফল পেলে: দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও উন্নত ল্যাবে আপনার-পরীক্ষা করা উচিত।

সতর্কতা

  • সব সেলফ-টেস্ট কিট মানসম্পন্ন নয়, তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) অনুমোদিত সেগুলো কিট ব্যবহারের চেষ্টা করা উচিত।
  • ভুল ফলাফল এড়ানোর জন্য পরীক্ষার নির্দেশনা ভালোভাবে অনুসরণ করতে হবে।

এইচআইভি চিকিৎসা – HIV Treatmentt

সংক্রমণের কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তবে অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (ART) নামক চিকিৎসা সংক্রমিত ব্যক্তির আয়ুষ্কাল বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।

  • অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (ART): সাধারনত এইচআইভি রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ, যা ভাইরাসের সংখ্যা কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে।
  • পুষ্টিকর খাবার ও সুস্থ জীবনযাত্রা: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার ও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: সংক্রমণের মাত্রা পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে নিয়মিত আপনাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত।
এইচআইভি চিকিৎসা
এইচআইভি চিকিৎসা: 1ss

সচেতনতা বৃদ্ধি ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন

এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতি সামাজিকভাবে ইতিবাচক মনোভাব রাখা উচিত। এ রোগ কোনো অভিশাপ নয়, বরং এটি একটি সংক্রমণ, যা চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

আরও জানতে হলে পড়ুন-

অ্যাজমা কি – কারণ, লক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়

মেনোপজ – কি, লক্ষণ ও চিকিৎসাসহ বিস্তারিত

ডায়াবেটিসের লক্ষণ ও প্রতিকার

এইচআইভি কি –  সম্পর্কিত সাধারণ প্রশ্ন (FAQ)

এইচআইভি কি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য?

 উত্তর: না, এখন পর্যন্ত এইচআইভির সম্পূর্ণ নিরাময় নেই, তবে অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (ART) ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যা বেচে থাকার সময় বাড়িয়ে দেয়।

এইডস রোগ কোন ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায়?

উত্তর: HIV – Human Immunodeficiency Virus) নামক ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায়। এই ভাইরাস দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে ফেলে, ফলে দেহ সহজেই বিভিন্ন সংক্রমণের শিকার হয়।

এইচআইভি কি শুধুমাত্র যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়?

উত্তর: না, এটি সংক্রমিত রক্ত, সূঁচ, মাতৃদুগ্ধ ও গর্ভকালীন সংক্রমণের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। তাই এ সম্পর্কে ভালো সচেতনা থাকতে হবে।

এইচআইভি থেকে কীভাবে বাঁচা যায়?

উত্তর: সুরক্ষিত যৌনসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে, জীবাণুমুক্ত সূঁচ ব্যবহার করা, ও পরীক্ষিত রক্ত গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

এইচআইভি হলে কতদিন বাঁচা যায়?

উত্তর: নিয়মিত চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার মাধ্যমে এইচআইভি আক্রান্তরা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারেন। তাই নির্দিষ্ট কোন সময় বলা যাবেনা। মাত্রা ভেবে পার্থক্য হতে পারে।

গর্ভবতী নারী যদি এইচআইভি পজিটিভ হন তবে শিশুর আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায় কি?

উত্তর: হ্যাঁ, সঠিক চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে শিশুর আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে।

এইচআইভি পরীক্ষার জন্য কোথায় যেতে হবে?

উত্তর: সরকারি হাসপাতাল, বেসরকারি ক্লিনিক, এবং এনজিও পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই পরীক্ষা গুলো সাধারনত করা হয়।

এইচআইভি কি চুম্বনের মাধ্যমে ছড়াতে পারে?

উত্তর: না, চুম্বন, খাবার ভাগাভাগি, কোলাকুলি বা একসঙ্গে থাকার মাধ্যমে এইচআইভি ছড়ায় না এ গুলো মনে রাখুন। তবে, যদি চুম্বনের সময় দুই ব্যক্তির মাড়ি বা মুখে ক্ষত থাকে এবং রক্তের আদান-প্রদান হয়, তাহলে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকতে পারে, যদিও এটি অত্যন্ত বিরল হয়।

এইডস কত দিন পর ধরা পরে?

উত্তর: সাধারণত এইচআইভি সংক্রমণের দু-তিন (২-৩) মাসের মধ্যে কিছু কিছু প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়তে শুরু করে।

এইডস টেস্ট কোথায় করে?

উত্তর: সাধারনত সরকারি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, ব্র্যাক, ICDDR,B, মেরি স্টোপসসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এইচআইভি পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। কিছু ফার্মেসিতে হোম টেস্ট কিটও পাওয়া যায়। পরীক্ষার খরচ ২০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, কেন্দ্র ও পরীক্ষার ধরন অনুযায়ী এটা ভিন্ন হয়।

এইডস পরীক্ষা করতে কত টাকা লাগে

উত্তর: অনেক বেসরকারি সংস্থা HIV টেস্ট বিনামূল্যে করে থাকে। তবে অনেক জায়গায় ৮০০ থেকে ২০০০, ৩০০০ টাকা হয়ে থাকে।

Hiv ও aids এর মধ্যে পার্থক্য

উত্তর: HIV হল ভাইরাস যা শরীরে সংক্রমিত হওয়ার কারনে হয়, আর AIDS হল তার ফলে ইমিউন সিস্টেমের গুরুতর ক্ষতি যা শরীরকে বিপজ্জনক রোগের সম্মুখীন করে তোলে।

এইচআইভি সম্পর্কে বিষেশজ্ঞদের মতামত জানতে হলে ক্লিক করুন

উপসংহার

এইচআইভি কি – এটি একটি ভয়ানক সংক্রমণ হলেও এটি প্রতিরোধযোগ্য ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য একটা অসুখ। সচেতনতা বৃদ্ধি, সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস অনুসরণ করলে এই এইচআইভির সংক্রমণ ও প্রভাব কমানো সম্ভব হবে। তাই এই বিষয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে ও অন্যদের সচেতন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *