৭ দিনে মেদ কমানোর উপায়
কিভাবে ওজন কমানো যায় :- শস্যদানা থেকে উৎপাদিত খাবার খেলে ফ্যাটযুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমবে। ওজন কমানোর বড় দাওয়াই হচ্ছে সবুজ শাকসবজি। বেশি করে শাকসবজি আপনাকে স্বাস্থ্যকর থাকতে সাহায্য করে। সবুজ শাকসবজি পুষ্টিতে ভরপুর এবং কম ক্যালোরিযুক্ত হয়। ওজন কমানোর অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে আপনাকে অবশ্যই সুষম খাবার খেতে হবে। এবং বাইরের তেলে ভাজা খাবার খাদ্যতালিকা থেকে একেবারেই বাদ দিতে হবে।
দ্রুত মেদ কমানোর উপায়
খাদ্যতালিকায় ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যেমন—লাল চাল বা লাল আটার তৈরি খাবার এবং শাকসবজি ও ফলমূলজাতীয় খাবারে মিলবে আঁশ। গ্রিন-টিতে আছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা পেটের মেদ কমাতে খুব বেশি কার্যকর। তাই দুধ ও চিনি বেশি দিয়ে চা পানের অভ্যাস বদলে নিন গ্রিন-টিতে।
১) দ্রুত হাঁটা
হাঁটার কথা তো সবসময়ই শোনা যায়। কিন্তু দ্রুত মেদ কমানোর উপায় যদি চিন্তা করেন তবে সেক্ষেত্রে হাঁটার কোন বিকল্প নেই। প্রথমেই ওয়ার্ম আপ করে নিয়ে ৫ মিনিট দ্রুত হাঁটুন, তারপর ৩০ সেকেন্ড এর বিরতি, এই ৩০ সেকেন্ড আস্তে আস্তে হাঁটুন। এভাবে কয়েকবার করতে হবে। প্রথম প্রথম ২০ মিনিট করুন, তারপর আস্তে আস্তে ৫০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত করতে পারেন। এই ব্যায়ামে ১ মাসে ১৩ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমতে পারে।
২) গ্রিন টি
গ্রিন টি সম্পর্কে সবাই কম বেশি জানেন। অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে এর কোন জুড়ি নেই। মেটাবোলিজমের হার বাড়িয়ে বাড়তি মেদ জমতেও দেয় না।
৩) আয়রন
আয়রন এর অভাব হলে অক্সিজেনের অভাব হয়। তখন মেটাবোলিজমের হারও কমে যায়। এজন্য আয়রন খাওয়া খুবই জরুরী। কচু শাকে ও কলায় প্রচুর আয়রন আছে। প্রয়োজনে আয়রন ট্যাবলেটও খাওয়া যেতে পারে।
৪) পানি
পানি পান না করে তো বাঁচা যায় না, কিন্তু পানি যে ওজন-ও কমায়, এটা হয়তো অনেকেই জানি না। এখন দিনে আপনি যতটা পানি পান করেন তার চেয়ে যদি দেড় লিটার প্রতিদিন বেশি পান করেন, তবে বছরে ১৭,৪০০ অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন করা সম্ভব। কিভাবে ওজন কমানো যায়
৫) সকালের নাস্তা
অনেকেই মেদ ঝরাতে সকালে না খেয়ে থাকেন। এটা কখনোই করবেন না। সকালে না খেলে মেটাবোলিজমের হার অনেক কমে যায়। তাই ফ্যাট-ও বার্ন হয় না।
৬) প্রোটিন
প্রোটিন জাতীয় খাবার প্রতি বেলাতেই কিছু না কিছু খেতে হবে। এতে করে মেটাবোলিজমের হার বেড়ে যায়।
৭) দৈনিক যে খাবারগুলো খাবেন, সেগুলো একবারে না খেয়ে বার বার করে অল্প অল্প করে গ্রহণ করুন। এতে করে আপনার ব্রেনকে ফাঁকি দেয়া হবে, তখন আপনার মেটাবোলিজমের হার-ও বাড়তেই থাকবে।
একটি রুটিন করে নিয়ে তা ফলো করতে পারেন।
যেমন-
সকাল ৮টা – নাস্তা
সকাল ১১টা – হালকা স্ন্যাকস
দুপুর ১টা – দুপুরের খাবার
বিকাল ৪টা – হালকা খাবার
রাত ৯টা – ডিনার
রাত ১০/১১টা – এক গ্লাস দুধ।
পুরো শরীরের মেদ কমানোর উপায়
যেমন—লাল চাল বা লাল আটার তৈরি খাবার এবং শাকসবজি ও ফলমূলজাতীয় খাবারে মিলবে আঁশ। গ্রিন-টিতে আছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা পেটের মেদ কমাতে খুব বেশি কার্যকর। তাই দুধ ও চিনি বেশি দিয়ে চা পানের অভ্যাস বদলে নিন গ্রিন-টিতে। আখরোট, কাঠবাদাম ও সামুদ্রিক মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস।
দৈনিক কত ক্যালরি প্রয়োজন
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলার গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৬০০ থেকে ২৪০০ ক্যালরি পরিমান খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন এবং একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের দৈনিক ২০০০ থেকে ৩০০০ ক্যালরি পরিমান খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। একটি শিশুর প্রতিদিন ১০০০ ক্যালোরি পরিমান খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এক মাসে ওজন কমাতে ‘ডায়েট চার্ট’

চর্বি জমার কারণ এবং প্রতিকার
মানবদেহে চর্বি জমা হতে হতে মানুষের ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে, মেদভুঁড়ি দেখা দেয়, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পায়। যার ফলে কায়িক শ্রম সম্পাদনের যোগ্যতা কমে যায়। কায়িক শ্রম না করার ফলে ব্যক্তি আরও বেশি মোটাসোটা হতে থাকে। ফলে মানুষ এক ধরনের দুষ্টচক্রে পড়ে আরও বেশি মোটা ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পতিত হয়।
১. ভরপেট খাওয়ার পরে আলস্য এসে ভর করে। আর খাওয়ার পরেই যারা ভাতঘুমে যান, তাদের পেটে চর্বি জমার প্রবণতা থাকে সব থেকে বেশি।
দীর্ঘক্ষণ বসে যারা কাজ করেন, তাদের পেটেও ধীরে ধীরে চর্বি জমে যায়। বাড়তি চর্বি শুধু সৌন্দর্যকেই ম্লান করে দেয় না, সেই সঙ্গে নানা রোগও ডেকে আনে।
২. শরীরে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকলে হাত, মুখ, পেট এবং উরু এই জায়গাগুলোতেই বেশি জমে। বাড়তি চর্বি জমে যাওয়ার আগেই সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
আর চর্বি যদি জমেই যায়, নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস আর ব্যায়ামে সেটিকে অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে। কোন্ কারণে চর্বি জমছে, সেই কারণটিকে চিহ্নিত করে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে।
৩. মানবদেহে চর্বি জমা হতে হতে মানুষের ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে, মেদভুঁড়ি দেখা দেয়, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পায়।
যার ফলে কায়িক শ্রম সম্পাদনের যোগ্যতা কমে যায়। কায়িক শ্রম না করার ফলে ব্যক্তি আরও বেশি মোটাসোটা হতে থাকে।
ফলে মানুষ এক ধরনের দুষ্টচক্রে পড়ে আরও বেশি মোটা ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পতিত হয়।