সকল রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

সকল রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

শেয়ার করুন

সুস্থতা আল্লাহ তায়ালার কত বড় নেয়ামত সেটা আমরা কেবল অসুস্থ হলেই বুঝতে পারি। হাসপাতালে যখন শত  শত রোগি দেখি তখন আমরা বুঝতে পারি আল্লাহ তায়ালা আমাদের কতটা সুস্থতা অনেক বড় একটা নেয়ামত দান করেছেন আলহামদুলিল্লাহ! আমরা অসুস্থ হই অথবা না হই আমরা সালাতের সময় সবসময় সুস্থতা কামনার জন্য এই দোয়া গুলো পড়লো যেগুলো আমাদের রাসুল সাঃ বলেছিলেন।। চলুন দেখা যাক, সেই দোয়া গুলো যেগুলো আমাদের সুস্থতা নামক বড় নেয়ামত দান করবে। সকল রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

বিসমিল্লাহসহ কুরআনের প্রথম সূরা ‘ফাতিহা’ (আলহামদুলিল্লাহ) পাঠ করা রোগমুক্তির সবচেয়ে উপকারী আমল। তা ছাড়া কুরআনে আরও এমন কিছু আয়াত উল্লেখ রয়েছে-যেগুলো রোগমুক্তির আমল হিসাবে গণ্য করা হয়। তার মধ্যে বহু পাঠ্য দুটি আয়াত বা আমল রয়েছে যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো, কেউ যদি রোগমুক্তির উদ্দেশ্যে নিম্নের আয়াতগুলো পড়ে তাহলে আল্লাহতায়ালা তাকে সব রোগ-বালাই থেকে মুক্তি দেবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।

রোগ মুক্তির জন্য দোয়া

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা রাব্বান-নাসি মুজহিবাল বা’সি, ইশফি আনতাশ-শাফি, লা শাফি ইল্লা আনতা শিফাআন লা ইউগাদিরু সুকমা।

অর্থ: হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূরকারী। আমাকে আরোগ্য দিন, আপনি আরোগ্যকারী; আপনি ছাড়া কোনো আরোগ্যকারী নেই। এমন আরোগ্য দিন যেন কোনো রোগ অবশিষ্ট না থাকে।

উপকার : হাদিসে এসেছে,  আনাস বিন মালিক (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পড়ে অসুস্থ ব্যক্তিদের ঝাড়-ফুঁক করতেন। (বুখারি, হাদিস : ৫৭৪২)

 

‘ওয়া ইজা মারিদতু ফা হুয়া ইয়াশফি-নি।’

অর্থ : যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই (মহান আল্লাহই আমাকে) আরোগ্য দান করেন। (সূরা শুয়ারার-৮০)।

‘ওয়া নুনাজ্জিলু মিনাল কুরআনি মা হুয়া শিফাউও ওয়া রহমাতুল্লিল মু’মিনি-ন।’

অর্থ : আমি (আল্লাহ) কুরআনে এমন কিছু নাজিল করি যা রোগের সুচিকিৎসায় এবং মুমিনের জন্য রহমত। (সূরা বনি ইসরাইলের ৮২)। আলহামদুলিল্লাহ

উপর্যুক্ত আয়াতগুলো পাঠ করে রোগীর গায়ে ফুঁ দিলে, কিংবা পানিতে ফুঁ দিয়ে সে পানি রোগীকে পান করালে, অথবা রোগী নিজে উপর্যুক্ত আয়াতগুলো অধিক পরিমাণে পড়লে মহান আল্লাহ তাকে সব ধরনের রোগ-বালাই থেকে মুক্তি দেবেন। শিফায়ে কমেলা দান করবেন। আমিন!

অন্য হাদিসে এসেছে– ‘মুসলিম ব্যক্তির ওপর যে কষ্ট ক্লেশ, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানি আসে, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে ফোটে, এসবের মাধ্যমে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন।’ (বুখারি: ৫৬৪১) সকল রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

সকল রোগ থেকে মুক্তির দোয়া
সকল রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

রোগ মুক্তির দোয়া বাংলা

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) ও আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, আল্লাহর রাসুল (স.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্ত লোককে দেখে উল্লেখিত দোয়াটি পড়ে, সে ওই ব্যাধিতে কখনো আক্রান্ত হবে না।’ (তিরমিজি: ৩৪৩২; জামেউস সগির: ৮৬৬৭; সিলসিলাতুস সহিহা: ২৭৩৭)

কঠিন, ভয়ংকর রোগ থেকে বাঁচার আরেকটি দোয়ার উল্লেখ রয়েছে হাদিসে। দোয়াটি হলো—اللَّهمَّ إنِّي أسألُكَ وأتوجَّهُ إليكَ بنبيِّكَ محمدٍ صَلَّى اللَّهُ عليْهِ وعلى آلهِ وسلَّمَ نبيِّ الرحمةِ ، يا محمدُ إنِّي أتوجَّهُ بكَ إلى ربِّي في حاجَتي هذه فتَقضى، وتُشفعُني فيه وتشفعُهُ فيَّ

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ওয়া আতাওয়াজ্জাহু ইলাইকা বিনাবিয়্যিকা মুহাম্মাদিন নাবিয়্যির রহমাতি ইন্নি তাওয়াজ্জাহতু বিকা ইলা রব্বি ফি হাজাতি হাজিহি লিতুকদ্বা লি, আল্লাহুম্মা ফাশাফফি’হু ফিয়্যা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি প্রার্থনা করি এবং তোমার প্রতি মনোনিবেশ করি তোমার নবী, দয়ার নবী মুহাম্মদ (স.) এর (দোয়ার) মাধ্যমে। আমি তোমার দিকে ঝুঁকে পড়লাম, আমার প্রয়োজনের জন্য আমার প্রভুর দিকে ধাবিত হলাম, যাতে আমার এ প্রয়োজন পূর্ণ করে দেওয়া হয়। হে আল্লাহ! আমার প্রসঙ্গে তুমি তাঁর সুপারিশ কবুল করো।’

অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়া

لَا بَأْسَ طَهُوْرٌ إِنْ شَآءَ اللّهُ

উচ্চারণ: লা-বাসা তুহুরুন ইংশা-আল্লহ। অর্থ:। ভয় নেই, আল্লাহ চান তো তুমি খুব শীঘ্রই ভালো হয়ে যাবে। এ রোগ তোমার পবিত্র হবার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِىْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءٌ لَا يُغَادِرُ سَقَمًا উচ্চারণ: আযহিবিল বা’স, রব্বান নাস, ওয়াফি আংতাশ শা-ফী লা- শিফা-আ ইল্লা- শিফাউকা শিফাআন লা- ইউগাদিরু সাক্ক-মা। অর্থ: হে মানুষের রব! এ ব্যক্তির রোগ দূর করে দিন৷ তাকে নিরাময় করে দিন৷ নিরাময় করার মালিক আপনিই। আপনার নিরাময় ছাড়া আর কোনো নিরাময় নেই। এমন নিরাময় যা কোন রোগকে বাকী রাখে না।
রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

লেখক : গবেষক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *