এলার্জি কি

এলার্জি কি – কেন হয়, লক্ষণ ও চিকিৎসা

শেয়ার করুন

Table of Contents

এলার্জি কি

এলার্জি কি: এলার্জি একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা যা আজকাল অনেকেরই জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। এটি আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমের প্রতিক্রিয়া, যা ক্ষতিকারক নয় এমন পদার্থকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে। এলার্জি সাধারণত তীব্র অস্বস্তি এবং অস্বাস্থ্যকর অবস্থার সৃষ্টি করে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করতে পারে। এলার্জির বিভিন্ন কারণ এবং লক্ষণ রয়েছে, যা প্রতিটি মানুষের জন্য ভিন্ন হতে পারে। এ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

what is allergy – এলার্জি কি

এলা’র্জি হল শরীরের ইমিউন সিস্টেমের অতিসংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া, যা সাধারণত ক্ষতিকারক নয় এমন কিছু পদার্থের বিরুদ্ধে ঘটে। এলার্জির প্রভাব ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি এবং কারণ অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। এলার্জির সাধারণ লক্ষণগুলো হল হাঁচি, চোখের পানি পড়া, ত্বকের চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, এবং ত্বকে র‍্যাশ।

এলার্জি কি কারনে হয়

allergy- বেশ কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে। কিছু প্রধান কারণ নিচে দেওয়া হল:

  • ধূলা: ঘরের ধূলা বা বাইরের ধূলায় থাকা মাইক্রোস্কোপিক অণুজীবগুলো এলার্জির প্রধান উৎস।
  • পরাগরেণু: গাছের পরাগরেণু অনেকের জন্য অ্যালার্জির কারণ হতে পারে, বিশেষ করে বসন্তকালে।
  • খাদ্য: কিছু খাবারের প্রতি মানুষের সংবেদনশীলতা থাকতে পারে। যেমন, বাদাম, দুধ, ডিম ইত্যাদি।
  • পশুর লোম: পোষা প্রাণীর লোম অনেকের শরীরে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।
  • ঔষধ: কিছু ঔষধ, যেমন পেনিসিলিন, মানুষের মধ্যে অ্যালার্জি ঘটাতে পারে।

এলার্জির লক্ষণ – allergy symptoms

এলার্জির লক্ষণ বিভিন্ন হতে পারে এবং এটি সংবেদনশীলতার মাত্রার উপর নির্ভর করে। কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো:

  • নাক দিয়ে পানি পড়া
  • চোখের চুলকানি বা লালচে হওয়া
  • ত্বকের র‍্যাশ বা চুলকানি
  • শ্বাসকষ্ট
  • হাঁচি ও কাশি

স্কিন এলার্জি কেন হয় – skin allergy

সাধারণত স্কিন এলার্জি তখন হয় যখন শরীরের ইমিউন সিস্টেম কোনো নির্দিষ্ট পদার্থকে ক্ষতিকারক হিসেবে চিনতে পারে এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই প্রতিক্রিয়া ত্বকে প্রদাহ, চুলকানি, র‍্যাশ, বা ফুসকুড়ির মতো লক্ষণ সৃষ্টি করে। স্কিন এলার্জির পেছনে বেশ কয়েকটি সাধারণ কারণ থাকতে পারে। এলার্জি কি

স্কিন এলার্জি কেন হয়
স্কিন এলার্জি কেন হয়: 1secondschool

স্কিন এলার্জির কারণ :

  • কেমিক্যাল বা প্রসাধনী পণ্য: অনেক স্কিন কেয়ার বা প্রসাধনী পণ্যে থাকা রাসায়নিক উপাদান ত্বকের জন্য সহনীয় নয়। সুরভিত সাবান, লোশন, মেকআপ বা ডিটারজেন্টে ব্যবহৃত কিছু রাসায়নিক পদার্থ ত্বকের অ্যালার্জি ঘটাতে পারে।
  • ধাতব সংস্পর্শ: কিছু ধাতব, যেমন নিকেল বা ক্রোম, ত্বকের সাথে সংস্পর্শে এলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের এলার্জি প্রায়ই গয়না, বেল্ট, বা অন্যান্য ধাতব সামগ্রীর সংস্পর্শে আসার ফলে হয়।
  • খাদ্য অ্যালার্জি: কিছু খাবার, যেমন শেলফিশ, বাদাম, ডিম ইত্যাদি, মানুষের শরীরে স্কিন অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। এই অ্যালার্জি শরীরে চুলকানি, র‍্যাশ বা ত্বকের প্রদাহের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
  • পোলেন ও ধূলা: বাইরের ধূলা ও পরাগরেণু অনেক সময় ত্বকের অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যাদের ধূলাবালি বা ফ্লাওয়ার পোলেনের প্রতি সংবেদনশীলতা রয়েছে, তারা ত্বকে চুলকানি বা র‍্যাশের সম্মুখীন হতে পারেন।
  • ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ঔষধ যেমন অ্যান্টিবায়োটিক, পেইন কিলার ইত্যাদি ব্যবহার করলে কিছু মানুষের ত্বকে অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এটি সাধারণত হঠাৎ করে শরীরে র‍্যাশ বা ফুসকুড়ির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
  • পোষা প্রাণীর লোম: পোষা প্রাণীদের লোম বা ত্বকের ঝরানো অংশও অনেকের ত্বকে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এটি ত্বকের সংস্পর্শে এসে প্রদাহ, চুলকানি বা লালচেভাব তৈরি করে।
  • গরম বা ঠাণ্ডা আবহাওয়া: অত্যন্ত গরম বা ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ত্বকের শুষ্কতা বা র‍্যাশ হতে পারে। গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত ঘাম বা শীতকালে শুষ্ক বাতাস ত্বকে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।

মুখে এলার্জি কেন হয়

সাধারণত ইমিউন সিস্টেমের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়ার ফলে  মুখে এলার্জি ঘটে, যা মুখের ত্বকে সংবেদনশীলতা তৈরি করে। এর কয়েকটি সাধারণ কারণ হল:

  • প্রসাধনী পণ্য: ফাউন্ডেশন, লিপস্টিক, ময়েশ্চারাইজার ইত্যাদির রাসায়নিক উপাদানে মুখের ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে।
  • খাদ্য: বাদাম, শেলফিশের মতো কিছু খাবারে মুখে ফোলাভাব বা র‍্যাশ দেখা দিতে পারে।
  • মেডিসিন: কিছু ঔষধ, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক, মুখে র‍্যাশ তৈরি করতে পারে।
  • পরিবেশগত উপাদান: পরাগরেণু, ধূলা বা ধোঁয়া মুখের ত্বকে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
  • পোষা প্রাণীর লোম: পোষা প্রাণীর লোম বা ত্বকের ঝরা অংশ অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।

এলার্জি মুক্ত খাবারের তালিকা – allergy food list bangla

 Allergy মুক্ত খাবার নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যারা অ্যালার্জি সংবেদনশীল। এখানে কিছু সাধারণ অ্যালার্জেন মুক্ত খাবারের তালিকা দেওয়া হলো, যা বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ:

এলার্জি জাতীয় খাবার হলো :

  • ফলমূল: আপেল, কলা, পেঁপে, তরমুজ, আম, পেয়ারা ইত্যাদি সাধারণত অ্যালার্জি মুক্ত এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর।
  • শাকসবজি: গাজর, ব্রোকলি, কুমড়া, পালং শাক, পটল, মিষ্টি আলু, ঢেঁড়স ইত্যাদি শাকসবজি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যালার্জি মুক্ত।
  • চাল: সাদা বা লাল চাল অ্যালার্জি মুক্ত এবং অনেকের ডায়েটের একটি নিরাপদ বিকল্প।
  • মাংস: দেশি মুরগির মাংস, খাসির মাংস বা গরুর মাংস সাধারণত অ্যালার্জি মুক্ত। তবে প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়িয়ে চলা ভালো।
  • ডাল: মুগ, মসুর, মটর ডাল প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং অ্যালার্জি মুক্ত খাবারের মধ্যে অন্যতম।
  • দুধের বিকল্প: যারা দুধে অ্যালার্জি আছে, তারা সয়া দুধ, বাদামের দুধ, বা নারকেলের দুধ ব্যবহার করতে পারেন।
  • তৈলবীজ: সূর্যমুখী বীজ, ফ্ল্যাক্সসিড বা চিয়া বীজ সাধারণত অ্যালার্জি মুক্ত এবং ভালো ফ্যাট সরবরাহ করে।
  • স্যালাড উপকরণ: শশা, টমেটো, গাজর, লেটুসপাতা দিয়ে তৈরি স্যালাড বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর।
  • ওটস ও কর্নফ্লেক্স: গ্লুটেন ফ্রি ওটস এবং সাধারণ কর্নফ্লেক্স অ্যালার্জি মুক্ত খাবার হিসেবে জনপ্রিয়।
  • নারকেল ও খেজুর: নারকেল ও খেজুরের মতো প্রাকৃতিক মিষ্টি খাবার অ্যালার্জি মুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর।

আরও পড়ুন:

থাইরয়েড টেস্ট – রোগীর খাবার ও চিকিৎসাবাচ্চাদের টিকা – কয়টি ও কি কি এবং তালিকা

E Cap Capsule – কিভাবে কাজ করে ও উপকারিতা

কোন কোন শাকে এলার্জি আছে

কিছু শাক সবজিতে মানুষের শরীরে অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সেগুলো হলো:

  • পালং শাক: এতে থাকা অক্সালেট ত্বকের চুলকানি বা পেটে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
  • লাল শাক: গলা চুলকানি বা শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
  • মুলো শাক: ত্বকে ফুসকুড়ি বা চুলকানি তৈরি করতে পারে।
  • ঢেঁড়স: মুখে বা গলায় চুলকানি ও ত্বকে র‍্যাশ হতে পারে।
  • কুমড়া শাক: ত্বকের প্রদাহ বা চুলকানি ঘটাতে পারে।
  • সরিষা শাক: শ্বাসকষ্ট বা ত্বকের অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
  • চিচিঙ্গা শাক: পেটে অস্বস্তি, বমি বা ত্বকে প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে।

কোন কোন সবজিতে এলার্জি নেই

বেশ কিছু সবজি রয়েছে যেগুলোতে সাধারণত অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না এবং বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ। নিচে অ্যালার্জি মুক্ত সবজির তালিকা দেওয়া হলো:

  • গাজর
  • বাঁধাকপি
  • টমেটো
  • শসা
  • মিষ্টি আলু
  • করলা
  • লাউ
  • চিচিঙ্গা
  • ঝিঙা
কোন সবজিতে এলার্জি নেই
কোন সবজিতে এলার্জি নেই: 1ss

কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই

কিছু খাবার সাধারণত অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না এবং বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ বলে বিবেচিত। নিচে  এলার্জি মুক্ত খাবারের তালিকা দেওয়া হলো:

  • চাল (সাদা বা লাল চাল)
  • গাজর
  • শসা
  • পেঁপে
  • মিষ্টি আলু
  • লাউ
  • বাঁধাকপি
  • নাশপাতি
  • খেজুর
  • শাকসবজি (যেমন মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়স)

এগুলো বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ এবং অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। তবে পার্সনভেদে/ ব্যক্তিগতভাবে কিছু মানুষের মধ্যে অ্যালার্জি সংবেদনশীলতা থাকতে পারে, তাই নতুন কিছু খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা – allergy treatment at home

এলার্জি থেকে স্বস্তি পেতে অনেক ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে উপসর্গগুলো কমাতে সহায়ক হতে পারে। এই ঘরোয়া চিকিৎসা উপায়গুলো অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া কমাতে প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার করা হচ্ছে:

১. মধু:

মধুতে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা অ্যালার্জি প্রতিরোধে সহায়ক। প্রতিদিন এক চামচ কাঁচা মধু খাওয়া শরীরের ইমিউন প্রতিক্রিয়া উন্নত করতে পারে এবং অ্যালার্জির উপসর্গগুলো কমাতে পারে।

২. হলুদ:

হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। এক গ্লাস গরম দুধের সাথে আধা চামচ হলুদ মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হ্রাস পায়।

৩. আদা চা:

আদা অ্যালার্জির কারণে হওয়া শ্বাসকষ্ট, সর্দি, ও গলা চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। আদার চা শরীরের ভেতরকার প্রদাহ কমায় এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে।

৪. গোলমরিচ:

গোলমরিচ অ্যালার্জির কারণে নাক বন্ধ হওয়া বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতে কার্যকর। এক কাপ গরম পানিতে কয়েকটি গোলমরিচ মিশিয়ে চা তৈরি করে খেলে শ্বাসনালী পরিষ্কার হয়।

৫. লেবু এবং আদা পানি:

একটি লেবুর রস ও এক টুকরো আদা পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হয় এবং অ্যালার্জির উপসর্গ কমে। এটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।

৬. নুন পানি দিয়ে গার্গল:

গলা চুলকানো বা গলার অস্বস্তি থাকলে লবণ পানি দিয়ে গার্গল করা খুবই কার্যকর। এটি গলা পরিষ্কার রাখে এবং জীবাণু ধ্বংস করে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া কমায়।

৭. ভাপ নেওয়া:

গরম পানির ভাপ নেওয়া অ্যালার্জির কারণে সাইনাস বন্ধ হওয়া বা নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এক চামচ ইউক্যালিপটাস তেল গরম পানিতে মিশিয়ে ভাপ নিলে শ্বাসনালী পরিষ্কার হয়।

৮. অ্যালোভেরা জেল:

অ্যালোভেরা ত্বকের অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়ায় খুবই উপকারী। ত্বকের চুলকানি বা র‍্যাশ হলে তাজা অ্যালোভেরা জেল প্রয়োগ করলে তা প্রশমিত হয়।

৯. তুলসী পাতা:

তুলসী পাতার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য অ্যালার্জির উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। তুলসী পাতা চা তৈরি করে খেলে শ্বাসজনিত সমস্যা বা গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এলার্জি কি

১০. প্রচুর পানি পান:

অ্যালার্জির সময় শরীর হাইড্রেটেড রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায় এবং অ্যালার্জির লক্ষণগুলো কমে।

এলার্জি ট্যাবলেট এর নাম – allergy tablet

allergy – এলার্জি চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত কিছু সাধারণ ট্যাবলেটের নাম নিম্নরূপ:

  • অ্যালার্জি প্রতিরোধক ট্যাবলেট:
  • হিস্টামিন ব্লকার:
  • কর্টিকোস্টেরয়েড (প্রয়োজন অনুসারে):
    • প্রেডনিসোন (Prednisone)
    • বেটামেথাসোন (Betamethasone)
  • অ্যান্টিহিস্টামিন:
    • ক্লোরফেনিরামিন (Chlorpheniramine)
    • ডক্সিলামিন (Doxylamine)

এগুলি বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জির উপসর্গ কমাতে ব্যবহৃত হয়। তবে, ব্যবহারের আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা সঠিক ডোজ এবং চিকিৎসা নির্ধারণে সাহায্য করবেন।

এলার্জির এন্টিবায়োটিক ঔষধ
এলার্জির এন্টিবায়োটিক ঔষধ

এলার্জির এন্টিবায়োটিক ঔষধ – allergy medicine

সাধারণত অ্যালার্জির চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলো হলো:

  1. অ্যান্টিহিস্টামিন:
    • সিট্রিজিন (Cetirizine)
    • লোরাটাডিন (Loratadine)
    • ফেক্সোফেনাডিন (Fexofenadine)
  2. কর্টিকোস্টেরয়েড (প্রয়োজনে):
  3. অ্যান্টিবায়োটিক (যদি সংক্রমণ হয়):

এলার্জি টেস্ট খরচ কত – allergy test price

এলার্জি পরীক্ষার খরচ নির্ভর করে পরীক্ষার ধরন, রোগ নির্ণয় কেন্দ্র এবং অবস্থানের ওপর। বাংলাদেশে সাধারণত নিম্নলিখিত এলার্জি টেস্টগুলোর খরচের একটি সাধারণ পরিসীমা দেওয়া হলো:

  • স্কিন প্রিক টেস্ট (Skin Prick Test):
    • খরচ: ২,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত
  • ব্লাড টেস্ট (IgE Blood Test):
    • খরচ: ৩,০০০ থেকে ৮,০০০ টাকা পর্যন্ত
  • প্যাচ টেস্ট (Patch Test):
    • খরচ: ৩,০০০ থেকে ৬,০০০ টাকা পর্যন্ত
  • RAST (Radioallergosorbent Test):
    • খরচ: ৪,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত

এসব পরীক্ষার জন্য খরচ ক্লিনিক বা হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল এবং কখনও কখনও টেস্টের সংখ্যা বা টার্গেট অ্যালার্জেনের ওপরও প্রভাব পড়তে পারে।

এলার্জি ডাক্তার – allergist specialist

এলার্জি সমস্যার জন্য বাংলাদেশে অনেক দক্ষ চিকিৎসক রয়েছেন। তাদের নাম এবং ঠিকানাসহ কয়েকজন এলার্জি বিশেষজ্ঞের তথ্য নিচে দেওয়া হলো:

১. প্রফেসর ডা. মাহমুদুর রহমান

  • বিশেষজ্ঞ: অ্যালার্জি ও ইমিউনোলজি
  • ঠিকানা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (BSMMU), শাহবাগ, ঢাকা
  • চেম্বার: ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা
  • যোগাযোগ: +880-2-58610793

২. ডা. মো. আতাউর রহমান

  • বিশেষজ্ঞ: অ্যালার্জি, অ্যাজমা ও ইমিউনোলজি
  • ঠিকানা: এভারকেয়ার হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা
  • যোগাযোগ: +880-2-9612345

৩. ডা. এ কে এম ফজলুল হক

  • বিশেষজ্ঞ: অ্যালার্জি ও ইমিউনোলজি
  • ঠিকানা: গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গ্রীন রোড, ঢাকা
  • যোগাযোগ: +880-2-9612340

৪. প্রফেসর ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন

  • বিশেষজ্ঞ: অ্যালার্জি, অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্ট
  • ঠিকানা: স্কয়ার হাসপাতাল, পান্থপথ, ঢাকা
  • যোগাযোগ: +880-2-8144400

৫. ডা. মোহাম্মদ জামিলুর রহমান

  • বিশেষজ্ঞ: অ্যালার্জি ও ইমিউনোলজি
  • ঠিকানা: আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা
  • যোগাযোগ: +880-2-58610065

আরও পড়ুন:

ধুমপানের প্রভাবে কি হয় দেখুন

চিরতা পাতার উপকারিতা

সুগার রোগীর আদর্শ খাদ্য তালিকা

উপসংহার:

এলার্জি কি ”  থেকে মুক্তি পেতে সঠিক জ্ঞান এবং চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এলার্জির উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সঠিক পরিচ্ছন্নতা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করে অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *