SI Police Salary

SI Police Salary – পরীক্ষা পদ্ধতি ও সুযোগ ‍সুবিধা

শেয়ার করুন

SI Police Salary: “প্রথমেই বলবো, এসআই পদটি একটি সম্মানজনক ও চ্যালেঞ্জিং পেশা। পুলিশে সাব-ইন্সপেক্টর বা এসআই (Sub-Inspector) পদের গুরুত্ব অনেক বেশি। এটি পুলিশের অধীনে একটি অফিসার পদ যা সরাসরি এটা জনসেবার সঙ্গে যুক্ত। সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ দমন করতে এসআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। যারা এই পদে চাকরি করতে চান, তাদের জন্য হবে এটি একটি মর্যাদাপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জপূর্ণ পেশা।

বিশেষ করে, বাংলাদেশ পুলিশে এস আই (SI)  মানে হচ্ছে সাব- ইন্সপেক্টর । SI (Sub-Inspector). ভারতেও একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। এটা একটা নন ক্যাডার মধ্যম মানের পজিশন। নিয়োগ লাভের পর এক বছর প্রশিক্ষণ শেষে পোস্টিং হয়। বাংলায় যার অর্থ উপ- পরিদর্শক। পুলিশে এ এস আই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়না।  এস,আই (সাব-ইন্সপেক্টর) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

SI Police Salary
SI Police Salary: 1ss

Table of Contents

এসআই (SI) কী এবং এস আই এর কাজ কি

এসআই SI- পুলিশের একটি মধ্যমস্তরের পদ, যারা থানার দায়িত্ব পালন করেন এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশে কাজ করেন। এই পদের মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট থানা বা অঞ্চলের প্রশাসনিক কাজ পরিচালিত হয়ে থাকে।

এসআই-এর প্রধান দায়িত্বসমূহ হলো:

  • থানার নথি ও রিপোর্ট তৈরি করবেন।
  • অপরাধ তদন্ত পরিচালনা এবং তথ্য সংগ্রহ করবেন।
  • আদালতে সাক্ষী প্রদান করতে হবে।
  • থানার বিভিন্ন মামলা তদারকি করতে হবে।
  • থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্য গুলোকে কার্যক্রম পরিচালনা করা।
  • আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য পেট্রোলিং এবং টহল দেওয়া।

এস আই নিয়োগ যোগ্যতা

পুলিশের এই পদটি সেকেন্ড ক্লাস গেজেটেড অফিসার। সাব-ইন্সপেক্টরকে পুলিশের বাহিনীর মেরুদন্ড বলা হয়। কারণ, তারা ইনভেস্টিগেশন অফিসার হিসাবে প্রায় সকল মামলার তদন্ত করা সহ মাঠ পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করে। আর নিরস্ত্র মানে যারা মামলার তদন্ত করতে পারবে এবং অস্ত্র বহন করতে পারবে। যা সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী পারবে না।

তাছাড়া, এই পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য শারীরিক ও মানসিক উভয়ই দক্ষতা জরুরি।

Education – শিক্ষাগত যোগ্যতা:

  • শিক্ষাগত যোগ্যতাতে প্রার্থীদের অবশ্যই স্নাতক (Bachelor’s Degree)/ অনার্স পাস করতে হবে। সেটা যে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন আবশ্যক। এই পদে নিয়োগের জন্য নুন্যতম স্নাতক বা সমমানের পাশ হতে হবে।

বয়সসীমা:

  • বয়স সাধারণত ১৮-৩০ বছর হতে হবে তবে (বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বয়সসীমা আলাদা হতে পারে)।
এস আই নিয়োগ যোগ্যতা
এস আই নিয়োগ যোগ্যতা: 1ss

শারীরিক যোগ্যতা:

  • পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম উচ্চতা: ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি।
  • মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম উচ্চতা: ৫ ফুট ২ ইঞ্চি।
  • বুকের মাপ (পুরুষদের ক্ষেত্রে): ৩২ ইঞ্চি (স্ফীত অবস্থায় ৩৪ ইঞ্চি)।

sub inspector – এস আই নিয়োগ প্রক্রিয়া

SI – এসআই পদের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে:

  • লিখিত পরীক্ষা: সাধারণ জ্ঞান, গণিত, বাংলা ও পাশাপাশি ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে।
  • শারীরিক যোগ্যতার পরীক্ষা: উচ্চতা, ওজন, এবং দৌড়ের মাধ্যমে প্রার্থীদের শারীরিক সক্ষমতা যাচাই করতে হবে।
  • মৌখিক পরীক্ষা: প্রার্থীদের ব্যক্তিত্ব, যোগাযোগ দক্ষতা এবং মানসিক স্থিতি যাচাই করতে হয়।
  • মেডিকেল পরীক্ষা: স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীদের সামগ্রিক শারীরিক অবস্থা যাচাই করা হয়।

SI Police – এস আই এর সুযোগ সুবিধা

এসআই হিসেবে যোগদান করার পর আপনার প্রমোশন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ধাপে ধাপে আপনি ইন্সপেক্টর, ডিএসপি (ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ), এবং আরও উচ্চতর পদে উন্নতি করতে পারেন।

চাকরির সুবিধা ও সুযোগ

  • একটি স্থিতিশীল ও সম্মানজনক চাকরি হবে।
  • ভালো বেতন ও বিভিন্ন ভাতা প্রদান করবে।
  • সমাজের সেবা করার সুযোগ পাবেন।
  • পেনশন সুবিধা পাবেন।
  • বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

SI Police Salary – এসআই এর বেতন কত

পুলিশে সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পদে কাজ করার অন্যতম আকর্ষণ হলো এর সম্মানজনক বেতন কাঠামো ও অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা পাওয়া। বাংলাদেশে এসআই পদে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন অফিসারের বেতন নির্ধারিত হয় সরকারি পে-স্কেল অনুযায়ী।

SI  – এসআই এর মূল বেতন: SI Police Salary

বাংলাদেশে পুলিশ এসআইদের বেতন সাধারণত ৯ম বা ১০ম গ্রেড অনুযায়ী নির্ধারিত হয়ে থাকে। বর্তমানে:

  • মূল বেতন স্কেল: ১৬,০০০ — ৩৮,৬৪০ টাকা (সরকারি পে-স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী)।
  • এই বেতন প্রতি বছর ইনক্রিমেন্ট হারে (বৃদ্ধি) পায়।

অন্যান্য ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা:

আপনার মূল বেতন এর পাশাপাশি এসআই পদে আরও কিছু ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • গৃহ ভাতা পাবেন: মূল বেতনের ৪০%-৫০% হারে।
  • চিকিৎসা ভাতা পাবেন: প্রতি মাসে বা চিকিৎসার প্রয়োজন অনুযায়ী আলাদা বরাদ্দ থাকবে আপনার জন্য।
  • যাতায়াত ভাতা পাবেন: ডিউটি করার জন্য নির্ধারিত যাতায়াত খরচ প্রদান করা হবে।
  • ইউনিফর্ম ভাতা: প্রতি বছর নির্দিষ্ট অর্থ আপনার জন্য বরাদ্দ করা হবে।
  • উৎসব ভাতা: বছরে দুইবার (ঈদ বা ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে) ভাতা পাবেন।

অতিরিক্ত সুবিধা:

  1. থাকবার ব্যবস্থা পাবেন: অনেক ক্ষেত্রেই সরকারি বাসস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়।
  2. পেনশন সুবিধা পাবেন: অবসরের পর আজীবন পেনশন পাবেন।
  3. চিকিৎসা সুবিধা পাবেন: পুলিশ হাসপাতাল ও অন্যান্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি চিকিৎসা পাবেন।
  4. কর্মস্থল ভাতা: দূরবর্তী বা চ্যালেঞ্জিং এলাকায় কাজ করার জন্য আলাদা ভাতা পাবেন।
  5. প্রমোশন: প্রমোশনের মাধ্যমে উচ্চতর পদে উন্নীত হওয়ার সুযোগও রয়েছে।

ডিউটি অনুযায়ী অতিরিক্ত আয়:

কিছু বিশেষ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ আপনাকে প্রদান করা হবে, যেমন:

  • বিশেষ অভিযান বা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে।
  • নির্বাচনী ডিউটি।

অসুবিধা:

১। চ্যালেঞ্জিং জব। সর্বদা বিচক্ষণ
থাকতে হয়।
২। মাঝে মাঝে চরম বিরূপ পরিবেশে
কাজ করতে হয়। আপনার সামান্য ভুলের কারণে অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে।
৩। আপনি সৎ হওয়া সত্বেও, কতিপয় লোক আপনার সমালোচনা করতে পারে।
তবে আশার কথা হচ্ছে-
১। পূর্বে এসআই থেকে ইন্সপেক্টর(অর্থাৎ ওসি) এ প্রমোশন পেতে ১৫/১৬ বছর লেগে যেত। সরকারের আন্তরিকতায় বর্তমানে চাকরির মেয়াদ ৫ বছর ও ইন্সপেক্টরশীপ পাস করলেই প্রমোশন হয়ে যায়।
২। পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর টু আইজিপি
পর্যন্ত পদের রাঙ্ক ব্যাজ এক ধাপ উন্নতি
করার প্রক্রিয়া চলছে। আশা করি খুব
শীঘ্রই হয়ে যাবে।
আরও বিষয় গুলো জানতে পড়ুন-

সাব ইন্সপেক্টর- si exam syllabus পরীক্ষা পদ্ধতি:

পুলিশে সাব-ইন্সপেক্টর si (এসআই) পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য প্রার্থীদের বিভিন্ন ধাপে পরীক্ষা পাস করতে হবে আপনাকে। প্রত্যেকটি ধাপেই প্রার্থীদের শারীরিক, মানসিক এবং একাডেমিক যোগ্যতা যাচাই করা হয়। নিচে এসআই পরীক্ষার পুরো পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে বলা হলো:

১. প্রাথমিক ধাপ আবেদন ও স্ক্রিনিং

প্রার্থীরা বাংলাদেশ পুলিশের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে বা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এখানে আবেদন করতে পারবেন।

  • আবেদন ফি: উল্লেখ থাকবে- নির্ধারিত ফি জমা দিতে হয়।
  • আবেদন যাচাই করে প্রাথমিকভাবে যোগ্য প্রার্থীদের প্রথমে বাছাই করা হয়।

২. লিখিত পরীক্ষা – Written exam

লিখিত পরীক্ষায় সাধারণত (তিন-চার)  ৩-৪ টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে।

  • বাংলা:
    • পূর্ণমান: এখানে ২৫-৩০ নম্বর থাকে।
    • বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন:
      • বাংলা ব্যাকরণ: বিশেষ্য, ক্রিয়া, বাক্য গঠন, সমাস, প্রত্যয় ইত্যাদি ব্যাকরন বিষয়ে।
      • রচনা, প্রতিবেদন বা আবেদন পত্র লেখার চর্চা। এগুলো লেখার ক্ষমতা কেমন। বেশি বেশি অনুশীলন করবেন।
  • ইংরেজি:
    • পূর্ণমান: ২৫-৩০ নম্বর থাকে।
    • বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন:
      • ইংরেজি ব্যাকরণ: Tense, Preposition, Voice, Narration ইত্যাদি। এগুলোর বেশি বেশি ব্যবহার দেখবেন।
      • অনুবাদ (বাংলা থেকে ইংরেজি এবং ইংরেজি থেকে বাংলা)।
      • প্যারাগ্রাফ বা আবেদন পত্র লেখা।
  • গণিত:
    • পূর্ণমান: ২৫-৩০ নম্বর থাকে। 
    • বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন:
      • সাধারণ গণিত: যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ। ক্লাস ষষ্ঠ-দশম ই যথেষ্ট।
      • শতকরা, সুদ-কষা, সময় ও কাজ, গতি ও দূরত্ব। ক্লাস ষষ্ঠ-দশম ই যথেষ্ট।
      • জ্যামিতি বা মেন্টাল ম্যাথ। ক্লাস ষষ্ঠ-দশম ই যথেষ্ট।
  • সাধারণ জ্ঞান:
    • পূর্ণমান: ২৫-৩০ নম্বর থাকে।
    • বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন:
      • বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ। এসএসসি টাই যথেষ্ট।
      • সাম্প্রতিক ঘটনা (জাতীয় ও আন্তর্জাতিক)।
      • সাধারণ বিজ্ঞান।
      • ভূগোল, রাজনীতি, এবং ক্রীড়া।
  • পরীক্ষার ধরন হবে:
    • এমসিকিউ এবং বর্ণনামূলক প্রশ্ন এখানে থাকবে।
    • পূর্ণমান সাধারণত ১০০-২০০ নম্বরের মাঝে মার্ক থাকে।
    • ন্যূনতম পরীক্ষায় পাস নম্বর পেতে হয়।
  • পাস নম্বর:

    প্রত্যেক বিষয়ে আপনাকে আলাদা ভাবে পাস করতে হবে। আলাদা পাস নম্বর থাকতে পারে (সাধারণত ৫০%) এবং মোট নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি হয়।

পরীক্ষায় আপনি কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন? 

  • বাংলা ও ইংরেজি ভাষার ব্যাকরণ এবং সাহিত্য বেশি বেশি চর্চা করুন।
  • গণিতের বেসিক সমস্যা সমাধানের প্রতিদিন অভ্যাস করুন।
  • সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে নিয়মিত খবর/নিউজ পড়ুন এবং বিগত বছরের প্রশ্নপত্র বেশি বেশি অনুশীলন করুন।

৩. শারীরিক যোগ্যতার পরীক্ষা

লিখিত পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবেন তারাই শারীরিক পরীক্ষার জন্য আমন্ত্রিত হন।

  • পরীক্ষার অংশ:
    • দৌড়: নির্দিষ্ট দূরত্বে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দৌড় শেষ করতে হয়।
      • পুরুষরা: ১৬০০ মিটার (৬ মিনিটের মধ্যে)।
      • মহিলারা: ৮০০ মিটার (৫ মিনিটের মধ্যে)।
    • উচ্চতা হতে হবে:
      • পুরুষ: ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি।
      • মহিলা: ৫ ফুট ২ ইঞ্চি।
    • ওজন: উচ্চতা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
    • বুকের মাপ (পুরুষদের জন্য):
      • স্বাভাবিক অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি হতে হবে।
      • প্রসারিত অবস্থায় ৩৪ ইঞ্চি হতে হবে।

৪. মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা বা  Psychological Test

এই পরীক্ষায় প্রার্থীদের মানসিক স্থিতি, নেতৃত্বের বিভিন্ন গুণাবলী এবং চাপ সামলানোর দক্ষতা যাচাই করা হয়।

৫. মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা)

যদি লিখিত ও শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যান তাহলে আপনাকে ভাইভা বোর্ডে ডাকা হবে।

  • পরীক্ষার ধরন:
    • প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব, আত্মবিশ্বাস এবং যোগাযোগ দক্ষতা এখানে যাচাই করা হয়।
    • সাধারণ জ্ঞান, আইন সংক্রান্ত প্রশ্ন এবং প্রার্থীর পূর্ব অভিজ্ঞতা নিয়ে বিভিন্ন ভাবে আলোচনা করা হয়।
  • পূর্ণমান: ২৫-৫০ নম্বর হয়।

৬. মেডিকেল পরীক্ষা

সর্বশেষ হচ্ছে মেডিকেল ধাপ। এ ধাপে প্রার্থীদের শারীরিক ও স্বাস্থ্যগত অবস্থা যাচাই করা হয়ে থাকে।

  • মেডিকেল পরীক্ষায় রক্ত, দৃষ্টিশক্তি, শারীরিক ত্রুটি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত বিষয় পরীক্ষা এখানে করা হয়।

৭. চূড়ান্ত নির্বাচন ও প্রশিক্ষণ

  • সব ধাপ সফলভাবে পাস করার পর প্রার্থীদের মেধা অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হয়।
  • নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য এক থেকে দেড় বছরের কঠোর প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা হয়।
    • এখানে প্রশিক্ষণের বিষয়:
      • শারীরিক ফিটনেস উন্নয়ন।
      • অস্ত্র চালনা শিখা।
      • আইনের ব্যবহার।
      • জনসংযোগ এবং নেতৃত্ব দেওয়া।
এসআই হওয়ার জন্য কোন ধরনের পরীক্ষা দিতে হয়
এসআই হওয়ার জন্য কোন ধরনের পরীক্ষা দিতে হয়

FAQ – এসআই (সাব-ইন্সপেক্টর) সম্পর্কিত সাধারণ প্রশ্ন

১. প্রশ্ন: এসআই হওয়ার জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা কি?

উত্তর: এসআই পদের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনাকে স্নাতক (গ্রাজুয়েশন) সম্পন্ন করতে হবে। তবে স্নাতক পাসের সাথে ভালো ফলাফল থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

২. প্রশ্ন: এসআই হওয়ার বয়সসীমা কত? 

উত্তর:

  • সাধারণ প্রার্থীদের জন্য: ১৯ থেকে ২৭ বছর হয়।
  • মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য: সর্বোচ্চ ৩২ বছর হয়।

৩. প্রশ্ন: এসআই পদের জন্য শারীরিক যোগ্যতার মানদণ্ড কি?

উত্তর:

  • পুরুষ:
    • উচ্চতা: ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি।
    • বুকের মাপ: স্বাভাবিক অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি, প্রসারিত অবস্থায় ৩৪ ইঞ্চি হতে হবে।
  • মহিলা:
    • উচ্চতা: ৫ ফুট ২ ইঞ্চি হতে হবে।
    • ওজন: উচ্চতা অনুযায়ী উপযুক্ত হতে হবে।

৪. প্রশ্ন: এসআই হওয়ার জন্য কোন ধরনের পরীক্ষা দিতে হয়?

উত্তর: এসআই পদে নিয়োগের জন্য আপনাকে তিন ধাপে পরীক্ষা দিতে হবে:

  1. লিখিত পরীক্ষা এখানে (বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান)।
  2. শারীরিক যোগ্যতার পরীক্ষা দিতে হবে।
  3. মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) দিতে হবে।

৫. প্রশ্ন: এসআই-এর মাসিক বেতন কত? SI Police Salary ? 

উত্তর: এসআইদের বেতন স্কেল সাধারণত ৯ম বা ১০ম গ্রেডে পড়ে।

  • মূল বেতন: ১৬,০০০ থেকে ৩৮,৬৪০ টাকা হয়ে থাকে।
  • এর সাথে অন্যান্য ভাতা সংযুক্ত হলে মোট বেতন প্রায় ২৫,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকা বা তার বেশি হতে পারে। SI Police Salary

৬. প্রশ্ন: এসআই পদের জন্য কি দৃষ্টিশক্তি ভাল হতে হবে?

উত্তর: হ্যাঁ, এসআই পদের জন্য ভালো দৃষ্টিশক্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কোনো গুরুতর চশমা নির্ভরতা বা চোখের সমস্যার ক্ষেত্রে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারে।

৭. প্রশ্ন: এসআই পদের জন্য নারী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন কি?

উত্তর: অবশ্যই, নারী প্রার্থীরাও এসআই পদের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে তাদের উচ্চতা এবং ওজনের মানদণ্ড পুরুষ প্রার্থীদের তুলনায় একটু আলাদা।

৮. প্রশ্ন: এসআই পদে প্রশিক্ষণের সময় কতদিন লাগে?

উত্তর: এসআই পদে নির্বাচিত হলে প্রার্থীদের সাধারনত প্রায় ১ থেকে ১.৫ বছরের প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এ সময় তাদের শারীরিক, মানসিক এবং আইন-সংক্রান্ত বিভিন্ন দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

৯. প্রশ্ন: এসআই হওয়ার জন্য শারীরিক পরীক্ষায় কী কী করতে হয়?

উত্তর: শারীরিক পরীক্ষায় সাধারণত নিচের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে:

  • নির্দিষ্ট সময়ে দৌড় দিতে হবে।
  • লং জাম্প এবং হাই জাম্প দিতে হবে।
  • শারীরিক শক্তি ও নমনীয়তা পরীক্ষা দিতে হবে।
এসআই পরীক্ষার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেব
এসআই পরীক্ষার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেব

১০. প্রশ্ন: এসআই পদের জন্য কত উচ্চমাধ্যমিক বা স্নাতক ফলাফল থাকতে হবে?

উত্তর: আবেদন করার জন্য ন্যূনতম স্নাতক পাস থাকলেই আপনি আবেদন করতে পারবেন। তবে ভালো ফলাফল থাকলে প্রার্থীর মেধা তালিকায় অগ্রাধিকার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

১১. প্রশ্ন: এসআই পরীক্ষার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেব?

উত্তর:

  • বাংলা ও ইংরেজি ব্যাকরণে দক্ষতা বাড়ান। বেশি বেশি অনুশীলন করুন।
  • গণিতের সাধারণ সমস্যা সমাধানের অনুশীলন করুন।
  • সাধারণ জ্ঞান এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
  • প্রতিদিন শরীরচর্চা করুন যাতে শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন।

১২. প্রশ্ন: এসআই পদে কি প্রমোশন পাওয়ার সুযোগ আছে?

উত্তর: হ্যাঁ, এসআই পদে নিয়মিত প্রমোশন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। দক্ষতা ও কর্মদক্ষতার উপর ভিত্তি করে আপনি ইন্সপেক্টর, এএসপি (সহকারী পুলিশ সুপার) এবং উচ্চতর পদে আপনি উন্নীত হতে পারেন।

১৩. প্রশ্ন: এসআই পদে নিয়োগের সময় কী ধরণের মেডিকেল পরীক্ষা হয়?

উত্তর: মেডিকেল পরীক্ষায় রক্ত পরীক্ষা হয়, দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা, উচ্চতা ও ওজন পরিমাপ এবং শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষা হয়।

১৪. প্রশ্ন: এসআই পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়?

উত্তর: প্রার্থী যতবার বয়সসীমার মধ্যে থাকবেন, ততবার আবেদন করতে পারবেন। ১৯ থেকে ২৭ বছর এর ভিতর দিতে পারবেন।

উপসংহার

উপসংহারে বলা যায়, এসআই পদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। SI Police Salary সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো। পুলিশে সাব-ইন্সপেক্টর হওয়া শুধু একটি চাকরি নয়, বরং এটি একটি দায়িত্বপূর্ণ জীবনযাত্রা। যারা এই পেশায় আসতে চান, তাদের উচিত নিয়মিত পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করা। সঠিক দিকনির্দেশনা ও কঠোর পরিশ্রমই আপনাকে এসআই পদে সফল হতে সাহায্য করবে। তাই লেগে থাকুন ও দেশের সেবা করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *