সুগার রোগীর খাদ্য তালিকা

সুগার রোগীর খাদ্য তালিকা

শেয়ার করুন

সুগার রোগীর খাদ্য তালিকা

সুগার রোগীর খাদ্য তালিকা : টাইপ ২ ডায়াবেটিস হলেই যে আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিতে হবে—তা নয়। আপনি বিভিন্ন রকমের খাবার খেতে পারবেন, তবে কিছু খাবার অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে আপনাকে মনে করে খেতে হবে।

এক্ষেত্রে তিনটি বিষয় বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ—

  • বৈচিত্রময় খাবার খাওয়া: প্রতিদিন একই ধরনের না খেয়ে, নানান ধরনের ফলমূল, শাকসবজি ও কিছু শ্বেতসার-জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন: লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি ও আলু।
  • এসব খাবার কমিয়ে দিন: লবণ , চিনি ও চর্বিজাতীয় খাবারের পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দিতে হবে আপনাকে, অর্থাৎ যতটুকু না খেলেই নয় ঠিক ততটুকুই খেতে হবে।
  • প্রতিদিন সময়মত খাবার খান: প্রতিদিন সকালের (ব্রেকফাস্ট) নাশতা, দুপুরের ও রাতের খাবার সময়মত আপনাকে খেতে হবে। কোনো বেলার খাবার যেন বাদ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সুগার রোগীর খাদ্য তালিকা

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট এবং খাদ্য তালিকা

বহুমূত্ররোগ হলে ক্ষতিকর চর্বি জমে রক্তে ও যকৃতে। ফ্যাটি লিভার ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

তাই চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণে সতর্ক হতে হবে। সম্পৃক্ত চর্বি যেমন ঘি, মাখন, মাংসের সঙ্গে লেগে থাকা চর্বি অত্যন্ত ক্ষতিকর।

● অসম্পৃক্ত চর্বি উদাহরণ ওমেগা–৩, সামুদ্রিক মাছের তেল, বাদাম বেশ উপকারী। আমিষ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যেসব আমিষে চর্বি কম উদাহরণ মাছ, ডাল, ডিম,

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার বেছে নিন। ভোজ্যতেলের পরিমাণ আপনাকে কমাতে হবে।

● প্রতিদিন তাজা বা টাটকা ফলমূল খাবেন, কিন্তু সেটা হিসাব করে কখনো অতিরিক্ত না।

● টক ফল প্রচুর খেতে পারেন।

তবে একবারে বেশি পরিমাণ না খেয়ে সারা দিনের খাবার ৫/ ৬ ভাগে ভাগ করে খাবেন।

● দুটো খাবারের মধ্যে ৩-৪ ঘণ্টার ব্যবধান রাখবেন। মনে রাখবেন বিশৃঙ্খলভাবে যখন–তখন খাবেন না।

● ডেজার্ট হিসেবে মিষ্টি খাবারের পরিবর্তে টক দই, ফল খেতে পারবেন।

●তামাক, জর্দা, অ্যালকোহল বর্জন অবশ্যই করুন।

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খাদ্য পরিকল্পনার গুরুত্ব

  • ডায়াবেটিস ও ডায়েটের সম্পর্ক: ব্যাখ্যা করুন কেন ডায়েট নিয়ন্ত্রণ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব: কীভাবে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ডায়াবেটিস রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে।

২. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ ডায়েট খাবার চার্ট

  • সকালের খাবার: যেমন—ওটস, ডিমের সাদা অংশ, শাকসবজি।
  • মধ্যাহ্নভোজ: ব্রাউন রাইস, মুরগি বা মাছ, শাকসবজি।
  • বিকালের নাস্তা: বাদাম, দই।
  • রাতের খাবার: সবজি, ডাল, হালকা মুরগি বা মাছ।
  • মধ্যবর্তী খাবার: ফলমূল যেমন আপেল, নাশপাতি।

৩. কোন খাবারগুলো আপনাকে এড়িয়ে চলা উচিত

  • চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার: উচ্চ গ্লুকোজযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা।
  • প্রসেসড ফুড: ক্যানড ফুড, চিপস ইত্যাদি এড়িয়ে চলা।
  • রেড মিট: কম চর্বিযুক্ত মাংস পছন্দ করা উচিত।

৪. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের টিপস দেখুন

  • ছোট ছোট খাবার গ্রহণ: প্রতি ৩-৪ ঘণ্টা পর পর খাবার খাওয়ার গুরুত্ব।
  • ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: শাকসবজি, ফলমূল, এবং হোল গ্রেইন।
  • হাইড্রেশন: পর্যাপ্ত পানি পান করা।

diabetes food chart bangla

একটি স্বাস্থ্যকর ও সুষম ডায়েটের জন্য পাচঁটি প্রধান গ্রুপ বা পদের খাবার খাওয়া প্রয়োজন। সেসব হচ্ছে—

  • ফলমূল ও শাকসবজি প্রয়োজন  মতো।
  • শ্বেতসার সমৃদ্ধ খাবার। যেমন: লাল বা বাদামী চালের ভাত, লাল আটার রুটি বা পাউরুটি খেতে পারেন।
  • প্রোটিন যুক্ত খাবার। যেমন: ডিম,মাংস, মাছ,  শিম ও অন্যান্য বীন, ডাল, বিভিন্ন রকমের বাদাম।
  • দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার। উদাহরণ: দই, ছানা ও পনির খাবেন।
  • বিভিন্ন ধরনের তেল, মাখন, ঘি।

ডায়াবেটিস রোগী কোন ফল ও শাকসবজি খেতে পারেন?-

  • এক ফালি বাঙ্গি বা জাম্বুরা খেতে পারেন, সাথে একটু টক দই মিশিয়ে নিতে হবে। যেকোনো ধরনের মৌসুমি ফলই খাওয়া সবচেয়ে ভালো।
  • খেজুর, আলুবোখারা এগুলোও খাওয়া যেতে পারে।
  • খিচুড়ি, পাস্তা ও অন্যান্য খাবার রান্নায় গাজর, মটরশুঁটি, বরবটি ও শিম ব্যবহার করতে পারেন।
  • ভাতের সাথে মটরশুঁটি, মাংসে বেশি করে পেঁয়াজ বা একমুঠো পালংশাকও যোগ করা যেতে পারে।
  • কম শর্করাযুক্ত শাকসবজির উৎস হিসেবে আপনি মাশরুম, শশা, পালংশাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ও লেটুস খেতে পারেন।
  • বরই ও তরমুজ কম শর্করাযুক্ত ফলের ভালো উৎস হয়। যারা দেশের বাইরে থাকেন তারা বিদেশি ফলের মধ্যে আভোকাডো, পীচ ও বিভিন্ন বেরি আপনি খেতে পারেন।

1ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যেমন:

  • ওটস
  • সবুজ শাকসবজি (পালং শাক, লাল শাক)
  • ফুলকপি, বাঁধাকপি
  • বাদাম (আলমন্ড, আখরোট)

২. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার
প্রোটিন রক্তে শর্করা কম রাখে এবং পেশীর বিকাশে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত প্রোটিন উৎস হল:

  • মুরগির বুকের মাংস
  • ডিমের সাদা অংশ
  • মাছ (রুই, কাতলা, পাঙ্গাস)
  • ছোলা, মসুর ডাল

৩. কম কার্বোহাইড্রেট খাবার
কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম রাখা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য নিচের খাবারগুলো ভালো:

  • ব্রাউন রাইস
  • হোল গ্রেইন রুটি
  • শশা, গাজর

৪. ফলমূল
এমন কিছু ফল আছে যা সুগার রোগীদের জন্য উপকারী, যেমন:

  • আপেল
  • নাশপাতি
  • জাম
  • আমলকি

এসব খাবার খাওয়া কমানোর উপায়

  • সম্পূর্ণভাবে বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে আপনি কী পরিমাণে লবণ খাচ্ছেন তা সঠিকভাবে খেয়াল রাখতে পারবেন।
  • চিনি ছাড়া চা-কফি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এগুলো ফলের জুস বা স্মুদির থেকে ভালো, কারণ তাতে অতিরিক্ত শর্করা বা ক্যালরি থাকে না।
  • খাবারের সাথে কাঁচা লবণ খাওয়া বন্ধ করে দিন – এর পরিবর্তে গোল মরিচের গুঁড়া এবং অন্যান্য মশলা ও হার্ব ব্যবহার করে স্বাদে নতুনত্ব আনা যেতে পারে।
  • দোকানের সস ও মশলা মিক্স না কিনে বাড়িতেই বিভিন্ন সস ও ম্যারিনেট করার মশলা তৈরী করে খান। সুগার রোগীর খাদ্য তালিকা

এড়িয়ে চলা উচিত এমন খাবার

ডায়াবেটিস রোগীদের কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়াতে পারে:

  • মিষ্টিজাতীয় খাবার (চিনি, মিষ্টি, পেস্ট্রি)
  • প্রসেসড ফুড (চিপস, কোল্ড ড্রিঙ্কস)
  • হোয়াইট রাইস
  • ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার (বিস্কুট, কেক)

সুগার রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ডায়েট টিপস

১. বেশি পানি পান করুন: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জরুরি।
২. নিয়মিত ছোট খাবার গ্রহণ: একসঙ্গে বেশি খাবার না খেয়ে, ৩-৪ ঘণ্টা পর পর অল্প অল্প করে খাবার খাওয়া উচিত।
৩. ফলমূলের সাথে শাকসবজি খান: ফলের সাথে সবুজ শাকসবজি খেলে শর্করার মাত্রা কম থাকে।
৪. প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলুন: এসব খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায়।

প্রি ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির উপায়

প্রি ডায়াবেটিস এমন একটি অবস্থা যেখানে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কিন্তু ডায়াবেটিস হিসেবে বিবেচিত নয়। প্রি ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে হলে জীবনযাপনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে হবে যা ভবিষ্যতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। (সুগার রোগীর খাদ্য তালিকা)

১. স্বাস্থ্যকর ডায়েট গ্রহণ

প্রি ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে সঠিক ডায়েট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

  • কম কার্বোহাইড্রেট: কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে হোল গ্রেইন, শাকসবজি, এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
  • ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার: ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, যেমন—ওটস, বাদাম, এবং সবুজ শাকসবজি।
  • চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা: ক্যান্ডি, মিষ্টি, এবং চিনি-যুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।

২. নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম

প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।

  • হাঁটা বা জগিং: প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট হাঁটলে বা জগিং করলে শরীরের শর্করা পোড়াতে সাহায্য করে।
  • কার্ডিও ব্যায়াম: জিমে গিয়ে বা বাড়িতে ব্যায়াম করলে হৃদপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়বে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

প্রি ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

  • সুষম খাদ্যাভ্যাস: পরিমিত পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ এবং উচ্চ ক্যালোরির খাবার এড়িয়ে চলা।
  • চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার: অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার যেমন—ফাস্ট ফুড, ভাজা-পোড়া খাবার কম খান।

৪. পর্যাপ্ত পানি পান

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকে।

৫. পর্যাপ্ত ঘুম

প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম শরীরের জন্য অপরিহার্য। ঘুমের ঘাটতি শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং প্রি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

৬. মানসিক চাপ কমানো

মানসিক চাপ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, তাই স্ট্রেস কমানোর জন্য যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করতে পারেন।

সুগার হলে কি কি খাওয়া যাবে না

<yoastmark class=

সুগার হলে যেসব খাবার খাওয়া যাবে না: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাবার তালিকা

ডায়াবেটিস বা সুগার রোগীদের জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। কিছু খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণকে কঠিন করে তোলে। তাই সুগার রোগীদের কিছু বিশেষ খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

১. মিষ্টিজাতীয় খাবার

  • চিনি: চিনি বা চিনি-যুক্ত খাবার যেমন চকলেট, মিষ্টি, মিষ্টি পানীয় এড়িয়ে চলা।
  • কেক, পেস্ট্রি: ময়দা এবং চিনি দিয়ে তৈরি খাবারগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায়।
  • জ্যাম এবং জেলি: এগুলোতে উচ্চমাত্রার চিনি থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।

২. পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট

  • সাদা ভাত: সাদা ভাত রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, তাই এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
  • ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার: রুটি, পরোটা, নান ইত্যাদি এড়িয়ে চলা উচিত।
  • পাস্তা ও নুডলস: এগুলো উচ্চ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়।

৩. প্রসেসড ফুড

  • ক্যানড ফুড: ক্যানড ফ্রুটস, প্রসেসড মাংস এগুলোতে অতিরিক্ত চিনি এবং লবণ থাকে।
  • ফাস্ট ফুড: বার্গার, পিজা, এবং ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • চিপস ও স্ন্যাকস: এই ধরনের খাবারগুলিতে কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট বেশি থাকে যা সুগার রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।

৪. শর্করাযুক্ত পানীয়

  • কোল্ড ড্রিঙ্কস: কোমল পানীয় এবং ফ্রুট জুসের মতো শর্করাযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত।
  • এনার্জি ড্রিঙ্কস: এই পানীয়গুলোতে চিনি এবং ক্যাফেইন বেশি থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়।

৫. চর্বিযুক্ত খাবার

  • রেড মিট: উচ্চমাত্রায় চর্বিযুক্ত মাংস রক্তে কোলেস্টেরল এবং শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
  • তলতোলা খাবার: ভাজা খাবার এবং অতিরিক্ত তেলে রান্না করা খাবার সুগার রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।

সুগার হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে

ডায়াবেটিস বা সুগার রোগীদের ফল খাওয়ার সময় কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হয়, যেমন—ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ। যেসব ফলে শর্করার মাত্রা কম এবং ফাইবার বেশি থাকে, সেগুলো সুগার রোগীদের জন্য ভালো।

১. আপেল

  • আপেল ফাইবারে সমৃদ্ধ এবং এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
  • প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়া যেতে পারে।

২. জাম

  • জাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী কারণ এতে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখার উপাদান রয়েছে।
  • এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

৩. নাশপাতি

  • নাশপাতিতে ফাইবার এবং ভিটামিন সি বেশি থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর।
  • এটি ধীরে ধীরে শর্করা সরবরাহ করে, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায় না।

৪. আমলকি

  • আমলকি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • নিয়মিত আমলকি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫. কমলা

  • কমলায় ফাইবার ও ভিটামিন সি আছে এবং এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না।
  • এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ একটি ফল।

৬. পেয়ারা

  • পেয়ারায় ফাইবার এবং ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়ক।
  • এটি একটি কম GI সম্পন্ন ফল, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো।

৭. বেরি জাতীয় ফল

  • ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি ইত্যাদি বেরি ফলগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
  • এগুলোতে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে, ফলে ডায়াবেটিস রোগীরা সহজেই খেতে পারেন।

৮. পেপে

  • পেপেতে ফাইবার বেশি এবং গ্লুকোজ কম থাকে, যা সুগার রোগীদের জন্য উপকারী।
  • এটি হজমের জন্যও ভালো।

ফল খাওয়ার নিয়ম:

  • পরিমিত পরিমাণে খাওয়া: যেকোনো ফল খাওয়ার সময় পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। ফলের প্রাকৃতিক চিনি রক্তে শর্করা বাড়াতে পারে, তাই নিয়মিত মনিটর করতে হবে।
  • গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনুযায়ী ফল নির্বাচন: কম GI সম্পন্ন ফলগুলোই বেশি নিরাপদ।

 

সুগার হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে
সুগার হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে

সুগার হলে কি কি খাওয়া যাবে না

  • মিষ্টিজাতীয় খাবার: চিনি, মিষ্টি, কেক, পেস্ট্রি।
  • পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট: সাদা ভাত, ময়দার রুটি, নুডলস।
  • প্রসেসড ফুড: ক্যানড ফুড, ফাস্ট ফুড, চিপস।
  • শর্করাযুক্ত পানীয়: কোল্ড ড্রিঙ্কস, এনার্জি ড্রিঙ্কস, ফলের জুস।
  • চর্বি

আরও জানুন!

সর্বশেষ কথাঃ নিয়ম মেনে চলবেন তাহলে আশা করি অবশ্যই ভালো থাকবেন। ডায়াবেটিস হলে ভালো হবেনা কিন্তু নিয়ন্ত্রন আনা এবং ভালো থাকা সম্ভব। তাই বলবো নিজের প্রতি যত্ন নিন। সুস্থ থাকুন!

উপসংহার

সুগার রোগীদের জন্য খাদ্য তালিকা মানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ডায়েট এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি। তাই খাদ্যাভ্যাসে সঠিক নিয়ম মেনে চলা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *