এ এস আই কোন শ্রেণীর কর্মকর্তা । এ এস আই এর বেতন । এ এস আই কি

শেয়ার করুন

এ এস আই কোন শ্রেণীর কর্মকর্তা

বাংলাদেশ পুলিশে এস আই মানে হচ্ছে সাব- ইন্সপেক্টর । SI (Sub-Inspector). ভারতেও একই অর্থে ব্যবহৃত হয়।

এটা একটা নন ক্যাডার মধ্যম মানের পজিশন। নিয়োগ লাভের পর এক বছর প্রশিক্ষণ শেষে পোস্টিং হয়। বাংলায় যার অর্থ উপ- পরিদর্শক।

পুলিশে এ এস আই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়না।  এস,আই (সাব-ইন্সপেক্টর) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এই পদে নিয়োগের জন্য নুন্যতম স্নাতক বা সমমানের পাশ হতে হবে।

পুলিশের এই পদটি সেকেন্ড ক্লাস
গেজেটেড অফিসার। সাব-ইন্সপেক্টরকে পুলিশের বাহিনীর মেরুদন্ড বলা হয়।
কারণ, তারা ইনভেস্টিগেশন অফিসার হিসাবে প্রায় সকল মামলার তদন্ত করা
সহ মাঠ পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করে। আর নিরস্ত্র মানে যারা মামলার তদন্ত করতে পারবে এবং অস্ত্র বহন করতে
পারবে। যা সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী পারবে না।
◙ সুযোগ-সুবিধা:
১। শুরুতে প্রায় ত্রিশ হাজার টাকা
বেতন +মামলা তদন্ত ভাতা ও টিএ, ডি
এ+রেশন ও পোশাক+বিশেষ ইউনিট এর
ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাতা।
২। যোগ্যতা থাকলে পদোন্নতি পেয়ে
SP/ Addl. SP/ASP পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ
আছে।
৩। যোগ্যতা থাকলে প্রতিটি ১ বছরের
মিশনে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা
সম্ভব। সাধারণত চাকরি জীবনে ৩টার
বেশি মিশন পাওয়া যায় না।
৪। মিশন বা প্রশিক্ষনের সুবিধার্থে
বিনা খরচে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে
ভ্রমণের সুযোগ।
৫। সাধারণ মানুষ থেকে মন্ত্রী-এমপি
পর্যন্ত যোগাযোগ ও প্রত্যন্ত গ্রাম
থেকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় পর্যন্ত
বিচরণ করার সুযোগ।
৫। এখানে চাকরির বৈচিত্র্য আছে।
আপনি চাইলে ইউনিফর্ম পরে থানায়
ব্যস্ততম জীবন-যাপন করতে পারেন অথবা
পুলিশের অন্য ইউনিট-এ সিভিলের মতো
এসি রুমে ৯টা-৫টা অফিস করতে
পারেন।
৬।পারিবারিক ও সামাজিক
নিরাপত্তা।
একজন এস আই দীর্ঘদিন কাজ করে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে পদোন্নতি পেয়ে ধীরে ধীরে এএসপি বা আরো উপরে প্রমোশন পেতে পারেন|
একজন কন্সটেবলও এটা পারেন| কন্সটেবল থেকে প্রমোশন পেয়ে এসপি এবং এস আই থেকে প্রমোশন পেয়ে ডিআইজি হয়েছেন, এমন রেকর্ড আছে| এটা অবশ্য এখন বিরল|
◙ অসুবিধা:
১। চ্যালেঞ্জিং জব। সর্বদা বিচক্ষণ
থাকতে হয়।
২। মাঝে মাঝে চরম বিরূপ পরিবেশে
কাজ করতে হয়। আপনার সামান্য ভুলের কারণে অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে।
৩। আপনি সৎ হওয়া সত্বেও, কতিপয় লোক আপনার সমালোচনা করতে পারে।
তবে আশার কথা হচ্ছে-
১। পূর্বে এসআই থেকে ইন্সপেক্টর(অর্থাৎ ওসি) এ প্রমোশন পেতে ১৫/১৬ বছর লেগে যেত। সরকারের আন্তরিকতায় বর্তমানে চাকরির মেয়াদ ৫ বছর ও ইন্সপেক্টরশীপ পাস করলেই প্রমোশন হয়ে যায়।
২। পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর টু আইজিপি
পর্যন্ত পদের রাঙ্ক ব্যাজ এক ধাপ উন্নতি
করার প্রক্রিয়া চলছে। আশা করি খুব
শীঘ্রই হয়ে যাবে।
পরীক্ষা পদ্ধতি:
১ম ধাপ: শারীরিক পরীক্ষা
২য় ধাপ: লিখিত পরীক্ষা-২২৫মার্ক:
পরীক্ষা হয় ৩ দিন।
➡ প্রথম দিন মনস্তাত্বিক পরীক্ষা-২৫ মার্ক
➡ দ্বিতীয় দিন বাংলা ও ইংলিশ-১০০
মার্ক
➡ তৃতীয় দিন গনিত ও সাধারণ জ্ঞান-১০০
মার্ক।
বাংলা রচনা, ভাবসম্প্রসারন,
এককথায় প্রকাশ, বাগধারা ইত্যাদি
আসে। ইংলিশে paragraph, essay,
application, grammar etc থেকে প্রশ্ন হয়।
গনিত লাভ ক্ষতি, সুদ কষা, অংশীদারি, সরল অংকের চ্যাপ্টার গুলো ভালো করে দেখতে পারেন। সাধারন জ্ঞান সাম্প্রতিক প্রশ্ন গুলো
একটু দেখবেন। মনে রাখবেন, সাধারণ
জ্ঞান অবশ্যই written question
হবে।
৩য় ধাপ: ভাইভা-১০০ মার্ক।
৪র্থ ধাপ: মেডিকেল টেস্ট ও
ভেরিফিকেশন।
সকল পরীক্ষা সফলতার সহিত পাস করলে
প্রশিক্ষণ ও নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হবেন।

এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *